Category: bangla

  • ৭ কারণে ইরানকে হারানো সম্ভব না

    ৭ কারণে ইরানকে হারানো সম্ভব না

    ইসরায়েল স্বপ্নেও ভাবেনি এত বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তাকে। রাজধানী তেলআবিবের কিছু এলাকা ইরান এমনভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যে, তা দেখে ফিলিস্তিনের গাজা বলে ভুল হতে পারে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেহরানেরও। এখন প্রশ্ন হলো ইরান-ইসরায়েল ‍কি তাহলে আরও বড় আকারে যুদ্ধে জড়াবে? তাতে কি আমেরিকাও যোগ দেবে? হার মানবে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান?

    বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, ইরানের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যার কারণে দেশটিকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। চলুন দেখে নেই এমন অন্তত ৭টি কারণ, যা ইরানকে অজেয় করে রেখেছে।

    ইরানের সব থেকে বড় শক্তি সামরিক অস্ত্র নয়। বরং ভৌগোলিকভাবে পাওয়া একটি সমুদ্র পথ। যার নাম হরমুজ প্রণালি। ইরানের দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষে এই প্রণালি বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত জলপথ। মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া এই জলপথ দিয়েই বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল পরিবহন হয়। গুরুত্ব বিবেচনায় বিশ্লেষকরা এটিকে পৃথিবীর রক্তনালি বলে অভিহিত করেন। এই প্রণালির আশপাশের সাতটি দ্বীপ ইরানের নিয়ন্ত্রণে, যা সে দেশের অনন্য ভূ-রাজনৈতিক শক্তি। ইতোমধ্যে ইরান এই জলপথ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত পশ্চিমারা।

    তিন মহাদেশের সংযোগস্থল

    ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা- এই তিন মহাদেশের সংযোগস্থলে ইরানের অবস্থান। এছাড়া দেশটির রয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলসীমা। উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর এবং দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর। এ কারণে বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকা সবচেয়ে পুরনো রাষ্ট্রগুলোর একটি ইরান। গত ৫০০ বছর ধরে একই সীমান্ত নিয়ে টিকে আছে দেশটি। পৃথিবীর এমন কোনো পরাশক্তি নেই, যারা ইরানকে দখল করতে চায়নি, কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছে।

    ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন

    মুসলিম বিশ্বে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে রেঞ্জ বা আওতা সবচেয়ে বেশি- ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। যা কেবল ইসরায়েল নয়, ইউরোপের যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডও স্বীকার করে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ভাণ্ডার সবচেয়ে আধুনিক ও বিস্তৃত। এছাড়া সস্তায় অধিক কার্যকর ড্রোন বানিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ইরান। ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে পরাশক্তি রাশিয়া।

    পাহাড় আর মরুভূমির দুর্গ

    ইরানের রয়েছে এক অনন্য প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা। পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে জাগরোস পর্বতমালা, যা দেশটিকে দুর্গের মতো সুরক্ষা দেয়। এই পাহাড়গুলো এতটাই কঠিন ও দুর্গম যে, হামলার জন্য সেদিকে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব। উত্তরেও রয়েছে প্রতিরক্ষামূলক আলবোর্জ পর্বতমালা। অন্যদিকে ইরানের রয়েছে মূল্যবান খনিজ- ইউরেনিয়াম, সোনা, রুপা আর দস্তা। পাহাড় পেরিয়ে কেউ ইরানে ঢুকতে পারলেও সামনে লুত মরুভূমি, যা পৃথিবীর ভয়ানক গরম জায়গাগুলোর একটি। তাই এই অঞ্চল দিয়ে সৈন্য ও রসদ পাঠানো অসম্ভব।

    ভূগর্ভে তেলের রাজ্য

    বিশ্বে তেল ও গ্যাস মজুতের অন্যতম কেন্দ্র ইরান। এখানকার খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ যথাক্রমে বিশ্বের মোট রিজার্ভের ১০ ও ১৫ শতাংশ। এই সম্পদ ইরানকে দেয় অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অনন্য সুবিধা। বিশেষ করে তেল বহনকারী পথগুলোতে ইরানের নিয়ন্ত্রণ থাকায় বিশ্ববাজারে বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে দেশটি।

    বড় মিত্রদের ছায়া

    যুক্তরাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ক্রমাগত ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতের পর থেকেই এই দুই পরাশক্তির সমর্থন পেয়ে আসছে ইরান। অনেক সময় এমনও দেখা গেছে, ইরানে হামলার হুমকি এলে রুশ গোয়েন্দা বাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়, যা ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জন্য মারাত্মক ভয়ের কারণ।

    সরাসরি নয়, ছায়া যুদ্ধ

    ইরানের আরেকটি বড় শক্তি তার প্রক্সি নেটওয়ার্ক, যেটাকে বলা হয় ‘এক্সিস অব রেজিস্টেন্স’। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরান তার সমর্থিত গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে থাকে, যেমন- ফিলিস্তিনে হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ, সিরিয়ায় ফাতেমিয়ুন ব্রিগেড, ইরাকে আল বদর মিলিশিয়া এবং ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি যুদ্ধে না গিয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করতে পারে ইরান।

    পারস্য থেকে আজকের ইরান, হাজার বছরের ইতিহাসে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গেলেও দেশটি কারও নিয়ন্ত্রণ মানেনি কখনো। ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

    সূত্র : কালবেলা

  • অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু

    অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু

    অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় তাদের ভিসা কার্যক্রম আবার চালু করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত হাই কমিশনার সুসান রাইলির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই বিষয়টি উঠে আসে।

    প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন থেকে বাংলাদেশিরা ঢাকায় বসেই অনলাইনে অস্ট্রেলিয়ার ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

    হাই কমিশনার রাইলি জানান, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৬৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন, যাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

    সাক্ষাৎকালে তারা আরও আলোচনা করেন—

    অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম,

    আসন্ন জাতীয় নির্বাচন,

    দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসার এবং

    রোহিঙ্গা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন একটি রূপান্তরের সময় অতিক্রম করছি। সাংবিধানিক, বিচারিক ও প্রশাসনিক সংস্কার আমাদের মূল লক্ষ্য, যাতে একটি শক্তিশালী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়।” তিনি জানান, আগামী মাসে জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা হবে, যা শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে জনগণ, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া তরুণরা স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এটি হবে একটি উৎসবমুখর এবং আশাব্যঞ্জক নির্বাচন।”

    অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে হাই কমিশনার জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।

    দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য ১৬.২% হারে বেড়ে বর্তমানে ৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।”

    বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অবদান তুলে ধরে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অ্যালামনাই গড়ে উঠেছে, যারা দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    প্রধান উপদেষ্টা এই প্রসঙ্গে বৃত্তির সংখ্যা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানান।

    রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। জবাবে হাই কমিশনার বলেন, “সম্প্রতি আমরা অতিরিক্ত ৯.৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছি। ২০১৭ সাল থেকে এই সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫৩.৬ মিলিয়ন ডলার।”

    তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, “মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”

    সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে হাই কমিশনার রাইলি বলেন, “বাংলাদেশে এসে আমি খুবই আনন্দিত। আমি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি গভীর আগ্রহ অনুভব করি।”

    সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন—

    প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উইংয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম।

  • স্বর্ণের দামে বড় পতন, ফিরতে পারে আগের দর

    স্বর্ণের দামে বড় পতন, ফিরতে পারে আগের দর

    দুবাইয়ের স্বর্ণবাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ফের ৩০০ দিরহামের নিচে নামতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিলো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যা ২০২৬ সালের মধ্যেই আরও জোরালো হবে। খবার গালফ নিউজ

    ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৩০০ দিরহাম অতিক্রম করে। এরপর এক পর্যায়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি গ্রাম ৩৮৩ দিরহামে। বর্তমানে বাজারমূল্য ৩৭৮.৫ দিরহাম, আর ২৪ ক্যারেটের দাম ৪০৮.৭৫ দিরহাম।

    সিটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ডলারের মধ্যে নেমে আসতে পারে প্রতি আউন্সে। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তারা দেখিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ দিকে মার্কিন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।

    সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ ও ২০২৬ সালে স্বর্ণে বিনিয়োগ প্রবণতা কমে যাবে। কারণ মার্কিন নির্বাচন ও অর্থনৈতিক গতি পুনরুদ্ধারের আশা বাজারে নতুন বার্তা দেবে।’

    তবে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এই পূর্বাভাসে একমত নন। কানজ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল ধানক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৮০০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে। বাজারে যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা স্বর্ণকে আরও মূল্যবান করে তুলবে।’

    বিনিয়োগ বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ক্রেতা এখন স্বর্ণের ডিজিটাল বিকল্প যেমন গোল্ড অ্যাকাউন্ট, ইটিএফ বা স্বর্ণে বিনিয়োগভিত্তিক অ্যাপের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ বর্তমান দাম অনেকের জন্য ভারী হয়ে যাচ্ছে।

    স্বর্ণ বিক্রেতারা বলছেন, যদি দাম ৩০০ দিরহামের নিচে নেমে আসে, তাহলে বাজারে আবারও বড় ধরনের ক্রয়চাপ তৈরি হতে পারে। একজন বিক্রেতা বলেন, ‘স্বর্ণের দাম কমা মানেই সাধারণ মানুষের আবারও বিনিয়োগের সুযোগ, উপহার কেনার সুযোগ।’

    তবে শেষ কথা বলবে বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি স্বর্ণ কেনা বন্ধ করে দেয় বা কমিয়ে আনে, তবেই দামের বড় পতন সম্ভব। আর ততদিন পর্যন্ত ৩০০ দিরহামের নিচে নামার সম্ভাবনা কেবলই জল্পনা।

  • হাতে হাত রাখলেন সালাহউদ্দিন তাহের ও নাহিদ

    হাতে হাত রাখলেন সালাহউদ্দিন তাহের ও নাহিদ

    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের হাতে হাত রেখে পরস্পর সৌহার্দের বার্তা দিয়েছেন।

    সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলাকালে বিরতির সময় হাতে হাত রেখে ছবি তোলেন তারা।

    বুধবার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকের বিরতির ফাঁকে এ চিত্র দেখা গেছে। পরে নাহিদ ইসলামকে বুকে টেনে নেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এ সময় তিনি জিজ্ঞেস করেন নাহিদ কেমন আছেন?

    মঙ্গলবার অনুপস্থিত থাকলেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার অসমাপ্ত আলোচনায় আজ বুধবার অংশ নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

    সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছে দলটি।

    আরও উপস্থিত আছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ। দ্বিতীয় দফার এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

    বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি দল অংশগ্রহণ করেছেন এতে। যার মধ্যে দুটো হল জোট।

    আজকের বৈঠকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

    সভার সঞ্চালনা করছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

  • দেশে নতুন ছোঁয়াচে ‘মহামারি’, আতঙ্ক বাড়ছে

    দেশে নতুন ছোঁয়াচে ‘মহামারি’, আতঙ্ক বাড়ছে

    ভয়াবহ ছোঁয়াচে রোগ স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে দিন দিন। খোসপাঁচড়া জাতীয় এ রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সিরাই আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে। চিকিৎসকরা বলছেন, নীরব মহামারি আকার ধারণ করছে রোগটি। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে, যা কিডনি পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে পারে।

    গা ভর্তি লাল-লাল র‌্যাশ। চুলকায় দিন-রাত। মাঝেমধ্যে কেটে বেরিয়ে যায় রক্ত। অনেকেই ভাবেন প্রচণ্ড গরমে হয়তো এমন দশা। কিন্তু না, এই রোগের নাম স্ক্যাবিশ বা খোসপাঁচড়া। ছোঁয়াচে এই চর্মরোগের সংক্রমণ বাড়ছে দিন দিন।

    চার বছরের নূর ফাতেমার পুরো শরীর ছেয়ে গেছে লাল র‌্যাশে। চিকিৎসা নিতে মায়ের সঙ্গে এসেছে হাসপাতালে। সন্তানের করুণ চাহনিতে দিশেহারা মা বলেন, চিকিৎসা করিয়েছিলাম। ভালোও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবার হয়েছে। এখন মেয়ের সুস্থতার জন্য হাসপাতালে এসেছি।

    শুধু ফাতেমা নয়, এমন রোগীর সংখ্যা অনেক। এই যেমন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দেখা গেল, চিকিৎসা নিতে এসেছেন একই পরিবারের চারজন। প্রথমে বাড়ির গৃহিনীর শরীরে র‌্যাশ ওঠে, পরে তীব্র চুলকানি। ধীরে ধীরে আক্রান্ত পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

    এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, ঘনবসতি এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। আক্রান্তরা গুরুত্ব না দেয়ার পাশাপাশি সচেতনতার অভাবে বাড়ছে সংক্রমণের হার।

    শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহেদ পারভেজ বলেন, এটাকে আমরা নীরব মহামারি বলতে পারি। এটা এমন একটা রোগ, যে দুর্ভোগটা নীরবে সবাই ভুগছে। কিন্তু সারা দেশ সংক্রমিত হচ্ছে।

    শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান মিয়া জানান, হাতের আঙ্গুল, কব্জি, নাভি, গোপনাঙ্গ বা পেছনের দিকে সবচেয়ে বেশি হয় এ রোগ।

    স্ক্যাবিশ বা খোসপাঁচড়ার সংক্রমণের হার ঠেকাতে শুধু আক্রান্ত ব্যক্তিই নয়, বরং পুরো পরিবার বা একই ঘরে বসবাস করা সবার চিকিৎসা একসঙ্গে করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

  • সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

    সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

    সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ১১ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

    বুধবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার দেওয়া অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

    আবহাওয়া অফিস জানায়, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, সকালের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

  • ‘জামায়াত আগে ছিল হেলমেট বাহিনী, এখন তারাই টুপি লাগিয়ে হামলা করে’

    ‘জামায়াত আগে ছিল হেলমেট বাহিনী, এখন তারাই টুপি লাগিয়ে হামলা করে’

    কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেছেন, ‘জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে আমাদের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্র মিছিলে হেলমেট পরে হামলা করেছে। এখনই তারা টুপি পরে আবারও আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।’

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়ন উত্তর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা দল (জামায়াত) আমাদের সঙ্গে ছিল।

    তারা অতীতে আমাদের ওপর ভর করে ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল। চৌদ্দগ্রামবাসী জানে তাদের ভোটের হার কত জানে। তারা ইসলামের নামে মানুষকে ধোঁকা দেয়। জামায়াত ইসলামী ইসলামের জন্য কিছুই করেনি।

    তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত সব সময় দলের স্বার্থ দেখে, তারা দেশের মানুষের কথা কোনো দিন চিন্তা করেনি। এরশাদকে জাতীয় বেঈমান বলে শেখ হাসিনা ভোটে অংশ নিয়েছিল, সেই সময় তাদের সফরসঙ্গী হয়েছিল জামায়াত। বিএনপির ছাড়া নির্বাচন করে তারা ১০ সিট পেয়ে এরশাদকে বৈধতা দিয়েছে। তখনও তারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা না করে দলের স্বার্থ চিন্তা করেছে।

    অনুষ্ঠানে কাশিনগর ইউনিয়ন উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক রাসেল মাহমুদ মজুমদার টিটুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহ আলম রাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান মুক্তু, মো. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মাঈন উদ্দিন মিয়াজী, ইউনিয়ন দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মো. দলিলুর রহমান প্রমুখ।

  • নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর মাছের খামার থেকে দুই শিশুর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার

    নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর মাছের খামার থেকে দুই শিশুর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার

    শেরপুরের শ্রীবরদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর বিবস্ত্র অবস্থায় দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বটতলা মৃদা বাড়ি এলাকার একটি মাছের খামার থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

    নিহতরা হলো, তাতিহাটি ইউনিয়নের চককাউরিয়া এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না খাতুন (৬) এবং সেলিম মিয়ার মেয়ে সকাল আক্তার (৭)। তারা দুইজনেই স্থানীয় এক নুরানি মাদ্রাসায় পড়ত।

    স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টার পর থেকে শিশুদের খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে শিশুদের সন্ধান চাওয়া হয় এবং সারারাত মাইকিং করা হয়। রাত ১টায় অন্য এক প্রজেক্টে খোঁজ নেয়া হয়। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে বটতলা মৃদা বাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারে শিশু দুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দিলে শ্রীবরদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুদের পরনে কোনো পোশাক ছিল না।

    জানা গেছে, স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেনের জমিতে তৈরি ওই পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন মোস্তফা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। দুই শিশুর বাড়ি পুকুরের ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে।

    নিহত স্বপ্নার বাবা স্বপন মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর আর ঢাকা যাইনি, সারা রাত মাইকিং করেছি। কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি। সকালে মেয়ের মরদেহ পেলাম, কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেই এবং নিজেও ঘটনাস্থলে আসি। আমার কাছে বিষয়টি পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার মতোই মনে হচ্ছে।’

    এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। আমরা ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

  • অর্ধশতাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা

    অর্ধশতাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা

    ইরানে রাজধানী তেহরানে অবস্থিত একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং বিভিন্ন অস্ত্র কারখানায় বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আজ বুধবার (১৮ জুন) এই হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৫০টির বেশি যুদ্ধবিমান ইরানের বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তেহরানে অবস্থিত একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং এমন একাধিক কারখানা যেখানে পৃষ্ঠ থেকে পৃষ্ঠে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন হতো।”

    তবে ইরান পক্ষ থেকে এখনও এই হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।

    এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

  • জরুরী ভাবে যে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

    জরুরী ভাবে যে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

    সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

    তাদের তথ্যমতে, দেশের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে একটি শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যার নাম ‘রিমঝিম’। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সক্রিয় বৃষ্টিবলয়, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটাবে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে রংপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

    রোববার (১৫ জুন) রাতে বিডব্লিউওটি তাদের ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানায়। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের এটি ষষ্ঠতম বৃষ্টিবলয় এবং দ্বিতীয় মৌসুমি বৃষ্টিবলয়। ১৬ জুন এটি উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে এবং ২৮ জুনের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশ ছাড়তে পারে।

    এই বৃষ্টিবলয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে। পাশাপাশি রংপুর, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগেও থাকবে এর সক্রিয় প্রভাব। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হবে।

    বিডব্লিউওটি পূর্বাভাসে আরও জানায়, এই সময়ে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা না থাকলেও বজ্রপাত কিছুটা হতে পারে। বড় ধরনের ঝড় না দেখা দিলেও উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর কারণে সাগর বেশিরভাগ সময়ই উত্তাল থাকতে পারে।