Category: bangla

  • আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ ১৬ জন আটক

    আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ ১৬ জন আটক

    বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ নারীসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের মাটিডালী এলাকায় হোটেল ড্রিম প্যালেস থেকে তাঁদের আটক করে ডিবি পুলিশ।

    আজ সোমবার বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রাকিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১২টার দিকে শহরের মাটিডালী এলাকায় হোটেল ড্রিম প্যালেসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে নয়জন নারী রয়েছেন। এদের বাড়ি বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এলাকায়।

    রাকিব হোসেন আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

  • প্রবাসীর মেয়েকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    প্রবাসীর মেয়েকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক প্রবাসীর মেয়েকে জিম্মি রেখে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে বাড়ির আসবাব ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় করা মামলায় আল-আমিন (২৭) নামের ওই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    রবিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন উপজেলার উত্তর নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের ছামাদ সরকারের ছেলে। তিনি ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি গ্রামের এক প্রবাসী জীবিকার তাগিদে দুবাই অবস্থান করেন। তার স্ত্রী স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে সোনাহাটা বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।

    মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
    অন্যান্য দিনের মতো গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় মেয়েটি স্কুল থেকে ভাড়া বাসায় ফেরে। এ সময় ওই বাসায় মেয়েটির মা উপস্থিত ছিলেন না। এ সুযোগে আল-আমিন ও তার ২ সহযোগী প্রবাসীর বাসায় এক যুবককে প্রবেশ করিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন।

    ওই যুবকসহ মেয়েটিকে বাসায় জিম্মি করে তারা প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
    কিন্ত চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা বাসার আসবাব ভাঙচুর করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে ওই দিন আল-আমিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানা ও সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

    ধুনট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর করা মামলায় আল-আমিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সাবেক মন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার গ্রেপ্তার

    সাবেক মন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার গ্রেপ্তার

    সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

    বিস্তারিত আসছে…

  • আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার

    আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার

    আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান।

    তিনি বলেন, একাধিক মামলার আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। রাজধানীর সোবহানবাগে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

  • আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে! কেন বললেন সাংবাদিক ইলিয়াস?

    আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে! কেন বললেন সাংবাদিক ইলিয়াস?

    প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “রাতে ভোট হলে আওয়ামীলীগ আবারো ক্ষ’মতায় আসবে। জয় বাংলা।”

    আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক ইলিয়াস হোসেনের এমন ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাসে নেটিজেনদের মধ্যে হাস্যরস সৃষ্টি হয়।

  • গণ-অভ্যুত্থানের পর গোপালগঞ্জে এই প্রথম প্রকাশ্যে শোডাউন জামায়াতের

    গণ-অভ্যুত্থানের পর গোপালগঞ্জে এই প্রথম প্রকাশ্যে শোডাউন জামায়াতের

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও পথসভার মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

    এরমধ্যে দলটি তাদের আগাম নির্বাচনী বার্তা দিয়েছে। এসময় গোপালগঞ্জের দুটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়।

    সোমবার বিকালে শোভাযাত্রাটি গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার মডেল মসজিদ চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঘোনাপাড়ায় গিয়ে শেষ হয়। এর আগে স্থানীয় কোট মসজিদ এলাকায় এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

    পথসভায় বক্তব্য দেন, জেলা শাখার আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনে জন্য মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদার।

    শোভাযাত্রাকে আগাম নির্বাচনী প্রচারণার বার্তা দাবি করে সেখানে গোপালগঞ্জ-১ আসনের অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদারকে এমপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সেক্রেটারি আল মাসুদ খান।

    এ সময় জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি আল মাসুদ খান বলেন, গোপালগঞ্জসহ দেশের ঘরে ঘরে কোরআনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য আল্লাহর কোরআনকে সংসদে বসানোর জন্য এই নির্বাচনী প্রচারণায় জামায়াতে ইসলামী শরিক হয়েছে।

    জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গোপালগঞ্জে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রকাশ্যে করিনি। আমরা নিজেদের কর্মী সমর্থক নিয়ে নিজেরা নিজেরা কর্মসূচি পালন করে আসছি। আজকে আমরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গোপালগঞ্জের দুটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর ঘোষণা দিয়েছি।

  • নতুন স্বাধীনতা, নতুন পতাকা, নতুন জাতীয় সংগীত চাই না: জিল্লুর রহমান

    নতুন স্বাধীনতা, নতুন পতাকা, নতুন জাতীয় সংগীত চাই না: জিল্লুর রহমান

    দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, “৮ আগস্টের পর যেভাবে নতুন নতুন বয়ান হাজির করা হচ্ছে, তা দেশের জন্য বিপজ্জনক। নতুন স্বাধীনতা, নতুন পতাকা, নতুন জাতীয় সংগীত—এসব চাই না। কারণ, এগুলোর নামে আমাদের দমন-পীড়ন করা হয়েছে। লুটপাটের রাজনীতি, দুর্নীতির রাজত্ব, জেল-জুলুম সবই চলেছে।”

    শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে জিল্লুর রহমান বলেন, “শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনে লুটপাট, দুঃশাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। জনগণ তাকে বারবার সুযোগ দিলেও, তিনি মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষা করেননি। তিনি যেন জাতির ওপর প্রতিশোধ নিতে চান। আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থক থাকলেও, তারা ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেননি।”

    রাজনীতির ন্যায়সংগত পথ নিয়ে তিনি বলেন, “যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী ছিল, তাদের সেই ভুল স্বীকার করা উচিত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া জরুরি, তবে যেভাবে তা করা হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা করা উচিত। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ফাঁসি চেয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল, যা আমি সমর্থন করিনি।”

    তিনি আরও বলেন, “১৫ বছর মানুষ নীরব ছিল, কিন্তু তাদের ক্ষোভ ও দীর্ঘশ্বাস ছিল। যখন সুযোগ এসেছে, জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাই যত দ্রুত নির্বাচন, তত দ্রুত দেশ রক্ষা পাবে।”

    ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/rQRfSKHwZ4A?si=KMuEuDYFyMxrtERB

  • আমার পরিবারের ক্ষতি হলেও আপনারা শান্ত থাকবেন : পিনাকী

    আমার পরিবারের ক্ষতি হলেও আপনারা শান্ত থাকবেন : পিনাকী

    অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ওই পোস্টে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, বাকশালীরা আমার পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে দৃশ্যত আমার পরিবারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করার এবং আমার বগুড়ার বাড়িতে হামলা করে বাংলাদেশে একটা অরাজক অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে। আমার পরিবার আমার প্রিয়, কিন্তু দেশের মানুষ প্রিয়তর। আমার পরিবারের কোনো ক্ষতি হলেও আপনারা শান্ত থাকবেন।

    আমরা সভ্য দুনিয়ার নিয়মে বাকশালিদের সাথে ডিল করব। শান্ত থাকবেন আর আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করবেন। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’

    এরপর অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে ওয়েবসাইটের প্রাথমিক কাজের স্ক্রিনশট দেওয়ায় অনেকে বলছেন, কিছু ফ্যাসিবাদবিরোধীরও নাম এসেছে।

    এমনকি আজিজুল হক কলেজের একজনের নাম এসেছে!’

  • আন্দোলনে শহীদ পরিবার ত্রিশ লাখ ছাড়াও প্রতি মাসে পাবেন ২০ হাজার ভাতা

    আন্দোলনে শহীদ পরিবার ত্রিশ লাখ ছাড়াও প্রতি মাসে পাবেন ২০ হাজার ভাতা

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি জুলাই শহীদ পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    এ সময় আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

    সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদগণ ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন এবং আহতগণ ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

    প্রতিটি শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জুলাইয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যগণ সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

    জুলাই যোদ্ধারা দুটি মেডিকেল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন। গুরুতর আহতদের ‘ক্যাটাগরি এ’ অনুযায়ী, এককালীন পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হবে, এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা প্রদান করা হবে এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) তিন লাখ টাকা প্রদান করা হবে।

    এর পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন ও মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাবেন।

    তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।
    ‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন তিন লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) এক লাখ টাকা প্রদান করা হবে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি, মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে; কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি অথবা আধাসরকারি কর্মসংস্থান প্রাপ্য হবেন।

    জুলাই যোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তারা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। এখন পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

    অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, আপনাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল আরো আগেই আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কাজগুলো করতে পারব। আমাদের আন্তরিকতার কমতি ছিল না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রত্যেকে আপনাদের ন্যায্য সম্মাননা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। সংকটকালীন সময়ে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে, সে কারণে আপনাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা করতে পারিনি। এ কারণে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

  • মামলার শুনানির দিন মারা গেলেন বিডিআর বিদ্রোহের হাজতি এনামুল

    মামলার শুনানির দিন মারা গেলেন বিডিআর বিদ্রোহের হাজতি এনামুল

    বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ১০ বছরের সাজা খাটা এবং বিস্ফোরক মামলায় ৬ বছর জেলে থাকা এনামুল হক (৬৫) নামে এক হাজতি আদালতে শুনানির দিন মারা যান।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    মৃত এনামুল হকের মেয়ে মিনা বেগম বলেন, আমার বাবা বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন। তার ১০ বছর সাজা শেষ হলেও তিনি জেল থেকে বের হতে পারেননি। পরে তাকে আবার বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৬ বছর ধরে কারাগারে রাখা হয়। আজ বিস্ফোরক মামলার শুনানির দিন ছিল কিন্তু তার আর জেল থেকে খালাস পাওয়া হল না। দুনিয়া থেকে খালাস নিয়ে তিনি চলে গেলেন

    নিহতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, আমাদের বাড়ির টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় এলাকায়। আমার চাচাতো ভাইয়ের চাকরি শেষ হওয়ার তিন মাস আগে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করে তাকে কারাগারে রাখা হয়। এরপর তার ১০ বছরের সাজা হয়। ১০ বছর সাজা শেষ হলেও তিনি জেল থেকে বের হওয়ার আগেই তাকে আবার বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখা হয়। এর মধ্যে বিনা চিকিৎসায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছয় বছর আগে তার স্ত্রী লাইলী বেগম ও মারা যান। তার চার মেয়ে। আজ আদালতে তার বিস্ফোরক মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান তিনি।

    তিনি আরও বলেন, ১০ বছর সাজা খাটলেও বের হতে পারলো না। আবারো ছয় বছর জেল খাটতে হলো তার। এখন বিচারে যদি খালাস পান তাহলে বিনা দোষে এত বছর জেল খাটলেন তার কী হবে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন তারা যেন তার পরিবারকে সহায়তা করেন। এছাড়া আর আমার বলার কিছু নেই।

    ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় একজন হাজতি আইসিইউতে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। পরে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।