Category: bangla

  • খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে জামায়াতের সমাবেশ মঙ্গলবার

    খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে জামায়াতের সমাবেশ মঙ্গলবার

    খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে জামায়াতের সমাবেশ মঙ্গলবার
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমগুলো সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তার এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

    তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিতে পারেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শহীদ হাদিস পার্কের বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামী এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

    মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৮ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

    সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহীদ পার্কের বিশাল সমাবেশে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে পৃথক পৃথক মিছিল হাদিস পার্কে আসবে। সেখানে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছি। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই সমাবেশে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মহানগরী ও জেলায় মাইকিং করা হয়েছে। লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো, ফেরীঘাট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড় হয়ে মীর মুগ্ধ মোড়ে (শিববাড়ি) গিয়ে শেষ হবে। এ মিছিলে শামিল হবে মহানগরী ও জেলার সর্বস্তরের জনগণ। গোটা নগরী পরিণত হবে মিছিলের নগরীতে ইনশাআল্লাহ।

    খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, ২০১২ সালে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সাজানো মামলা ও পাতানো বিচারের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

    প্রেস বিফ্রিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজি, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ মো আবু ইউসুফ প্রমুখ।

  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে বেরিয়ে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গঠনের ঘোষণা ছাত্রদের

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে বেরিয়ে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গঠনের ঘোষণা ছাত্রদের

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করতে যাচ্ছেন ছাত্ররা। তারা সংগঠন পরিচালনা করবে নিজেদের কর্মসূচি অনুযায়ী ।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তি থেকে নতুন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া’ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এবং আবু বাকের মজুমদার।

    তবে সংবাদ সম্মেলনে নতুন গঠন হতে যাওয়া ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে কারা আসবে এবং কবে নাগাদ সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে তা জানানো হয়নি।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাদার পার্টির কোনো প্রকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করবে না নতুন ছাত্র সংগঠন। দলের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।

    লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, নতুন ছাত্রসংগঠন গঠনের লক্ষ্যে আজ ও আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে জনমত জরিপ ও সদস্য সংগ্রহ করা হবে। অনলাইন ও অফলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, জাবি, জবি, রাবি, চবিসহ দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সম্ভাব্য সব কলেজ, স্কুল ও মাদরাসায় এই প্রচারণা চালানো হবে।

  • এসি ২৫ ডিগ্রি রাখার নির্দেশনা

    এসি ২৫ ডিগ্রি রাখার নির্দেশনা

    বাংলাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরের তাপমাত্রায় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

    আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় এই নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান তিনি।

    চাঁদাবাজি-হত্যা আগের চেয়ে কমেছে: সেনা সদর
    সোমবার ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    ফাওজুল কবির বলেন, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম কাজ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।

  • শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতে জরিপের ফলাফল প্রকাশ

    শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতে জরিপের ফলাফল প্রকাশ

    ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের গেল বছর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স রাজ্য ও সিকিমের ৫৫ শতাংশ উত্তরদাতা।তারা মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নত হবে। সারাদেশের জরিপে ২১ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা একই মত প্রকাশ করেছেন।

    অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর পক্ষে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের ৮ রাজ্যের ১৬ শতাংশ এবং পুরো ভারতের ২৯ দশমিক ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মত দিয়েছেন।

    ভারতের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক্স এ একটি জনমত জরিপ চালায়।

    ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের গেল বছর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স রাজ্য ও সিকিমের ৫৫ শতাংশ উত্তরদাতা।তারা মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নত হবে। সারাদেশের জরিপে ২১ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা একই মত প্রকাশ করেছেন।

    অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর পক্ষে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের ৮ রাজ্যের ১৬ শতাংশ এবং পুরো ভারতের ২৯ দশমিক ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মত দিয়েছেন।

    বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত কি না—এমন এক জনমত জরিপে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

    জরিপে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ভারতের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কি না, এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের ২৩ শতাংশ ও পুরো ভারতের ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তারা মনে করেন, শেখ হাসিনার মতো মিত্রকে আশ্রয় দেওয়া ভারতের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে অনেকেই মনে করেন, এখন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত।

  • ছাত্র আন্দোলনে হামলা, চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন গ্রেপ্তার

    ছাত্র আন্দোলনে হামলা, চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসমিরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।
    গ্রেপ্তার আসিমরা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ নেত্রী ও ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির চট্টগ্রামের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমা লিমা, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ, সদরঘাট হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম, পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আশিক,

    বায়েজিদ বোস্তামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন, ডবলমুরিং থানার সেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মো. গোলাম শরিফ তুষার, খুলশী থানার যুবলীগের সহসভাপতি মোঃ সুমন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ও ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন) সহসম্পাদক মো. রাকিবসহ ৩৯ জন।

  • দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জামায়াত

    দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জামায়াত

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

    বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের সফল করতে দলটির পক্ষ থেকে নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল মহানগরী এবং সকল জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

    আগামীকাল বিকেল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দিবেন আমির জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।

    বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।

    তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

    এ পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সর্বতোভাবে সফল করার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

  • ছেলেরা বেশির ভাগ সময় গাড়িতেই কাজ করতে বাধ্য করে

    ছেলেরা বেশির ভাগ সময় গাড়িতেই কাজ করতে বাধ্য করে

    রাজধা’নীর অন্য,তম ব্যস্ত’তম এলাকার ম,ধ্যে ফা’র্মগেট অন্ন’তম। দিনের বেলায় মানুষের পদ’চারণায় মুখরিত থাকে লাকা তাই দেখে হয়তো অনেক কি,ছুই বো,ঝা যায় না। কি,ন্তু রাতের নিরব,তা যত বাড়ে, ততই এই এলাকায় আনা,গোনা বাড়ে দে’হ ব্যব’সায়ীদের।খ’দ্দেরের

    খোঁ’জে বো’রকা প’ড়ে অ’পেক্ষা ক’রতে দে’খা যায় তাদের রা,স্তার ধারে। গত,শনিবার এ,বং রবিবার মধ্য’রাতে সরে’জমিনে ফা’র্মগেটে গিয়ে দেখা যায়, খ’দ্দেরের খোঁ’জে বোরকা প’ড়ে এখানে-সেখানে অ’পেক্ষা করছেন প’তিতারা।তাদের পাশেই সারি-সারি সিএনজি দাঁ,ড়িয়ে আছে। খ’দ্দের এসে প্রথ,মে দামা’দামি করে।

    এরপর চূ’ড়ান্ত হলে নিয়ে যায় সিএ,নজি করে।তাদের ম,ধ্যে অনে,কেই সাধা,রণ মানু,ষকেও বির’ক্ত করে।নিবি,লাগবে বলে বিভি,ন্ন ইশা’রা দেয় তারা।এতে অনেক পথ,চারীও বিড়ম্ব,নার ম,ধ্যে প’ড়েন।সোহেল হাসান নামের একজন পথ,চারী বলেন, ওরা সু,যোগ বুঝে ই,শারা

    দেয়,নানান রকম অ’’শ্লী’ল কথাও বলে। সাংবা’দিক পরিচয় গো’পন রেখে কথা হয়নিতু নামের একপতি’তার স’’ঙ্গে। স,দ্য এ পথে পা বাড়িয়েছে বলে দা’বিতার। কি’শো’রগঞ্জ জে’লার ভৈরবে,বাড়ি বলে জা’নান নিতু। আরও পড়ুন : লেপ কেন লাল কাপড়েই বানানো হয়। শীতের পরশ লাগতেই লেপ-তোষক বানানোর ধুম পড়ে। লেপ তোষকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ও তোরজোর থাকায় ব্যবসায়ীদেরও পোয়াবারো। তারা মৌসুমী লাভের এই সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না।

    শীতের আসার আগেই লেপ ও তোষকের দোকান ছেয়ে যায় লাল আভায়! কারণ লেপ মানেই যেন তুলায় মোড়ানো লাল কাপড়! প্রশ্ন তো জাগতেই পারে, বেশিরভাগ লেপে কেন লাল কাপড় ব্যবহার করা হয়?

    এক সময় মুর্শিদাবাদের একেবারে নিজস্ব এই শিল্পের নাম ছিল সর্বত্র। লম্বা আঁশের কার্পাস তুলাকে বীজ ছাড়িয়ে লাল রঙ্গে চুবিয়ে শুকিয়ে ভরা হতো মোলায়েম সিল্ক এবং মখমলের মাঝখানে। সেই মখমলের রঙ ছিল লাল। সুগন্ধের জন্যে দেওয়া হতো আতর। এখন অবশ্য উচ্চমূল্যের কারণে মখমলের কাপড় ব্যবহার হয় না।

    বাংলা, বিহার, ওড়িশাসহ অভিবক্ত বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদ কুলি খানের আমল থেকেই রীতি অনুযায়ী লাল মখমলের কাপড় ব্যবহার করে লেপ সেলাই করা হতো। এরপর মুর্শিদ কুলি খানের মেয়ের জামাই নবাব সুজাউদ্দিন মখমলের পরিবর্তে সিল্ক কাপড় ব্যবহার শুরু করেন। তবে রঙের কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে মখমল ও সিল্কের কাপড়ের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে না থাকার কারণে, পরবর্তীতে সাধারণ কাপড় ব্যবহারের চল শুরু হয়। তবে তখনও কাপড়ের রঙ লালই থেকে যায়।

    এদিকে পুরান ঢাকার লেপ ব্যবসায়ীরা জানান, লেপে এই রীতি ও রঙের ব্যবহার নবাবরাও অনুসরণ করতেন। সেই থেকে লাল কাপড়ে লেপ বানানোর রীতি চলে আসছে। এছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে; এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, লেপ কখনো ধোয়া যায় না। আর লাল কাপড় ব্যবহারের ফলে ময়লা কম দেখা যায়।

    তবে এ ক্ষেত্রেও মতান্তর রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ইতিহাস বা ঐতিহ্যের রীতি মেনে নয়, ব্যবসার খাতিরে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই লাল কাপড়ে মুড়ে রাখা হয়। ফলে দূর থেকেই তা ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেব না : ফারুক

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেব না : ফারুক

    বিএনপিকে টপকিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন বাংলার বুকে হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

    সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ফারুক।

    ফারুক বলেন, বিএনপি অতীতে জনগণের সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। তার প্রমাণ ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করার জন্য কোনো মানুষ ছিল না, তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। আর বর্তমানে তারেক রহমানের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা। তিনি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাতেই প্রমাণ করে। আর একটি দল আছে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল।

    তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কিসের তালবাহানা শুরু করেছেন আপনারা? এই সরকারকে দোষারোপ করার জন্য কি তালবাহানা শুরু করেছেন? গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তারা এখনো রাস্তায়। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবে যে পর্যন্ত না জনগণের অধিকার ফিরে আসে।

    প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত আপনার সরকার। ছাত্র-জনতা বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। দয়া করে এই বিশ্বাস অবহেলা করবেন না। যারা আপনার কানে কানে কথা বলে। তারা আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে তাদেরকে রুখে দিতে হবে।

    বিরোধী দলের সাবেক এই চিপ হুইপ বলেন, আপনি এমন একটা নির্বাচন দেন। যে নির্বাচন দেখে মোদির বগলে বসে থাকা হাসিনাও যেন বলে এটাই বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, অনেকেই বলেন দিল্লি-তুরস্কের মতো দল করবেন? যে আদলে এই দল করেন না কেন। আমাদের কোনো বাধা নেই। কারণ এদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন দল করেন আর দলে আসেন। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান সরকারকে সহযোগিতা করে।

    ফারুক আরও বলেন, তালবাহানা শুরু করেছেন। বিএনপিকে টপকিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন বাংলার বুকে এটা হতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। বিএনপির ধৈর্যের বাঁধ এখনো ভাঙ্গেনি।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, সচিবালয়ে গ্যাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর কিছু সচিব, কিছু ডিসি-এসপি। যারা ড. ইউনুস সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদের নাম কেন প্রকাশ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?

    সরকারের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, কোনো তালবাহানা চলবে না। তালবাহানা করে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের মতো দুই বছর ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। এসব তালবাহানা চলবে না, নির্বাচন দিতে হবে, আমাদের সমর্থন আছে। তারপরও কেন শেখ হাসিনার দোসর সচিবালয়ে বসে আছে। সত্য কথা বললেই বলবেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা তাড়াহুড়া করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। ক্ষমতায় আমরা বেশ কয়েকবার গিয়েছি। দেশের জনগণের অধিকারের জন্য আমরা বলছি দ্রুত একটা নির্বাচনের দরকার। তাই বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। নির্বাচন বিলম্বিত করে দিল্লিতে বসে থাকা শেখ হাসিনা আবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে আগুন জ্বালাবে এটা হতে দেওয়া যাবে না।

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সভাপতি ভি পি ই ইব্রাহিম, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন সরদার সহ প্রমুখ।

  • রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

    রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

    আসামি ধরে নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীকে ভয় দেখাতেন ক্রসফায়ার দেওয়া হবে। তবে রেহাই মিলবে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে। এভাবে আসামিকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার রোজাদার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে আলেপ উদ্দিন নামে তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

    এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।

    আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে পোস্টটি লিখেছেন। সেই পোস্টে লেখা, গুম হওয়া স্বামী বলছেন, পবিত্র শবেকদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।

    সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

    সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নীচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

    এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

    এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

  • বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম মুহসিনকে গুলি করে হত্যা

    বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম মুহসিনকে গুলি করে হত্যা

    বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম হিসেবে পরিচিত মুহসিন হেনড্রিকসকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব কেপটাউনের কেবেরহা শহরের বেথেলসডর্প এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তিনি সমকামী ও অন্য প্রান্তিক মুসলিমদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত একটি মসজিদ পরিচালনা করতেন।

    হেনড্রিকস নিজের গাড়িতে কোথাও যাচ্ছিলেন। এ সময় অন্য একটি গাড়ি এসে পথ আটকে দেয়। এরপর মুখ ঢাকা দুজন বন্দুকধারী গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

    পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, গুলির পর হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গাড়িচালক খেয়াল করেন, পেছনের আসনে বসে থাকা মুহসিন হেনড্রিকস নিহত হয়েছেন।

    এই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এটি টার্গেট কিলিং। তবে হত্যার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি তথ্য দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে ইস্টার্ন কেপ পুলিশ।