Category: bangla

  • নাহিদকে রাখা ‘আয়নাঘরে’র সন্ধান জানালেন সহকারী প্রেস সচিব

    নাহিদকে রাখা ‘আয়নাঘরে’র সন্ধান জানালেন সহকারী প্রেস সচিব

    গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্রভাবে শুরু হয়, তখন সাদাপোশাকে নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। তবে তাকে ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুচিস্মিতা তিথি।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ফেসবুকে তার আইডিতে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন।

    পোস্টে সুচিস্মিতা লেখেন, ‘গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে।’

    তিনি আরও লেখেন, ‘আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। গত ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।’

    সহকারী প্রেস সচিব বলেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর তিনটি এলাকায় র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেল (আয়নাঘর নামে পরিচিত) পরিদর্শন করেন।’

    এর আগে বুধবার দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের বহু মানুষকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে, সেসব বন্দিশালার প্রতীকী নাম রাখা হয়েছে ‘আয়নাঘর’।

    তুলে নেওয়া সেসব মানুষদের কেউ কেউ বহু দিন পর পরিবারের কাছে ফিরে বীভৎস নির্যাতনের বিবরণ দিলেও অনেকের খোঁজ এখনো মেলেনি। বিভিন্ন বাহিনীর আওতাধীন এমন আয়নাঘরের সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ‘গুম তদন্ত কমিশন’।

  • গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

    গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

    আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে আছেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুক্তভোগীরা।

    বুধবার প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়।

    কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।

  • আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল নাহিদ আসিফকে, চিহ্নিত করলেন নিজেরাই

    আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল নাহিদ আসিফকে, চিহ্নিত করলেন নিজেরাই

    আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে যে বন্দিশালায় রাখা হয়েছিল উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে সেটি তারা চিনতে পেরেছেন। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়গুলো তুলে ধরেন তিনি।

    জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে।

    আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা নাহিদ এবং আসিফও। সেখানে সশরীরে উপস্থিত থেকে ডিজিএফআইয়ের সেই দুই টর্চারসেল চিনতে পারার কথা জানান তারা।

    ফেসবুক পোস্টে সুচিস্মিতা তিথি লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ।

    এই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।
    আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি।

    দেয়ালের উপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।

  • শেখহাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জাতিসংঘ

    শেখহাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জাতিসংঘ

    জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বাংলাদেশের সাবেক সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের নৃশংসতা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।

    জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল। যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে করা হয়েছিল।

    তিনি বলেন, বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।

    ভলকার তুর্ক বলেন, আমরা যে সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধও গঠন করতে পারে। জাতীয় নিরাময় এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য দায়বদ্ধতা এবং ন্যায়বিচার অপরিহার্য।

    হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম পথ হলো একটি বিস্তারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সময়ে সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়গুলোর সত্য উন্মোচন, নিরাময় এবং জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়া এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতার প্রতিকার করা এবং এর পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনও না ঘটতে পারে তা নিশ্চিত করা। আমার কার্যালয় এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় জবাবদিহিতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ভলকার তুর্ক।

  • শেখ হাসিনা এখন ভারতের বোঝা, যা বললেন কংগ্রেস নেতা

    শেখ হাসিনা এখন ভারতের বোঝা, যা বললেন কংগ্রেস নেতা

    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং শেখ হাসিনার কিছু মন্তব্য নিয়ে ভারতীয় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর মন্তব্য করেছেন, যা তিনি ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে (এফসিসি) একটি বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। থারুর বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তবে তিনি জোর দিয়ে জানান, যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ভারতের সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।

    তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির দুটি প্রধান নীতির কথা উল্লেখ করেন। প্রথমত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের পক্ষে অবস্থান না নেওয়া।

    শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে থারুর বলেন, গত বছরের ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।

    থারুর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের একেবারে পাশের দেশ। সেখানে যা ঘটছে, তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ভারতের ওপর পড়তে পারে।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের জন্য একটি দুর্বল জায়গা হতে পারে, যেখানে শত্রুতাপূর্ণ সরকার ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

    থারুর আরও বলেন, “ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সতর্কতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিটি স্তরে এই বার্তা দেওয়া উচিত যে, আমাদের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের প্রতি।”

  • নৌবাহিনী চিফের পাকিস্তান সফরে ভারতের টেনশন!

    নৌবাহিনী চিফের পাকিস্তান সফরে ভারতের টেনশন!

    ঢাকার নীল আকাশ তখনো ধীরে ধীরে সন্ধ্যার দিকে ঝুঁকছে, কূটনৈতিক মহল সরগরম, শিরোনামে একটাই বিষয় বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল মো নাজমুল হাসানের পাকিস্তান সফর। এ সফর কোন সাধারণ কূটনৈতিক সফর নয়, বরং সামরিক সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    কয়েকমাস আগেও এটা অকল্পনীয় ছিলো, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারত পাকিস্তান দ্বন্দ্বের ছায়া ছিলো দৃশ্যমান। আর বাংলাদেশের অবস্থান সাধারণত ভারতের সাথেই হিসাব করা হতো।

    কিন্তু সময় বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশ পাকিস্তান সম্পর্কের উষ্ণতা ক্রমেই বাড়ছে, যা ভারতের জন্য নতুন কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা ও কূটনীতিতে এটি ঐতিহাসিক মোড় নিতে পারে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা।

    বিশেষ করে, অ্যাডমিরাল হাসান পাকিস্তানে আয়োজিত আমান-২৫ মাল্টিন্যাশনাল নৌবাহিনী মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছেন।অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধানের অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে উভয় দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী।

  • শেখ হেলালের পিএস মুরাদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

    শেখ হেলালের পিএস মুরাদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

    আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হোসেন মুহাম্মদ মুরাদ ওরফে সোহেল মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে বিমানবন্দরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    একটি সূত্র বলছে, মুরাদ শেখ হেলালের ক্যাশিয়ার ছিলেন। শেখ হেলালের ক্ষমতা ব্যবহার করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মুরাদ। গুলশানের ব্যবসায়ীরা তার ভয়ে তটস্থ থাকতো। টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য করে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান মুরাদ।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ছাত্র হত্যায় বিপুল অর্থের যোগান দেন সোহেল মুরাদ।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, মুরাদের বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • ‘চাঁদা নিতেও পারব না, দিতেও পারব না’

    ‘চাঁদা নিতেও পারব না, দিতেও পারব না’

    চাঁদা নিতেও পারব না, চাঁদা দিতেও পারব না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

    মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদী কামিল মাদ্রাসা ময়দানে এক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের তিনি এ কথা বলেন।

    ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের তরুণরা, যুবকরা যদি ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে জীবন দিতে পারে আমরা চাঁদাবাজ, সুদখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজদের রুখে দিতে জীবন দিতে পারব ইনশআল্লাহ। আমরা চাঁদা নিতেও পারব না, চাঁদা দিতেও পারব না।

    তিনি বলেন, আগে ইব্রাহিম হতে হবে, পরে ইসমাইল। হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর মতো সমন্বিত একটা বাংলাদেশ যখন হবে, সেই বাংলাদেশের নাম হবে সোনার বাংলাদেশ। আল্লাহর সামনে যে দাঁড়ানোর প্র্যাকটিস করে তার পৃথিবীর কোনো বন্দুকের সামনে দাঁড়াতে ভয় থাকে না। আল্লাহর সামনে যে মাথা নত করতে দাঁড়ায় সে চাঁদাবাজের সামনে মাথা নত করে না।

    তিনি এ সময় নিজ নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-২ (বাউফল) এর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আগাছা এবং ফসল নিয়ে একখণ্ড জমি কল্পনা করা হলে সেখানে একজন কৃষকের যেমন ভালো ফসল পাওয়া সম্ভব হয় না, তেমনি বাউফল নামক এই জমিতে যদি আগাছা মোকাবিলা করা না যায় তবে ভালো ফসল পাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছরে কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান কিংবা অন্য কোনো জনপ্রতিনিধি দেওয়ার চেয়ে খেয়েছে বেশি। ওরা কেবল আমাদের হকই খায়নি, আল্লাহর হকও নষ্ট করেছে। আগামী দিনে আমাদের বাউফলের ইমাম হবেন একজন আল্লাহ ভীরু। যিনি হবেন একদিকে মসজিদের ইমাম, জানাজার নামাজের ইমাম, একইসঙ্গে বাউফলেরও ইমাম।

    তিনি আরও বলেন, রাসুলে করিম (সা.)-এর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে শেষ জামানা শুরু হয়েছে। এই শেষ জামানায় আল্লাহ প্রেরিত মতবাদ ছাড়া আর কোনো মতবাদ দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামের ভিত্তিতে আমাদের জীবন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। কীভাবে জীবন, সমাজ এবং বঙ্গভবন চলবে এসব কথা ইসলামের মধ্যে আছে। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের নামই হচ্ছে ইসলাম। একমাত্র জীবন বিধানের নামই হচ্ছে আল কোরআন।

  • টিকটকে ঝড় তোলা সেই আ. লীগ নেত্রীর জামিন

    টিকটকে ঝড় তোলা সেই আ. লীগ নেত্রীর জামিন

    নাটোরের বড়াইগ্রামে থানার সামনে টিকটক ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল হওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী শিউলী বেগম জামিন পেয়েছেন।

    মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বড়াইগ্রাম আমলি আদালতের বিচারক তোহিদুর রহমান সুমন শুনানি শেষে তাঁকে জামিন দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়াইগ্রাম আমলি আদালতের জিআরও মাছুদুর রহমান।

    শিউলী বেগম বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

    গত রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বড়াইগ্রাম থানা ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে নাচ-গানসহ টিকটক ভিডিও ধারণ করেন শিউলী বেগম। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, “পুলিশের অগোচরে ভিডিওটি ধারণ করা হয়। বিষয়টি জানার পর তাঁকে আটক করা হয় এবং পরে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।”

  • সরকার কোটার দাবি মেনে নিলেও পতনের দুরুন্ত প্লান তৈরির ভূমিকায় শিবির নেতা

    সরকার কোটার দাবি মেনে নিলেও পতনের দুরুন্ত প্লান তৈরির ভূমিকায় শিবির নেতা

    একটি সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক মির্জা গালিবকে প্রশ্ন করেন, “জুলাই আন্দোলনের পরিকল্পনা কী ছিল এবং এই আন্দোলনকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে, এটি আপনাদের মাথায় কিভাবে এলো?”

    মির্জা গালিব জানান, “আন্দোলনের সময় আমি সবসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিলাম। বিশেষ করে ৫ আগস্টের ৭ দিন আগে, যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের জন্য আমাকে কল করা হলে, আমি সেগুলো দিতাম।

    এক সময় তারা বলেছিল যে সরকার কোটা আন্দোলনের সব দাবি মেনে নেবে, কিন্তু তারপর প্রশ্ন উঠেছিল, ‘যদি সরকার দাবি মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলন কিভাবে এগোবে?’

    এরপর আলোচনা করে আমরা আরও ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করি, যা সরকারের মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন সরকার পতনের দিকে এগিয়ে যায়।”

    এখন, উপস্থাপক মির্জা গালিবকে জিজ্ঞেস করেন, “তাহলে, আপনারা কি শুরু থেকেই সরকারের পতন লক্ষ্য করছিলেন?” গালিব উত্তর দেন, “না, আমি এটা বলবো না।

    প্রথমে আমাদের মূল দাবি ছিল কোটা সংস্কার। কিন্তু যখন সরকার গণতান্ত্রিকভাবে সমস্যার সমাধান করেনি, তখন আন্দোলনকারীরা সরকার পতনের দাবি তোলেন। তাই, আমার মনে হয়, যদি সরকার প্রথম থেকেই গণতান্ত্রিক উপায়ে এই আন্দোলন পরিচালনা করতো, তাহলে আন্দোলন সরকার পতনের এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না।”