Category: bangla

  • খালেদা জিয়াকে কি প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়, জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি

    খালেদা জিয়াকে কি প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়, জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি

    খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার হয়েছে এমন প্রশ্ন ওঠায় বিচার বিভাগের দায় নির্ধারণে কোন প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াসহ বাকীদের ক্ষতিপূরণ দেয়া যায় আইনজীবীদের কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, বুধবার একটি মামলায় প্রথমবার আপিল বিভাগের সামনে প্রশ্ন উঠানো হয় খালেদা জিয়াকে যে প্রক্রিয়ায় সাজা দেয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে দেয়া হয়েছে। কাজেই এখন কোন প্রক্রিয়ায় তাকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে তা নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা বলুক।

    পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী আপিল বিভাগকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালত চাইলে এই ক্ষতিপূরণ নির্ধারন করতে পারেন। সেভাবেই নির্ধারিত হোক খালেদা জিয়াসহ অন্যদের ক্ষতিপূরণের মাত্রা। পরে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ বঞ্চিত ৮৫ জনের রায়ের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারন করেন আপিল বিভাগ।

    এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবিচার করায় প্রথমবার আপিল বিভাগে প্রতীকী ক্ষতিপূরণ দাবি করেন সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিসিএস ও নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তিনি এ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

    সে সময় সময় বিচার বিভাগ কিভাবে শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমের অংশ হয়েছিলো তা তুলে ধরে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী নয় একজন নারী মূল্যায়ন করলেও তার সঙ্গে যা করা হয়েছে তা প্রকারান্তরে অবিচার। এর জন্য প্রতীকী একটা সাজা হলেও দেন। ইতিহাসে তা তোলা থাকুক।

  • গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ এসেছে ট্রাইব্যুনালে

    গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ এসেছে ট্রাইব্যুনালে

    সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ‍্য প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

    আলেপ উদ্দিন অসংখ্য গুম, খুন, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটার।

    তাজুল ইসলাম বলেন, এক আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার (আসামির) স্ত্রীকে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেন আলেপ উদ্দিন, এর তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।

    গুম বা বন্দিদের ওপর আলেপের নির্যাতনের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটার বলেন, আলেপ উদ্দিন অনেক ব্যক্তিকে অপহরণ করে বছরের পর আটকে রেখেছিল। নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছিল। চোখ বেধে রেখে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে এবং উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে অনেককে নির্যাতন করেছিল।

  • আ’মীলীগ কে নিয়ে উপদেষ্টা আসিফের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: মির্জা ফখরুল

    আ’মীলীগ কে নিয়ে উপদেষ্টা আসিফের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: মির্জা ফখরুল

    ফ্যাসিবাদের কেউ কেউ ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি করতে পারবে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এমন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে ছাত্রদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা ক্রান্তিকালে আছি আমরা। গোটা দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পথে ফিরতে চায়। সন্দেহ তৈরি হয়েছে, সরকার আদৌ নির্বাচন দিতে আন্তরিক কিনা।

    গণহত্যকারীরা রাজনীতিতে ফিরে আসলে জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

    এই বিএনপি নেতা বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গোছানোর এটা একটা কৌশল কিনা, এখন সেই প্রশ্ন উঠেছে। নতুন দল গঠনের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জনগণ মেনে নেবে না।

    নিজেদের স্বার্থেই অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায় বলেও এ সময় মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

    তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারালে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে, আমার এমন মন্তব্যের পর অনেকে বলেছিল, আমরা আরেকটি এক-এগারো চাচ্ছি। কিন্তু খেয়াল করলে সবাই বুঝবে, এক-এগারোতে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী আমরা (বিএনপি)। তাই হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আবারো এক-এগারোর চেষ্টা কিংবা চিন্তা করলে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।

  • শিক্ষার্থীদের পায়ের রগের নিরাপত্তা চেয়ে জামায়াত আমিরকে যা বললেন রনি

    শিক্ষার্থীদের পায়ের রগের নিরাপত্তা চেয়ে জামায়াত আমিরকে যা বললেন রনি

    আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন রনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে লিখেন, সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াদের র*গ* কা*টা*র প্রচেষ্টার ঘটনাকে Dr. Shafiqur Rahman কোন আদর্শ দ্বারা জাস্টিফাই করবেন? শিক্ষার্থীদের পায়ের রগের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন? বিচার চাই।

    কুয়েটের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকাশিত একটি নিউজে কমেন্ট করেছিলেন সিলেট এমসি কলেজ ইংরেজী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদ। সেই ঘটনায় তার উপর হামলা করেছে শিবির। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে। শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত রিয়াদ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের সক্রিয় কর্মী। এছাড়া আনজুমানে তালামীযে ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল তিনি। আহত রিয়াদকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে। মাথা, পিঠ ও ডান পায়ে কয়েক স্থানে জখম করা হয়েছে তার। এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ের রগ কাটারও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান আহত রিয়াদ।

  • ফ্যাসিস্টবিরোধী শিবিরে ভাঙনের পদধ্বনি, যা বললেন ছাত্রনেতারা

    ফ্যাসিস্টবিরোধী শিবিরে ভাঙনের পদধ্বনি, যা বললেন ছাত্রনেতারা

    ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তির অন্যতম নিয়ামক হিসাবে খ্যাতি পাওয়া ছাত্র সংগঠনের শক্তিগুলো এখন ভবিষ্যৎ ছাত্র রাজনীতির কর্তৃত্ব ধরে রাখাসহ বহুমুখী স্বার্থ ও রাজনীতির নানা হিসাবনিকাশের মধ্যে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে।

    সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে বিরোধ চরমে। বাড়ছে উত্তেজনা। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিচ্ছে। হামলার জন্য ছাত্রদলকে দোষারোপ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    অপরদিকে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদের একাংশ বাধা দিলে এমন ঘটনার সূত্রপাত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসগুলোয় প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হন। দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টা চলা সাধারণ ছাত্রদের ওপর ওই হামলার ঘটনায় জড়িত যুবদলের একজনকে এরই মধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও কারা জড়িত, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ফ্যাসিস্টবিরোধী এসব ছাত্রশক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছে। অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন কমবেশি ৩০ হাজার। ফ্যাসিস্টবিরোধী শিবিরে ভাঙনের পদধ্বনিতে আশাহত সাধারণ ছাত্ররা।

    তারা মনে করেন, এটি পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক শুধু নয়, এর মধ্য দিয়ে সর্বনাশের পদধ্বনিও শোনা যাচ্ছে। এটি একধরনের অশনিসংকেতও বটে। এর পেছনে তৃতীয় পক্ষের দূরবর্তী ইন্ধন থাকতে পারে। তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ফ্যাসিস্টবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

    সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পালটাপালটি কর্মসূচি দিচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। আর এতে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে পরিস্থিতির দায় নিতে কোনো পক্ষই রাজি নয়। বরং দোষ চাপাচ্ছে একে অন্যের ঘাড়ে। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় সংঘাত বাড়ছে।

    আরও পড়ুনঃ মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়কে ঝড়ল একই পরিবারের ৪ জনের প্রাণ
    কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা ছাত্র সংগঠনগুলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালটাপালটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস-এর পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচি থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা যায় ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে নতুন করে সংঘর্ষে জড়ানোর শঙ্কাও দেখা দেয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের মধ্যেও চলছে তুমুল বাগ্যুদ্ধ।

    এর আগে ৭ নভেম্বর ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ বিভিন্ন দেওয়ালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টার সাঁটায় ছাত্রদল। বিষয়টি নিয়ে তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এসব ঘটনায় দায় কোনো ছাত্র সংগঠন না নিয়ে একে অপরের ঘাড়ে চাপায়। আর এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যারেন্ট সংগঠনের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা অতিজরুরি বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

    আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ফেসবুক পেজে মন্তব্য করেছেন, ‘ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিকারের ভয় লাগে। আতঙ্ক লাগে। সবচেয়ে বেশি হতাশ লাগে। এখানে যে পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সে তো আমার ভাই-ই। ৬ মাস আগেও একসঙ্গে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট খেয়েছি। এখন এসে তাদের মধ্যে হওয়া গ্যাঞ্জাম কোনোভাবেই বিন্দুমাত্র সুখকর কিছু হতেই পারে না।’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ যুগান্তরকে বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলো মুখোমুখি হচ্ছে না। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে এবং এসব অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে, ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা তাদের মুখোমুখি হচ্ছে। একটি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের স্টাইলে ফের শিক্ষার্থী নির্যাতন শুরু করেছে; যা আমাদের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। ফলে এ সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। এটা থামানোর উপায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ স্টাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

    ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির যুগান্তরকে বলেন, জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানের আগে আমাদের কয়েকটি সমস্যা ছিল। যেমন: জোর করে মিছিলে নেওয়া, অন্য রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে বাধা দেওয়া এবং গেস্টরুম করানো। অভ্যুত্থানের পর এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। ছাত্রদল কাউকে জোর করেনি এবং বাধাও দেয়নি। এমনকি শিবিরের কার্যক্রমেও বাধা দেয়নি। কুয়েটে যখন ছাত্রদল ক্যাম্পাসের বাইরে ফর্ম বিতরণ শুরু করে, তখন ঝামেলা করা হলো। ছাত্রদল রাজনীতি করলেই কি সমস্যা, প্রশ্ন করেন তিনি।

    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, কুয়েটে একটি ছোট ঘটনায় বহিরাগত যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগ স্টাইলে হামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এগুলোর স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও তারাই (ছাত্রদল) ভিকটিম সেজে কর্মসূচি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে জুলাই স্পিরিট ধারণ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

    এদিকে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন যুগান্তরকে বলেন, আমরা যখন জুলাই-আগস্টের আন্দোলন করেছি, তখন লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বিরোধিতা করেছিলাম। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছি। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর একটি ছাত্র সংগঠনের বিরোধিতার কারণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখনো দেওয়া হয়নি। তারা ছাত্রলীগ স্টাইলে সন্ত্রাসী রাজনীতি ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে, যার প্রমাণ কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা।

    আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে এর কুফল কী হতে পারে, তা তুলে ধরেছেন তার এ সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্টে।

    তিনি বলেন, ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যদি এ মুহূর্তে মুখোমুখি হয়, নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কোনো পক্ষই সহজে পেছাবে না। উভয়ই নিজের অস্তিত্বের লড়াই জ্ঞান করে মারামারি করবে। হয়তো, ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ হতাহত ও লাশ দেখতে হবে এবার। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির যেভাবে নিজ নিজ অফিশিয়াল প্যাডে একে অন্যের নাম উল্লেখ করে দায় আরোপ ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, এটা খুব খারাপ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত। তিনি মনে করেন, এদের প্যারেন্ট সংগঠনের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা অতিজরুরি এবং একান্ত অপরিহার্য।

  • ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, পুলিশের ধাওয়া

    ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, পুলিশের ধাওয়া

    রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

    তবে একপক্ষকে পুলিশ ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে যায়নি।

    আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৪টার পর এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

    তবে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    বিস্তারিত আসছে….

  • এই সংগঠন কারো চোখ রাঙ্গানি পরোয়া করে না: জামায়াতের আমির

    এই সংগঠন কারো চোখ রাঙ্গানি পরোয়া করে না: জামায়াতের আমির

    রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি বার্তা দেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সমাবেশ-বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো, কিন্তু ফ্যাসিবাদের কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন- অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান।

    জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল। ফ্যাসিবাদের বিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে হিংস্র প্রথম থাবাটি এসেছিল জামায়াতে ইসলামীর উপরে। সব শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে এক এক করে বন্দি করা হয়। সে সময় দলের গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের কাঁধে। তিনি তখন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    তিনি বলেন, এক এক করে ১৩টি বছর অতিবাহিত হয়েছে। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তিনি এখনও আছেন। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো, আমাদের প্রশ্ন ফ্যাসিবাদের কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন? কোন জিনিসটা তাকে এখনো আটকে রাখতে বাধ্য করেছে? কেন এই বৈষম্য?

    ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা তো নিজ থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলাম। এই উদারতা আমরা দেখিয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও এই উদারতা আমরা দেখিয়ে যাব। কিন্তু এটিএম আজহারুল ইসলাম কবে মুক্তি পাবেন, সেটি আমরা জানতে চাই সরকারের কাছে।

    তিনি বলেন, আমরা তো চাইনি, কল্পনাও করিনি, এভাবে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সমাবেশ-বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামের জীবন থেকে এক এক করে ১৩টি বছর হারিয়ে গেছে। এই ১৩টি বছর কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আর ১৩ মিনিটও তিনি জেলের ভেতর থাকুক আমরা তা আর চাই না।

    হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা ভদ্র, কিন্তু আমরা বোকা নই। আমাদের ভদ্রতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। ভদ্ররা যখন শক্ত হয় তখন কি পরিমাণ শক্ত হতে হয় তা গত সাড়ে ১৫টা বছর বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। আমি অন্যদের কথা বলবো না কে কি করেছেন, কার সাথে আপস করেছেন, আমি বলতে চাই না। মহান আল্লাহর দেওয়া শক্তির কারণে গত সাড়ে ১৫টি বছর জামায়াতে ইসলামী কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে আপস করেনি।

    দলীয় নিবন্ধনের ব্যাপারে সরকারকে হুঁশিয়ার দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, কেন আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছেন? আমাদের নিবন্ধন তো জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই জুলুম কি আপনারাও আমাদের ওপরে করবেন? এজন্যই কি হাজার-হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে? হাজার-হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে? বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো বৈষম্য বরদাস্ত করব না। সব বৈষম্যের কবর রচনা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

    তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর জীবন দিতে যেমন ভয় করেন নাই, গুলির সামনে বুক পেতে দিতেও ভয় করেন নাই, সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনের শরিক হতেও ভয় করেন নাই, একটি মানবিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ না গড়া পর্যন্ত আপনারা কি এ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন? তখন সর্বস্বরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ”হ্যাঁ” যুক্ত স্লোগান দেন।

    তখন জামায়াত আমির স্লোগান ধরে বলেন, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ আবু সাঈদ মুগ্ধ। এই যুদ্ধ চলবে ইনশাল্লাহ। মেহেরবানি করে আমাদেরকে আর কেউ চোখ রাঙ্গাবেন না। ফ্যাসিবাদের ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। কথা বলবেন রাজনীতিবিদের ভাষায়। আমরা অভিনন্দন জানাব। কিন্তু মেহেরবানি করে চোখ রাঙাবেন না। এই সংগঠন কারো চোখ রাঙ্গানি পরোয়া করে না।

  • সতর্ক করে যে ভয়ংকর তথ্য দিলো ভারত!

    সতর্ক করে যে ভয়ংকর তথ্য দিলো ভারত!

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই বিশ্বে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে এশিয়া ও ইউরোপে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারত, যা নতুন করে বিশ্বনেতাদের ভাবিয়ে তুলেছে।

    গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি গাঁজা দখলের বিষয়ে হুঁশিয়ারি এবং আরও কিছু কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা তৈরি করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তা।

    ভারত ও মহাসাগর সম্মেলনের সংলাপ পর্বে জয়শঙ্কর বলেছেন, বিশ্বব্যাপী এখন যেসব ঘটনা ঘটছে, তা ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে ট্রাম্পের হাতে বিপুল ক্ষমতা থাকায় আন্তর্জাতিক নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। তিনি সতর্ক করেছেন যে আগামী দুই বছরের মধ্যেই এমন কিছু ঘটতে পারে, যা বিশ্বব্যবস্থাকে পুরোপুরি বদলে দেবে।

    ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পরিবর্তন আসবেই, তাই আবেগতাড়িত না হয়ে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে প্রতিটি দেশেরই যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের আধিপত্য নতুনভাবে গঠিত হচ্ছে, যা মানবাধিকার ও মূল্যবোধের মোড়কে প্রচার করা হচ্ছে।

    এদিকে, ট্রাম্পের প্রশাসন এরই মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ভারতকে অনুদান দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।

    বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান দ্রুত বদলাচ্ছে। এশিয়াসহ গোটা বিশ্বকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত পরিবর্তনগুলো কীভাবে প্রভাব ফেলবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। ভারতের সতর্কবার্তা বিশ্বনেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে উঠেছে।

  • অস্ত্রধারীদের আসল পরিচয় মিলেছে

    অস্ত্রধারীদের আসল পরিচয় মিলেছে

    অস্ত্রধারীদের পরিচয় মিলেছে, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
    কালো টিশার্ট পরা রামদা হাতে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমর্থক কামাল। পাশে থাকা হেলাল শ্রমিক দলের সঙ্গে জড়িত

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীর সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া বেশ কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া খুলনা নগরীর দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফ হাতা শার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিটি যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।

    মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে বহিষ্কার করার বিষয়টি জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    এ ব্যাপারে মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, মাহবুব অনেক আগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। এখন তিনি কোনো পদে নেই। কুয়েট এলাকায় তাঁর অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হয়েছে। এটা দলের কোনো বিষয় নয়।

    সংঘর্ষের সময় কালো হাফ হাতা শার্ট এবং রামদা হাতে আরও একজনকে দেখা গেছে। তাঁর নাম কামাল হোসেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তিনি কোনো পদে নেই। তাঁর পেছনে লাঠি হাতে অবস্থান করছিলেন হেলাল, তিনি শ্রমিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    খানজাহান আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, কামাল কখনও বিএনপি, কখনও যুবদল, আবার কখনও স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে যায়। সে দলের কোনো পদে নেই। হেলালেরও একই অবস্থা। শ্রমিক দলের মিছিলে গেলেও কোনো পদে নেই। তারা কেন সেখানে গেছে, তারাই বলতে পারবে।

  • শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেট নির্মাণ, প্রধান শিক্ষকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার

    শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেট নির্মাণ, প্রধান শিক্ষকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার

    স্কুলের শহীদ মিনার ভেঙে ওয়াশরুম (টয়লেট) নির্মাণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। যশোরের মণিরামপুর উপজলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বুধবার সকালে তাদের আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    গ্রেপ্তাররা হলেন- কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ (৫৫) ও তার সহযোগী কামিনীডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার মল্লিক (৬৫)।

    জানা যায়, উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একই মাঠে পাশাপাশি অবস্থিত। একই মাঠের এক কোণে ৩০ বছর আগে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।

    এ শহীদ মিনারে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে আসছে।

    অভিযোগ উঠেছে, গত ১৫ জানুয়ারি কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ শহীদ মিনারটি ভেঙে সেখানে টয়লেট (ওয়াশরুম) নির্মাণের উদ্যোগে নেন। এ ব্যাপারে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাধা দিলেও কোনো কর্ণপাত করেননি তিনি। ফলে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করে।

    পরবর্তীতে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করা হয়। ইউএনও নিশাত তামান্নার নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু মোত্তালিব আলম সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

    এদিকে বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান বাদী হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগী সুকুমার মল্লিককে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

    মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, ওয়ারেন্ট পেয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।