Category: bangla

  • জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল

    জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ।

    বুধবার বিকাল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে, মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নিয়ে দুপুর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন।

    যার জেরে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    এ ঘটনার জেরে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে কিছুটা দূরে ডাস ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিক্ষোভ করে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় একই ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলছিল।

  • আজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাই গণহত্যা ও কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও প্রদর্শনী

    আজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাই গণহত্যা ও কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও প্রদর্শনী

    জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে তাজা রাখতে আজ সারা দেশে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেইসঙ্গে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার ভিডিওচিত্রও প্রদর্শনী করা হবে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী করা হবে।

    গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

    তিনি বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে তাজা রাখতে চাই। আমরা চাই না আপামর ছাত্র-জনতা এই অভ্যুত্থানকে ভুলে যাক। তারা কোনো নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাক। তাই আমরা আগামীকাল সারাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী করা হবে। একইসঙ্গে কুয়েটে হামলার যত ভিডিও আছে সবগুলো প্রদর্শন করা হবে।

    এর আগে দুপুরে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমানে পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব।

    শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে দুপুরে মিছিল বের হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে নগরীর রেলগেট ও তেলিগাতিসহ আশপাশের এলাকার বিএনপির নেতা-কর্মীরা

  • নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথে ছাত্রদল: আব্দুল হান্নান

    নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথে ছাত্রদল: আব্দুল হান্নান

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রদল নিজেদের কবর রচনার পথে অগ্রসর হলো বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    স্ট্যাটাসে হান্নান মাসুদ লেখেন, কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথেই অগ্রসর হলো।

    এদিকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) এখন উত্তপ্ত। এদিন দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটায়, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের অন্য একটি গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরবর্তীতে কুয়েট ক্যাম্পাসের পাশাপাশি কুয়েট-সংলগ্ন রোডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে।

  • ‘কুয়েট কাণ্ডসহ একের পর এক মব বানাচ্ছে গুপ্ত সংগঠন’

    ‘কুয়েট কাণ্ডসহ একের পর এক মব বানাচ্ছে গুপ্ত সংগঠন’

    কুয়েটে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণকালে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার দাবি করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কুয়েটে হামলার ঘটনায় একটি ‘গুপ্ত’ সংগঠনকে দায়ী করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস এলাকা থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ঘুরে পুনরায় ডাস এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

    সমাবেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, আপনারা জানেন দু-দিন আগে কুয়েটে একটি গুপ্ত সংগঠন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল বের করে। সেখানে আমাদের ছাত্রদলের ভাইয়েরা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আহত করে। তারা ক্যাম্পাসে মব সৃষ্টি করে বুঝাতে চায় ছাত্রলীগের মতোই ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চায়, তারাই ক্যাম্পাসগুলোতে নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের দোকান খুলে বসেছে।

    তিনি বলেন, সারা দেশে বিশেষ করে ক্যাম্পাসগুলোতে একটি গুপ্ত সংগঠন আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তারা বলে আমরা নাকি ডাকসু চাই না, অথচ আমাদের দাবিগুলোতে ডাকসু দেওয়ার প্রস্তাবনা রয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এখনো ক্যাম্পাসে গুপ্ত সংগঠনটি একের পর এক মব ক্রিয়েট করে যাচ্ছে। তারা নিজেকে খুব মেধাবী মনে করে। এই মূর্খের দল জানেই না এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীরা মবের ফাঁদে পা দেবে না৷ শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে, মব ক্রিয়েট করে গুপ্তচর্চার রাজনীতি করা সম্ভব না।

    তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের ছায়াতলে প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নিয়ে কথা বলতে পারছে। ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রণয়ন করে। বিগত দিনগুলোতে ছাত্রদল মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে মুক্তির স্লোগান দিয়েছে। গুপ্ত বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা সামনে আসেন, নিজের পরিচয় প্রকাশ করুন, দেখব আপনাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু। ফেসবুকে মব ক্রিয়েট করে অপপ্রচার করা হলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

    ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৭১, ৯০ ও ২৪-এর পরাজিত শক্তিরা এখনও ওঁত পেতে আছে। তাই আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হবে। আপনাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হবে। তাই আপনারা সতর্ক থাকবেন। কোনো গুপ্ত বাহিনীর ফাঁদে পা দেবেন না। আপনাদের নেতৃত্বের ওপর দেশের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা নির্ভর করছে।

    শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে আনা হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ যদি জোর করে মিছিল মিটিংয়ে নিয়ে আসে তার প্রমাণ আমাদের দেবেন। আমি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস-দায়িত্ব নিয়ে বলছি তাকে আইনের হাতে আমি নিজ হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

    ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, গুপ্তের আড়ালে যারা ছাত্রদলকে নিয়ে অব্যাহত ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে মেধা দিয়ে সহনশীলতার সঙ্গে তাদের ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব। আত্মপরিচয়হীন সংকটে ভোগা ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করেছিল, আজ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঠিক একইভাবে তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ষড়যন্ত্র জারি রেখেছে।

  • শপথ নিলাম তোদের টুঙ্গিপাড়া গুঁড়িয়ে দিবোঃ পিনাকী ভট্টাচার্য

    শপথ নিলাম তোদের টুঙ্গিপাড়া গুঁড়িয়ে দিবোঃ পিনাকী ভট্টাচার্য

    জনপ্রিয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য এবার আওয়ামী লীগকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ড. ইউনূসের আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সেখানকার প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে হাহা রিএ্যাক্ট দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তিনি মনুষ্যত্বহীন বলেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকজনদের রাজনীতি করার নূন্যতম নৈতিক অধিকার নেই বলে তিনি দাবি করেন।

    পিনাকী আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে যাদের ন্যূনতম অনুশোচনা নেই তাদের সাথে তাদের ভাষাতেই জবাব দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট শুধু ফ্যাসিজমের ভাষাই বুঝবে।

    তিনি আওয়ামী নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি করে বলেন: “আমি শপথ নিলাম, তোদের টুঙ্গিপাড়া গুঁড়িয়ে দিবো, ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্নও মুছে দিবো।

  • নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধীদের, সব ক্যাম্পাসে দেখানো হবে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও

    নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধীদের, সব ক্যাম্পাসে দেখানো হবে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের হামলার ভিডিও দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করবে তারা। এছাড়া একইদিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই গণহত্যার ভিডিও প্রদর্শন করা হবে।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষোভ শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বিক্ষোভ মিছিলটি রাত ৮টায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যের কাছে ফিরে আসে।

    সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই-আগস্টের মতো আর কোনো নিপীড়ন আমরা মেনে নেব না। ছাত্রলীগের মতো হামলার প্রবণতাকে সমর্থন করা যাবে না। আমাদের ভাই-বোনেরা যেভাবে শহিদ হয়েছেন, তাদের রক্তের দায় আমাদের ওপর রয়েছে।

    আরিফ সোহেল আরও বলেন, আমরা কারও জান-মালের ক্ষতি করার অধিকার কোনো অবস্থাতেই মেনে নেব না। ছাত্রলীগের মতো হামলা করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোরভাবে দাঁড়াব।

    এর আগে, কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৩০ কয়েকজন আহত হন। এই পরিস্থিতির পর পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ এবং র‍্যাব।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুয়েটের মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে দুপুরে এক মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে, বিএনপির নেতাকর্মীরা নগরীর রেলগেট এবং তেলিগাতি এলাকায় উপস্থিত হয়।

    এ পরিস্থিতির মধ্যেই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুয়েটের হামলার ভিডিও দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রদর্শন করার কর্মসূচি ঘোষণা করলো।

  • কুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

    কুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হলে কুয়েটের সব ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুয়েটে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েটে ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে নৃশংস হামলা চালিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটের ভেতরে ও বাইরে, কোনও প্রকার রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না, এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন এবং হামলায় আহত সবার চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ভার কুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

    কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। সোমবার তারা ক্যাম্পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। এ সময় তারা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ছাত্র হলগুলোর সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিতে দেখা যায়।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুয়েটের সদস্যসচিব জাহিদুর রহমান বলেছেন, আমাদের ৫০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। কমবেশি আহত ধরলে আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০-এর বেশি হবে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির মুখপাত্র মিরাজুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের কর্মীরা ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়েছে। তারা কুয়েটের সদস্যসচিব জাহিদ ভাইকে রামদা দিয়ে ১০টা কোপ দিয়েছে, জেলার আহ্বায়ক তাসনিম ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব রাতুলের পা ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে। অসংখ্য ছাত্র আহত হয়েছেন।’

    তবে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি দাবি করেন, ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে তাদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে।

    মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন বলেন, ‘কুয়েটের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছেন বলে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা জানাই। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।’

    খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

    উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

  • ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ২৬ রাবার শ্রমিক

    ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ২৬ রাবার শ্রমিক

    বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫টি রাবার বাগান থেকে ২৬ রাবার শ্রমিককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। রোববার ভোরে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি মুরুংঝিরি এলাকা থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে পেরিয়ে গেলেও এখনও তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন।

    তিনি বলেন, শ্রমিক অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। ঘটনাস্থল দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় অপহরণের সুযোগ পাচ্ছেন সন্ত্রাসীরা। এখনও অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    এ দিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, পাহাড়ি একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গত দুই থেকে আড়াই মাস ধরে লামা উপজেলার সরই, গজালিয়া, লামা সদর ইউনিয়ন ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি অপহরণসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ভোরে পৃথক ৫টি রাবার বাগান থেকে ২৬ ট্রেপারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। ২৬ রাবার ট্রেপার অপহরণের ঘটনায় রাবার, তামাক, গাছ, পাথর, বাঁশ শ্রমিকসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    উল্লেখ্য, গেল ১ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সরই ইউনিয়নের লিংপুং এলাকা থেকে ৭ শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে তাদের ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।

  • ছেলেটা ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়েছে, আজ ছাত্রদলের হাতেও খেলো

    ছেলেটা ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়েছে, আজ ছাত্রদলের হাতেও খেলো

    কুয়েটের (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব আহমেদ তুহিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েটের আজকের ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি ছাত্রদলের হামলায় আহত হওয়া শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেন।

    তুহিন তার পোস্টে লেখেন, “জাহিদুর রহমানের কথা মনে আছে? আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ছাত্রলীগের হাতে যে ছেলেটা মার খেয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলো এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিলো।”

    তিনি আরও জানান, আজকের সংঘর্ষে জাহিদুর আবারও হামলার শিকার হন। তুহিনের ভাষায়, “ছাত্রদলের ছেলেরা তাকে আলাদাভাবে টার্গেট করেছে। বারবার বলছিলো, ‘ওরে ধর, ওরে ধর।’ ছাত্রলীগের আমলে সে আধমরা হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলো। আর আজ ছাত্রদলের আমলে আতঙ্কিত হয়ে বলল, ‘ভাই, ক্যাম্পাস থেকে জীবিত বের হতে পারব কিনা জানি না।’”

    উল্লেখ্য, কুয়েট ক্যাম্পাসে মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

  • ছাত্রদলের হামলায় কুয়েট শিক্ষার্থীর ‘হাড় তিন টুকরা’

    ছাত্রদলের হামলায় কুয়েট শিক্ষার্থীর ‘হাড় তিন টুকরা’

    ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

    এ ঘটনায় কুয়েটের বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম সৌরভ গুরুতর আহত হন। তার হাতের হাড় তিন টুকরো হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

    আহত শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম রাতে গণমাধ্যমকে জানান, “শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের অতর্কিত হামলার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। তারা লাঠিসোঁটা, রড এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি গুরুতর আহত হই। আমার ডান হাতের হিউমেরাস হাড় তিন টুকরা হয়ে গেছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আহতের পর স্থানীয় গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, হাড় তিন টুকরা হয়েছে। আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে এবং আগামীকাল (বুধবার) সেখানে আমার অপারেশন হওয়ার কথা।”

    সংঘর্ষের সময় বহিরাগতদের হাতে লাঠিসোঁটা, রড এবং ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “দুপুরের দিকে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহিরাগত অনেকের হাতে বাঁশের লাঠি, রামদা এবং লোহার রড দেখা গেছে।”

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।

    এ সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।