Author: admin

  • তৃতীয় সন্তান হলে ১২ লাখ টাকা বোনাস, সঙ্গে মিলবে এক বছরের বেতনসহ ছুটি

    তৃতীয় সন্তান হলে ১২ লাখ টাকা বোনাস, সঙ্গে মিলবে এক বছরের বেতনসহ ছুটি

    জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় ধরে ‘সিঙ্গল চাইল্ড’ বা এক সন্তান নীতি মেনে চলেছে চীন। এর ফলে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই দেশটিতে তরুণদের তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ফলে কর্মঠ লোক পাওয়া যাচ্ছে না।

    তবে কর্মী সংকট কাটাতে এখন নাগরিকদের বেশি সন্তান নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চীনা সরকার। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের জন্য লোভনীয় অফার দিয়েছে চীনের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ওই সংস্থা ঘোষণা করেছে, তিনটি সন্তানের জন্ম দিলে কর্মীদের বেতনসহ এক বছর ছুটি দেওয়া হবে। সঙ্গে আর্থিক বোনাস দেওয়া হবে ১২ লাখ টাকা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে হংকংয়ের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। মূলত জন্মহার বাড়াতে সরকারিভাবে উৎসাহ দেখানোর পর এগিয়ে আসছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও।

    আরেক চীনা সংবাদমাধ্যম বিজনেস ডেইলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সন্তানের মা-বাবা হলে চীনে বেতনসহ ছুটি, কর ছাড় ও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। শিশুকে লালন-পালনের জন্যও নানা রকম উৎসাহ ভাতা দিচ্ছে চীনা সরকার। সরকারের পাশাপাশি কর্মীদের উৎসাহ যোগাতে লোভনীয় অফার নিয়ে এগিয়ে আসছে দেশটির বেসরকারি সংস্থাগুলোও। সরকারের মতোই সমানতালে তারাও কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছে।

    সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দা বেই নং টেকনোলজি গ্রুপ নামে চীনের রাজধানী বেইজিংভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে সম্প্রতি একটি লোভনীয় অফার ঘোষণা করেছে।

    সংস্থাটির ঘোষণা অনুযায়ী, তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীরা তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিলে ৯০ হাজার ইউয়ান (১৪ হাজার ১২৪ মার্কিন ডলার) বোনাস দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২ লাখ টাকারও বেশি। এছাড়া সন্তান জন্মের পর নারী কর্মীদের বেতনসহ একবছর ছুটি এবং বাবা হওয়া পুরুষ কর্মীদের ৯ মাসের ছুটি দেওয়ার কথা জানানো হয়।

    শুধু তাই নয়, প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও বোনাস দিচ্ছে দা বেই নং টেকনোলজি গ্রুপ। প্রথম শিশুর জন্য দেওয়া হচ্ছে ৩০ হাজার ইউয়ান। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ লাখার টাকার বেশি। এছাড়া দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলে ৬০ হাজার ইউয়ান বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

    এদিকে চীনের একটি স্থানীয় প্রশাসনও সন্তান জন্মদানে উৎসাহ দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। পাঞ্জিহুয়া শহরের প্রশাসন জানিয়েছে, দু’টি বা তিনটি সন্তান জন্ম দিলে প্রতি মাসে ৫০০ ইউয়ান বা সাড়ে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ৯৮ দিনের বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটিও মঞ্জুর করেছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার।

  • ইসরায়েলের ওপর হামলার বিষয়ে নতুন বার্তা আইআরজিসি প্রধানের

    ইসরায়েলের ওপর হামলার বিষয়ে নতুন বার্তা আইআরজিসি প্রধানের

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান এখনও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে এবং এটি আপাতত বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

    রোববার (২২ জুন) তেহরানে আইআরজিসির ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে আইআরজিসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর এই কথা জানান।

    জেনারেল পাকপুর বলেন,“আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে আছি। আইআরজিসির এরোস্পেস ইউনিটসমূহ ইসরায়েলি শাসনের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্নভাবে অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলা ইহুদিবাদীদের মধ্যে গভীর অস্থিরতা তৈরি করেছে।”

    তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর ইরানি জনগণের মধ্যে অভূতপূর্ব সংহতি ও জাতীয় চেতনার উত্থান ঘটেছে, যা এই প্রতিরোধকে আরও জোরদার করেছে।

    এর আগে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের জনগণ তাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের জবাব রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা-উভয় স্তরেই দেওয়া হবে।”

    মার্কিন হামলা পর বিভিন্ন দেশ যা বলেছে, চীন ও রাশিয়া এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এখনো সরাসরি অবস্থান না নিলেও সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়েছে।

    সূত্র: মেহের নিউজ

  • পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আগে যেভাবে ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয় ইরান

    পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আগে যেভাবে ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয় ইরান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোম্বারের হামলার ঠিক আগে ইরানের অন্যতম সুরক্ষিত গোপন পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট সাইটে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মকাণ্ড ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট চিত্রে। এতে প্রশ্ন উঠেছে—তেহরান কি আগেই জানতে পেরেছিল হামলার পরিকল্পনার কথা?

    যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উপগ্রহ চিত্র সংস্থা ম্যাক্সার গত ১৯ ও ২০ জুন উচ্চমানের স্যাটেলাইট ছবি তুলেছে, যেখানে ফোরদো এলাকার প্রবেশপথ ও টানেল সংলগ্ন এলাকায় অস্বাভাবিক যানবাহন চলাচলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, অন্তত ১৬টি মালবাহী ট্রাক ফোরদোর অ্যাক্সেস রোড বরাবর সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছে, যেগুলো সরাসরি টানেলের প্রবেশপথের দিকে যাচ্ছে।

    কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশিরভাগ ট্রাক প্রবেশপথ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সরিয়ে নেওয়া হয়, যা ইঙ্গিত দেয় কোনো ধরনের স্থানান্তর বা রক্ষণমূলক প্রস্তুতি চলছিল। ছবিতে বুলডোজার, ট্রাক এবং অতিরিক্ত যানবাহনও দেখা গেছে, যা প্রতিরক্ষা বা সরবরাহ অপসারণসংক্রান্ত সক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।

    বিশ্লেষকদের মতে, এই তৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কদিন আগেই দেখা গেছে, যা বোঝায় তেহরান হয়তো উপগ্রহ নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা চালিয়েছিল। অন্য এক ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, ইরান হয়তো হামলার পূর্বাভাস আগেই পেয়েছিল এবং সে অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও উপকরণ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

    উল্লেখ্য, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে রোববার রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রতে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। যারমধ্যে রয়েছে ফর্দো, নাতানজ এবং ইসফাহান। সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।

    ট্রাম্প আরও লিখিছেন, মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রে ভারি বোমা ফেলেছেন তারা। হামলা চালানো বিমানগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রের পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইরান।

    দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি বলেন, আগেই আমরা তিনটি পরমাণু কেন্দ্র আগেই খালি করে ফেলেছিলাম। যদি ট্রাম্পের কথা সত্যি হয়ও আমরা বড় ধরনের কোনো ক্ষতির মুখে পড়িনি। কারণ পারমাণবিক উপকরণ আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

    সূত্র : আল জাজিরা, নিউজ উইক, সিএনবিসি

  • হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র

    হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর পরই দেশটির সঙ্গে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে প্রকাশ্য ও গোপন দুই মাধ্যমেই বার্তা পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। এমন তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। খবর সিএনএনের।

    রোববার (২২ জুন) পেন্টাগনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেগসেথ বলেন, আমি শুধু এটুকুই নিশ্চিত করতে পারি, প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগত- উভয় মাধ্যমেই একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে, যাতে তারা আলোচনার টেবিলে আসার সর্বোচ্চ সুযোগ পায়।

    তিনি আরও বলেন, তারা (ইরানি কর্তৃপক্ষ) স্পষ্টভাবে জানে, যুক্তরাষ্ট্র কী চাইছে এবং শান্তির জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ তাদের নেওয়া উচিত। আমরা আশাবাদী, তারা এই সুযোগ কাজে লাগাবে।

    সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর, ২২ জুন নির্ধারিত ষষ্ঠ দফার বৈঠক বাতিল করা হয়।

    এই অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানায় সিএনএন।

    বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘সংলাপ ও চাপের যুগপৎ কৌশল’ গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, একদিকে তারা ইরানকে কূটনীতির পথে টানার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে সামরিক চাপ সৃষ্টি করে আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে চাইছে।

    ইরানের পক্ষ থেকে এখনো প্রকাশ্যে মার্কিন আহ্বানে সরাসরি সাড়া মেলেনি। তবে দেশটির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, শর্তহীন আলোচনা নয়, বরং আস্থার পরিবেশ তৈরিই এখন মুখ্য।

    তারা মনে করছে, কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান দেখাতে হবে এবং অতীতের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিতে হবে।

  • ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া!

    ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া!

    ইউক্রেনের সামরিক বিমানঘাঁটি ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলার ঠিক পরেই, রুশ সেনারা যে অঞ্চলে পা রাখেন সেটাই মস্কোর অধীনস্থ হয়ে যায় বলে হুঁশিয়ারি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বিভিন্ন সাময়িক যুদ্ধবিরতির শর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন দু’দেশই একে অপরের জ্বালানি খাতে হামলা না করার বিষয়ে সমঝোতায় আসে। তবে এসবের কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করেই শনিবার (২১ জুন) ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও জ্বালানি কেন্দ্রে রাতভর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান, স্থল ও নৌ-ভিত্তিক উচ্চ প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্র এবং আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের সামরিক বিমানঘাঁটি এবং একটি জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় দাবি করে, দনবাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহে ব্যবহৃত একটি কেন্দ্র ছিল হামলার অন্যতম লক্ষ্য।

    ইউক্রেন জানায়, একরাতে প্রায় ২৮০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া, যার মধ্যে ২৬০টি ভূপাতিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানার পাশাপাশি, আবাসিক ভবন ও যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    এই হামলার মধ্যেই একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি দৃঢ়কন্ঠে জানান, রুশ সেনাদের পা যেখানে পড়ে, সেটাই রাশিয়ার অংশ। তিনি আরও বলেন, রুশ ও ইউক্রেনীয়রা একই জাতি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, গোটা ইউক্রেনেই রাশিয়ার অধিকার আছে বলে দাবি করেন তিনি।

    সুমি শহর দখলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি, যদিও সরাসরি পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন পুতিন।

    জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত রুশ সেনাদের মরদেহ ইউক্রেনীয় বলে পরিচয় দিচ্ছে। তিনি জানান, সম্প্রতি ফেরত পাওয়া কিছু মরদেহে রুশ পাসপোর্টও ছিল। জেলেনস্কির অভিযোগ, পুতিন নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছেন।

  • ইরানে অনুপ্রবেশ করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা! গোপনীয় স্থানে খামেনি

    ইরানে অনুপ্রবেশ করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা! গোপনীয় স্থানে খামেনি

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে অতি গোপনীয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে শীর্ষ একটি ইউনিট সুরক্ষা দিচ্ছে। গোপন রাখা হয়েছে তাদের পরিচয়। এমনকি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও জানেন না ওই শীর্ষ ইউনিটে কারা রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।

    এদিকে, ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা দেশটির বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশ করেছে। এ কারণেই এই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

    এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ‘খামেনি বাংকারে নেই। তবে তার জীবন বিপদের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ একটি ইউনিট তার সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে কেউ অবগত নন। এটি করা হয়েছে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর স্বার্থে।’

    খামেনি বহু আগে থেকেই বলে আসছেন, ইসরায়েল তার প্রাণ হরণের চেষ্টা করতে পারে। সম্প্রতি ইসরায়েল হামলা চালিয়ে অন্তত ১১ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করায় খামেনির প্রাণনাশের ঝুঁকি অন্য সময়ের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন বলছে, গত বৃহস্পতিবার বির শেভা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে খামেনির মৃত্যু চাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু খামেনিকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি বাতিল করছেন না। তিনি মনে করছেন, এটা ঘটলে এই সংঘাতের অবসান হতে পারে।

    ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ খামেনিকে ‘আধুনিক হিটলার’ তকমা দিয়ে বলেছেন, ‘তাকে বাঁচতে দেওয়া চলে না।’ এর আগে খবর এসেছিল, খামেনিকে ইসরায়েল হত্যা করতে চাইলেও তাতে সায় দেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    ট্রাম্পও একাধিকবার হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি কোথায় কথিত সেই সর্বোচ্চ নেতা লুকিয়ে আছেন।’

    তবে ট্রাম্প এটিও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এখন খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই। আপাতত এখন এ রকম কিছু করা হচ্ছে না। তবে তিনি (ট্রাম্প) যদি মত পরিবর্তন করেন তাহলে খামেনি খুব ‘সহজ লক্ষ্য’ হয়ে উঠতে পারেন।

    ইরানের ৮৬ বছর বয়সী নেতা খামেনি তেহরানের ডিস্ট্রিক্ট ১১-এর লিডারশিপ হাউস কমপ্লেক্সে বসবাস করছিলেন। তবে এখন যে ভিডিওগুলো প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলো দেখে মনে হয় তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।

    তিনি এখন কথা বলেন বাদামি একটা পর্দার সামনে বসে। কখনো তার পেছনে ইরানে ১৯৭৯ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানো আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির ছবি থাকে। সচরাচর তিনি যে পরিবেশে থেকে বক্তব্য দেন, তার সঙ্গে এই পরিবেশের পার্থক্য আছে।

    ভিডিও বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ভিডিও বক্তব্য মধ্য তেহরানের আইআরজিসির গণমাধ্যম কেন্দ্রে ধারণ করা হয়েছে। এতে এমনটাও ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আশপাশে কোথাও বসবাস করছেন বা ওই ভবনের নিচেই কোথাও আছেন।

    তেহরানে সাম্প্রতিক সময়ে রহস্যজনকভাবে বেশ কয়েকটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উচ্চপদস্থ অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে খামেনি গাড়িতে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করবেন, এমনটা মনে করা হচ্ছে না।

    খামেনির সতর্কতা অবলম্বন করাটা স্বাভাবিক বলে মনে করছে দ্য টেলিগ্রাফ। কারণ, ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য দেশে গিয়ে হত্যা এবং অপহরণের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই ১৯৬০ নালে আর্জেন্টিনা থেকে হলোকাস্ট-খ্যাত অটো অ্যাডলফ আইখম্যানকে অপহরণ করেছিল তারা।

    ‘প্রথমে হত্যা’ নীতিতে বিশ্বাসী ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। বিষয়টি যে শুধু তাদের সামরিক নথিতে রয়েছে তা নয়। এটি তাদের ধর্মীয় শিক্ষার মধ্যেও রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ।

    মোসাদ সাধারণত নিজেদের অভিযানের বিষয়ে জানায় না। তবে অন্তত ডজনখানেক রাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থাটি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব দেশের মধ্যে ইউরোপেরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র রয়েছে। গত বছর লেবাননেও দূর থেকে পেজার ও ওয়াকিটকির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজবুল্লাহর অনেক সদস্যকে হত্যা করে মোসাদ। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

  • হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত ইরানের, বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক

    হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত ইরানের, বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক

    যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক সংসদীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ইসমাইল কোসারি জানিয়েছেন, মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা কৌশল হিসেবে পার্লামেন্টের সদস্যরা হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে একমত হয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

    কোসারি বলেন, ‘আমরা এই প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তবে বাস্তবায়নের ক্ষমতা নিরাপত্তা পরিষদের হাতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি একটি প্রয়োজনীয় ও কৌশলগত জবাব।’

    পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে ১৭ থেকে ১৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয়, যা বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ। এই পথেই কাতারসহ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে বিপুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) রপ্তানি হয়।

    বিশ্লেষকদের মতে, প্রণালি বন্ধ হলে তেলের দামে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে—এক সপ্তাহের মধ্যেই মূল্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বিকল্প পরিবহনপথ ব্যয়বহুল হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চাপে পড়বে, অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানে ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্পাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পরপরই এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

  • হাঠাৎ করে দেশের প্রস্তিতি নিয়ে একি বললেন: সেনাপ্রধান

    হাঠাৎ করে দেশের প্রস্তিতি নিয়ে একি বললেন: সেনাপ্রধান

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সততা, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

    আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    সেনা প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী অত্যন্ত সুসজ্জিত একটি বাহিনী।

    দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

    কুচকাওয়াজের শুরুতে সেনাপ্রধান জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং এরপর নবীন কর্মকর্তাদের আটটি প্লাটুন তাকে সালাম জানায়। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেনাবাহিনী প্রধান। অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যৌথ প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া; কিন্তু তেহরান তখন সে বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি। এমনটা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বৃহস্পতিবার রুশ বার্তা সংস্থা তাস আয়োজিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রধানদের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

    পুতিন বলেন, ‘আমরা একসময় আমাদের ইরানি বন্ধুদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তখন আমাদের অংশীদাররা বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখাননি।’

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৌশলগত চুক্তির সময়ে ইরানকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    পুতিন বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের (ইরান) সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে চুক্তিতেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো ধারা ছিল না। এটা দ্বিতীয় বিষয়। তৃতীয় বিষয় হলো, আমাদের ইরানি বন্ধুরাও আকাশ প্রতিরক্ষা চাইছে না। বাস্তবতা হলো, এ নিয়ে আলোচনার মতোও কিছু নেই।’

    গত মে মাসে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি অনুমোদন করে ইরানের পার্লামেন্ট। পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ১৭ জানুয়ারি এই কৌশলগত দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন।

    এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইরানে মার্কিন এই হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে মস্কো।

    রোববার (২২ জুন) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো যুক্তিই দেখানো হোক না কেন, একটি সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর মতো এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

    বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি ‘অত্যন্ত’ বাড়িয়ে দিয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানের যে তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলো হলো౼নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান। এগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু, যেগুলোর ওপর আগেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল।

    স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে ইসরায়েলের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইরানের ৩টি উচ্চ-নিরাপত্তাসম্পন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

    হামলার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এই হামলার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরান নিজেদের সুরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে।’

  • সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্তে ৩ দলের দ্বিমত : আলী রীয়াজ

    সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্তে ৩ দলের দ্বিমত : আলী রীয়াজ

    একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন; ঐকমত্য কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে তিন রাজনৈতিক দল দ্বিমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

    রোববার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।

    অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সারাদিন আলোচনায় আমরা দুটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এর একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আরেকটি হচ্ছে সংবিধানের রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমরা সুস্পষ্ট এক জায়গায় এসেছি। একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এরকম একটি জায়গায় আসার পরে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে তিনটি দল ভিন্নমত পোষণ করে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। তারা তাদের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আবার আলোচনার কথা বলেছে। তারা মনে করে এই বিষয়ের সঙ্গে অন্য বিষয় যুক্ত-বিশেষ করে এনসিসি গঠন ও উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠন হবে। ওইসব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করবে।

    অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সারাদিন আলোচনায় আমরা দুটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এর একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আরেকটি হচ্ছে সংবিধানের রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমরা সুস্পষ্ট এক জায়গায় এসেছি। একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এরকম একটি জায়গায় আসার পরে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে ৩টি দল ভিন্নমত পোষণ করে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। তারা তাদের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আবার আলোচনার কথা বলেছে। তারা মনে করে এই বিষয়ের সঙ্গে অন্য বিষয় যুক্ত-বিশেষ করে এনসিসি গঠন ও উচ্চকক্ষ কিভাবে গঠন হবে। ওইসব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করবে।

    তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আলোচনা করে যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ৩টি দল বাদে সবাই এক জায়গায় পৌঁছেছে। আমরা আশা করি এ বিষয়ে সবাই একমত হতে পারবে। আমরা আশা করি সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারব। ৩টি দল হলো- বিএনপি, এনডিএম ও বিএলডিপি। এই বিষয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন কারণে মতপার্থক্য আছে।

    দ্বিতীয় আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে – সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দলের সেন্টিমেন্ট ও অবস্থান বিবেচনা করে ঐকমত্য কমিশন থেকে একটি প্রস্তাব হাজির করা হবে। কী আলোচনা হয়েছে তার প্রতিফলন একটি প্রস্তাব হাজির করা হবে। যাতে করে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার ও গণতন্ত্র সংবিধানে উল্লেখ করা বা অন্যভাবে যুক্ত করা তখন বিবেচনা করা এবং কমিশন থেকে একটা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব লিখিত আকারে তুলে ধরা।

    এই রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে আগামী দুই দিন বৈঠক মূলতবি করে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনুরোধ করেছে আগামী দুই দিন বৈঠক মুলতবি করার জন্য। দলগুলো তাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে চায়। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসিত করতে পারব।