Category: bangla

  • কর্মবিরতির ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

    কর্মবিরতির ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

    জাতীয়করণের দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে নতুন দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক সমাবেশ এবং বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির কথা বলা হয়েছে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক সমাবেশ করা হবে।

    এ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
    এছাড়া সমাবেশ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

    দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, শিক্ষক সমাবেশের পাশাপাশি আগামীকাল সারাদেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।

    শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না তারা।

    এর আগে, বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশের বাধা পেয়ে পল্টন মোড়ের দিকে চলে যান তারা।

    বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে টানা আটদিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। গত রোববার অবস্থানের পাশাপাশি অর্ধদিবস কর্মবিরতিও পালন করেন তারা।

  • আদালতে বেশি বলবা না, বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয় : আইনজীবীকে পলক

    আদালতে বেশি বলবা না, বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয় : আইনজীবীকে পলক

    রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন এলাকায় মো. রিয়াজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আদালতের কাঠগড়ায় উঠানো হলে শুনানির আগে পলক আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। পলক তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিকে বলেন, ‘শুনানিতে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। বেশি কিছু বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয়। যত কম বলবা তত ভালো।’

    এ সময় পলক আইনজীবীদের বলেন, ‘আমি এত পরিমাণে আদালতে আসি যে, সকালে কারাগারে হাঁটতে বের হলে তখন বন্দিরা আমাকে বলে ‘আজকে আপনার অফিস নেই?’। আদালতকে তারা আমার অফিস ভাবে।

    এরপর পলককে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো আবেদন করে শুনানি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম আজহারুল ইসলাম তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আদালত থেকে পলককে গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

  • ‘আমার সঙ্গে তর্ক নয়’, ভারতকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

    ‘আমার সঙ্গে তর্ক নয়’, ভারতকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

    ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ভারত যে হারে শুল্ক বসায়, পাল্টা সেই হারে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে এ বিষয়ে আলোচনাও হয় দু’জনের মধ্যে। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি একেবারেই পিছু হটেননি (শুল্ক ইস্যুতে)।

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। আমি তাকে জানিয়ে দিই, আমরাও পাল্টা শুল্ক বসাব। আপনারা যে হারে শুল্ক নেবেন, আমরাও একই হারে নেব। উনি (মোদি) না, না বলতে শুরু করেন। জানান, বিষয়টা ভালো লাগছে না। কিন্তু আমি জানিয়ে দিয়েছি, আপনারা যা করছেন আমিও তা-ই করছি। সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম।’

    ট্রাম্প জানান, পৃথিবীর মধ্যে ভারতই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শুল্ক আদায় করে। বিশেষ করে গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নেয়া হয়।

    এদিকে ট্রাম্প যখন এই মন্তব্য করেন, তার পাশে ছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্কও। ভারতের বাজারে টেসলার গাড়ি চালু করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চলছে তার। চড়া শুল্ক নিয়ে তিনিও একমত পোষণ করেন। মাস্ক বলেন, ‘হ্যাঁ ১০০ শতাংশ, গাড়ি আমদানিতে ১০০ শতাংশ।’

    এভাবে চললে ভারতের বাজারে ব্যবসা করা সম্ভব নয়, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যায় করছে বলেও জানান ট্রাম্প।

    চড়া শুল্ক নিয়ে মোদির সঙ্গে কী কথা হয়, তা-ও তুলে ধরেন ট্রাম্প। বলেন,
    আমার সঙ্গে তর্ক নয়। আমি যদি ২৫ শতাংশ বলি, তাদের খারাপ লাগে। তাই কোনো সংখ্যা বলি না আর। ওদিক থেকে যা নেয়া হবে, আমরাও সমান হারে শুল্ক নেব বলেছি। এর ফলে ওদেরই থামতে হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রথমবার যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন, সেই সময়ও ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্পের। চড়া শুল্কের পাল্টা শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সেই নিয়ে সম্প্রতি মোদির সঙ্গে বৈঠকও হয় তার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। উল্টো ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে।

    সূত্র: এনডিটিভি, এবিপি

  • ‘শিবির কোপানো জায়েজ’ লেখা সেই ছাত্রদল নেতার নামে থানায় অভিযোগ

    ‘শিবির কোপানো জায়েজ’ লেখা সেই ছাত্রদল নেতার নামে থানায় অভিযোগ

    ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাল্লাহ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদল নেতার দেওয়া এমন পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রশিবির।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় দুইজন আইনজীবীসহ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর শাখার আইন সম্পাদক আবদুল কাউয়ুম বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের মো. জালাল আহমেদের ছেলে সোহাগ গাজী ও চর কাউনিয়ার ইউসুফ মাঝির ছেলে আরিয়ান হোসেন বাবলু। অভিযুক্ত দুজনেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মো. সোহাগ গাজী আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী ন্যাশনাল মডেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে এই নেতা সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্রদল।

    জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সোহাগ গাজী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘শিবির কোবানো (কোপানো) জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে।’ স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পরপরই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে কিছু সময় পর তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। সোহাগ গাজীর এই বিতর্কিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।

    বিজ্ঞাপন

    এদিকে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ প্রদান শেষে শিবিরের নেতারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে আইন সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে ছাত্রদল নেতা মো. সোহাগ গাজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাল্লাহ’ স্ট্যাটাস দিয়ে রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। উস্কানি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়িয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মতে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

    এসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমরা ছাত্রদলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে এক সঙ্গে থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ছাত্রদলের তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীর মনে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নিচ্ছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আহ্বান থাকবে, যে সকল অতি উৎসাহী নেতাকর্মী এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    সুধরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সাইবার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মো. সোহাগ গাজী আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে সে সৌদি আরবে অবস্থান করছে। সে আমাকে বলছে যে তার আইডি হ্যাক হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ আমার মনে হচ্ছে তার আইডি হ্যাক হয়নি।

  • এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ

    এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ

    ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত নতুন সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করা হয়েছে। রুটিন অর্থাৎ কবে কখন কোন পরীক্ষা হবে, তার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে।

    আজ বুধবার প্রকাশিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। আগের রুটিন অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    এবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের মধ্য দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ থেকে ১৮ মে।

  • আ. লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ

    আ. লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আগে তাদের (আওয়ামী লীগ) বিচার করতে হবে। আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে।’

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির বাংলাদেশে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। ট্রুথ কমিশন করে পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি পরিচালিত হবে।’ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

    এসময় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচন করুন

    রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচন করুন

    সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর বলেছেন, ‘কারও ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে বা রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে দেন, দল করে নির্বাচন করুন, আমরা মেনে নেব। তবে ক্ষমতায় থেকে তা করা যাবে না।’

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তোরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত প্রতিরোধের দাবিতে যশোর টাউন হল ময়দানে এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

    ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।’

    ‘আমরা সংস্কারের বিপক্ষে নই। তবে সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। এ দেশের মানুষ সংস্কার কী বোঝে না। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়। তাই যেখানে যতটুকু ন্যূনতম সংস্কার দরকার করুন। এরপরে দ্রুত নির্বাচন দিন,’ যোগ করেন তিনি।

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এটা করতে গেলে এলাকায় এলাকায় আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, গণ্ডগোলের সৃষ্টি হবে। এ কারণেই জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা কখনোই স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেনে নেব না।’

    ‘তাই সরকারকে বলবো, নির্বাচন নিয়ে কোনো কলাকৌশল করবেন না। এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা মাফিক আগে জাতীয় নির্বাচন হবে, তারপর স্থানীয় সরকারের নির্বাচন।’

    প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি দেশের গৌরব, সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে সম্মান করে, আমরাও তাকে সম্মান করি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, তিনি দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা এখনো আশাবাদী। দ্রুত নির্বাচন হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

    ফখরুল বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। বিনিয়োগ নেই। যশোরের শিল্পাঞ্চল নওয়াপাড়ায় বেশিরভাগ কলকারখানা বন্ধ।

    তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে। সে কারণে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও জিনিসপত্রের দাম কমছে না, মানুষ নিরাপত্তা পাচ্ছে না, পুলিশ কাজ করতে পারছে না। দ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরাতে সরকারের তৎপর হতে হবে।’

    ‘যশোরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব কলকারখানা চালু করা হবে। যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

  • ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

    ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

    অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসতে ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। পাশাপাশি ছাত্রদলকে শত্রু মনে করে না বলেও জানিয়েছে এই ছাত্র সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্র শিবিরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের প্রতি এই আহ্বান জানান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ আহ্বান জানান তিনি।

    স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদের সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি— ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন। যার প্রতিফলন আজ কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

    তিনি আরও বলেন, আবারও বলছি, আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।

    ছাত্রদলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক— এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।

    ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রশিবির কোনো ব্যক্তি বা দলের পূজা করে না। এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে শুধুমাত্র রবের কাছেই মাথা নত করে।

  • ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতাহতের আশঙ্কা সামনে!

    ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতাহতের আশঙ্কা সামনে!

    দেশের ছাত্র রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং হুমকি-ধামকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল।

    একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত ভয়াবহ” বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, অতীতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে কোনো সংঘর্ষে পুলিশ-প্রশাসন একপেশে আচরণ করত এবং সহজেই প্রতিপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিত। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের মধ্যে বিভক্তি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমান শক্তির উপস্থিতি নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।

    ড. আসিফ নজরুল লিখেছেন, “বর্তমানে পুলিশ-প্রশাসন বিভক্ত, কোনো রাজনৈতিক দলের একক দৌরাত্ম নেই আপাতত, ডেডিকেটেড মারমুখী কর্মীসংখ্যা কাছাকাছি পরিমানের, সব মিলিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যদি এই মুহূর্তে মুখোমুখি হয়, নিশ্চিতভাবে বলা যায় কোনো পক্ষই সহজে পেছাবে না। উভয়ই নিজের অস্তিত্বের লড়াই জ্ঞান করে মারামারি করবে। হয়তো, ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ হতাহত ও লাশ দেখতে হবে এবার।”

    তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি শুধু ভয় বা আতঙ্ক নয়, চরম হতাশাও তৈরি করছে। কারণ যারা এখন একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, তারা কিছুদিন আগেও একসঙ্গে আন্দোলনে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেটের মুখোমুখি হয়েছিল।

    সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির একে অপরের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল প্যাডে দায়ারোপ ও হুমকি দিয়ে যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য “খুব খারাপ ইঙ্গিত” বহন করছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

    এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানে প্যারেন্ট সংগঠনগুলোর সিনিয়র নেতাদের জরুরি হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. আসিফ নজরুল।

  • মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত

    মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত

    ২০২৫ সালের রমজানে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হারামাইন শরিফাইন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুই পবিত্র মসজিদ বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির সভাপতি শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ইনসাইড দ্যা হারামাইন।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার রমজানে ৫ সালামে ১০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে করোনার কারণে তারাবির রাকাত সংখ্যা কমানো হয়েছিল। তবে ২০২৫ সালে এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকলেও এর নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ১০ রাকাত তারাবির পর তিন রাকাত বিতির নামাজও পড়া হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।

    জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ১০ রাকাত তারাবির নামাজ চালু রাখার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

    কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালে মহামারির সময় নামাজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তারাবির রাকাত সংখ্যা কমিয়ে ২০ থেকে ১০ করা হয়। এই নিয়ম পরে স্থায়ী করা হয়। কম সময়ের নামাজের ফলে মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

    এছাড়াও মুসল্লিদের ক্লান্তি কমানো ও বেশি সংখ্যক মানুষকে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার জন্যও ১০ রাকাত পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে প্রতিদিন প্রচুর উমরাহ পালনকারী আসেন। ১০ রাকাত তারাবির ফলে উমরাহ ও নামাজ দুইটিই সহজভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। যদিও করোনা মহামারির অবস্থা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তারপরও মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে এই নিয়ম বজায় রাখা হয়েছে।