Author: admin

  • ডিসেম্বরের ওপর জেদ ধরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার মানে হয় না : ডা. তাহের

    ডিসেম্বরের ওপর জেদ ধরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার মানে হয় না : ডা. তাহের

    জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে জামায়াতের কোনো আপত্তি নাই। তবে তার আগে যদি মৌলিক সংস্কার শেষ হয়। কিন্তু সংস্কার শেষ হতে যদি আরও দুই মাস বেশি লাগে, তাহলে ডিসেম্বরের ওপর জেদ ধরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার মানে হয় না। সুতরাং, নির্বাচন ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হোক জামায়াতের আপত্তি থাকবে না।

    শনিবার (৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ’ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ডা. তাহের বলেন, সরকারের কাছে আমরা দুটি বিষয়ে রোডম্যাপ চেয়েছি। একটি নির্বাচনের, আরেকটি সংস্কারের। এটা আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) আপনার মতো করেই ঘোষণা করুন। তাতেই আমি মনে করি পরিস্থিতি প্রশমিত হবে। এক মাস বা দুই মাসের পার্থক্য এ দেশের জনগণ মেনে নেবে। তবে ডিক্লারেশনটা অত্যন্ত প্রয়োজন, কারণ আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। রোডম্যাপের ডেট বা মাস ডিক্লার করলে এ আস্থার সংকট কমে যাবে।

    তিনি বলেন, আমাদের ভূমিকা এমন হওয়া উচিত হবে না, যেন এ দেশের মানুষ আবার হতাশ হয়ে যায়। আবার শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা হয়। সেই নারী, শিশু, সর্বসাধারণ, রিকশাওয়ালা, ঠেলাগাড়িওয়ালা নিঃস্ব মানুষেরা যে আত্মত্যাগ করে মহান বিজয় অর্জন করেছিলেন, তাদের সেই ত্যাগ এবং রক্ত যেন বৃথা না যায়। এ জাতি বার বার সংগ্রাম করলেও কতিপয় নেতৃত্ব এবং লোভী মানুষের কারণে বঞ্চিত হয়েছিল, প্রতারিত হয়েছিল।

    তিনি আরও বলেন, মানুষ আশা করে, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভেতরে এই চেতনাবোধ হবে। এই ভূমিকায় তারা উত্তীর্ণ হবে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। আমরা কোনো বৈশক্তির কাছে মাথা নত করব না। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন করব। এখানে আমাদের ধৈর্যের প্রয়োজন, ত্যাগি মনোভাবের প্রয়োজন। এখানে ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ বড় হোক। এটাই রাজনীতি এবং রাজনীতিবীদদের প্রধান স্লোগান হতে হবে।

    ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। যে জাতি ৪৭-এ স্বাধীনতা এনেছে, ৫২-এর ভাষা অধিকার সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারা আবার ৭১ সালে এক হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জীবন, রক্ত ইজ্জত বিলিয়ে দিয়ে আরেকবার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আবার জুলাই-আগস্টে সবার অংশগ্রহণে এক মহাগণঅভ্যুথানের মাধ্যমে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছে। তারা আবার একাত্ম হয়ে জাগ্রত জনতার ব্যানারে সব ষড়ন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেবে এবং আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

    চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মু. মাহফুজর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইনের পরিচালনায় দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক উপজেলা আমির ভিপি সাহাব উদ্দিন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ফজলুর রহমান মজুমদার, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহীমসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • বিমানের টয়লেটে নগ্ন নাচ, আসনে আটকে অবতরণের পর ক্রু গ্রেপ্তার

    বিমানের টয়লেটে নগ্ন নাচ, আসনে আটকে অবতরণের পর ক্রু গ্রেপ্তার

    বিজনেস ক্লাস ফ্লাইটের টয়লেটে নগ্ন হয়ে নাচতে দেখা যাওয়ার পর এক স্টুয়ার্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়নকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দ্য সান জানিয়েছে।

    খাবার পরিবেশনের সময় ক্রু সদস্যরা ওই স্টুয়ার্ডের অনুপস্থিতি লক্ষ করেন।

    পরে তাকে খুঁজে বের করে ক্লাব ওয়ার্ল্ড (বিজনেস ক্লাস) ক্যাবিনের টয়লেটে অপ্রকৃতস্থ ও নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে প্রথম শ্রেণির পায়জামা পরিয়ে একটি বিলাসবহুল আসনে আটকে রাখা হয় এবং বাকি ১০ ঘণ্টারও বেশি যাত্রাপথে তিনি সেখানেই ছিলেন।
    বিমান অবতরণের পর তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এয়ারবাস এ৩৮০-তে তখন প্রায় ৪৭০ জন আরোহী ছিল এবং ওই স্টুয়ার্ডের অনুপস্থিতির কারণে তার সহকর্মীদের কোনো বিরতি ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে হয়।

    ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট স্টুয়ার্ডকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি এখন পুলিশের তদন্তাধীন। বিষয়টি পুলিশের বিষয় এবং তারা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না।

    এক কর্মী দ্য সানকে বলেন, “আমরা মনে করছি, সে হয়তো ওষুধ খেয়েছিল, অথচ তখন তার ডিউটি চলছিল। এটি একেবারেই অস্বাভাবিক আচরণ।

    বিমানটি তখন আটলান্টিকের ওপরে ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল, কিন্তু এই লোকটা যেন বাকিদের চেয়েও ‘উচ্চতায়’ ছিল। যাত্রীদের ‘চিকেন না বিফ’ জিজ্ঞেস করার বদলে সে টয়লেটে গিয়ে পোশাক খুলে নাচছিল। তাকে খুঁজে বের করতে অনেক সময় লেগেছে এবং সে পুরোপুরি বেহুঁশ ছিল।”
    তিনি আরো বলেন, ‘এটা কেবল বিপজ্জনকই নয়, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে নিজের ক্যারিয়ার শেষ করার একেবারেই পাগলামিপূর্ণ উপায়। এই পেশা মানুষকে অনেক সময় অদ্ভুত জায়গায় নিয়ে যায়, কিন্তু ক্লাব ওয়ার্ল্ডের টয়লেটে একা ডিস্কো করা—এটা আমার আগে কখনো শোনা হয়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কর্মীদের একাধিক অনিয়মের ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, যা ক্রুদের আচরণ ও বিমানসংক্রান্ত নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    সূত্র : এনডিটিভি

  • হঠাৎ যে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

    হঠাৎ যে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

    আজ থেকে আর তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে গ্যাস সংকট থাকবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

    শনিবার (৩১ মে) সকালে সাভারের আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার নতুন জোনে অবস্থিত বিদ্যুতের পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

    উপদেষ্টা বলেন, চারটা নতুন এলএমজি কারগো আনা হয়েছে। সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে। তাই আজ থেকে গ্যাস সংকট থাকবে না।

    তিনি বলেন,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আন্দোলন করার কোনো কারণ নেই এবং কোনো অচল অবস্থাও নেই। আন্দোলকারীদের যেসব দাবি দাওয়া আছে, যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

    এর আগে, উপদেষ্টা আশুলিয়ার ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ-১ অফিস পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • গরু আনতে গিয়ে স্রোতের পানিতে প্রাণ গেল দুই বোন মারিয়া ও সামিয়ার

    গরু আনতে গিয়ে স্রোতের পানিতে প্রাণ গেল দুই বোন মারিয়া ও সামিয়ার

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খালের স্রোতে ভেসে গিয়ে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আকাশিয়া মাঠে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলো গোকর্ণ গ্রামের মিনার আলীর মেয়ে মারিয়া (১১) ও সামিয়া (৮)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারিয়া ও সামিয়া বিকেলে আকাশিয়া মাঠে গরু আনতে গিয়েছিল। ফেরার পথে খালের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় আকস্মিক স্রোতে তারা ভেসে যায়।

    নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, নিখোঁজের পর রাতভর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালায়। শনিবার সকালে গোকর্ণ বেরিবাঁধ এলাকায় তিতাস নদী থেকে মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিছুক্ষণ পর সামিয়ার মরদেহও একটি মাছ ধরার জালে আটকে থাকতে দেখা যায়।

    গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। পরিবারটিকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করেন। পরিবারটির পাশে থাকার জন্য প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।

  • ‘শিবির মারা জায়েজ’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট – ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে জিডি

    ‘শিবির মারা জায়েজ’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট – ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে জিডি

    ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’—বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে এমন পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীতে ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

    ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানায় এই জিডি করা হয়। জিডিতে আহনাফ তাহমিদ অর্জন (২৩) নামের ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্জন রাজশাহী নগরের ভাটাপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং রাজশাহী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী বলে জানা গেছে।

    রাজশাহী নগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোশফিকুর রহমানের করা এই জিডিতে বলা হয়, আহনাফ তাহমিদ অর্জন ফেসবুকে লেখেন—‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে। এদের বেসিক হিউম্যান রাইটস থাকাও উচিত কি না, সেটা নিয়ে ডিবেট হওয়া উচিত।’ এ পোস্টকে হুমকিমূলক উল্লেখ করে ছাত্রশিবির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির বলেন, “ছেলেটিকে আমি খুব একটা চিনি না। শুধু জানি সে ছাত্রদলের কর্মী। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় মহানগর ছাত্রদল তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”

    নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “জিডি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • নির্বাচন নিয়ে ভারতের মন্তব্য, প্রতিবাদ জানাল জামায়াত

    নির্বাচন নিয়ে ভারতের মন্তব্য, প্রতিবাদ জানাল জামায়াত

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ‘বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেখতে চায় ভারত’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

    শনিবার এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এই প্রতিবাদ জানান।

    তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে, ‘বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেখতে চায় ভারত’ মর্মে যে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করেছেন আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ।

    তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সনদ মেনে চলার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের অযাচিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

  • অবশেষে পরিবর্তন হলো উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি পদ্ধতি, নতুন নিয়মে সম্পত্তি বণ্টন হবে যেভাবে…

    অবশেষে পরিবর্তন হলো উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি পদ্ধতি, নতুন নিয়মে সম্পত্তি বণ্টন হবে যেভাবে…

    নতুন আইন অনুযায়ী, আপোষ বণ্টননামা দলিল ছাড়া উত্তরাধিকার সম্পত্তির নামজারি ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

    উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বা সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ও আইনি জটিলতা কমাতে অবশেষে সরকার বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে ‘আপোষ বণ্টননামা দলিলের’ মাধ্যমে। এই দলিল ছাড়া কোনোভাবেই সম্পত্তির নামজারি বা বিক্রয় সম্ভব হবে না।

    এছাড়া কেউ নিয়ম মানতে ব্যর্থ হলে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

    কেন এই পরিবর্তন?

    বাংলাদেশে উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ঝগড়া-মামলার ঘটনা নতুন নয়। এই নিয়ে প্রতিদিনই দেশের দেওয়ানি আদালতগুলোতে নতুন নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে, যার বেশিরভাগই ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত।

    ২০০৪ সালেই আপোষ বণ্টননামা দলিল বাধ্যতামূলক করা হয়, কিন্তু বাস্তবে তার প্রভাব ছিল সীমিত। অনেকেই মৌখিকভাবে বা অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তির মাধ্যমে জমি ভাগ করে নেন, যা ভবিষ্যতে বড় জটিলতা সৃষ্টি করে।

    নতুন নিয়মে যা থাকছে

    উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগ করতে হলে আবশ্যিকভাবে দলিল করতে হবে রেজিস্ট্রার অফিসে।

    মৌখিক বণ্টন আইনসম্মত নয় এবং তা ভবিষ্যতে দলিল সংশোধনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়।

    দলিল ছাড়া জমি ক্রয় বা বিক্রয় করলে আইনগত শাস্তি হবে অনিবার্য।

    ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা করে জমি পুনরুদ্ধার করা যাবে।

    জমির খাজনা, নামজারি ও দখল নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে জনসচেতনতা তৈরি হবে।

    এই আইন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাদের উপর, যাদের পূর্বপুরুষদের জমি এখনো অভিভক্ত অবস্থায় আছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জমি বিক্রি বা দান করতে হলেও আগে আপোষ বণ্টননামা দলিল করতে হবে।

    এছাড়া অনেকেই মনে করেন, নামজারি মানেই মালিকানা, কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল। দলিল ছাড়া নামজারি কোনো বৈধতা দেয় না।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত
    আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তন জমি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা পারিবারিক বিরোধ ও মামলাজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দলিলের মাধ্যমে বণ্টন হলে, কার কতটুকু অংশ আছে তা আইনিভাবে স্পষ্ট হবে এবং ভবিষ্যতে জাল দলিল বা প্রতারণার সুযোগ থাকবে না।

    যারা এখনো আপোষ বণ্টননামা দলিল না করে সম্পত্তি ভোগ করছেন, তাদের দ্রুত আইনগত প্রক্রিয়ায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের জটিলতায় পড়লে আইনি সহায়তা ছাড়া রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না।

  • ভাবির কা’টা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ দেবরের

    ভাবির কা’টা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ দেবরের

    এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা। ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে কোনো আতঙ্ক নেই, নেই কোনো তাপ-উত্তাপ। নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের উদ্দেশে থানার দিকে হেঁটে চলেছেন এক যুবক।

    শনিবার সকালে হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দারা।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। যুবকের হাতে যে নারীর মুণ্ডু দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্পর্কে যুবকের বৌদি (ভাবী)। চপার দিয়ে খুন করে মহিলার শরীর থেকে মুণ্ডু আলাদা করে ফেলেন যুবক। তারপর সেই রক্তাক্ত মাথা নিয়েই সোজা থানায় চলে যান। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযুক্ত যুবক বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বউদি ও দেবর।

    স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে আচমকা চপার দিয়ে বৌদিকে আক্রমণ করে বিমল। এতে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মুণ্ডু এবং অন্য হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল।

    ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছায়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে আকার ধারণ করে। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে বউদি ও দেবরের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত কীভাবে হল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।

  • বৈষম্যবিরোধী সংগঠককে মারধর, দোষীদের আটক করতে এসে হামলার শিকার পুলিশ

    বৈষম্যবিরোধী সংগঠককে মারধর, দোষীদের আটক করতে এসে হামলার শিকার পুলিশ

    ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বৈশাখী ইসলাম বর্ষা (১৭) নামে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে জড়িতদের আটক করতে আসে পুলিশ। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের গাড়ি চালক আবদুল হান্নান শরীফ (৫৬) আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ মে) এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফর আলী।

    জানা গেছে, বোনকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে বৈশাখীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে নগরকান্দা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। একই সময় ফরিদপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও সেখানে যান। পুলিশ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে আসে।

    হামলায় আহত নগরকান্দা থানা–পুলিশের গাড়ি চালক আবদুল হান্নান শরীফ বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা আসামি ধরে আনতে গেলে স্থানীয় প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। স্থানীয়রা আমার হাত ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়, গাড়ির পর্দা ছিড়ে ফেলে। তবে তারা আসামি ছিনিয়ে নিতে পারেনি। তাদের গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে।’

    এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ওসি সফর আলী বলেন, হামলায় পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

    নগরকান্দার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় তিনটি মামলা করা হবে। একটি বৈশাখীর ওপর হামলার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, একটি হবে বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এবং অপর মামলাটি হবে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায়।

  • ফেসবুকে ২-৪টা ফেক আইডি খুলে চৌকস নেতাদের মুখোশ খুলতে হবে:

    ফেসবুকে ২-৪টা ফেক আইডি খুলে চৌকস নেতাদের মুখোশ খুলতে হবে:

    ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে চৌকস রাজনৈতিক নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
    তিনি বলেন, ইয়াং জেনারেশনকে একটা গ্রুপ করতে হবে, দুই থেকে চারটা ফেক আইডি খুলে এলাকার চৌকস নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

    গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন শহীদ মিনার মোড়ের বিজয় চত্বরে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস এই মন্তব্য করেন।

    অতিথির বক্তব্যে সারজিস বলেন, ‘বড় দুটি রাজনৈতিক দল জনগণের কথা বলে নাকি সিন্ডিকেট চালায়, চাঁদাবাজি করে, দখলদারত্ব করে—তা দেখতে হবে আমাদের।’

    বীরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, দিনাজপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট বীরগঞ্জ উপজেলা, কিন্তু এই উপজেলায় সবচেয়ে কম পাকা রাস্তা রয়েছে। এলজিইডির যে হিসাব, সেখানে ১৭ পারসেন্ট রাস্তা পাকা, বাকি ৮৩ পারসেন্ট রাস্তা হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে কাঁচা হয়ে গেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ মোড় মাদকের আখড়া। কোন কোন নেতা এখান থেকে ভাগ খায়, তা আমাদের দেখতে হবে। আমরা এনসিপি আপনাদের কাছে সমর্থন বা ভোট চাইতে আসিনি। এসেছি আপনাদের ‍ঘুমন্ত বিবেকগুলো জাগ্রত করতে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্বপ্নকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তিন বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ জীবন দিয়েছে।

    খারাপকে যদি খারাপ বলার সৎ সাহস দেখাতে না পারেন, তাহলে মানুষটা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে। কাউকে আর হাসিনা থেকে খুনি হাসিনা হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। আপনাদের কাছে আমাদের জায়গা থেকে এই অনুরোধটুকু জানাই।’

    পথসভায় আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিয়ন, সাদিয়া ফারজানা দিনা, রফিকুল ইসলাম কনক, ইমামুর রশিদ ইমাম, আল আমিন, ফাহমিদ, তপু, জেমিয়ন প্রমুখ। পথসভা শেষে জনসাধারণের মধ্যে প্রচারপত্র বিলিন করেন তারা।