Category: bangla

  • ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ‘বয়কট’ করলো জামায়াত

    ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ‘বয়কট’ করলো জামায়াত

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করেছে জামায়াতে ইসলামী। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে দলটির নেতারা যোগ দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

    আজ বেলা ১১টার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিদল যোগ দেয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে যোগ দিয়েছে।

    জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ফোনটি রিসিভ করেন। দলের নেতারা সংলাপে আসবেন কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। পরে তিনি বলেন, জামায়াত সংলাপে যোগ দিলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে জামায়াত থাকবে না, বিষয়টি দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তাদের ‘ইগনোর’ করা হয়েছে বলে দাবি করছে দলটি। প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের বৈঠকে যোগ দেবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা পরে হলেও তাদের যোগ দিতে অনুরোধ করা হয় বলে জানা গেছে।

    জামায়াতের একটি সূত্র বলছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে তারা সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে তাদের ইগনোর করা হয়েছে, যা দৃষ্টিকটু। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় দেশে এসে ঘোষণা করলে ভালো হতো বলে মনে করে তারা।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ঈদের আগের (৩ জুন) বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ। সেদিন সকালে দলের সংবাদ সম্মেলন থাকায় দুপুরের বিরতির পরে যোগ দিয়েছিলেন নেতারা। তবে সকালে তাদের প্রতিনিধি ছিলেন।

    সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘সংলাপের বিষয়ে আমাদের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানেন। আপনি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’ তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

  • ব্রা-এর বাংলা অর্থ কী? অনেকেই বলতে পারেন না, জানলে অবাক হবেন

    ব্রা-এর বাংলা অর্থ কী? অনেকেই বলতে পারেন না, জানলে অবাক হবেন

    মহিলাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোশাকের মধ্যে ব্রা একটি। কিন্তু আজও সমাজে এটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় না। এমনকি দোকানে কিনতে গিয়েও মহিলাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু এটি একটি অন্তর্বাস, যা নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বরং লজ্জা ঢাকতেই এই পোশাক পরা হয়। যাইহোক এই প্রতিবেদনে ব্রা সম্পর্কে একটি মজার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
    আপনি নিশ্চয়ই জানেন, মহিলাদের অন্তর্বাসকে ব্রা বলে, যা একটি ইংরেজি শব্দ। আসলে ব্রা হল একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ফরাসি শব্দ ব্রেসিয়ার থেকে এসেছে। ১৮৯৩ সালে এই শব্দটি প্রথমবার এক মার্কিন সংবাদপত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন ম্যাগাজিনেও এই শব্দটির প্রচলন হয়। কয়েক বছর পর অক্সফোর্ড অভিধানেও জায়গা করে নেয় এই শব্দ৷

    তবে অতীতের তুলনায় এখন ব্রা-র ডিজাইনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শুরুতে ব্রা-তে কাপের আকার ছিল না। তাহলে একবার ভাবুন সেই সময় মহিলাদের কতটা সমস্যায় পড়তে হতো। জানা যায়, ১৯৩০ সালে এসএইচ ক্যাম্প কোম্পানি প্রথমবারের মতো ব্রা-তে কাপের আকার ডিজাইন তৈরি করেছিল।

    প্রাথমিকভাবে এই শব্দের অর্থ হলো শিশুদের অন্তর্বাস, কিন্তু পরবর্তীতে মহিলাদের পোশাকের রূপ দেয়া হয়েছিল। আসলে ব্রা (BRA) একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এর পূর্ণরূপ হল Breast Resting Area অর্থাৎ স্তন বিশ্রামের এলাকা। তবে একে বক্ষবন্ধনীও বলা হয়ে থাকে৷ তবে যত সময় এগিয়েছে, মহিলাদের এই অন্তর্বাসটির ডিজাইন পরিবর্তন হয়েছে। আজকাল বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের A থেকে D সাইজের ব্রা পাওয়া যায়।

    তবে অধিকাংশ মহিলাই স্তনের সঠিক আকার না জেনেই অন্তর্বাস ব্যবহার করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিষের প্রায় ৮০ শতাংশ নারী ভুল সাইজের ব্রা পরেন। এমনকি তারা ফিটিং এবং সঠিক মাপ নেওয়ার পরেও ভুল করেন। তবে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক মাপের ব্রা পরাই উচিত। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর এটি ব্যবহার করা যায় না। একটি ব্রা-র মেয়াদ ৮ থেকে ৯ মাস থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে তার স্তনের ক্ষতি হতে পারে।

  • সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো

    সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো

    সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এবারই প্রথম গ্রেডভিত্তিক মহার্ঘ ভাতা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন এ ভাতায় পিছনের গ্রেডে থাকা কর্মচারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধা পাবেন, আর সামনের গ্রেডের কর্মকর্তারা তুলনামূলক কম হারে ভাতা পাবেন।

    অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতার হার হবে:

    ১ম থেকে ৩য় গ্রেডে: মূল বেতনের ১০%

    ৪র্থ থেকে ১০ম গ্রেডে: মূল বেতনের ২০%

    ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডে: মূল বেতনের ২৫%

    ???? সর্বনিম্ন মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪,০০০ টাকা, এবং ???? সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হবে। কোনো সরকারি চাকরিজীবী ৪,০০০ টাকার নিচে মহার্ঘ ভাতা পাবেন না।

    এই ভাতা চালু হলে ৫% হারে আগের বিশেষ প্রণোদনা বাতিল হয়ে যাবে। পেনশনভোগীরাও এ সুবিধার আওতায় আসবেন, এবং ইনক্রিমেন্টের সময় এটি মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ভাতা চালু করতে উন্নয়ন বাজেট কিছুটা কমাতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন থেকেই নতুন মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে চূড়ান্ত হার এখনো নির্ধারণ হয়নি।

    উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেল চালুর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়েনি, কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায়, অনেকদিন ধরেই তারা মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

    মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণে গঠিত কমিটি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় এ ভাতার যৌক্তিকতা এবং পরিমাণ যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ জমা দিয়েছে।

  • হাসিনা বাদ! আ’লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন দুই নেতা, জেনে নিন তাদের নাম

    হাসিনা বাদ! আ’লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন দুই নেতা, জেনে নিন তাদের নাম

    বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এবার ভারতে গোপন বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।আর এই অস্থিতিশীল করার জন্য করা হয়েছে কমিটি জে কমিটির প্রধান জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বাহাউদ্দিন নাসি. হাসিনাকে বাদ দেওয়া হয় গত ১৫ই জানুয়ারি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও জানা গেছে, সম্প্রতি।

    আল জাজিরার অনুসন্ধানে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছে। বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৈঠকের কথা জানান তিনি।জুলকারনাইন সায়ের জানান, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সহিংসতায় যুক্ত হওয়া শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি গোপন বৈঠক গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার পার্ক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটিতে শুধু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতাদেরও উপস্থিতি দেখা গেছে।বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অসীম কুমার উকিল, যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন, আল নাহিয়ান খান জয়, গোলাম রাব্বানী, লেখক ভট্টাচার্য, শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সিদ্দিকী,নাজমুল আলম।

    এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন এবং চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা। গোপনে বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠকে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বাহাউদ্দিন নাসিমকে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন ও ধ্বংসাত্মক কাজের সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তবে হাসিনাকে এখানে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নায় । ছাত্রলীগ নেতা হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে মোহাম্মদ রুবেলকে গণভবন কোয়ার্টার, আদাবর প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।হাজারিবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত তোরাব আলীর ছেলে লিটন সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণে গিয়ে সেখান থেকে কলকাতা গিয়ে বৈঠকে অংশ নেন।

    তাকে দেশে এসে হাজারিবাগ, ধানমণ্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নানকের কথিত ছেলে মোহাম্মদপুর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেকুজ্জামান রাজীব এবং সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাগ্নে আসিফকে মোহাম্মদপুর ও আশপাশ এলাকার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সাবেক এমপি যুবলীগের মোহাম্মদ মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে পুরান ঢাকা চাঁনখারপুল উত্তরাসহ সমগ্র ঢাকায় নাশকতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে তার লোকজন দিয়ে, মগবাজার, গুলিস্তান, তেজগাঁও, বাড্ডা এবং বনশ্রী এলাকায় নাশকতার সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সাবেক এমপি ওয়াখিল উদ্দিনের লোকজনকে দিয়ে বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় নাশকতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু কে বনানী মিরপুর এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন চিত্রনায়িকা সুহানা সাবাকে, ভারতীয় কূটনীতিক ও বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা, অভিনেত্রী গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন কে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • শিক্ষকদের জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারি, বিপদে শিক্ষকরা

    শিক্ষকদের জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারি, বিপদে শিক্ষকরা

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, একজন শিক্ষক তার চাকরি জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার, আর একজন শিক্ষিকা তিনবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

    সাথে পূর্বে, অর্থাৎ গত আগস্টে জারি করা বদলি নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে।

    বদলির গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলি:

    শূন্যপদের চাহিদা প্রকাশ: এনটিআরসিএকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্যপদের তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে।

    আবেদনের সময়সীমা: অনলাইনে বদলির আবেদন করা যাবে ১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

    বদলির আদেশ: আবেদন যাচাই শেষে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ দেওয়া হবে এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

    বদলির যোগ্যতা ও শর্তাবলি:

    চাকরিতে প্রথম যোগদানের দুই বছর পর বদলির জন্য আবেদন করা যাবে।

    বদলি হওয়ার পর নতুন কর্মস্থলে ন্যূনতম দুই বছর কাজ করতে হবে, এরপর আবার আবেদন করা যাবে।

    শিক্ষকেরা নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে নিজ জেলায় পদ না থাকলে, নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় আবেদন করা যাবে।

    বদলি অনুমোদনের ভিত্তি:

    একটি শূন্যপদের জন্য একাধিক আবেদন পেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী প্রার্থিতা এবং দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন দেওয়া হবে। সিনিয়রিটি নির্ধারণে চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ বিবেচনা করা হবে।

    প্রার্থীরা যদি একই উপজেলার হয়, তবে কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত হবে।

    ভিন্ন উপজেলা বা জেলার হলে, জেলা সদর থেকে কাঙ্ক্ষিত স্থানের সদর পর্যন্ত দূরত্ব গণনা করে সিদ্ধান্ত হবে।

    দূরত্ব নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।

    আবেদন সংক্রান্ত নির্দেশনা:

    অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য থাকলে আবেদন বাতিল হবে।

    ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বদলির পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্যপদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবে।

    প্রযুক্তি-নির্ভর বদলি প্রক্রিয়া:

    সম্পূর্ণ বদলি প্রক্রিয়া ডিএমই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

    আবেদন ফরম্যাট ও সফটওয়্যার নির্ধারণ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    বদলি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকের ইনডেক্স ট্রান্সফার, এমপিও সুবিধা, এবং জ্যেষ্ঠতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হবে।

    বদলির বাড়তি নির্দেশনা:

    বদলির আবেদন কোনো অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না।

    বদলির জন্য কোনো টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।

    বদলির আদেশের ১০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন।

    এরপর পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

    অবমুক্তি থেকে যোগদানের মধ্যবর্তী সময় কর্মকাল হিসেবে গণ্য হবে।

    নতুন কর্মস্থলে যোগদানের তথ্য অনলাইনে চেয়ারম্যান, এনটিআরসিএ ও মাউশির মহাপরিচালককে জানাতে হবে।

    এই নীতিমালা শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, প্রযুক্তিনির্ভর ও নিয়মতান্ত্রিক করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • যেসব কারণে কমে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন, না জানলে বিপদ

    যেসব কারণে কমে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন, না জানলে বিপদ

    টেস্টোস্টেরন হলো মানব শরীরের অপরিহার্য এক হরমোন। এটি পুরুষের শরীর ও আচরণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ন্ত্রন করে। পেশীর ঘনত্ব ও শক্তিতে যেমন এর ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি যৌন আকাঙ্ক্ষা ও সক্ষমতা, অস্থির ঘনত্ব, মানসিক অবস্থা ও শরীরের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে এই হরমোনের।

    পুরুষ ও নারী দুজনের শরীরেই টেস্টোস্টেরন থাকে, কিন্তু পুরুষের শরীরে এর পরিমাণ অনেক গুণ বেশি থাকে। তাই ঘাটতি হলে এর প্রভাবও প্রকাশ পায়। জীবনধারা ও পরিবর্তনগত কারণ যেমন অনিয়ন্ত্রিত ওজন, অল্প ঘুম বা মানসিক চাপ টেস্টোস্টেরন ঘাটতিকে বাড়াতে পারে। আবার অণ্ডকোষের অসুখ বা আঘাত, জন্মগত কারণ ও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ঘাটতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ— টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।’

    অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ’আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক রয়েছে, কারো কারো কম রয়েছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।’

    যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইর মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

    হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরন এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়িতে ও শরীরের অন্যান্য অংশে লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

    টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক পর্যন্ত এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

    হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

    টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

    যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে : যৌন তাড়না কমে যাওয়া, যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা, যৌন মিলনে অক্ষমতা, অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া, শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এ ছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

    এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোনো ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

    বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

    টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

    ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের ওপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণেও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

    আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরন কমে যেতে পারে।

    এ ছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

    যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব

    ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা, অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

    এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

    চিকিৎসা কি

    টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্ণতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

    তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিতে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ, সন্তান জন্ম দিলে মিলবে না আর ভিসা!

    বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ, সন্তান জন্ম দিলে মিলবে না আর ভিসা!

    পর্যটন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বা ‘বার্থ ট্যুরিজম’ সম্পর্কে আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, যদি কারো যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার মূল উদ্দেশ্য সন্তান জন্ম দেওয়া হয়, তাহলে সেই আবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।

    গত শনিবার (১৪ জুন) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ফেসবুকে দেওয়া সেই বার্তায় উল্লেখ রয়েছে যে অনেক বিদেশি বাবা- শুধুই সন্তান জন্ম দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং এর সাথে যুক্ত চিকিৎসা ব্যয়ও সরকারের ঘাড়ে চাপান। এর ফলেও মার্কিন করদাতারা চাপের মুখে পড়েন।

    বার্তার সাথে আরও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের অভিভাবকরা ভবিষ্যতে তাদের ভিসা নবায়ন করার সুযোগও হারাতে পারবেন। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে কোনো শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পায় — যা অনেক ক্ষেত্রে অ্যাংকর বেবির সুযোগ সৃষ্টি করে।

    অনেক বিদেশিরাই এই সুযোগকে ব্যবহার করে স্থায়ী আবাসন বা গ্রিন কার্ডের পথ সুগম করার চেষ্টা করে থাকে বলেও দূতাবাস উল্লেখ করেছে। এই বাস্তবতায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর হয়েছে এবং আবেদনকারীর উদ্দেশ্য সন্দেহজনক হলে তা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়েছে।

  • ইসরায়েলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

    ইসরায়েলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

    ইরানের চালানো নতুন হামলার জেরে দখলদার ইসরায়েলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন। এ সময় ইসরায়েলিরা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যেতে থাকেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড এরআগে ইসরায়েলে বড় হামলার হুমকি দিয়েছিল।

    তবে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে যে হামলা চালায় সেটি কত বড় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তেলআবিব, মধ্য ইসরায়েল, সঙ্গে আশোদ এবং আশকেলনেও সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।

    পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্র অথবা বোমা শেল্টার কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড। তারা বলেছে, ইরানের ছোড়া মিসাইলগুলো তারা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।

    সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

  • শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

    শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

    জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার। পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।

    এর আগে, সোমবার (১৬ জুন) জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ওইদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।

    আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

    গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামা কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা যায়।

    এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।

    গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

    গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।

  • এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, যেভাবে ধরা পড়ল নিরাপত্তাকর্মী

    এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, যেভাবে ধরা পড়ল নিরাপত্তাকর্মী

    গাজীপুরের শ্রীপুরে এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    সোমবার (১৬ জুন) রাতে শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার তাকে আদালতে ওঠানো হবে।

    গ্রেপ্তার মো. লিটন শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি তালহা স্পিনিং মিলসংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে দায়িত্বরত ছিলেন।

    শ্রমিকের স্বজন ও পুলিশ জানায়, এটিএম বুথ থেকে টাকা ওঠানোর সূত্র ধরে ভিকটিম কারখানা শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় নিরাপত্তা কর্মী লিটনের সঙ্গে। ভিকটিম কারখানা শ্রমিক স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। তালহা স্পিনিং মিল নামের কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরী লিটন ভিকটিমের বাবার মোবাইলে ভিকটিমকে গত রোববার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় ডেকে নেয়। বুথে যাওয়ার পর কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন এই বলে লিটন মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। পরে ভিকটিমের বাবা দুবার মেয়ের চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত লিটন মেয়ের চাকরির কথা চিন্তা না করতে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে এটিএম বুথে ভেতরে বসিয়ে রাখা কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে রাস্তায় ঘটনাটি মেয়ে তার বাবাকে জানান।

    ওসি আবদুল বারিক জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই শ্রীপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম লিটনকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন। লিটন বিভিন্ন সময় স্থান ত্যাগ করছিল। পরে সবশেষ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।