Category: bangla

  • যমুনায় সংবাদ দেখে তারেক রহমানের ফোন, যুগান্তরকে যা বললেন ইশরাক

    যমুনায় সংবাদ দেখে তারেক রহমানের ফোন, যুগান্তরকে যা বললেন ইশরাক

    সম্প্রতি যমুনা টিভিতে প্রচারিত এক সংবাদ নিয়ে রাজনৈতিক ভাষণে কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যমুনা টিভিতে প্রচারিত ওই সংবাদ দেখে মধ্যরাতেই বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ফোন দেওয়ার কথা বলেন তিনি। যা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এবার এ বিষয় নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র পদপার্থী ইশরাক কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে।

    যুগান্তরকে ইশরাক বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের বক্তৃতায় বিষয়টি শুনেছেন। তার ফোন কলের পর আমরা সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারি, পরে ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের লোকদের খবর দেয় ম্যাপ নিয়ে আসতে। আমরা জানতে পারি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সমস্যাটি সেখানে রয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেমের কোথাও কোথাও ব্লকেজ রয়েছে। যার কারণে পানি ওভারফ্লো হয়। এখন কিন্তু শুষ্ক মৌসুম বৃষ্টি নেই। এখনই যদি এরকম থাকে তাহলে বৃষ্টির সময় কেমন থাকে চিন্তা করতে পারেন।’

    বাড়িটিতে এখনও পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে জানিয়ে ইশরাক বলেন, ‘সেখানে ১০-১২ দিন যাবত টানা কাজ চলছে। তিনটা জায়গায় ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্লকেজগুলো রিমুভ করার জন্য তারা কাজ করছে। সিটি কর্পোরশেনের কর্মীরা সেখানে কাজ করছে।’

    কাজ করতে গিয়ে সমস্যার কথাও জানান ইশরাক, ‘আপনারা জানেন ৫-ই আগস্টের পর বিভিন্ন রাস্তা যেগুলোতে কাজ চলছিল তার মধ্যে অনেক রাস্তার কন্ট্রাকটর পালিয়ে গিয়েছে। কারণ তারা সবাই আওয়ামী দোসর। এখানেও যেই রাস্তাটির সঙ্গে সংযোগ তিনিও পালিয়ে গেছেন। এখন আমরা চেষ্টা করছি সেই কন্ট্রাকটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটা শেষ করার।’

    কাজটি দ্রুত সময়ে শেষ করতে কাজ চলছে বলে জানান ইশরাক। সেই সঙ্গে সংবাদটি প্রচার করে সমস্যা নিরসনে কাজ করায় যমুনা টিভিকে ধন্যবাদ দেন তিনি।

    ইশরাক বলেন, ‘এদিকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নাই। কাজের বিল সে পায় না। বিল না পেলে সে কীভাবে কাজ এগিয়ে নেবে। তারপরও আমাদের নেতা যেহেতু আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি এখানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বলেছি। যে করেই হোক এই কাজটা আমরা যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করে তাকে জানাতে হবে। এখন আমরা জানতে পেরেছি সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসা দ্রুত সময়ে কাজটি শেষ করতে কাজ করছে। এ জন্য আমি যমুনা টিভিকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। সেই সঙ্গে যমুনা গ্রুপকেও, কেননা তারা বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন।’

    এর আগে তারেক রহমান তার ভাষণে বলেন, ‘একটি খবর দেখলাম যমুনা টিভিতে। ঢাকা দক্ষিণের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি খবর দেখাচ্ছে, যে সেখানে বাসিন্দারা আটকে আছেন বহু দিন যাবত, পানিতে আটকে গেছে, চলাচল করতে পারে না, পানিবন্দি হয়েছে অনেকের ঘরে ঢুকতে পারে না।

  • ১২ দেশে হচ্ছে টিউলিপের অর্থপাচারের তদন্ত

    ১২ দেশে হচ্ছে টিউলিপের অর্থপাচারের তদন্ত

    অন্তত ১২টি দেশে তদন্ত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমসে।

    গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এবং এর কিছু অংশ বিদেশে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন দুদকের তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক (৪২) ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি।

    তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদকের এক মুখপাত্র দ্য টাইমসকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখেছি যে কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, অন্যান্য দেশেও অর্থ পাচার করা হয়েছে। আমাদের দল পারস্পরিক আইনি সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দেশে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে ১০ থেকে ১২টি দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে টিউলিপের বিষয়ে কতগুলো দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি।’

    এদিকে ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি’র (এনসিএ) কর্মকর্তারা জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় কয়েক দিন অবস্থান করে দুদকের তদন্তে সহায়তা করেছেন।

    লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিউলিপপের নাম দুদকের তিনটি তদন্তে এসেছে। তাকে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে লাভবান হওয়া, তার খালাকে পরিবারের সদস্যদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রভাবিত করা এবং অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    টিউলিপ সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং সূত্রগুলো বলছে, এই অভিযোগ তার খালার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাজানো। টিউলিপের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।’

    জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর পর টিউলিপের পরিবারের বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে যোগসূত্রের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এরপরেই টিউলিপকে মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়।

    প্রথমে টিউলিপ দাবি করেছিলেন, লন্ডনের কিংস ক্রসে অবস্থিত সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট তার বাবা-মা তাকে উপহার দিয়েছেন। তবে পরে জানা যায়, ফ্ল্যাটটি কিনেছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ডেভেলপার আবদুল মোতালিফ।

    ডিসেম্বরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। দুদক ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হতে পারে।

    দুদকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হলে বাংলাদেশ সরকার সিদ্দিককে দেশে প্রত্যর্পণের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।

  • সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

    সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

    অন্তবর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
    সোমবার রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসের সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এই কথা বলেন।

    সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বসেছে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি বলেছেনও যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন।

    আমরা আশা করবো, জনগণের যে প্রত্যাশা আছে, একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। সেটার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
    বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

    বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি প্রতিনিধি দল দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করেন। এছাড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারাদেশে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে বিএনপি তার দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন। সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের কথাও তুলে ধরেন। এজন্য দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানতে চান বিএনপি নেতারা।

  • ধানমন্ডি ৩২ ঢাকায় অবস্থিত দিল্লি’তে নয়, ভারতকে উদ্দেশ্য করে জুলকারনাইন সায়ের!

    ধানমন্ডি ৩২ ঢাকায় অবস্থিত দিল্লি’তে নয়, ভারতকে উদ্দেশ্য করে জুলকারনাইন সায়ের!

    সাংবাদিক ও গবেষক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির সমালোচনা করে বলেছেন, এই তো গতবছরের জানুয়ারী মাসের কথা, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বেশ দৃঢ়তার সাথেই বলেছিলেন; ‘বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়’।
    শুধু গত নির্বাচনই না, ২০১৪, ২০১৮ এর বিতর্কিত, একতরফা, রিগড নির্বাচনকেও ভারত স্বীকৃতি দেয় এবং একই ধরনের বিবৃতি দেয়। কখনোই দেশটি এসব পাতানো নির্বাচনের সমালোচনা করেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ‍ বিষয় বলেই পাশ কাটিয়ে গেছে।

    তিনি আরো বলেন, তাহলে যখন ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবর রহমানের বাসভবন দেশের ক্ষুব্ধ জনগণ গুঁড়িয়ে দেয়, তখন কেন তাদের মনে হয় বিষয়টি নিন্দনীয়? এ বিষয় বিবৃতি প্রদানেও তাদের কোন সংকোচ হয়না। আচ্ছা, তখন কি তাদের একবারের জন‍্যও মনে হয়না যে ধানমন্ডি ৩২ ঢাকায় অবস্থিত, দিল্লি’তে নয়।ওই নির্বাচনের মতো, এ বিষয়টিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ?

  • অবিচারে নামবো না, অপরাধীদের আইন-পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো

    অবিচারে নামবো না, অপরাধীদের আইন-পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো

    সকল হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিচার হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে। অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা থাকলো কোথায়। আমরা অবিচারে নামবো না। যারা অপরাধী তাদের পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করবো। যারা অপরাধী নয়, পুলিশের হাতে দেয়ার মতো নেই তাদের মানুষ করবো।’

    সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি জুলাই শহীদ পরিবার ও ৭ জন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের ইতিহাসের স্রষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জীবন্ত ইতিহাস। মনের গভীর থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না সে জাতি, জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না।’

    শহীদ পরিবার ও আহতের উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আজ থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ হলেন। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর বাইরেও আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে, সেটা হলো সমাজের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। এ দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ি, যে দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তোমরাও সেই স্বপ্ন দেখ। এ দেশ আমার একার না, তোমারও এদেশ। তুমি এ দেশের সন্তান। আমিও এ দেশের সন্তান। তুমি আমাকে বহু কষ্ট দিয়েছ। আমি তোমাকে কষ্ট দেব না। আমরা এক যোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’

    এ সময় তিনি জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের আহ্বান জানান, দেশে কোনো সহিংসতা ও হানাহানি যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখেন।

    এতে আরও উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

    বৈঠকে তিনটি শহীদ পরিবার ও তিনজন যোদ্ধা বক্তব্য রাখেন। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রাপ্তি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

  • অবশেষে দেশে আসছেন পিনাকী-ইলিয়াস!

    অবশেষে দেশে আসছেন পিনাকী-ইলিয়াস!

    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদেশে পাড়ি জমান সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসাইন। বিদেশে অবস্থান করেও বিভিন্ন ইস্যুতে সবসময় সামাজিক মাধ্যমে সরব ছিলেন তিনি। একইভাবে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে সামাজিক মাধ্যমে নানাবিধ ইস্যুতে সক্রিয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।

    অবশেষে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করার পর সম্প্রতি দেশে ফেরার ঘোষণা দিলেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে দেশে আসার ঘোষণা দেন তিনি।

    ইলিয়াস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে ২০১৩-১৪ সাল প্রসঙ্গে লিখেন, সারাদেশে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে বিএনপি জামায়াত নিষিদ্ধ দলের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। যৌথ অভিযানের নামে সারাদেশে চিরুনি অভিযান চালিয়ে পাখির মত গুলি করে মারা হতো ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে মারলে যেন কোনো বিচার নেই।

    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হরতাল বা অবরোধে কেমন পরিস্থিতি হতো তার বর্ণনা দিয়ে ইলিয়াস লিখেন হরতাল অবরোধের ডাক দেওয়া হলেই সড়কের মোড়ে মোড়ে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া চলতো মাঝেমধ্যে ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীদের কর্তৃক পিকেটারদের পিটিয়ে মারা হতো।

    ইলিয়াস লিখেন, সে পরিস্থিতিতেও বিএনপি জামায়াতের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হত, পিকেটিং হত। আর আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশি পাহারায় হুমকি দিতো, খেলা হবে।

    ধানমন্ডির ৩২ এর বাড়ি সাধারণ মানুষ মাটিতে মিশিয়ে দিলেও আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠন ছোট মিছিল করতেও সাহস করেনি উল্লেখ করে ইলিয়াস লিখেন, পুলিশ এখন গুলি করে না, বিজিবি টহল নেই তারপরেও তাদের আব্বার বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হলো অথচ গোটা শহরে একটা ছোট মিছিল করার সাহস করতে পারল না আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের অঙ্গ সংগঠন। তারাই আবার তাদের সাহসিকা দেখাতে আসে। আওয়ামী নেতাদের ইঙ্গিত করে ইলিয়াস হোসাইন লিখেন, দেশের বাইরে থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে তালিকা করতে থাকুক। তবে বাংলাদেশে হাসিনা অধ্যায় শেষ।

    তিনি লিখেন, হুমকি-ধামকি দিলে বিপদে পড়বে আগামী নেতারা, হুমকি দিলে অপারেশন টুঙ্গিপাড়া চালানো হবে। সর্বশেষ তিনি খেলতে চাইলে দেশে আসার আহ্বান জানান এবং জানান তারা সবাই দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কে কে আসছেন তা উল্লেখ করেননি ইলিয়াস হোসাইন। ধারণা করা হচ্ছে ইলিয়াস হোসাইন পিনাকী ভট্টাচার্যরা শীঘ্রই দেশে আসছেন।

  • আ.লীগের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা, টাকায় আপস করলেন বিএনপি নেত্রী

    আ.লীগের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা, টাকায় আপস করলেন বিএনপি নেত্রী

    আট বছর আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার রিপার স্বামীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা নান্দাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

    কিন্তু ৮ বছর পরে মামলা করেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ১৫ দিনের মাথায় গত ১৯ জানুয়ারি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আপস করেন মামলার বাদী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বিএনপি নেত্রী তাহমিনা আক্তার রিপা। তবে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন রফিকুল ইসলাম। এমন ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মামলার চার্জশিট না হওয়ায় আপস করায় আদালতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েন মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম।

    মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজ বাসার নিচে বিএনপির নেত্রীর স্বামী রফিকুল ইসলাম পোস্টার টানাতে যান। সে সময় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ১৫০-১৬০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে। এ ছাড়া মুদি দোকান থেকে লুটপাট করে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনার পর আহত রফিকুল ইসলাম ভারতের ভেলোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজ মহল্লার চাপের মুখে আপস করেছি। তবে টাকা নিয়ে আপস হয়নি।’ তাহলে কেন মামলা করলেন জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

    জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার রিপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিরা আমার হাত, পা ধরতেছে। তা ছাড়া আমি ভবিষ্যতে নির্বাচন করব, তাই স্বামীকে বলেছি মামলা আপস করে নিতে।’

    এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, মামলার চার্জশিট না হলে তো আপস করতে পারবেন না। এখানে ডাক্তারি রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চার্জশিট হবে না। আপস মীমাংসার বিষয় আদালতে।

  • দেশে ফেরার ঘোষণা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন

    দেশে ফেরার ঘোষণা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন

    অবশেষে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করার পর সম্প্রতি দেশে ফেরার ঘোষণা দিলেন প্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে দেশে আসার ঘোষণা দেন তিনি।

    ইলিয়াস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে ২০১৩-১৪ সাল প্রসঙ্গে লিখেন, সারাদেশে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে বিএনপি জামায়াত নিষিদ্ধ দলের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। যৌথ অভিযানের নামে সারাদেশে চিরুনি অভিযান চালিয়ে পাখির মত গুলি করে মারা হতো ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে মারলে যেন কোনো বিচার নেই।

    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হরতাল বা অবরোধে কেমন পরিস্থিতি হতো তার বর্ণনা দিয়ে ইলিয়াস লিখেন, হরতাল অবরোধের ডাক দেওয়া হলেই সড়কের মোড়ে মোড়ে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া চলতো, মাঝেমধ্যে ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীদের কর্তৃক পিকেটারদের পিটিয়ে মারা হতো।

    ইলিয়াস লিখেন, সে পরিস্থিতিতেও বিএনপি জামায়াতের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হত পিকেটিং হত আর আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশি পাহারায় হুমকি দিতো, খেলা হবে। ধানমন্ডির ৩২ এর বাড়ি সাধারণ মানুষ মাটিতে মিশিয়ে দিলেও আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠন ছোট মিছিল করতেও সাহস করেনি উল্লেখ করে ইলিয়াস লিখেন, পুলিশ এখন গুলি করে না, বিজিবি টহল নেই তারপরেও তাদের আব্বার বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হলো অথচ গোটা শহরে একটা ছোট মিছিল করার সাহস করতে পারল না আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের অঙ্গ সংগঠন। তারাই আবার তাদের সাহসিকা দেখাতে আসে। আওয়ামী নেতাদের ইঙ্গিত করে ইলিয়াস হোসাইন লিখেন, দেশের বাইরে থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে তালিকা করতে থাকুক। তবে বাংলাদেশে হাসিনা অধ্যায় শেষ।

    তিনি লিখেন, হুমকি-ধামকি দিলে বিপদে পড়বে আগামী নেতারা, হুমকি দিলে অপারেশন টুঙ্গিপাড়া চালানো হবে। সর্বশেষ তিনি খেলতে চাইলে দেশে আসার আহ্বান জানান এবং জানান তারা সবাই দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কে কে আসছেন তা উল্লেখ করেননি ইলিয়াস হোসাইন। ধারণা করা হচ্ছে ইলিয়াস হোসাইন পিনাকি ভট্টাচার্যরা শীঘ্রই দেশে আসছেন।

  • গাজাবাসীকে উৎখাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব, তুরস্কের অবস্থান জানালেন এরদোয়ান

    গাজাবাসীকে উৎখাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব, তুরস্কের অবস্থান জানালেন এরদোয়ান

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, কোনো শক্তিই ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমি থেকে জোর করে তাড়িয়ে দিতে পারবে না। মার্কিন স্থানান্তর প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করে তিনি এসব কথা বলেন। এরদোয়ান বলেন ‘হাজার হাজার বছর ধরে বিদ্যমান গাজাবাসীদের তাদের চিরন্তন মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই থাকবে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এরদোগান। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে এরদোগান বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের চাপে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবগুলো আলোচনার যোগ্য নয়।

    এ সময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ করায় হামাসের প্রশংসা করেন এরদোয়ান। ইসরায়েলিরা যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য সব চেষ্টা করছে বলেও দাবি তার।

    সিরিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে এরদোয়ান বলেন, সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে গণকবর উন্মোচিত হচ্ছে। সে সঙ্গে দিন দিন আসাদ সরকারের রক্তাক্ত মুখ উন্মোচিত হচ্ছে।

    গাজাবাসীকে উৎখাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব, তুরস্কের অবস্থান জানালেন এরদোয়ান
    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৪
    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখল করার এবং সেখানে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার বিতর্কিত প্রস্তাব দেন। তার পরিকল্পনার ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে। ফিলিস্তিনিরা ইতিমধ্যেই অনেক নিরাপদ এবং সুন্দর সম্প্রদায়ে পুনর্বাসিত হয়ে যেতে পারত। যেখানে নতুন এবং আধুনিক বাড়িঘর থাকবে। এটি হলে সেখানে মার্কিন সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন হবে না।

    ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘সতর্কতা’ সহকারে শোনার যোগ্য। অপরদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, তিনি গাজার বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমতি দেওয়ার একটি পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    কাটজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই, যা গাজার জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি পরিকল্পনা অনুসারে গাজার বাসিন্দারা যে কোনো দেশে যেতে পারে। যে দেশ তাদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেখানে স্থলপথে অথবা সমুদ্র ও আকাশপথে প্রস্থানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে যেতে পারবেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার ফিলিস্তিনিরা বেশিরভাগই উপত্যকা ছেড়ে যেতে পারেনি; সীমিত পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।

    স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের কথা উল্লেখ করে কাটজ বলেন, যারা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিচালনার সমালোচনা করেছে এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম, ফিলিস্তিনিরা সেসব জায়গায় যেতে পারে।

  • নায়িকাদের সাথে যা করতেন মোজাম্মেল হক

    নায়িকাদের সাথে যা করতেন মোজাম্মেল হক

    সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী ইলোরা গহরকে ভিডিও কলে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিনেত্রীর দাবি, মোজাম্মেল হক তাকে একাধিকবার ভিডিও কলে বিরক্ত করতেন এবং আপত্তিকর মন্তব্য করতেন।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইলোরা গহর জানান, একবার মোজাম্মেল হক তাকে ভিডিও কলে ফোন করলে তিনি ক্যামেরা ঘুরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখান। তখন সাবেক মন্ত্রী তাকে বারবার দেখানোর জন্য জোর করতে থাকেন এবং অশোভন মন্তব্য করেন। এ সময় ইলোরা গহর তাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, “আপনি তো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, তাই আপনাকে আব্বার (বঙ্গবন্ধু) ছবি দেখালাম।” জবাবে মোজাম্মেল হক জানান, তিনি লন্ডন থেকে ফোন করছেন।

    অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি দেশের স্বার্থে মোজাম্মেল হকের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তবে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “তখন যদি আমি একটু গল্প করতাম, তাহলে আমিও কোটিপতি হয়ে যেতাম।”

    শুধু অভিনেত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগই নয়, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের রাজনৈতিক উপন্যাস দেওয়াল-এর ৮৫-৮৬ পৃষ্ঠায় তার নামে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে নববিবাহিত এক দম্পতিকে তুলে নিয়ে স্বামীকে হত্যা ও স্ত্রীকে ধর্ষণের পর লাশ ফেলে দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরের পরও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট পদে থেকে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।