Category: bangla

  • ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে: রাজনীতিতে তোলপাড়

    ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে: রাজনীতিতে তোলপাড়

    আবদুস সাত্তার, যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং তার প্রতিবেশী, সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সম্পর্ক ছিল কাদের মির্জার হেলমেট বাহিনীসহ বিভিন্ন শক্তিশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে।

    আবদুস সাত্তার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এবং জেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে বিষয়টি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই সম্পর্কের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়, এবং অনেক নেতাকর্মী এই বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ট হন। তারা প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে একজন রাজনৈতিক নেতা, যিনি এতদিন ক্ষমতাসীন দলের অংশ ছিলেন, এখন বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।

    তবে সাত্তার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা দাবি করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগে থাকা বা বিএনপিতে আসার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত ছিল, এবং তিনি ছাত্রদল থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, তার উপর নানা ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠছে যা তার রাজনৈতিক কর্মজীবনকে অকারণে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

    এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার জানান, সাত্তারকে বিএনপিতে নিয়ে আসা নিয়ে কিছু নেতাদের সম্পৃক্ততা ছিল, তবে তার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি জানান, কয়েকটি মিটিং থেকে সাত্তারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এমনকি তাকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার প্রভাব ও উপস্থিতির কারণে কিছু নেতাকর্মী অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

    সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ এবং অন্যান্য নেতাদের মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি, তবে এসব ঘটনাবলীতে বিএনপির ভেতরে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এই বিষয়ে বলেন, সাত্তার যদি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাদের মধ্যে আগে সুরাহা হওয়া উচিত ছিল। তিনি জানান, সাত্তার তার সঙ্গে একটি ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াত দেওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ছবি তুলেছেন, কিন্তু সেই ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের নেতাদের মনোভাব এবং এলাকায় সাত্তারের উপস্থিতি যদি এর আগে স্পষ্টভাবে সমাধান করা হতো, তাহলে এখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।

    এদিকে, কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে, এবং সাত্তারকে নিয়ে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে।

  • নতুন দলের নেতৃত্বে এবার আলোচনায় সারজিস আলমের নাম

    নতুন দলের নেতৃত্বে এবার আলোচনায় সারজিস আলমের নাম

    চলতি মাসেই নতুন দলের ঘোষণা করতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মাসের শেষের দিকে নতুন এই দলের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক ছাত্র নেতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ নেতারাই আসছেন নতুন দলের নেতৃত্বে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন মো. নাহিদ ইসলাম।

    সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেছেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা বা আলোচনা রয়েছে। সে দলে অংশগ্রহণ করতে হলে সরকারে থেকে সেটি সম্ভব নয়। সেই দলে আমি যদি যেতে চাই তাহলে সরকার থেকে আমি পদত্যাগ করব।

    দলের শীর্ষ পদে নাহিদ ইসলাম নেতৃত্ব দিলে দ্বিতীয় শীর্ষ পদে (সদস্যসচিব) কারা আসছেন, সে বিষয়ে চলছে আলোচনা।

    তবে ছাত্রদের পক্ষ থেকে একনও সদস্যসচিবের নাম চূড়ান্ত হয়নি। এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

    নতুন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে কে আসছেন, তা নিয়ে একধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রধান দুটি পদের বাইরে অন্য শীর্ষ পদগুলোতে ‘পছন্দের নেতাদের’ বসাতে তৎপর নাগরিক কমিটির বিভিন্ন অংশ।

    ইতিমধ্যে ঘোষণা এসেছে, আসতে যাওয়া রাজনৈতিক দলটি হবে মধ্যমপন্থী। যেখানে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসনকে ঘিরে যাত্রা শুরু করবে রাজনৈতিক দলটি।

    জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দলটি কোনো বাইনারি প্রসেসের মধ্যে থাকবে না, মতাদর্শ ভিত্তিক বিভাজন থাকবে না। আমাদের সামাজিকভাবে ঐক্যের জায়গাটা গড়তে হবে।

  • প্রধান উপদেষ্টার টুইট, ইলন মাস্কের সাড়া

    প্রধান উপদেষ্টার টুইট, ইলন মাস্কের সাড়া

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনা নিয়ে এক ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে। সে মিটিংয়ের পর প্রধান উপদেষ্টা এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে সুখবরটি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এ টুইটে ইলন মাস্ক নিজেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘মিস্টার ইলন মাস্কের সঙ্গে দারুণ এক বৈঠক হলো। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। তার সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার আশা করছি।’

    এই টুইটের জবাবে স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক মাত্র ৫৮ মিনিটের মাথায় উত্তর দেন, “এটার জন্য মুখিয়ে আছি!” (Looking forward to it!)।

    এদিকে টুইটার এক্সচেঞ্জের পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। প্রযুক্তিপ্রেমীরা মনে করছেন, দেশে উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। বিশেষ করে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ সহজলভ্য করতে স্টারলিংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে স্টারলিংকের আগমনের ফলে দেশের টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা প্রকৃত বাস্তবায়ন কবে নাগাদ হতে পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

    সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও এই টুইট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এরআগে বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের তথ্য জানান।

    ভিডিওতে করা ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার ইস্যু বিষয়ক প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশের পক্ষে এসডিজির প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং স্পেসএক্সের পক্ষে গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার লরেন ড্রেয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড গ্রিফিথস।

    তাদের কথোপকথনের সময় স্টারলিংকের স্যাটেলাইট যোগাযোগের নতুন ধরণ ও এর প্রভাবের ওপর জোর দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্ক।

    বিশেষ করে বাংলাদেশের উদ্যোগী যুবক, নারী ও প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য কীভাবে এই পরিষেবা ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়।
    কীভাবে উচ্চগতির ও কম খরচে ইন্টারনেট সংযোগ বাংলাদেশে ডিজিটাল বিভাজন ঘটাতে পারে, তা নিয়ে দুজনে আলাপ করেন। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক বিবেচনা করে এবং প্রত্যন্ত এলাকায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে।

    এ সময় ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোতে স্টারলিংকের সংযোগ একীভূত করা লক্ষাধিক মানুষের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশকে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করবে।

    ইলন মাস্কের সঙ্গে আরও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।

    এ সময় গ্রামীণ ব্যাংক ও এর ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করেন ইলন মাস্ক। এই কার্যক্রম দরিদ্রতা দূর করতে বেশ প্রভাব ফেলেছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি। মাস্ক বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ ভিলেজ ফোনের ব্যাপারে এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে তিনি অবগত।

    বাংলাদেশে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও আর্থিক প্রগতিতে স্টারলিংক পথ তৈরি করে দেবে বলেও মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক।

  • পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ

    পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ

    অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর আধিপত্যবাদী শক্তির দখলদারিত্ব কায়েমের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশই ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে আমরা জাতির সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি। তাদের হারানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভিতকে আঘাত করা হয়েছে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের কবর রচনা করে নৈরাজ্যবাদের জন্ম দিয়েছিল পতিত আওয়ামী সরকার। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিডিআরের পোশাক পরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

    অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না, ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দেশকে চোরাবালির সন্ধিক্ষণে দাঁড় করানো হয়েছিল। একটি রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে খুন-গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়ে সেই রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।’

    সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দুই মাসের মাথায় ঢাকার পিলখানায় দেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা ইতিহাসের এক কালো দাগ। দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাত হানার লক্ষ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার সুযোগ থাকলেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার লোক দেখানো চেষ্টা করা হয়েছে।

  • হাসিনার জন্য এলিট ফোর্স পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প! ব্যঙ্গ নাকি সত্যি?

    হাসিনার জন্য এলিট ফোর্স পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প! ব্যঙ্গ নাকি সত্যি?

    বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে এক্টিভিস্ট ও লেখক আসিফ সৈকতের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “ব্রেকিং: হাসিনার সহায়তার জন্য এলিট ফোর্স পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের!” তার এই পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

    তবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ধরনের কোনো ঘোষণা দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

    আসিফ সৈকতের স্ট্যাটাসটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এটিকে রাজনৈতিক বিদ্রূপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করছেন।

  • বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অর্থায়ন বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অর্থায়ন বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।

    একই সঙ্গে ভারতের জন্য নির্ধারিত ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এই ঘোষণা দিয়েছে।

    রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন বাজেট কমিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এর আওতায় ভারত-বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

    ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) রোববার বলেছে, ভারতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ২১ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নির্ধারিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

    যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্যে বৃহত্তর কাটছাঁটের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উন্নতির লক্ষ্যে নেওয়া মূল উদ্যোগগুলোকে প্রভাবিত করবে।

    ইলন মাস্ক অবশ্য বারবারই জোর দিয়ে বলেছেন, বাজেট কাটছাঁট ছাড়া চলতে থাকলে “আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে” এবং এই উদ্যোগটি প্রশাসনের পরিকল্পনা করা বাজেট ওভারহলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

    ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ভারতের জন্য বরাদ্দ করা ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলটি বিশেষভাবে দেশটির নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। যাইহোক ভারত এখন আর এই তহবিল পাবে না বলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ঘোষণা করেছে।

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করার কয়েকদিন পরেই ভারতে সহায়তার বিষয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদিও বৈঠকের পর দুই নেতা মার্কিন-ভারত সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে যৌথ বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলনে এর উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

    আর বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রোগ্রামটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে গত বছরের আগস্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ শাসন করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।

    এদিকে ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশও প্রভাবিত হবে।

    এর মধ্যে মোজাম্বিকের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়ার জন্য ২.৩ মিলিয়ন ডলার, সার্বিয়ার জন্য ১৪ মিলিয়ন ডলার, মলদোভায় ২২ মিলিয়ন ডলার, নেপালে দুটি উদ্যোগে ৩৯ মিলিয়ন ডলার এবং মালিতে ১৪ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের ওপর প্রভাব পড়বে।

    এছাড়া বিশ্বের আরও অনেক দেশ ও অঞ্চলও তহবিল বাতিলের এই তালিকায় রয়েছে।

  • বিমানবন্দর থেকে পৌর আ. লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

    বিমানবন্দর থেকে পৌর আ. লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

    চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তার জুয়েল শাহরাস্তি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের মুন্সি বাড়ির বাসিন্দা নজিবুল হক চৌধুরীর ছেলে। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

    শাহরাস্তি মডেল থানা ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক মনজুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে ডাকাতিয়া নদীর বালু উত্তোলন ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে টেন্ডার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

  • মসজিদের ইমামের বুকে যুবলীগ নেতার লাথি, মারধর

    মসজিদের ইমামের বুকে যুবলীগ নেতার লাথি, মারধর

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর নূরানি জামে মসজিদের ইমামের বুকে লাথি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. শামিম নামে এক যুবলীগ নেতা ও তার বোন জামাইয়ের বিরুদ্ধে।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযুক্ত শামিমসহ আরো চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম।

    অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মো. শামিম বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর এলাকার মৃত তোতা মিয়া মাস্টারের ছেলে। তিনি বায়েক ইউনিয়নের যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ও তার বোন জামাই মইন মিয়া একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোল্লাপাথর গ্রামের পাকপাঞ্জাতন দরবার শরিফের জিকিরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শামিমের আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। সেখানে মসজিদের ইমাম মোশাহিদুল একটি কমেন্ট করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একটি দাওয়াতে যাওয়ার সময় শামিম মসজিদের ইমামকে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন ও বুকে লাথি মারেন।

    তবে বুকে লাথি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে শামিম বলেন, হুজুর আমার ফেসবুকে কমেন্ট করায় আমি তার নম্বরে ফোন দিলে আমাকে হুমকি দেন।

    শুক্রবার হুজুরকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে ডাক দিয়ে কমেন্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তর্ক শুরু করলে আমি একপর্যায়ে রাগের বসে তাকে ধাক্কা দেই, তবে তার বুকে আমি লাথি দেইনি। ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শামিম ও তার বোন জামাই মইন খান মিলে আমাকে মারধর ও বুকে লাথি দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    আমাকে এখনো ফোনে হুমকি দিচ্ছে শামিমের লোকজন, তাই আমি প্রাণনাশের ভয়ে আছি।
    কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ইমাম সাহেবকে নির্যাতনের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • খালেদা জিয়ার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

    খালেদা জিয়ার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ড থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

    রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য ৫ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

    এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন।

    রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়াও হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় খালাস পান।

    হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

    হাইকোর্টের রায়ের দিন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল বলেন, এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী না। তিনি অপরাধ করেনননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

    এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করে।

    ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

    দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক হন। পরবর্তীতে তিনি প্রয়াত হন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

    ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।

  • খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে খুনের পর ৫ টুকরো করে খালে ফেলে দেন মা

    খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে খুনের পর ৫ টুকরো করে খালে ফেলে দেন মা

    খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মীয়দের সহযোগিতায় ছেলেকে খুন করে পাঁচ টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে ৫৭ বছর বয়সী এক মায়ের বিরুদ্ধে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পারাকাসাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ এ তথ্য জানায়। খবর এনডিটিভি

    পাকাসামের পুলিশ পরিদর্শক এ আর দামোদর বলেন, ৫৭ বছর বয়সী কে লক্ষ্মী দেবী ১৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে শ্যাম প্রসাদ (৩৫) কে হত্যা করেন। ছেলে পেশায় একজন ক্লিনার ছিলেন। এ কাজে দেবীকে তার আত্মীয়রা সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    দামোদর পিটিআইকে বলেন, ‘ছেলের বিকৃত ও অশালীন আচরণ সহ্য করতে না পেরে লক্ষ্মী দেবী তাকে হত্যা করেন।’ তিনি আরও বলেন, শ্যাম প্রসাদ বেঙ্গালুরু, খাম্মাম এবং হায়দ্রাবাদে তার চাচিদের এবং অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন।

    পুলিশ জানায়, প্রসাদ অবিবাহিত ছিলেন। হায়দ্রাবাদ এবং নারসারাওপেটে তার মামাতো বোনদের ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    পুলিশ আরও জানায়, তাকে একটি ধারালো কুড়াল দিয়ে খুন করা হয়েছে। এর তার দেহ পাঁচ টুকরো করে তিনটি বস্তায় ভরে কুম্বাম গ্রামের নাকালাগান্ডি খালে ফেলে দেয়া হয়।

    এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।