Category: bangla

  • ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!’

    ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!’

    গত আগস্টের শেষ দিকে, যখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে জুলাই ও আগস্টের নৃশংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ জানান, তখন অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

    কেউ কেউ মনে করিয়ে দিয়েছিলেন পুরোনো বাংলা প্রবাদ— ‘খাল কেটে কুমির আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।’ অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, জাতিসংঘ অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এবং হয়তো এমন একটি আপসকামী প্রতিবেদন দেবে, যেমনটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে দেখা যায়। তবে অধ্যাপক ইউনূস তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

    পোস্টে শফিকুল আলম আরও লেখেন, ড. ইউনূস চেয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত। তার বিশ্বাস ছিল, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরই একমাত্র সংস্থা যারা এমন সত্য উদঘাটন করতে পারে। অবশ্য, বাংলাদেশে সবাই জানত জুলাই ও আগস্টে কী ঘটেছে, কারা হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ও কর্মীদের কী ভূমিকা ছিল। তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন থাকাটা জরুরি ছিল। আর সেই সত্য যদি অপ্রিয় হয়, তাতেও আপত্তি নেই!

    স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, অবশেষে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে। তার রাজনীতিতে ফেরার সামান্য সম্ভাবনাও এখন শেষ। যদি আওয়ামী লীগ এবং তাদের সেই বিশাল কর্মীবাহিনী, যারা জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল না, দলকে পুনর্জীবিত করতে চায়, তবে একমাত্র উপায় হলো— শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করা এবং জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অন্য কোনো ব্যাখ্যার সুযোগ দেয়নি।

    ‘১৯৯০ সালে সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ যখন গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন, তখন তার বয়স ছিল ৫৯ বছর। তিনি ছিলেন এক দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসক। এরশাদ পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে কারাগারে পাঠায় এবং দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার সরকারও একই নীতি অনুসরণ করে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এরশাদের জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের দলে টেনে নেয়, ফলে এরশাদকে কিছু তরুণ ও বিশ্বস্ত নেতাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে সবাই জানত, এরশাদ রাজনীতিতে ফিরবেন। কারণ, তিনি দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বিশাল ভোটব্যাংক ধরে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেন এবং প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির ‘কিংমেকার’ হিসেবে রয়ে যান। তার এই দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক প্রভাবের কারণ ছিল— আন্তর্জাতিক মহলে তার শাসনামল নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তিনি তীব্র নিন্দার মুখে পড়েননি। তার শাসনামলে কয়েকটি উচ্চপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ড ঘটলেও, কোনো তদন্ত প্রমাণ করেনি যে তিনি নিজে এসব হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

    পোস্টে আরও জানানো হয়, কিন্তু শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ এতটা সৌভাগ্যবান নয়! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রায় সব ঘটনাই নথিভুক্ত করেছে। তার ভোট কারচুপির কৌশল ছিল স্পষ্ট ও নির্লজ্জ। গুম, গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার— সবই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে। তারপরও, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কারণে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পেতেন।

    তার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যখনই বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ উঠেছে, পশ্চিমা দেশগুলো তাকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও সমর্থন দিয়েছে, কারণ তিনি ‘ওয়ার অন টেরর’ বা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ‘সঠিক’ পক্ষে ছিলেন। এমনকি তার পতনের পরও, আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র ও ভারতীয় গণমাধ্যম প্রমাণ করতে চেয়েছে যে জুলাইয়ের বিদ্রোহ ছিল মূলত ইসলামপন্থিদের দ্বারা সংগঠিত— যা মূলত ‘ওয়ার অন টেরর’-এর অংশ হিসেবে একটি প্রচার কৌশল।

    কিন্তু জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন তার সকল প্রচেষ্টা ধ্বংস করে দিয়েছে!

    সর্বশেষ তিনি খেখেন, দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!

  • সুন্দরী তরুণী সেজে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ব্ল্যাকমেইল, অপারেশন ডেভিল হান্টে ধরা

    সুন্দরী তরুণী সেজে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ব্ল্যাকমেইল, অপারেশন ডেভিল হান্টে ধরা

    নাম তার জোবাইরুল হক জিয়ান। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধারণ করেন নারীর ছদ্মবেশ। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ করলেও সুন্দরী তরুণী সেজে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এমনকি সাধারণ মানুষকে দেখাতেন মামলার ভয়। করেছেন গ্রেফতার-বাণিজ্যও। এসব অপরাধে জেলও খেটেছেন। তবু ছাড়তে পারেননি প্রতারণার পেশা। অবশেষে অপারেশন ডেভিল হান্টে ধরা খেলেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

    গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২৮ বছর বয়সী জিয়ান উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি স্কুলজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়ান। এ ছাড়াও তিনি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের চিব্বাড়ী হাই স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০-২০২২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

    সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক প্রোফাইলে তরুণী কিংবা নারীদের ছবি লাগিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করতেন জিয়ান। এছাড়া জামিন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানায়, অতীতে একই ধরনের অপরাধে কয়েকবার কারাগারে গেছেন জিয়ান। জামিনে বেরিয়ে তিনি পুনরায় প্রতারণার কাজে লিপ্ত হন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতেন। তার গ্রেফতারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকার লোকজন।

    ২০২০ সালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জিয়ান স্বীকার করেছিলেন, তিনি একাধিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তির কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করেছেন। এছাড়া ভুয়া মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করতেন।

  • আগামী মার্চ থেকে টুরিস্ট ভিসা দেয়ার বিষয়ে যা বলল ভারতীয় দূতাবাস

    আগামী মার্চ থেকে টুরিস্ট ভিসা দেয়ার বিষয়ে যা বলল ভারতীয় দূতাবাস

    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে বড় ধরনের ছন্দপতন ঘটেছে গত বছরের ৫ আগস্টের পর। ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিলে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

    অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আস্তে আস্তে সম্পর্ক উন্নত হতে শুরু করলেও এখনও তা স্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েই গেছে।

    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে সীমিত পরিসরে ভিসা আবেদন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়। এরপর ১৬ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কেবল সীমিত পরিসরে জরুরি ও মেডিকেল ভিসা ইস্যু করবে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন। পরবর্তীতে টুরিস্ট ভিসা ছাড়া সবক্ষেত্রেই সীমিত পরিসরে ভিসা দেয়া হচ্ছে বলে জানায় ভারতীয় দূতাবাস।

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশিদের আগামী মার্চ মাস থেকে ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা দেয়া হবে। তবে এই দাবির পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে চ্যানেল 24 অনলাইন।

    দূতাবাসের ভিসা উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টুরিস্ট ভিসা ছাড়া সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশিদের সীমিত পরিসরে ভিসা দেয়া হচ্ছে, তবে টুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এছাড়া যেসব বাংলাদেশি ভারতের গিয়ে তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং করে তাদের ডাবল এন্টি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে তা যাচাইবাছাই করে স্লট দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

  • আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জাতীয় নাগরিক কমিটি

    আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জাতীয় নাগরিক কমিটি

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।

    তিনি বলেন, আজকে সব দলের অংশগ্রহণে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- এটা আমাদের দ্বিতীয় ইনিংস। আমরা এই দ্বিতীয় ইনিংসে অংশীজন হয়েছি। তিনি সবাইকে ধৈর্যধারণ করতে বলেছেন। আমরা বলেছি- একটি টেস্ট ম্যাচের মধ্যদিয়ে (স্থানীয় সরকার নির্বাচন) আমাদের যেতে হবে।

    নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দেশের ৫৩ বছরের অসমাপ্ত কাজগুলো সংস্কার কমিশনগুলোর ইফেক্টিভিটির মধ্যদিয়ে সমাপ্ত করতে হবে। অনেক দলই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছে। আমরাও মনে করি, লোকাল গভর্নমেন্ট ফাংশনাল করতে হবে।

    সব ইতিবাচক সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে জামায়াত : ডা. তাহের

    জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের যারা দোসর রয়েছে এবং আওয়ামী লীগের যারা এখনো স্থানীয় সরকারের জায়গাগুলোয় রয়েছে, তারা ফাংশনালিটি (ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপ) বজায় রেখেছে। এজন্য লোকাল গভর্নমেন্টে (স্থানীয় সরকার) একটা টেস্টের মধ্যদিয়ে জাতীয় নির্বাচনে যেতে হবে। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য একটি নির্বাচনের প্রয়োজন।

    এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসিত হলে আমরা আবারও প্রতিবাদ করব।

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মীদের হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা দোষী, যারা খুনি, যারা খুনিদের দোসর, তারা যে দল বা মতেরই হোক না কেন, শাস্তি হতে হবে। তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় আমরা কোনো হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করি না।

  • ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল নেতার মারধর

    ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল নেতার মারধর

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের লিফটে সিগারেট পানে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে মারধর ও হুমকি দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা পারভেজ মোশাররফ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে এ ঘটনা ঘটে।

    অভিযুক্ত পারভেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তার শাস্তি এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী নাইমুর রহমান হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নাইমুর ৪৮ ব্যাচের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।

    অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগী থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পারভেজ সিগারেট নিয়ে লিফটে প্রবেশ করেন। এ সময় নাইমুর দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে সিগারেট পান করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে নাইমুরকে মারধর করেন।

    নাইমুর যুগান্তরকে বলেন, আমি তাকে বলি, লিফটে সিগারেট পান নিষেধ, এটা বিপজ্জনক। তখন সে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, সে আমার জুনিয়র এটা জানার পর সে আরও ক্ষিপ্র হয়ে আমাকে তুইতোকারি শুরু করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বারবার ‘শিবির ট্যাগ’ দেয় এবং গায়ে হাত তোলে। আশপাশের লোকজন তখন আমাদের আলাদা করে দেয়। সে চলে যাওয়ার সময় আমাকে হলে ফেলে ইচ্ছামতো মারবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এ ঘটনায় অনিরাপদবোধ করছি। আমি এর বিচার চাই।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে পারভেজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

    হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী যুগান্তরকে জানান, অফিস বন্ধ থাকায় তিনি অভিযোগপত্র হাতে পাননি। তবে তিনি বলেন, আমাকে ফোন দিয়েছিল ওই শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি করব। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা

    ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাদিজা আক্তার (১৭) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।

    খাদিজা আক্তার কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয়ের মনির হোসেনের মেয়ে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া বর্ডার বাজারের বাসিন্দা। খাদিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সহসভাপতি আফরিন ফাতেমা জুঁইয়ের সহযোগী ও ছাত্রলীগের কর্মী।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব ছিল। সেখানে খাদিজা আক্তার গেলে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের নজরে পড়েন। তাকে তারা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খাদিজা আক্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত ছিল। তাকে সংঘাতে জড়িত মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • কেন শেখ হাসিনাকে আর সমর্থন করবে না ভারতীয় মিডিয়া?

    কেন শেখ হাসিনাকে আর সমর্থন করবে না ভারতীয় মিডিয়া?

    দিল্লির আকাশে তখন ঝলসানো দুপুর, জানালার ওপারে গাঢ় রোদ, কিন্তু ঘরের ভেতর শীতল বাতাস বইছে। সোফার কোণে হেলান দিয়ে বসে আছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হাতে ভারতের একটি সংবাদপত্র। বড় করে ছাপানো হেডলাইনটি পড়তে গিয়ে তার চোখে অস্বস্তি ফুটে উঠছে—”বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় বদলের সময় এসেছে হাসিনাকে সমর্থন করা কি ভারতের জন্য ক্ষতিকর?”

    শেখ হাসিনা কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়লেন, তার ঠোঁট কামড়ে ধরে আরো মনোযোগ দিয়ে সংবাদটি পড়তে শুরু করলেন। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে তার অস্বস্তি আরও বেড়ে গেছে। দ্যা প্রিন্ট, হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে—সব জায়গাতেই এখন প্রশ্ন উঠছে হাসিনার সম্পর্কে। একসময় যেসব সংবাদমাধ্যম ছিল তার পক্ষে, তারা এখন প্রশ্ন তুলছে, কেউ সরাসরি বলছে, “বাংলাদেশের জনগণের কাছে হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা নেই,” আর কেউ পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারতকে নতুন কৌশল নিতে হবে।

    এক সময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে শেখ হাসিনার প্রতি ছিল গভীর সমর্থন, এমনকি বলা হতো হাসিনাই ভারতের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মিত্র। তবে বর্তমানে ভারতের কূটনৈতিক মহলে হাসিনাকে নিয়ে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে এবং ভারতীয় নীতি এখন বিপদে পড়তে পারে। দ্যা প্রিন্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে ভারত নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে, বাংলাদেশের জনগণের ক্ষোভ তীব্র হয়ে উঠছে, এবং ভারতের স্বার্থ এখন হুমকির মুখে।”

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এ বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিজেপি বাংলাদেশী জনগণকে পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে চিত্রিত করছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি সতর্কবার্তা উঠে এসেছে, “দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে হারানো ভারতের জন্য কৌশলগত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে।”

    বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ক্ষোভ শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধেও প্রকাশিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত বিরোধী মন্তব্যের সুনামি দেখা যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমনকি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ভারত তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রকে বাঁচাতে গিয়ে পুরো বাংলাদেশকেই হারাতে বসেছে।

    এখন ভারতের কূটনৈতিক মহলে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। এক পক্ষ বলছে, “হাসিনাকে সমর্থন অব্যাহত রাখা উচিত,” অন্য পক্ষ বলছে, “এখনই সরে যাওয়ার সময়।” একজন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “শেখ হাসিনার ভারত নির্ভরতা এখন তার রাজনৈতিক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সমর্থন তাকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না, বরং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ডেকে আনবে।”

    এখন প্রশ্ন উঠছে, “নরেন্দ্র মোদি সরকার কি শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ছেড়ে দেবে, নাকি তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নতুন কোন কৌশল গ্রহণ করবে?” ভারতের সামনে দুটি পথ রয়েছে: এক, হাসিনাকে ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা, এবং দুই, হাসিনাকে বাঁচাতে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়া—যা ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বড় ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।

    এই সংকটপূর্ণ সময়ে ভারতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শেখ হাসিনা জানেন, তার কপালের ভাঁজ আরও গভীর হতে চলেছে। প্রশ্ন একটাই—দিল্লি কি সত্যিই তার বিশ্বস্ত হাসিনাকে ছাড়তে চলেছে?

  • জাতিসংঘকে জামায়াত আমিরের অভিনন্দন

    জাতিসংঘকে জামায়াত আমিরের অভিনন্দন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পরিচালিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের ‘সত্যতা’ উদঘাটিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মুবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এ তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘সত্য’ উদঘাটিত হওয়ায় আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুনঃ দেড়শ ভরি সোনার ক্ষতিপূরণ ২ লাখ টাকা!
    তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই যে গত জুলাই আগস্টে সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে উন্মোচিত হলো। এতে গোটা জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

    ডা. শফিকুর রহমান বলেন, খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎস ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তূপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় কৃষকের জমি চাষে বাধা দিলো বিএসএফ, সীমান্তে পতাকা বৈঠক
    বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মজলুমের পক্ষে নয় বরং মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকার সকল গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

  • ‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন

    ‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন

    ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালানো ও ভারতের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।

    প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন করা হয়েছে, “২০২৪ সালে ভারতের কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন?” এটি ছিল ‘বিশ্বয়ানের পৃথিবীতে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি’ সংক্রান্ত বিষয়ের প্রশ্ন।

    এই প্রশ্নটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বলেছেন, “প্রশ্নটি সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হলো তাদের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা ছিল সরকার প্রধান। এছাড়া এতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা বলা হয়েছে। ভারত হাসিনাকে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি। এমন ভুল প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এটি অগ্রহণযোগ।”

    তবে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল প্রশ্ন করা হয়েছে কি না সেটিও দেখার বিষয় বলে জানিয়েছেন সাবেক এই ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি বলেছেন, “এটি কী সাধারণ একটি ভুল ছিল নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল প্রশ্ন করা হয়েছে, যেন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করা যায়— এটিও জানা গুরুত্বপূর্ণ।”

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সমীর কুমার দাস বলেছেন, এটি একটি সাধারণ জ্ঞানের ‘সাধারণ’ প্রশ্ন। তবে প্রশ্নে রাজনৈতিক আশ্রয় থাকার বিষয়টিতে তিনি খুশি হতে পারেননি। তিনি বলেন, “যদি প্রশ্নে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়ে থাকে, তাহলে দেখতে হবে এটি আমাদের কূটনৈতিক কথাবার্তার সঙ্গে যায় কি না।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজি বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন, শিক্ষকরা প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে লিখিত দেননি। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি ও একটি চূড়ান্ত করা হয়। যদি কেউ এটি আগে বলত তাহলে বৈঠকে এ নিয়ে সূক্ষ্ম আলোচনা করা যেত।

  • চাঁদার অভিযোগে সন্তানসহ বিএনপি নেতা আটক, কর্মীদের সড়ক অবরোধ

    চাঁদার অভিযোগে সন্তানসহ বিএনপি নেতা আটক, কর্মীদের সড়ক অবরোধ

    নাটোরের লালপুর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাসহ তাঁর দুই ছেলেকে আটকের প্রতিবাদে থানার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। আজ শনিবার দুপুরে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ ও মহাসড়কে অবরোধ করা হয়।

    আটক ব্যক্তিরা হলেন লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন খাঁ, তাঁর দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী অনিক খাঁ ও ফিরোজ খাঁ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার লালপুর কলোনিপাড়া থেকে তাঁদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের মুক্তির দাবিতে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে বেঞ্চ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা। কিছুক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুটি সড়কে শত শত যানবাহন আটকে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

    বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন
    বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেনছবি: প্রথম আলো
    বিকেল পাঁচটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও সড়কদুটিতে বিক্ষোভ চলছিল। তবে তখন এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।

    লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান রাজু বলেন, গতকাল রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী তিনজনকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করে। সকালে তাঁদের মুক্তির দাবিতে সমর্থকেরা থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে তাঁরা আবার অবরোধ করেন। আটক ব্যক্তিদের জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।