Category: bangla

  • ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ফুচকার দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ

    ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ফুচকার দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ ফুচকা-চটপটির দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বটতলা এলাকায় কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিভিন্ন হারে চাঁদা দাবি করেন তাঁরা।

    ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী ও ভুক্তভোগী দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী এসব দোকানদারের কাছে যান। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসা বন্ধ আছে বলে জানান। তবে তাঁদের প্রতিদিন এক হাজার বা দেড় হাজার টাকা করে দিলে নির্বিঘ্নে তাঁরা ব্যবসা করতে পারবেন এবং কোনো ধরনের সমস্যা হলে তাঁরা দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে দোকানদারেরা তৎক্ষণাৎ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরে যেকোনো সময় টাকা নিতে আসবেন বলে জানান।

    বিষয়টি ছাত্রদলের অভ্যন্তরে জানাজানি হলে কয়েকজন নেতা-কর্মী এসব দোকানদারের কাছে যান এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছবি দেখান। এর মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের সদস্য গোলাম রাব্বানী অর্ণবকে শনাক্ত করেন। গোলাম রাব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে থাকেন। বাকিদের শনাক্ত করতে পারেননি। তবে গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন বলে জানান তাঁরা।

    এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ একটি ফুচকার দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁর দোকানে যান। একপাশে ডেকে নিয়ে গোলাম রাব্বানী (ছবি দেখে শনাক্ত) তাঁর কাছে দৈনিক এক হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় আরও কয়েকজন দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে তিনি জানান।

    আরেক দোকানদার বলেন, ‘আমার দোকানে কয়েকজন এসে চা-পানি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, ব্যবসা–বাণিজ্য করছেন, আমাদের কিছু টাকাপয়সা দেন চা-পানি খাওয়ার জন্য। আমি তখন বলি, টাকাপয়সা এখন নেই। তাঁরা পরে যেকোনো সময় টাকা নিতে আসবেন বলে জানান।’

    তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। এখন যদি কেউ আমার নাম করে এমন কাজ করে থাকে, তাহলে কী বলব। আমি এমন কোনো কিছু করিনি। সবকিছু তো আপনারা জানেন, একজনের নাম বলে অন্যজন এমন কাজ করে।’

    আপনার ছবি দেখালে দোকানদারেরা আপনাকে শনাক্ত করেছেন, এমন প্রশ্ন করলে রাব্বানী বলেন, ‘যদি তাঁরা বলেন, আমার কী করার আছে। আমি ছিলাম না, এসব মিথ্যা।’

    এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখব। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

  • ‘যুক্তরাজ্যে নতুন বিপদে টিউলিপ সিদ্দিক

    ‘যুক্তরাজ্যে নতুন বিপদে টিউলিপ সিদ্দিক

    শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তা ফেরাতে কাজ করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে শেখ রেহানার মেয়ে ও সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদ জব্দ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তাদের দাবি, লন্ডনে টিউলিপের যে কোটি কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে তা বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থে কেনা। বাংলাদেশ এরই মধ্যে টিউলিপ, তার খালা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক দূর্নীতির তদন্তে বহু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

    টিউলিপ সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার খালা। টিউলিপ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

    বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

    প্রায় এক মাস আগে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তবে তিনি এখনও সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয়সহ বাংলাদেশে তার খালা শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।

    সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগের আগে লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের বাড়ি ও ফ্লাটসহ বেশ কয়েকটি সম্পত্তির কথা প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে একটি ফ্লাট তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তার খালা শেখ হাসিনাার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একজন ব্যবসায়ী। তবে অভিযোগ ওঠে এই ফ্লাট প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কেনা। টিউলিপ মূলত দূর্নীতির অর্থের ভাগ হিসেবে এটি পেয়েছেন।

    বাংলাদেশে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে, যা তদন্ত করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লন্ডনে টিউলিপের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাট সেই দূর্নীতির অর্থে কেনা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে।

    শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট বিতাড়িত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন এবং বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। তার শাসনামলে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল। একই সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

    দুদকের ধারণা, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থের মাধ্যমে লন্ডনে বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট ছাড়াও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের উত্তর লন্ডনে সাড়ে ৬ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাটসহ ১৫ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডের আরেকটি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

  • অচিরেই একটি গর্বিত আধুনিক শক্তিশালী মুসলিম দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ

    অচিরেই একটি গর্বিত আধুনিক শক্তিশালী মুসলিম দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ

    জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী পতিত সরকারের আমলে জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। মানুষ কোনো কথা বলতে পারত না। কথা বলার সুযোগ না থাকলে মানুষের সংসারও ভেঙে যায়। বাংলাদেশকে জঙ্গি উগ্র সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, প্রতি বছর শীতের মৌসুমে সারাদেশে পাঁচ লক্ষাধিক ওয়াজ মাহফিল হয়। এসব মাহফিল থেকে আলোকিত মানুষ তৈরি হবার পথ প্রদর্শন করা হয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে কোনো জোর জবরদস্তি নেই। বাংলাদেশ শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না ইনশা-আল্লাহ। বাংলাদেশ অচিরেই একটি গর্বিত আধুনিক শক্তিশালী মুসলিম দেশে পরিণত হবে।
    দেশে জালেমের পতনে হয়েছে এটা আলেম ও মসজিদের ইমাম-খতিবগণের দোয়া, মজলুমের কান্নার ফসল এবং আল্লাহর সাহায্যে। এর শুকরিয়া আদায় ও হকের পক্ষে কাজ করতে হবে।

    মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা করে বলেন, কোনো মাহফিলে আমাদের আলেম সমাজ বা ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ কেউ কারো বিরুদ্ধে কথা বলব না, কেউ কারো সমালোচনা করব না। এমনকি অন্য কোনো ধর্মের বিরুদ্ধেও বলব না। মোহাম্মদপুরস্থ আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল (এমএ) মাদরাসা ও জৈনপুরী খানকা (দরবার) শরিফের উদ্যোগে গত শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর টাউন হল শহীদ পার্ক ময়দানে আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান মো. লুতফর রহমানের (রহ.) জৈনপুরী পীর সাহেবের ৪৮তম বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব ও ইসলামী মহাসম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মাওলানা মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আবু হোরায়রা, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা সৈয়দ মেশকাতুর রহমান জৈনপুরী, মাওলানা দেওয়ান নুরে আলম জালালী, মাওলানা আল আমিন হোসেন জিহাদী, মুফতি শেখ মনিরুজ্জান মাহমুদি, মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম ও পীরজাদা সৈয়দ হোমাইয়াদ মাবরুক জৈনপুরী। উপস্থিত ছিলেন জৈনপুরী খানকা ও কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক আলহাজ সৈয়দ সিরাজ উদ-দৌলা ও পরিচালক আলহাজ এসএম জিল্লুর রহমান আজাদ।

    মাহফিলের দেশ জাতির সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা জৈনপুরী পীর সাহেব হযরত মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

    পীর সাহেব তার বয়ানে বলেন, বৃহত্তর ঢাকায় অত্র মহিলা কামিল মাদরাসা চালু করে দেশের অর্ধেক মহিলা সমাজের ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠান ৪৮তম অনুষ্ঠান। ইনশা-আল্লাহ ভবিষ্যতেও চলবে। পীর সাহেব বলেন, দেশে আল্লাহ তায়ালা এক বিপ্লবী পরিবর্তন এনে দিয়েছেন।

    এ এম এম বাহাউদ্দীন পীর সাহেবের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে একটি মহিলা কামিল মাদরাসা স্থাপন করে ইসলামী শিক্ষার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি জৈনপুরী সিলসিলার একজন পীর। জৈনপুর সিলসিলা এ দেশের অনেক পুরাতন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার সিলসিলা।

    এ এম এম বাহাউদ্দীন জাতীয় ঐক্য কামনা করে বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না ইনশা-আল্লাহ। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ধর্মমত সবার জন্য একই কথা বলে গেছেন। তিনি নারীদের উত্তম মর্যাদা এবং নারীদের পুনঃঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। নারীদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না। নারীরা পর্দার সাথে খেলাধুলায়ও অংশ নিতে পারবে। নারীরা বিমান চালাবে, তাদেরকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তবে নারীরা যাতে বেহায়াপনায় জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, মহিলা মাদরাসায় নারীরা বর্তমানে জ্ঞার্নাজনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করছে। শিক্ষিত নারীরা সমাজ গঠনে বিরাট ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইসলামী মাহফিল থেকে অন্য ধর্মালম্বীদের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ায় না। এদেশে যুগ যুগ ধরে মুসলিম হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করছেন। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো স্বাধীনতা নেই। সেখানে মুসলমানদের ওপর মাঝে মধ্যে নির্যাতন-নীপিড়ন এবং নানা অজুুহাতে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।

  • ‘যুক্তরাজ্যে নতুন বিপদে টিউলিপ সিদ্দিক

    ‘যুক্তরাজ্যে নতুন বিপদে টিউলিপ সিদ্দিক

    শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তা ফেরাতে কাজ করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে শেখ রেহানার মেয়ে ও সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদ জব্দ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তাদের দাবি, লন্ডনে টিউলিপের যে কোটি কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে তা বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থে কেনা। বাংলাদেশ এরই মধ্যে টিউলিপ, তার খালা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক দূর্নীতির তদন্তে বহু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

    টিউলিপ সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার খালা। টিউলিপ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

    বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

    প্রায় এক মাস আগে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তবে তিনি এখনও সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয়সহ বাংলাদেশে তার খালা শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।

    সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগের আগে লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের বাড়ি ও ফ্লাটসহ বেশ কয়েকটি সম্পত্তির কথা প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে একটি ফ্লাট তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তার খালা শেখ হাসিনাার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একজন ব্যবসায়ী। তবে অভিযোগ ওঠে এই ফ্লাট প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কেনা। টিউলিপ মূলত দূর্নীতির অর্থের ভাগ হিসেবে এটি পেয়েছেন।

    বাংলাদেশে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে, যা তদন্ত করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লন্ডনে টিউলিপের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাট সেই দূর্নীতির অর্থে কেনা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে।

    শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট বিতাড়িত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন এবং বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। তার শাসনামলে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল। একই সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

    দুদকের ধারণা, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থের মাধ্যমে লন্ডনে বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট ছাড়াও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের উত্তর লন্ডনে সাড়ে ৬ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাটসহ ১৫ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডের আরেকটি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

  • ‘আমরা পালাই না, বিএনপি পালানোর দল করে না’

    ‘আমরা পালাই না, বিএনপি পালানোর দল করে না’

    জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আওয়ামী লীগ পালায় না। ঠিকই তিন দিনের মধ্যে দেশ ছেড়ে আপনারা পালিয়ে গেছেন। লজ্জা করে না, আওয়ামী লীগের কর্মীদের লজ্জা নাই! আপনাদের রেখে যে নেতা-নেত্রীরা পালিয়ে যায়। আমরা পালাই না, বিএনপি পালানোর দল করে না। যারা পালায় না তারাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল করেন।

    রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর কাজী সিরাজুল ইসলাম একাডেমি মাঠে ইউনিয়ন কৃষকদলের আয়োজনে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তিন মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা কৃষক সমাবেশ করছি। কৃষক ফসল ফলায় কিন্তু তারা ন্যায্যমূল্য পায় না। এর আগে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষকের খাজনা মওকুফ করেছিল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করা হবে। বিএনপিই একমাত্র দল যারা কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের কথা বলে।

    আরও পড়ুনঃ নোয়াখালীতে ‘মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি’ কর্মসূচির ডাক, বিপ্লবীদের প্রস্তুতির আহ্বান
    তিনি বলেন, কৃষকরা উৎপাদন না করলে দেশের মানুষ খাবার পেত না। ১৭ বছরে আওয়ামী চোরেরা কৃষকের ঘাম ঝরানো হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

    তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে। ফ্যাসিজম পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই। জিনিসপত্রের দাম কমে নাই, এখনও মানুষের নিরাপত্তা নাই। এখনও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় নাই।

    সরকারের উদ্দেশে বাবুল বলেন বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। সেই জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। কোনো রকম টালবাহানা বা ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করব না। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছি, আর আপনারা কারা? সেই জন্যই বলছি, যতদ্রুত সম্ভব মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। তা না হলে ভালো হবে না, দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, টালবাহানা হচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। ছিনিমিনি খেলা এ দেশের মানুষ আর একমুহূর্তও মেনে নেবে না। যতদ্রুত সম্ভব জনগণের ভোটের ব্যবস্থা করুন।

    আরও পড়ুনঃ বিদেশিদের দাসত্ব করে বিএনপি: কাদের
    সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট শক্তি নানাভাবে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে একটি গোষ্ঠী সরকার গঠনে নানাভাবে পাঁয়তারা করছেন। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান করব, অতিদ্রুত এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে। আশা রাখি, তারা যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট
    উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মোল্যার পরিচালনায় কৃষক সমাবেশে বক্তব্য দেন, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মিয়া হাসান, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাড. মামুনুর রশিদ, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুরাদ হোসেন, বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলী সাকির, যুবদলের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মোল্যা, উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক সৈয়দ রাকিবুল হাসান ফিয়াম ও মৎস্যজীবী দল নেতা মো. রেজাউল মেম্বার মোল্যা প্রমুখ।

  • পিনাকী শহীদ হলে ২৪ ঘণ্টার ভিতর যা করতে বললেন!

    পিনাকী শহীদ হলে ২৪ ঘণ্টার ভিতর যা করতে বললেন!

    লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টচার্য তার এক ভিডিতে বলেছেন, আমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আমার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে, কীভাবে হয়েছে শুনেন। একটি অনলাইন মিটিংয়ের ভিডিওতে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীরা ছিলো। সেখানে একজন বলেন, ফ্রান্সের একটি আইনের কথা বলি, আপনি যদি কাউকে হত্যা করেন এখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়না। ১০-১২ বছরের জেল হয় শুধু। ফ্রান্সে কি বাংলাদেশি মানুষ নাই। পিনাকী এইসব করছে আর বাংলাদেশি মানুষ বসে আছে। পিনাকীর গলা কেটে দেয়ার কথা বলেন ওই আওয়ামী লীগ কর্মী তখন।

    প্রতিক্রিয়ায় পিনাকী বলেন, আমি শহীদ হলে বাংলাদেশি ভাইদের প্রতি আহবান, ছোট-বড় কোনো বাকশালিকে ছেড়ে দিবেন না। আমার মৃত্যুর খবর পৌছানোর ২৪ ঘণ্টার ভিতর সবাইকে শেষ করে দিবেন।

    সূত্রঃ https://youtu.be/hlNt4lOlAWg?si=pEw0-Wq_QOgeABT_

  • এবার ধানমন্ডি ৩২ এ পাওয়া গেলো মানুষের হাড় , রক্তের দাগ, জুতা, মানুষের চুল

    এবার ধানমন্ডি ৩২ এ পাওয়া গেলো মানুষের হাড় , রক্তের দাগ, জুতা, মানুষের চুল

    রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ এ মানুষের হাড়সহ একাধিক সন্দেহজনক বস্তু পাওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুধু হাড়ই নয়, ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ, জুতা, মানুষের চুল এবং অন্যান্য অবশিষ্টাংশও পাওয়া গেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি শিশুর হাতের কঙ্কালও উদ্ধার করা হয়েছে, যা রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিলে হয়তো আরও তথ্য পাওয়া যাবে

    এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকৃত কঙ্কাল ও অন্যান্য নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানা যাবে উদ্ধার হওয়া হাড় ও অন্যান্য নিদর্শন কার এবং কীভাবে সেগুলো সেখানে এলো।

    তবে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকে ধারণা করছেন, এখানে আরও কিছু পাওয়া যেতে পারে, যা এখনো প্রকাশ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণকে গুজবে কান না দিয়ে তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।

    ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলমান রয়েছে।

  • ৩২ নম্বরে বেজমেন্টের পানি অপসারণ, কী পাওয়া গেলো

    ৩২ নম্বরে বেজমেন্টের পানি অপসারণ, কী পাওয়া গেলো

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বাড়ির বেজমেন্টে সকাল থেকে পানি সেচ করার কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস। কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্টের জায়গা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা। তবে সকাল থেকে সেচের কাজ শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে। এ সময় তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টে উৎসুক মানুষের ভিড়। নানা বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে আসছেন এবং ঘুরে দেখে চলে যাচ্ছেন। তারা বলেন- এখানে কী জানি পাওয়া গেছে, তা-ই দেখতে এসেছি।

    বেজমেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতা

    উৎসুক মানুষের ভিড়ে থাকা মাসুম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এখানে ‘আয়নাঘর’ আছে। এখানে পানির নিচে অনেক ঘর আছে, মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র পাওয়া গেছে বলে শুনেছি, তবে এখনও দেখিনি।

    ওই বিল্ডিংয়ের যে জায়গাটি ঘিরে এতো আলোচনা সেখানে নেমে পানি সেচের কাজ করছিলেন একজন তরুণ শ্রমিক। তিনি পানির নিচে হাতিয়ে দেখেছেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে কিছু না পেয়ে পরে উঠে যান।

    যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, নিচে কিছু নাই, এটা লিফটের জন্য জায়গা করা বলে মনে হচ্ছে।

    নির্মাণাধীর ভবনের এই জায়গাটিতে ঘিরেই যত আলোচনা

    গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদস্বরূপ ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধরা। সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পায় তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।

    তবে দুপুরে এই পুরো বেজমেন্টে সরেজমিন দেখা যায়, বেজমেন্টের প্রথম তলা শুকনো থাকলে দ্বিতীয় তলায় পানি জমে আছে। এই পানির ভেতর অনেককেই ‘কোনো কিছু’ খুঁজতে দেখা যায়। আবার কাউকে কাউকে বেরিয়ে থাকা রড কেটে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।

    পানি জমে থাকা বেজমেন্ট

    ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সেচের কাজ শেষ করেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সেচের কাজ শেষ করে দুপুর ১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট এক এক করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করে।

  • বাংলাদেশ পানির হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে আসিফ মাহমুদ

    বাংলাদেশ পানির হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে আসিফ মাহমুদ

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে শিরদাঁড়া উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পানির হিস্যা আদায়ের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে বাংলাদেশ।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতু এলাকায় ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।

    আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আন্তর্জাতিক পানি আইনের ভিত্তিতে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে, যাতে ভারত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য একটি খসড়া নিয়ে ঘুরছে। তবে, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতকে শুধু ছবি তোলার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু তিস্তার ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনার নির্দেশে সব করেছেন, স্বীকার আনিসুল হকের
    তিনি আরও বলেন, পতিত হাসিনা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তারা ভারতের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি।

    এ সময় উত্তরবঙ্গের যোগাযোগব্যবস্থায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

    এ ছাড়া, তিস্তা নদী নিয়ে স্থানীয় জনগণের উদ্বেগ ও চাহিদা শোনা যায়, যেখানে তারা বর্তমান সরকারের আমলে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ ছাড়াও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল ইসলাম, নদী গবেষক নজরুল ইসলাম হক্কানী, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আতিক মুজাহিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

  • অপারেশন ডেভিল হান্ট- সারা দেশে গ্রে’প্তার ১৩০৮

    অপারেশন ডেভিল হান্ট- সারা দেশে গ্রে’প্তার ১৩০৮

    দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ রাজধানীসহ সারা দেশে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে দেশের আটটি মেট্রোপলিটন এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭৪ জনকে। আর দেশের রেঞ্জ এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একহাজার ৩৪ জনকে।

    রবিবার রাতে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

    এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর জানানো হয়, দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে গতরাত থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার ইংরেজি শাব্দিক অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’।

    ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে নাম আসে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা-কর্মীদের। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।