Category: bangla

  • স্টারলিংক আনতে ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের যে আলোচনা হলো

    স্টারলিংক আনতে ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের যে আলোচনা হলো

    স্টারলিংক সেবা বাংলাদেশে আনতে স্পেসএক্স, টেসলা প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিওকলে ভবিষ্যতের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করার বিষয়ে আরও অগ্রগতি অর্জনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনার প্রাক্কালে তিনি এই আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানায়।

    বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, স্পেস এক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার ও গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড গ্রিফিথস।

    আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট যোগাযোগের রূপান্তরমূলক প্রভাব, বিশেষ করে বাংলাদেশের উদ্যোগী যুবক, গ্রামীণ ও ঝুঁকিপূর্ণ নারী এবং প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    উচ্চগতির ও স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ কীভাবে বাংলাদেশের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পারে, সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষমতায়ন এবং দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে জাতীয় সীমানার বাইরে প্রবেশাধিকার দেওয়ার উপায় নিয়ে এ সময় আলোচনা করা হয়।

    ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোতে স্টারলিংকের কানেক্টিভিটি যুক্ত করা হলে লাখ লাখ মানুষের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে দেশকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একীভূত করা হবে।

    তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রযুক্তিচালিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে মাস্কের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

    ড. ইউনূস বলেন, স্টারলিংক গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ ফোনের একটি সম্প্রসারিত অংশ হতে পারে, যা গ্রামের নারী ও তরুণদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তারা বৈশ্বিক উদ্যোক্তায় পরিণত হবে।

    ইলন মাস্ক গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ মডেলের প্রশংসা করে দারিদ্র্য বিমোচনে এর বৈশ্বিক প্রভাবের কথা সম্পর্কে জানান।

    টেসলা মোটরসের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক বলেন, তিনি অনেক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ পল্লী ফোনের উভয়ের কাজের সঙ্গে পরিচিত।

    স্টারলিংকের মতো প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে কাজে লাগানো বাংলাদেশে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন।

    ড. ইউনূস স্টারলিংক সেবার সম্ভাব্য চালুর জন্য ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জাতীয় উন্নয়নে এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন, যার প্রতি মাস্ক ইতিবাচক সাড়া দেন। মাস্ক বলেন, ‘আমি এটির জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

    এই সম্পৃক্ততা বাংলাদেশে উন্নত স্যাটেলাইট সংযোগ আনা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং দেশজুড়ে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    উভয় পক্ষ এই উদ্যোগে দ্রুত অগ্রগতি আনতে সম্মত হয়েছে এবং হাই রিপ্রেজেন্টটটিভ খলিলুর রহমান, মিসেস ড্রায়ার এবং মি. গ্রিফিথসকে আরও কাজের সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

  • এমপি শাওনের কিলার বাহিনী দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করায় শেখ হাসিনা!

    এমপি শাওনের কিলার বাহিনী দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করায় শেখ হাসিনা!

    সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার বা সঠিক তথ্য উদঘাটন হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের। এতদিনে তদন্তের জন্য ১৫৫ বার সময় নেওয়া হলেও আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত সংস্থাগুলো।
    প্রথমে থানা পুলিশ, পরে ডিবি এবং সিআইডি এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। বর্তমানে র‍্যাব তদন্ত করছে। তবে এত বছর পরও হত্যার মোটিভ বা প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই সম্প্রতি একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় মামলাটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

    ফাঁস হওয়া অডিওতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নূরনবী চৌধুরী শাওনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অডিওতে দাবি করা হয়েছে, সাগর-রুনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও পেয়েছিলেন। সেই ভিডিও সিডি আকারে প্রস্তুত করার জন্য একটি স্টুডিওতে পাঠানো হয়েছিল, যা পরে ফাঁস হয়ে যায়।

    অডিওতে আরও বলা হয়েছে, সাগর-রুনিকে হত্যার জন্য একটি পরিকল্পিত মিশন পরিচালিত হয়, যা ছিল কমান্ডো স্টাইলে। সন্দেহ করা হচ্ছে, একটি বিশেষ দলের মাধ্যমে জানালার মাধ্যমে ফ্ল্যাটে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।

    অডিও অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ, সাগর-রুনির কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ ধ্বংস করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়।
    এখন পর্যন্ত এই মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এতদিনেও তদন্তকারীরা কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই মামলার তদন্তে প্রভাব খাটানো হয়েছে।

    সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের অনেকেই মনে করেন, সরকারের প্রভাব ও সংশ্লিষ্টতার কারণে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত শুরু থেকেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

    ২০১২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের ধরা হবে।” তবে সেই ৪৮ ঘণ্টা এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত সাগর-রুনির পরিবার ও সহকর্মীরা।

    সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=ioCzb40xCyc

  • নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

    নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

    নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার (more…)

  • ২ সহকর্মীকে হ’ত্যার পর পুলিশ সদস্যের আত্মহ’ত্যা

    ২ সহকর্মীকে হ’ত্যার পর পুলিশ সদস্যের আত্মহ’ত্যা

    ভারতের মণিপুর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পরপরই ফের সহিংসতার ঘটনা ঘটল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে সহকর্মীদের উপর গুলি চালালেন এক পুলিশ সদস্য। গুলিতে দেশটির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। গুলি করার পর ওই পুলিশ সদস্যও আত্মহত্যা করেছেন।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাজ্যের ইম্ফল পশ্চিম জেলার লামফেলে বাহিনীর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। হতাহতরা বাহিনীর ১২০তম ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, আজ রাত আনুমানিক ৮ টায়, ইম্ফল পশ্চিম জেলার অন্তর্গত লামসাং-এর একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পের ভিতরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একজন সিআরপিএফ জওয়ান গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থলেই তার নিজের দুইজন সিআরপিএফ সহকর্মীকে হত্যা করেছে এবং আটজন আহত হয়েছেন। পরে সেও অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।’

    এ ঘটনায় আহত সদস্যদের ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (আরআইএমএস) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছে দেশটি। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের চার দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সহিংসতা কবলিত মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।

  • নামাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ, ছেলে আটক

    নামাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ, ছেলে আটক

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে নাসিমা আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ ঘরের বিছানা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন হওয়া নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী।

    এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই নারীর মাদকাসক্ত ছেলে সিয়ামকে (১৯) আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সিয়াম পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে। নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসা মিয়া জানান, ওই নারীর স্বামী শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে এসে দেখেন বিছানাতেই নাসিমা আক্তারের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, ছেলে সিয়াম তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে। সিয়াম মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চলাফেরা করতো।

    আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যাকাণ্ডের শিকার নাসিমা আক্তারের ছেলে সিয়ামকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। সে পুলিশকে প্রথমে জানায়, প্রায়ই সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতো। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে সে তার মাকে হত্যা করেছে।

    আবার জানায়, জায়গাজমি নিয়ে তার মামাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আগামী রবিবার এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হওয়ার কথা ছিল। মামাদের ফাঁসানোর জন্যই মাকে হত্যা করেছে।

    ওসি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলায় সিয়ামকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

  • আবু সাঈদের সংবাদ প্রচার ও ভিডিও ধারণের জন্য সম্মাননা পেলেন যমুনা টিভির দুই সাংবাদিক

    আবু সাঈদের সংবাদ প্রচার ও ভিডিও ধারণের জন্য সম্মাননা পেলেন যমুনা টিভির দুই সাংবাদিক

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ধারণ এবং সবার আগে সংবাদ প্রচার করায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেট ও রংপুরের ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান ও ক্যামেরাপারসন আলমগীর হোসেনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে যমুনা টেলিভিশন।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনটি কার্যালয়ে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত, মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম, এসএম আব্দুল ওয়াদুদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারসহ আরও অনেকে।

    এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এদিন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যমুনা টেলিভিশন। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সকলে।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের ভূমিকা তুলে ধরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অনেক কষ্টের ভেতর দিয়ে সফল হয়েছে। এই আন্দোলনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবার আগে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করেছে। যমুনা টেলিভিশনের প্রশংসা শুনে আমাদের গর্ব হয়। এখানেই শেষ নয়, এই সফলতা সবাইকে ধরে রাখতে হবে। যমুনা টেলিভিশনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। যমুনা গ্রুপ আপনাদের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

    যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে স্মরণ করে সালমা ইসলাম বলেন, যমুনা টিভি একদিন এক নাম্বার হবে, এমন স্বপ্ন নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তার স্বপ্ন ছিল বিশ্বের সবাই যমুনা টিভিকে এক নামে চিনবে। সত্যিই আজকে যমুনা টিভি নাম্বার ওয়ান হয়েছে এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

    যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম বলেন, অনেক দিন আমাদের সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ অবরুদ্ধ ছিল। এখন গণমাধ্যম অনেকটাই স্বাধীন। এই স্বাধীনতা পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐক্য, সততা ও দায়িত্ববোধ ধরে রেখে আরও এগিয়ে যেতে হবে।

    যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। কিন্তু সত্য প্রকাশে কেউ পিছপা হননি। আন্দোলনের সময় সবাই আস্থা রেখেছে যমুনা টেলিভিশনে। আমরা এই সফলতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই।

    দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশন অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। এর থেকে অনেক ছোট কাজ করেও অনেকে একুশে ও স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আমার দাবি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখায় যমুনাকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হোক। কারণ যমুনাকে স্বাধীনতা পদক দিলে বিপ্লবের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হবে এবং যমুনার মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠান উৎসাহিত হবে।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও প্ল্যানিং এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল।

  • বিলুপ্ত হচ্ছে র‍্যাব? যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    বিলুপ্ত হচ্ছে র‍্যাব? যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এই মিশনটি বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য কাজ করে। তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও অপকর্মের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে র‍্যাবের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। র‍্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা “এনকাউন্টার” বা “গোলাগুলি” ঘটিয়ে অনেক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘ র‍্যাবের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে।

    জাতিসংঘের এই সুপারিশের পর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং র‍্যাবের বিলুপ্তি বা পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকার জানিয়েছে যে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো সুপারিশ বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেবে এবং এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে কাজ করবে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে।

  • পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আসবে না জামায়াত ইসলাম মিয়া গোলাম পরোয়ার

    পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আসবে না জামায়াত ইসলাম মিয়া গোলাম পরোয়ার

    পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

    বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

    মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই। তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে অবশ্যই সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। নো ইলেকশন উইদাউট রিফরম।

    এক যুগ পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে জামায়াত তাদের ২৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা।

    মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সংস্কার জরুরি। সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করা সম্ভব না হলেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।’

    তিনি আরও বলেন, অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    জামায়াত সারা দেশে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে মতবিনিময় হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠকে মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দলে ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদসহ অন্য নেতারা।

  • শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিল্লিকে পাঠিয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিং তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ঢাকা প্রয়োজনীয় নথি দিল্লিতে পাঠিয়েছে। দেশটির উত্তরের প্রতীক্ষা করছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক চিঠির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পাঠানো হয়েছে।

    রফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে প্রতীক্ষা করবে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতে অবস্থানকারী অন্য নেতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম প্রতিপালন করা হবে কিনা সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার বিষয়।

    এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

  • সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে,আমার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই : ড. ইউনূস

    সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে,আমার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই : ড. ইউনূস

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সামজিক শৃঙ্খলা ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাও আমাদের চ্যালেঞ্জ। ফ্যাসিস্ট সরকারে বিচার করতে আমরা কাজ করছি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমাল বিন মুহাম্মদ আল ওয়াইসের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. ইউনূস এসব […]

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সামজিক শৃঙ্খলা ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাও আমাদের চ্যালেঞ্জ। ফ্যাসিস্ট সরকারে বিচার করতে আমরা কাজ করছি।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমাল বিন মুহাম্মদ আল ওয়াইসের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।

    ড. ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পুরো অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা বিভিন্ন দেশে বিপুল টাকা পাচার করেছে। এসব টাকা ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে আমাদের অন্যতম কাজ। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন করেছি। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে শিগগিরই সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের দিকে যাব।

    ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আইনশৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সবই উন্নতি হবে। জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে আমি আমার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই।’

    বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমান বিন মুহাম্মদ আল ওয়াইস।

    এসময় আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ-আমিরাতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে। ড. ইউনুস আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশিকে দেশটিতে কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমিরাতের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিতে তিনি শুভেচ্ছা জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ।

    এর আগে গতকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সময় রাত ১১ টায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন