Category: bangla

  • সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

    সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

    সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

    এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

    তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

    পিওকে সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গোলাগুলি, হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল
    এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

  • ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

    ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

    ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- রাজিব, মানিক, জাবেদ, মিরাজ, সোহেল, হৃদয়, সাদ্দাম, মামুন, পারভেজ, জিতু, জনিসহ অন্তত ১৫ জন। তারা স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

    স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দেড় মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রোববার আকবর হোসেনের অনুসারী ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ একটি মিছিল বের করলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীরা বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পাকিস্তান বাজার থেকে শুরু হয়ে দাগনভূঞা বাজার ও পরে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। একপর্যায়ে কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

    উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করেছিলেন। এতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে তার লোকজন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। পরে তারা জাবেদের বাড়িতে হামলা করেছে। হামলায় ছাত্রদল নেতা রাজিব, মানিক, জাবেদসহ অন্তত ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

    জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, উপজেলা বিএনপির এ বিতর্কিত কমিটিকে কোনো কর্মসূচি পালন না করার জন্য জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বারবার তা উপেক্ষা করছেন। আজও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বাজারে তাদের বাধা দেয়। পরে তাদের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালিয়ে আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মীদের আহত করেছেন।

    এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলালের একক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সোনাগাজী এবং দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই এ কমিটি বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের করিমপুর এলাকায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি ফেনী প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এ দুই উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।

  • রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্মী আ’টক

    রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্মী আ’টক

    রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে এক চায়ের দোকানে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করছিল মোঃ আতিকুর রহমান। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নজরে এনে তাকে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    আটককৃত আতিকুর রহমান রাজশাহীর বাগমারা থানার আঃ খালেকের ছেলে এবং রাজশাহী কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আতিক মুসলিম ছাত্রাবাসের বি-ব্লকের বাসিন্দা ছিল। তখন থেকেই সে শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হয়রানি চালিয়ে আসছিল। তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা গেছে, সে এখনো নিয়মিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে এবং সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে।

    রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীদের কোনোভাবেই কলেজ ক্যাম্পাসে বা ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আতিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এমন কাউকে দেখলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যুহুর আলী বলেন, আমাকে ছাত্ররা ফোন দিয়েছিল দিয়ে বলেছে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধরে আটকে রেখেছে। আমি তখন সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ যেতে বলি। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে গেছে।

    বোয়ালিয়া থানার ডিউটি অফিসার খাতামুন আম্বিয়া বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তাকে কোন মামলা দেওয়া হয়নি।

  • অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সারজিস

    অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সারজিস

    গাজীপুরসহ সারা দেশে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য আহ্বায়ক মো. সারজিস আলম।

    আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ওই পোস্টে সারজিস জানান, এ পর্যন্ত অপারেশনে গাজীপুরের ১৩ থানায় ৮৫ জন জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    পোস্টে তিনি লিখেন, “গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ১৩ থানায় এখন পর্যন্ত আটক ৮৫ জন।

    অভিযান চলমান…”
    এ ছাড়া ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ শেখ হাসিনার দোসর ডিআইজি মোল্লা নজরুল, এসপি মান্নান, এসপি হাসনাত এবং এসপি আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তার।

  • গাজীপুরে হামলায় আহত একজন লাইফ সাপোর্টে

    গাজীপুরে হামলায় আহত একজন লাইফ সাপোর্টে

    গাজীপুরের দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।

    রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ঢামেকে চিকিৎসাধীন গাজীপুরে হামলার ঘটনায় আহত ৮ জনের মধ্যে দুই জনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। তার মধ্যে একজনকে নেওয়া হয়েছে লাইফ সাপোর্টে।

    এছাড়া বাকি ৬ জনকে রাখা হয়েছে বার্ন ইউনিটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত ওয়ার্ডে।

    হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে। আগামীকাল থেকে মেডিক্যাল বোর্ড তাদের সার্বিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিবেন।

    আইসিইউতে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. সৌমেন দে জানিয়েছেন, আমাদের এখানে কাশেম (১৭) ও ইয়াসিন আরাফাত সাগর (২৫) নামে দু’জন রোগী রয়েছে।

    এর মধ্যে কাশেমকে প্রথম দিন আনা হয়। আর রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর অবস্থায় আনা হয় ইয়াসিন আরাফাতকে ।

    তিনি আরো বলেন, কাশেমের মাথায় অপারেশন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আগের থেকে কিছুটা ভালোর দিকে।

    ইয়াসিন আরাফাতের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
    বাকি ছয় জনকে রাখা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত ওয়ার্ডে। তারা হচ্ছেন, কাজী অমর হামজা (১৭), শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব আলী (২৪), আব্দুর রহমান ইমন (২০), সাব্বির খান হিমেল (২২) ও আবির খান (২২)। এদের সবাই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।

  • একা নয়, বন্ধুদের নিয়েই একুশে পদক নিবেন অভ্রর নির্মাতা মেহেদী

    একা নয়, বন্ধুদের নিয়েই একুশে পদক নিবেন অভ্রর নির্মাতা মেহেদী

    ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় লেখাকে সহজতর করতে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য একুশে পদকের জন্য মনোনীত অভ্র কি-বোর্ডের আবিষ্কারক মেহেদী হাসান খান। তবে তিনি এককভাবে এই পুরস্কার নিতে চান না। কারণ অভ্র তৈরিতে তার আরও তিন বন্ধুও কাজ করেছিলেন, তাই পুরস্কারটা সবার প্রাপ্য বলে জানিয়েছেন মেহেদী।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার মেহেদীসহ ১৫ জনকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করে নাম ঘোষণা করা হয়।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ফারুকী জানান, মেহেদী একা এই কৃতিত্ব নিতে চাননি। তার আরো তিন বন্ধু রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম এবং শাবাব মুস্তাফা; যারাও অভ্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাদের ছাড়া তিনি পুরস্কার নিতে চাননি।

    তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া এই চার গুণীকেই অভ্র’র জন‍্য দলগতভাবে একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘তাঁরা চার বন্ধুই পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে আসছেন পুরস্কার গ্রহণ করতে। ক্যান্ট ওয়েট টু ওয়েলকাম ইউ অল। আই অ্যাম শিওর দিজ ইজ গোয়িং টু ইনসপায়ার আ লট অব ইয়াং পিপল টু মুভ ফরওয়ার্ড নো ম্যাটার হোয়াট। বাংলাদেশ, অনওয়ার্ডস অ্যান্ড আপওয়ার্ডস।’

  • ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্যের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও

    ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্যের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও

    সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নিহত প্রতিভা সরকার (২১) সাতক্ষীরার বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বিপ্রজিৎ সরকার ও তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের প্রধান সহকারী দেবকী রায় দম্পতির মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তালা উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামে। প্রতিভা ছিলেন ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

    নিহত অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল (২৬) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সদরের চণ্ডীপুর গ্রামের অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও মিনতি রানী মণ্ডল দম্পতির ছেলে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর তারকানাথ বিদ্যাপীঠের ক্রীড়াশিক্ষক। অর্ঘ্য মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামে। অর্ঘ্য ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডলের সঙ্গে প্রতিভা সরকারের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের তারিখ ছিল ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি অর্ঘ্যের এক জেঠা (বাবার চাচাতো ভাই) মারা যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে পারিবারিকভাবে তারিখ পরে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। মৃত জেঠার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাড়িতে আসছিলেন অর্ঘ্য। বাগ্‌দত্তা প্রতিভাও ছিলেন তার সঙ্গে। ইচ্ছা ছিল, ৩১ জানুয়ারি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে সবাই বসে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করবেন।

    প্রতিভার বাবা বিপ্রজিৎ সরকার বলেন, অর্ঘ্য ও প্রতিভা গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথে গোপালগঞ্জে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলে মারা যান অর্ঘ্য। প্রতিভাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    তিনি জানান, প্রতিভার মরদেহ শনিবার রাত ১০টার দিকে তালায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দিবাগত রাত ১২টায় মরদেহ নেয়া হয় গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়ে গ্রামে। রোববার বিকেলে গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ পল্লী বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
    এই তরুণ চিকিৎসক দম্পতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও তালা উপজেলা অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।

  • পুলিশের এক ডিআইজি ও তিন এসপি গ্রেপ্তার

    পুলিশের এক ডিআইজি ও তিন এসপি গ্রেপ্তার

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যাসহ একাধিক মামলায় পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর, রাজশাহী ও নীলফামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর তাদেরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাত এবং নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলায় অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ নাশকতা নয়, পলকের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়!
    অন্যদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় শুক্রবার রাতে রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশ সূত্র জানায়, বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটিটিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জামায়াতের ইসলামীর এখন রাজনৈতিক কোন কর্মসূচী নেই- সৈয়দপুরে মাওলানা আব্দুল হালিম
    অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

    আটক ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-গুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।

  • ৩২ নম্বর বাড়ি কেনায় শেখ মুজিবের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমান আযমী

    ৩২ নম্বর বাড়ি কেনায় শেখ মুজিবের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমান আযমী

    জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীর একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
    তিনি দাবি করেছেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো চাকরি বা ব্যবসা করেননি, অথচ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি কেনার অর্থের উৎস রহস্যজনক।

    রবিবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,“শেখ সাহেব কোনদিন চাকরি করেননি, কোনো ব্যবসাও ছিল না তার। উনার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে’ আছে, উনার বাবা ‘সেরেস্তাদার’, অর্থাৎ কেরানি ছিলেন। কেরানির আয় আর কতই বা হতে পারে? উনার বইতে আরও আছে, একসময় উনার পূর্বপুরুষদের অনেক ধনসম্পত্তি ছিল, কিন্তু উনার আমলে এসবের কিছুই ছিল না। তাহলে প্রশ্ন হলো, তিনি ৩২ নম্বরের জায়গাটা কেনার এবং সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের অর্থ কোথা থেকে পেলেন? কেউ কি আমাকে এর কোনো জবাব দিতে পারেন?”

    যদিও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির মালিকানা ও কেনার ইতিহাস সম্পর্কে ঐতিহাসিকভাবে বহু তথ্য বিদ্যমান, তবুও আযমীর প্রশ্নটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।