Category: bangla

  • ইরানে হামলায় এবার ইসরায়েলের সাথে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

    ইরানে হামলায় এবার ইসরায়েলের সাথে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

    ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের এক সপ্তাহ পূর্ণ হতে চললো আজ; তবে উত্তেজনা কমার কোনোরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এখনও। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন ইরানে; আহত হয়েছেন এক হাজার ৩২০ জনের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

    এই যখন অবস্থা, তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে বলেছেন ইরানে যেন এভাবেই হামলা চালিয়ে যান তিনি।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

    মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই নেতানিয়াহুর প্রতি নিজের অনুরাগ জাহির করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নেতানিয়াহু একজন ভালো মানুষ, যিনি ভালো কাজ করে যাচ্ছেন; কিন্তু নিজের দেশে প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না।

    ট্রাম্প এ-ও বলেছেন যে নেতানিয়াহুকে কল করে তিনি বলেছেন যেন এভাবেই কাজ চালিয়ে যান তিনি (নেতানিয়াহু)।

    ফোনালাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এমন সমর্থন পেয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

    এদিকে ট্রাম্পের প্রশাসনও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইরানে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ। এরই মধ্যে ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনায় চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়ে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহান্তেই ইরানে সম্ভব্য হামলার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে, পুরো বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন আছে এবং পরিস্থিতি যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৭০০ টাকা, নেপথ্যে যে কারণ

    ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৭০০ টাকা, নেপথ্যে যে কারণ

    ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। আর এ চিঠির খবর শুনে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি কমেছে সাতশ টাকা।

    এ চিত্র মঙ্গলবার ও বুধবার চাদঁপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের। একদিন আগেও ১ কেজি সাইজের মাছের কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৭০০-২৮০০ টাকা।

    জেলা প্রশাসক বলেছেন, কক্সবাজার, ভোলা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইলিশের দামের তুলনায় চাঁদপুরে ইলিশের দাম ২-৩ গুণ বেশি।

    চিঠিতে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, প্রাচীনকাল থেকেই চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের এ স্বাদের সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা ক্রেতার নাগালের বাইরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ তাদের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।

    চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে, সেহেতু জেলা প্রশাসন ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নিলে এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না।

    উল্লেখ্য, চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে থাকে। নদী বা সাগরে ইলিশ উৎপাদনে জেলেদের কোনো উৎপাদন খরচ না থাকলেও ধৃত ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, অনেকই দাবি করেন চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন; যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ইলিশের মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি তারা বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    এ বিষয়ে চাঁদপুরের মাছ ব্যবসায়ী বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, এমন কিছু হলে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা আর এ ব্যবসা করবেন না।

    তিনি বলেন, বর্তমানে মাছ ধরতে গিয়ে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, জেলেরা সেই পরিমাণ মাছ পায় না। চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ায় দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে চাঁদপুরে ইলিশের দাম একটু বেশি হয়।

    তিনি আরও বলেন, একদিন আগে ১ কেজি সাইজের মাছের কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৭০০-২৮০০ টাকা। মঙ্গলবার ও বুধবার মাছের আমদানি একটু বেশি হওয়ায় কেজিপ্রতি ৬-৭ শ টাকা কমে এখন ২২০০-২৩০০ টাকা হয়েছে। বাজারে আরও বেশি মাছ এলে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।

    মাছ ব্যবসায়ী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত বলেন, বাস্তবতা চিন্তা না করে ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হলে এক সময় এখানে ইলিশ আসা বন্ধ হয়ে যাবে।

  • প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানাল ইরান

    প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানাল ইরান

    ইরানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী প্রতিবেশী দেশগুলোকে তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে ইরানে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাসনিম সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর আল জাজিরা

    সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘আমরা আশা করি প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের দায়িত্ব বুঝবে এবং তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কেউ যেন ইরানে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেবে।’

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইরানের সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সীমান্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) একসঙ্গে মিলে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

    সম্প্রতি ইসরায়েল দাবি করে, ইরানের ভেতরে চালানো ড্রোন ও গাড়িবোমা হামলা পরিচালিত হয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে, যারা ইরানের অভ্যন্তরে থেকেই এসব অপারেশন করেছে। এ ঘটনায় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী আরও বেশি সতর্ক হয়ে সীমান্ত নজরদারি জোরদার করেছে বলে জানানো হয়েছে।

  • ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ অবশেষে উত্তর কোরিয়া মুখ খুললো আর তুলোধুনো করলো

    ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ অবশেষে উত্তর কোরিয়া মুখ খুললো আর তুলোধুনো করলো

    ইরানের ওপর দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে উত্তর কোরিয়া। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।

    উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণ ইরানের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

    এতে আরও বলা হয়, বিশ্ব আজ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ক্যান্সারের মতো এক সত্তা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি।

    গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এর পাল্টা জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি হামলা এখন পর্যন্ত টানা ছয় দিন ধরে চলছে।

    সূত্র: সিএনএন

  • ২৫০ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল

    ২৫০ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল

    একটি ভাঙাচোরা বাইসাইকেলই তার ভরসা। এ সাইকেল চালিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরের খাসিয়াপুঞ্জিতে কাজ করে কিশোর তোফাজ্জল। ১৩ বছর বয়সেই তাকে চারজনের সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। প্রতিদিন মাত্র দুই-আড়াইশ টাকা উপার্জনে পরিবারের তিন অসুস্থ সদস্যকে নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে তোফাজ্জলকে। কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দী গ্রামের আলী আহমেদের (৬৫) ছেলে তোফাজ্জল হোসেন।

    মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে তোফাজ্জল জানায়, তার পরিবারের তিনজন অসুস্থ। বাবা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত, বোন আয়েশা খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। এছাড়া বয়োবৃদ্ধ দাদি সমিতা বিবিও (৮২) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। স্থানীয় খাসিয়াপুঞ্জিতে কাজ করে প্রতিদিন যা রোজগার হয় তাতে দু’বেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না তাদের। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীদের সামান্য সহযোগিতাই তাদের একমাত্র ভরসা।

    প্রতিবেশী ফজল মিয়া ও আবু শহীদ জানান, তোফাজ্জলদের পরিবার খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। পরিবারের তিনজনই অসুস্থ। তাদের সাহায্য করার মতো আত্মীয়স্বজন তেমন কেউ নেই। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে তাদের সাহায্য করেন।

    মঙ্গলবার তোফাজ্জলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ছোট্ট একটি ঘরে মেঝেতে জরাজীর্ণ কাঁথায় শুয়ে আছেন সমিতা বিবি। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। পা ভেঙে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী।

    বাবা আলী আহমেদ জানালেন, তিনি হার্টের রোগী। দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। ছেলে তোফাজ্জলই তাঁর একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন তোফাজ্জল খাসিয়াপুঞ্জিতে (খাসিয়া গ্রাম) কাজ করতে যায়। ছেলের সামান্য আয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যাচ্ছে। কখনও কখনও দুই বেলা খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়ে।

    সমিতা বিবি বলেন, ‘ক্ষুধায় রাতে ঘুম আসে না। ১৩-১৪ বছরের নাতি আর কিইবা করবে। তবু যা করছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চাল-ডাল আনলে ওষুধ আনতে পারে না। প্রায়ই অনাহারে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীরা কেউ খাবার দেয়, কেউ সামান্য টাকা-পয়সা দেয়। এইভাবেই টিকে আছি।’

    ইসলামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পরিবারটি এতটাই অসহায় যে, একসময় তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই ছিল না। কয়েক বছর আগে সরকারি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবারের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ পরিবারটির অসুস্থদের চিকিৎসা ও তাদের আত্মনির্ভরশীল করতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তিনি।

  • মাটির ২৬২ ফুট নিচে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব

    মাটির ২৬২ ফুট নিচে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব

    জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সাবেক পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইট বলেছেন, ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফর্দো মাটির অন্তত ৮০ মিটার বা ২৬২ ফুট গভীরে, যা ইসরায়েলের পক্ষে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।

    সংবাদমাধ্যম বিবিসি রেডিও ফাইভের সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ পরমাণু বিজ্ঞানী জানান, ইসরায়েল হয়ত হামলা চালিয়ে ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রটি দীর্ঘ সময়ের জন্য অকেজো করে রাখতে পারে। তবে তারা এটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারবে না। তাদের সেই সক্ষমতা নেই। এই কেন্দ্রটি ধ্বংস করতে লাগবে শক্তিশালী বাঙ্কার বাস্টার বোমা। যেটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে।

    তিনি বলেন, “এখন যেখানে ইসরায়েল হামলা করছে, আমি বিশ্বাস করি ইসরায়েল ওই স্থাপনা দীর্ঘসময়ের জন্য বন্ধ করাতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্র এটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে।”

    ইরানের এই স্থাপনাটি ধ্বংস এখন দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগ দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    ইরান তাদের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি তৈরি করেছে দেশটি পরমাণু কর্মসূচির অংশ হিসেবে। যেখানে বেসামরিক কাজে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাত তারা।

    পরমাণু বিজ্ঞানী ডেভিড অলব্রাইট বিবিসি ফাইভকে আরও জানিয়েছেন, ইরাকে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার আন্তর্জাতিক পরিদর্শন কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হয়েছে। বিশেষ করে গোপন কর্মসূচিগুলো পরিদর্শনের উপায় বের করার ক্ষেত্রে এটি সহায়তা করেছে।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • চাচির গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, যুবক আটক

    চাচির গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, যুবক আটক

    বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় চাচির গোপন গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে রিপন মিয়া (৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রামেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চকমল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। রিপন চকমল্লা গ্রামের ইব্রাহীম আলীর ছেলে। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি বল্লম ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

    সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, রিপন মিয়া কয়েক দিন আগে তার চাচির গোসলের দৃশ্য মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে। পরে সেই ভিডিওর স্ক্রিনশট দেখিয়ে চাচিকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

    ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সারিয়াকান্দি ক্যাম্পের সেনা কমান্ডার সাব্বিরের নেতৃত্বে চকমল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রিপনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রিপন ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সে এই কাজ করেছে।

  • ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ভেদ করছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?

    ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ভেদ করছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর দেখা গেছে, বেশ কিছু ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা (আয়রন ডোম) ব্যবস্থাকে ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষকে মাটির নিচে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

    ইতিহাসগতভাবে ইসরায়েল তার ‘আয়রন ডোম’ ও ‘অ্যারো-৩’ সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অধিকাংশ আকাশ হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক হামলায় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রকাশ পেয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান এবার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চগতির হাইপারসনিক প্রযুক্তি, যেমন ফাত্তাহ-১ এবং ফাত্তাহ-২। এসব ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির ১৩ গুণ বেশি গতিতে চলতে পারে এবং তারা এমনভাবে দিক পরিবর্তন করতে পারে যে, সেগুলোকে শনাক্ত ও বাধা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

    এছাড়া, ইরান একসাথে শত শত ড্রোন ও প্রায় ৪০০-এর বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একপ্রকার ‘ওভারলোড’ হয়ে পড়ে এবং প্রতিটি হুমকির সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়নি।

    এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক প্রযুক্তির ভারসাম্য বদলাতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সাফল্যের গল্পে নতুন করে প্রশ্ন উঠে এসেছে। [সূত্র: আল জাজিরা]

  • ভু’ল করে হলেও যেভাবে স্ত্রী’র সাথে স”হবা”স করবেন না

    ভু’ল করে হলেও যেভাবে স্ত্রী’র সাথে স”হবা”স করবেন না

    বলা বাহুল্য যে আল্লাহরই ইচ্ছানুযায়ী মানব বংশ বিস্তার ও তার জন্য দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে স্বামীকে-স্ত্রীকে বিবাহ বন্ধনে আব’’’দ্ধ হয়ে একটি শান্ত, নিরালা ও সুশৃঙখল পরিবেশের সৃষ্টি করতে হয় এবং এজন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই যথাযথভাবে আপনাপন কর্তব্যসমূহ সাধন করতে হয়।কিন্তু কিছু নিয়ম মানা আমা’দের প্রত্যেকের জন্য কর্তব্য। স”হ”বাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষ’তি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ই’’’ঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনেও।
    আসুন এখন আমর’’’া জেনে নেই সেই নিয়মগু’’’লাঃ ১.স”হ”বাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন (স্ত্রী সহ’বাসের দোয়া)। তারপর স্ত্রীকে আলি’’’ঙ্গন করবেন। তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন।২. সহ’বাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহ’বাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করবে না। তার সাথে মি’ল’ন সুখের চিন্তা করবেন না।

    স্ত্রীরও তাই করা উচিৎ। ৩. স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালোবাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহ’বাস।৪. রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহ’বাস করবে না।৫. ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী স”হ”বাস করবে না।

    ৬. রবিবারে স”হ”বাস করবেন না।৭. চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।৮. স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় বা উভয়ের অসুখের সময় সহ’বাস করবেন না।৯. বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহ’বাস করবেন না।

    ১০. জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহ’বাস করবেন না। ভরা পেটে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।১১. উল্টাভাবে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না। স্ব”প্নদো”ষের পর গোসল না করে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না। ১২. পূর্ব-পশ্চিম’দিকে শুয়ে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।

    ১৩. বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী স”হ” বাস করবেন না।১৪. স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহ’বাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়।১৫. স”হ”বাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না এবং নাপাক শরীরে স্ত্রী সহ’বাস কবেন না। উল’’’ঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।

  • ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি: বিএনপির গোপন সঙ্গীদের নাম প্রকাশ!

    ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি: বিএনপির গোপন সঙ্গীদের নাম প্রকাশ!

    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে ভোটের রাজনীতি। এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই দলটি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো।

    অন্যদিকে বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির। আবার জামায়াতও ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে ‘নির্বাচনি ঐক্য’ গঠনের চেষ্টা করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’।

    বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। আবার বিএনপির জোটে এনসিপিকেও দেখা যেতে পারে। জোট বা সমঝোতা নিয়ে পর্দার আড়ালে দলগুলোর নানা তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সবকিছু দৃশ্যমান হবে। এদিকে আগামী নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে-তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। তবে বিরোধী দল হওয়া নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে বা বিএনপির বাইরে কোনো জোট গঠন করলেও ভোটের মাঠে সেভাবে সুবিধা নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে জামায়াত অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায়ও তাদের প্রার্থীদের জয়ী হতে বেগ পোহাতে হতে পারে। কারণ কিছু আসনে জামায়াতের ভোট বেশি থাকলেও সেখানে যদি বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে ভোট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ যতই ফ্যাসিস্ট হিসাবে চিহ্নিত হোক না কেন, আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি বড়ই বিচিত্র ও কঠিন। মানুষ ভোটের সময় অনেক কিছু মনে রাখে না।

    পর্যবেক্ষকরা আরও মনে করেন, দেশের বিগত নির্বাচনে ভোটের ইতিহাস দেখলে দোদুল্যমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পড়েছে ‘ধানের শীষ’ ও ‘নৌকা’ প্রতীকে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব ভোট ধানের শীষে যাবে, অথবা আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সে পাবে। এখানে ইসলামপন্থি দলগুলোর বাক্সে দোদুল্যমান ভোট ততটা যাওয়ার রেকর্ড নেই। কারণ তাদের ভোট অনেকটা ‘ফিক্সড’। সে কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে।

    এছাড়া বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সারাক্ষণ রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করে। এসব বিবেচনায় তফশিল-পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করলে এটিই প্রতীয়মান হবে যে, ওই সময় সমাজে আওয়ামী ঘরানার ইমেজসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে। বাস্তবে এরাই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এর ফলে কিছু এলাকায় ভোট রাজনীতির সমীকরণ পালটে যেতে পারে। আর ভোট যেহেতু অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে, সেহেতু কম ভোটের ব্যবধানে নাটকীয় জয়-পরাজয় ঘটতে পারে।
    রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত। ভোটে অংশ নিতে হলে স্বতন্ত্র অথবা অন্য কোনো দলের প্রতীকেই তো নিতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে এখন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি-এ তিন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।

    আবার এর মধ্যে দুই দল একসঙ্গে ফ্রন্ট করতে পারে। আর তারেক রহমান তো আগেই বলেছেন জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে। আমরা বলেছি, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ করব। এখনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণত তফশিলের পর জোট বা নির্বাচনি সমঝোতা-যাই বলা হোক না কেন, তা হয়ে থাকে। সব দলের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক আছে। তবে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি।

    জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যুগান্তরকে বলেন, ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে, কীভাবে কী করা যায়। অনেকে প্রার্থী ঠিক করেনি, নির্বাচনটা ঠিক কীভাবে হবে-অনেকগুলো বিষয় আছে। ঐকমত্য কমিশনের ‘জুলাই সনদ’ ফাইনাল হলেই তখন এর অগ্রগতি বোঝা যাবে। সময় গেলে তা আরও স্পষ্ট হবে।জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এনসিপি এখনো নিজেদের স্বাতন্ত্র রক্ষা করে কাজ করে চলছে। নির্বাচনের জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। যদি বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে দলীয় আদর্শ ও কর্মসূচি মিলের কথাগুলোকে বিবেচনায় রেখে জোটের সম্ভাবনাকে আমরা একেবারেই নাকচ করি না। তবে এখনো জোটের বিষয়ে এনসিপি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

    ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা যে পথে অগ্রসর হচ্ছি তা হলো আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থি ভোট যাতে বিভক্ত না হয়। জোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সমঝোতা-সমন্বয়টাও কীভাবে হবে-তা হয়তো আরও পরে প্রকাশ পাবে। অর্থাৎ দৃশ্যমান হবে যৌক্তিক সময়ে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যুগান্তরকে বলেন, সব ইসলামি দল এবং ইসলামি মত ও পথ যারা ইসলামের নামে কাজ করে সবাইকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ জুন ৫টি রাজনৈতিক দল-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মসলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিসের বৈঠক হবে। এর আগেও আমরা বৈঠক করেছি। আগামী বৈঠকে আমরা একক প্রার্থী ঠিক করার কৌশল নির্ধারণ করব। এছাড়া আরও যারা বাইরে আছে তাদের সঙ্গেও ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করব, পরামর্শ নেব। তারা কীভাবে জোটকে দেখতে চায়-এসব পরামর্শ নেওয়ার পর জোট ঘোষণা হবে।

    নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই নানা মেরুকরণ দেখা যাবে। বিগত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ‘ওয়ানম্যান শো’-এমন অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলও আছে, যাদের ভোটের আগে তৎপরতা বাড়বে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জোট ভারী করতে তাদেরও সঙ্গে রাখতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ওইসব দলের তেমন কোনো ভোট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি বিগত দিনে যেসব মিত্রদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে জোট করতে পারে। এ জোটে মুহাম্মাদ মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলও থাকতে পারে।

    এর কারণ হিসাবে বিএনপির একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, মুহাম্মাদ মামুনুল হকের পরিবারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের খুবই সুসম্পর্ক। তার বাবা প্রয়াত শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে ছিলেন। সেক্ষেত্রে সাত-আটটি ছাড়া বাকি ইসলামপন্থি দলগুলো একটি জোট করার চেষ্টা করতে পারে। তবে সেখানেও আকিদাগত কিছু সমস্যা রয়েছে।
    ইসলামপন্থি একটি রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, জামায়াতের সঙ্গে অন্য কোনো ইসলামি দলের এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো জোট হয়নি। এর কারণ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতের সঙ্গে অন্যদের আকিদাগত মতপার্থক্য আছে, যা ইসলামী আন্দোলন ও কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শের বিপরীত। তারপরও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। নানা মেরুকরণ ভোটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকবে। শেষ মুহূর্তে এমনও হতে পারে, বিএনপির সঙ্গে এনসিপিও থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা নেই।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে একটা জোট হবেই। পাশাপাশি এবার সমমনা ইসলামি দল পৃথক জোট করবে। আবার যারা কর্তৃত্ববাদবিরোধী বামদল তাদেরও একটা জোট থাকবে। আরেকটা সমীকরণ হতে পারে। সেটি হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল তাদের সঙ্গে পুরাতন কিছু দল মিলে জোট হবে। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। আবার এনসিপির সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। যদি এনসিপির সঙ্গে জামায়াত থাকে তাহলে ইসলামি দলগুলো একসঙ্গে হয়ে যেতে পারে।

    তখন আবার জোটের সংখ্যা কমে যাবে। এমনও হতে পারে জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামি দলগুলো মিলে একটা জোট করে ফেলতে পারে। তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের পাল্লা যে ভারী হবে সেটি নিশ্চিত বলা যায়।

    সূত্র: যুগান্তর