Author: admin

  • চীনে ঢুকলো বাংলাদেশের আম

    চীনে ঢুকলো বাংলাদেশের আম

    বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান ড. ইউনূসের শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ
    প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একটি আমের চালান গ্রহণ করল চীন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ থেকে তিন টন তাজা আমের একটি চালান চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের চাংশায় পৌঁছায়। যা বাংলাদেশ থেকে চীনের প্রথম আম আমদানির ঘটনা।

    সেখানে পৌঁছানোর পর, চাংশা হুয়াংহুয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে শিপিং লেবেল, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট যাচাই করেন এবং প্যাকেজিং এবং ফলের মান ও আকার পরিদর্শন করেন।

    কোনও ধরনের অস্বাভাবিকতা না থাকায় চালানটি খালাস করা হয়। ভৌগোলিকভাবে আম উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ বিখ্যাত। এখানকার আমের আকার, উচ্চ চিনির পরিমাণ এবং সমৃদ্ধ ফুল ও সুবাসের জন্য পরিচিত। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হুনান বাবাইলি হোল্ডিং গ্রুপ জানিয়েছে, বাংলাদেশের আম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সুপারমার্কেট এবং চীনজুড়ে তাজা আম চেইনের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
    মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে আম রফতানি হতো বাংলাদেশ থেকে। আমদানিকারক প্রথম বছরে চীনে ১০০ টনের বেশি আম নেবে বলে জানিয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, চীন বাংলাদেশ থেকে তাজা আম আমদানির অনুমোদন পায়।

    আমের এই চালানটি বাধাহীনভাবে প্রবেশ করত, চাংশা কাস্টমস কোয়ারেন্টাইন অনুমোদন সহ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ডসহায়তা প্রদান করে। বিমানবন্দরে, ‘ফ্রেশ এক্সপ্রেস’ দল সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে। কাস্টমাইজড ক্লিয়ারেন্স করা হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে।

    কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মতে, বাংলাদেশ ২০২৫ সালে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন টন আম উৎপাদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার টন রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে ‘আমের রাজধানী’ নামে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রাসায়নিকমুক্ত উন্নত মানের আমের জন্য বিখ্যাত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশে রাসায়নিক কীটনাশকের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে চীনা ব্যাগিং প্রযুক্তি স্থানীয় আম চাষিরা ব্যবহার করছে।

    ২০২৪ সালে, চীনের ফলের বাণিজ্যে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ফলের রফতানি ৮.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা এর আগের বছরের তুলনায় ২০.৯ শতাংশ বেশি। যেখানে আমদানি মোট ১৯.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ছয় শতাংশ বেশি। এই বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০তম বার্ষিকী পালন হচ্ছে।

  • হয় বিজয় আমাদের ঘোষণা করে দেন, না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করব

    হয় বিজয় আমাদের ঘোষণা করে দেন, না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করব

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “যে দলের নেতারা এ কথা বলতে পারে—‘হয় আপনারা ডেট দেন, না হলে আমরা দিয়ে দেব’, তারা তো প্রতিটি কেন্দ্রে এই ভাষাই ব্যবহার করবে। তারা বলবে, ‘হয় বিজয় আমাদের ঘোষণা করে দেন, না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করব।’”

    তিনি বলেন, “এই দল তো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আর বিকেল পাঁচটা পর্যন্তও অপেক্ষা করবে না—সকাল দশটার মধ্যেই নিজেদের বিজয় ঘোষণা করে দেবে।”

    তিনি আরও বলেন, “এই আশঙ্কা থেকেই আজ দেশের জনগণ বলছে—আগে বিচার করতে হবে, সংস্কার করতে হবে, তারপর নির্বাচন দিতে হবে। না হলে এই যে হুমকি, এই যে থ্রেট আপনারা দিচ্ছেন—এমন তো আমরা আওয়ামী লীগের আমলেও শুনিনি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরাও এতটা বাজে কথা বলেনি। তারা অন্তত সংবিধানের কথা বলেছে, আদালতের দোহাই দিয়েছে। কিন্তু এতটা আপত্তিকর ও বিব্রতকর কথা মানুষকে শুনিয়ে দেয়নি।”

  • মুখে কালশিটে দাগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক, ঘুষি মারল কে!

    মুখে কালশিটে দাগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক, ঘুষি মারল কে!

    প্রযুক্তি দুনিয়ার আলোচিত ব্যক্তি ইলন মাস্কের মুখে কালশিটে দাগ দেখে সবাই অবাক। কিন্তু এই কালশিটের পেছনে কোনো বড় দুর্ঘটনা নয়, বরং ‘মজার ছলে’ তার ছোট ছেলের ঘুষি দায়ী— এমনটাই জানালেন ইলন মাস্ক নিজেই। পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ‘এক্স’ সত্যিই ঘুষি মারে, আর সেটাই চোখে দাগের কারণ।

    তবে মাস্কের এই উপস্থিতি চাপা পড়ে যায় আরেকটি বিতর্কে।

    নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় মাস্ক নাকি অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক গ্রহণ করেছিলেন। এ নিয়ে এখনো মাস্ক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। তবু সংবাদ সম্মেলনের মূল আলোচ্য ছিল মাস্কের মুখের দাগ। আর তিনি সেটা ঘুরিয়ে দেন শিশুপুত্রের এক ঘুষির রসিক গল্পে।

    এই মন্তব্যগুলো এসেছে একটি সংবাদ সম্মেলনে, যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন মাস্কও। কারণ, এটি ছিল মাস্কের তথাকথিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-তে শেষ দিন। সরকারি খরচ কমানোর জন্য তিনি এই দপ্তরের প্রধান ছিলেন, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তবুও তিনি জানিয়েছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও উপদেষ্টার ভূমিকায় তিনি থাকবেন।

    ৫৩ বছর বয়সী এই টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান বলেন, ‘আমি শুধু ছোট ‘লিটল এক্স’-এর সঙ্গে মজা করছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলো, আমাকে ঘুষি মারো। আর ও সত্যিই মারল।’

    তিনি আরো বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো, মাত্র পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলের ঘুষিও যে সত্যিই লাগতে পারে…!’ — এই কথা বলেই থেমে যান মাস্ক। তিনি বলেন, ‘তখন তেমন কিছু অনুভব করিনি, কিন্তু পরে বুঝলাম, জায়গাটা জখম হয়ে গেছে।

    ডান চোখের নিচে কালশিটে, তবু ট্রাম্পের চোখে পড়েনি

    মাস্কের ডান চোখের নিচে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কোনো দাগ খেয়াল করিনি।’ তবে যোগ করেন, ‘তোমরা যদি এক্স-কে ( ছেলে) চেনো, তাহলে বুঝতে পারো ও এটা করতে পারে!’

    মাস্কের ছেলে এক্সকে মাঝে মাঝেই হোয়াইট হাউসে দেখা যেত, যখন তার বাবা ডিওজিই-এর প্রধান ছিলেন এবং সরকারি খরচে বড় ধরনের কাটছাঁট চালাচ্ছিলেন। এমনকি ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে মাস্কের প্রথম উপস্থিতির সময় তাকে কাঁধে বসিয়ে এনেছিলেন এবং প্রেসিডেন্টের ডেস্কের পাশে নাক খোঁটানোর দৃশ্যও ভাইরাল হয়।

    রসিকতা ম্যাখোঁকে নিয়েও

    সংবাদ সম্মেলনে যখন সাংবাদিকরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর স্ত্রীর একটি ভিডিও সম্পর্কে জানতে চান— যেখানে ম্যাখোঁর স্ত্রী ম্যাখোঁর মুখে ধাক্কা দেন— তখন মাস্ক মজার ছলে বলেন, ‘আমার মুখেও একটু দাগ আছে!’ ডিওজিই লেখা বেসবল ক্যাপ ও ‘দ্য ডিওজিই ফাদার’ লেখা টি-শার্ট পরিহিত মাস্ক বারবার মজার ছলে বলেন, ‘আমি তখন ফ্রান্সের কোথাও ছিলাম না।’

  • জন্মদাত্রী মায়ের ঠাঁই মুরগির খোপে! সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন পটুয়াখালীর নুরজাহানের

    জন্মদাত্রী মায়ের ঠাঁই মুরগির খোপে! সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন পটুয়াখালীর নুরজাহানের

    পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউকাঠী গ্রামে ঘটেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। যে মা এক সময় বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে সন্তানদের মানুষ করেছেন, সেই মা নুরজাহান বেগম এখন আশ্রয় নিয়েছেন একটি পুরনো মুরগির খোপে। বছরের পর বছর ধরে স্যাতস্যাতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন এই জনমদুঃখিনী মা।

    মুরগি রাখার ওই খোপটিতে নেই কোনো কাঁথা, বালিশ বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা। সেখানে কোনোরকমে বসে থাকেন নুরজাহান বেগম। মাঝে মাঝে খাবারের আশায় চিৎকার করলেও, কেউ তাঁর ডাকে সাড়া দেন না।

    স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধা মাকে প্রতিদিন সকালে মুরগির খোপে রেখে সন্তান ও পুত্রবধূরা কাজে চলে যান। ঘরটি তালাবদ্ধ করে তারা দিনভর অনুপস্থিত থাকেন। সারাদিন নিরুপায় নুরজাহান বেগম খাবারের আশায় বাড়ি থেকে বাড়ি ছুটে বেড়ান নড়বড়ে শরীর নিয়ে।

    সম্প্রতি পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায় এবং হাত ভেঙে যায় তাঁর। সারা দিন ধরে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। একটু পানি চাওয়ার জন্য তীব্র আর্তনাদ করলেও, শোনার মতো কেউ নেই পাশে।

    বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির কারণে তাঁর থাকার জায়গার চারপাশে জমে আছে জোয়ারের পানি। এতে তাঁর মধ্যে কাজ করছে অজানা আতঙ্ক।

    দশ মাস দশ দিনের যন্ত্রণা, সন্তানদের না খেয়ে খাইয়ে বড় করা, তাদের শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বড় করে তোলার পরও শেষ বয়সে এমন নির্মম পরিণতি! মানবিকতার এই চরম অবক্ষয়ের ঘটনায় নুরজাহান বেগমের দুই সন্তানের কাছে জানতে চাইলেও তারা কারো নাগালে পাওয়া যায়নি।

  • দুই মণ গাঁজাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    দুই মণ গাঁজাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এক ছাত্রদল নেতা আটক হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাসেল মাহমুদ। তিনি উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক। তাকে আটক করেছেন র‌্যাব-১০-এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

    জানা গেছে, আটক রাসেল শশীদল ইউনিয়ন বাগড়া গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে। তার সঙ্গে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন— ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শশীদল ইউনিয়ন মানরা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. ইউসুফ, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ছাতিয়ানি গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে সুজন, একই উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাব্বির। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।

    র‌্যাব জানায়, ঢাকার শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে আটক করা হয়। এ সময় ৮২ কেজি গাঁজাসহ তার সহযোগী তিনজন এবং একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ ভূঁইয়া আমার দেশকে বলেন, ‘মাদকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি সঠিক। আমরা আজ রাতেই তাকে বহিষ্কার করব।’

  • ‘বিএনপি ফু দিলে এনসিপিসহ বাকি সব দল বাতাসে উড়ে যাবে’

    ‘বিএনপি ফু দিলে এনসিপিসহ বাকি সব দল বাতাসে উড়ে যাবে’

    বিএনপির নেতা আ. খালেক বলেছেন, আজ এনসিপির ছোট ছোট বাচ্চারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তারা বিএনপিকে ভয় দেখায়। আরে বাংলাদেশে গতকাল যে জনসভা হলো, মাত্র ৩ টা সংগঠনের সভা, ৫০ লক্ষ লোক হলো; তারা ফু দিলে তোমাদের এনসিপি আর বাংলাদেশের বাকি সব দল কোথায় উড়ে যাবে বাতাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, এনসিপি হলো বাংলাদেশ চিলড্রেন পার্টি। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, ‘মৌমাছি মৌমাছি/কোথা যাও নাচি নাচি/দাঁড়াও না একবার ভাই/ঐ ফুল ফোটে বনে/যাই মধু আহরণে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ এনসিপি এখন বলে, ‘এনসিপি এনসিপি/কোথা যাও চুপি চুপি/ দাঁড়াও না একবার ভাই/টাকা পাই যেই খানে/ যাই মোরা সেই খানে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।

    এনসিপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে বিএনপির একটা ওয়ার্ডের নেতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন কর, তারপরে স্বপ্ন দেখ।

    আমরা চাই তোমরা আমাদের সঙ্গে থাকো। ছোটো ছেলে, বাচ্চা ছেলে, অনেক কিছু আবেগ দিয়ে বলে ফেল।
    তিনি বলেন, আমাদের ৬০ লক্ষ নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। তারা বন্দুকের গুলির সামনে আন্দোলন করেছেন।

    বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এই ৬০ লক্ষ বাঘ যদি একবার ডাক দিয়ে ওঠে তাহলে ইউনূস আপনি কিন্তু ফানুস হয়ে উড়ে যাবেন।
    প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনি নোবেল পেয়েছেন, আপনাকে সম্মান দিতে চাই। সম্মান রক্ষা করে ডিসেম্বরেই ভালোই ভালো নির্বাচন দিয়ে দেন। আর ভোট করার করার ইচ্ছা থাকলে আসেন নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট হোন, মেনে নেব, সমস্যা নাই।

    আর পায়তারা করে ভোট বানচালের চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না।
    এ সময় সরকার, এনসিপি ও জামায়াতের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন বিএনপির এ নেতা।

  • আর কখনও নির্বাচন হবে না

    আর কখনও নির্বাচন হবে না

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যদি ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন না হয়, তবে এই দেশে আর কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের টালবাহানা করছে এবং পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।

    মির্জা আব্বাস বলেন, “ডিসেম্বরেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ মূলত বিদেশি প্রভাব ও স্বার্থে পরিচালিত হবে। আমরা সেটা চাই না। দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার স্বার্থেই ডিসেম্বরে নির্বাচন অত্যাবশ্যক।”

    তিনি বলেন, “ড. ইউনূস সাহেবকে আমরা অনেক আগ্রহ নিয়ে পাশে থাকার শর্ত দিয়েছিলাম, এখনো দিচ্ছি। কিন্তু তিনি বিএনপিকে তার মুখোমুখি করে ফেলেছেন। তিনি জাপানে বসে বিএনপি-বিরোধী অবস্থান প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, একমাত্র বিএনপিই নির্বাচন চায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা তিনিই প্রথম বলেছিলেন।”

    আব্বাস বলেন, “আমরা যখন বের হই, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ড. ইউনূস সাহেবের প্রেস সেক্রেটারি বলেন জুন মাসে নির্বাচন হবে। তাহলে এটা কীভাবে এক কথা হয়? এসব বিভ্রান্তিকর কথা বলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন না।”

    তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ। “মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, পরনের কাপড় নেই, সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। অথচ এই দুঃসহ অবস্থার কোনো সঠিক চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে না,” বলেন তিনি।

    টার্মিনাল প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনাল আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা নিয়ে তৈরি হয়েছে। এটা আমরা বিদেশিদের হাতে তুলে দেব কেন? বিদেশিরা এখানে এসে শুধু লাভই করবে, কিন্তু সেই অর্থ দেশে থাকবে না। তাই দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখান, বিদেশিদের প্রতি অন্ধ প্রেম নয়।”

    বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যেমন ছিলাম তেমনই থাকতে চাই— ভালো হতে চাই, খারাপ না। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, আমরা নিজেরা আমাদের দেশ গড়ে তুলতে চাই।”

  • রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

    রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

    আজ রাতের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১০ জেলায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুপুরে আবহাওয়া অধিতপ্তরের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

    পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো
    হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এ ছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

  • নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হবেন বলে ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ নিপা। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, নায়িকা হয়েই ঘরে ফিরবেন। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

    ‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব আলোর মুখ দেখেনি। হতাশা কাটাতে নিপা তার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করেন। এদিক সেদিক থেকে ম্যানেজ করে ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে নিজেই প্রযোজক হয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

    আসছে ঈদে নিপার নায়িকা হওয়ার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি জানালেন, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নায়িকা হয়েছেন। তার অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘বড্ড ভালোবাসি’, পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসি।

    তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জেদ করেছিলেন। সেই জেদ পূরণ করছেন। ১৫ বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছেন সুলতানা রোজ নিপা। সোমবার দুপুরে নিপার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে আলাপ হচ্ছিল তার কথাগুলো শুনে কোনো সিনেমার গল্প মনে হচ্ছিল! আলাপকালে তিনি অনেক কথাই না লিখতে অনুরোধ করেন।

    চ্যানেল আই অনলাইনকে সুলতানা রোজ নিপা বলেন, নায়িকা হওয়ার জন্য কত শ্রম দিয়েছি সেগুলো ‘অন রেকর্ড’ বলা সম্ভব না। কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। পরে নিজেই প্রযোজনা করে ‘বড্ড ভালোবাসি’ নির্মাণ করেছি। ছবির মালিকানা পুরোটা আমার।

    এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। নিপার ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন।

    বললেন, আমার আব্বু মা.রা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী এসবের আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মুক্তি দিতে গিয়েও ‘ফিল্ম পলিটিক্সি’-এ পড়ি।

    ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকলেও নিপা জানেন না তার প্রযোজিত ‘বড্ড ভালোবাসি’ কত সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। বললেন, মানুষগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে এরা কাকরাইলের গ্রুপ। আমাকে প্রলোভনে ফেলে পলিটিক্স করছে। তারা সিনেমারই মানুষ। শুরুতে বলছিল আমার ছবির সুন্দর পরিবেশনা করবে।

    কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যাতে মুক্তি না দেই সেই চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ঈদের পর ডিসট্রিবিউট করে কোটি টাকা তুলে দেবে! আমাকে অন্য ছবিতে কাজের সুযোগ দেবে। আমি তাদের প্রলোভনে পড়তে চাই না আমি ছবি মুক্তি দেবই! ঈদে ছবি মুক্তি দেয়ার জন্য গত তিন বছর এই ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছি। দুই-চারটি সিনেমা হল পেলেও আমি মুক্তি দেব।

    ‘বড্ড ভালোবাসি’রর প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো। আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে।

    আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি। শারীরিক মানসিক আর্থিক সবদিক থেকে ‘বড্ড ভালোবাসি’ বানাতে গিয়ে কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে এই ছবিটা সবচেয়ে দামি। এর জন্য আমি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখনও পর্যন্ত একটি টাকা তুলতে পারিনি বা কোনো স্পন্সর পাইনি। সুলতানা রোজ নিপা বলেন, কয়েকটি হলে কথা বলা ছিল তাও মৌখিক। হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে জানতে পারব হল ক’টি পাচ্ছি।

    নিপার কাছে প্রশ্ন ছিল ছবির জন্য লগ্নী করা এই ৮৬ লাখ টাকা কোথায় পেলেন? উত্তরে নিপার স্বরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে, গার্মেন্টস এর টুকটাক ব্যবসা করি। পারিবারিক কিছু জমি ছিল সেখান থেকে বিক্রি করে ছবি বানিয়েছি। এই ছবিটি বানাতে গিয়ে আমাকে অনেকেই ঠকিয়েছে।

    বাধ্য হয়ে তাদের নামও বলতে পারছি না। যারা আমাকে ঠকিয়েছে তাদের বিচার উপরওয়ালার কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর নিজের টাকা দিয়ে ছবি বানাবো না। এতদিন রীতিমত যুদ্ধ করেও মনের শান্তি মত কাজ করতে পারিনি। তবে যদি আমাকে কেউ ভালো কাজে নেয় তাহলে করবো।’

  • কৌশলে নাম পাল্টিয়ে মাসুদ রানা থেকে আজ শাকিব খান!

    কৌশলে নাম পাল্টিয়ে মাসুদ রানা থেকে আজ শাকিব খান!

    ১৯৯৮ সালে নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার আমন্ত্রণে সায়েদাবাদে তার ড্যান্স একাডেমিতে যাবার পর সুদর্শন যে তরুণটি হাত বাড়িয়ে বলেছিলেন ‘আমি মাসুদ রানা’, তিনিই আজকের শাকিব খান!

    ঢাকাই সিনেমার সিংহাসনে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে বসে আছেন শাকিব। বছরের ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে সবসময় এগিয়ে থাকে তার ছবি। তাকে ভালোবেসে কেউ কেউ ঢালিউড কিং বলে ডাকেন।

    ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চে তিনি নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী গ্রামে।

    শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। শাকিব খানের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসা, বিনোদনের প্রতি নিজের ভালোলাগা, সবকিছু মিলিয়েই এখন তিনি বেশ আনন্দের সঙ্গে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আফতাব খান টুলুর পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। ছবিটির শুটিং চলাকালীনই শাকিব খানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের মাঝে। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। সিনেমা হলে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায়।

    এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। কিন্তু এ ছবিটি শাকিবকে নায়ক হিসেবে খ্যাতি এনে দিতে না পারলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যবসাসফল সিনেমার কারণে তিনি দ্রুত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় নায়ক হয়ে ওঠেন।

    অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

    ঢালিউডে একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে শাকিবের উত্থানটা ২০০৮ সালের দিকে। তারপর থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক তিনি। তাকে ঘিরেই এখানে টাকা লগ্নি হয়; ব্যবসার বীজ বোনেন প্রযোজক-হল মালিকরা। অনেক নতুন মুখ আসে আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শাকিব বহাল তবিয়তে রাজার আসনে বসে আছেন বাংলা ছবির নায়কদের রাজত্বে।

    সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীণ-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন শাকিব। নায়ক হয়েছেন মৌসুমী-শাবনূর থেকে শুরু করে আজকের নবাগতা কয়েকজন নায়িকার সঙ্গেও। তার ক্যারিয়ারে মোট নায়িকার সংখ্যা ৬৪ জন। তালিকায় আছেন রচনা ব্যানার্জি, স্বস্তিকা ব্যানার্জি, নুসরাত জাহান, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, সায়ন্তিকা, শ্রাবন্তীর মতো কলকাতার নায়িকারাও।

    ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন তিনি। দেশের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পীদের সম্মানহানি করা মন্তব্য করে চলচ্চিত্র পরিবারে বয়কট ছিলেন অনেকদিন। বিবাদে জড়িয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুকসহ আরও অনেক সিনিয়র জুনিয়রদের সঙ্গেই। অনেক প্রযোজকের শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। দুই একজন তার প্রতিবাদও করেছেন। কেউ কেউ মামলার হুমকি ধামকিও দিয়েছেন। তবে সবকিছুই শাকিব খান নিয়ন্ত্রণ করেছেন কৌশলে।