Author: admin

  • ৫০ ঘণ্টা পর সেই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

    ৫০ ঘণ্টা পর সেই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

    নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ৫০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (৩০) মরদেহ।

    সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের পার্শ্ববর্তী করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে। এ ঘটনায় সাইফুলের সহকর্মী ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    নিখোঁজ সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে সন্তান। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্বে গত তিন বছর ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন সাইফুল।

    স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের সঙ্গে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইলফোনের পেছনেও তার পরিচয় মিলেছে।

    জানা যায়, গত শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবচরে পৌঁছালে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ মোট ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে সাইফুল ভেসে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুরে সাগরে একটি মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সঙ্গে কিনারায় ভেসে উঠে। সাইফুলের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

  • মহানবী (সা.) হালাল পশুর যেসব অঙ্গ খাওয়া অপছন্দ করতেন

    মহানবী (সা.) হালাল পশুর যেসব অঙ্গ খাওয়া অপছন্দ করতেন

    আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য কিছু পশু হালাল করেছেন। সেই পশুগুলোর মধ্য থেকে কিছু পশু কোরবানির জন্য বৈধ ঘোষণা করেছেন। যেমন- গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, মহিষ, উট। এসব পশু দিয়েই আমরা কোরবানি করে থাকি। এসব পশুর মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ হালাল।

    তবে হালাল প্রাণীর রক্ত খাওয়া হারাম। এছাড়াও কিছু কিছু অংশ খাওয়া মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। সে হিসাবে, কেবল কোরবানির পশুই নয়, যে কোনো হালাল পশুরই এসব অংশ খাওয়া জায়েজ নয় বলে মনে করেন ফকিহগণ।

    বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) থেকে বায়হাকি বর্ণনা করেন, নবী (সা.) পশুর যেসব অংশ খেতে অপছন্দ করতেন তা হলো-

    ১. পুরুষ পশুর প্রজনন অঙ্গ
    ২. অণ্ডকোষ
    ৩. মাদি প্রাণীর প্রজনন অঙ্গ
    ৪. মাংস গ্রন্থি (টিউমারের মতো)
    ৫. মূত্রথলি
    ৬. পিত্ত

    সুতরাং হাদিসের অনুসরণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অপছন্দনীয় অংশগুলো না খাওয়াই উত্তম। এসব অঙ্গ ছাড়া হালাল পশুর বাকি সবকিছু খাওয়া জায়েজ।

    সূত্র: সুরা আরাফ, আয়ত: ১৫৭

    বাদায়িউস সানায়ি: ৫ / ৬১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫ / ২৯০

  • একদিনে ২৮ জনকে পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে মিলল করোনা

    একদিনে ২৮ জনকে পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে মিলল করোনা

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনকে পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭২০ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।

    সোমবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।

    ভারতে এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১২০০ শতাংশ
    গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ২৮ জনের নমুনা। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ

    ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

  • বাজেটের তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত, দেখা যাবে যে ওয়েবসাইটে

    বাজেটের তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত, দেখা যাবে যে ওয়েবসাইটে

    গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তবর্তী সরকার আগামীকাল সোমবার (২ জুন) ঘোষণা করতে যাচ্ছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। চলতি বাজেটের থেকে আগামী বাজেট ছোট হচ্ছে। ২০২৫–২৬ অর্থবছর সরকারি ব্যয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এই বাজেটের সব তথ্য অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

    বিকেল ৪টায় ধারণ করা বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হবে। সংসদ না থাকায় ধারণকৃত জাতীয় বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ফিড নিয়ে অন্য সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে একই সময়ে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
    নতুন বছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পরে তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাশ হবে।

    প্রস্তাবিত এই বাজেট পাস হলে এটি হবে দেশের ৫৪তম, অন্তবর্তীকালীন সরকার ও অর্থ উপদেষ্টার প্রথম বাজেট।
    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চলতি বাজেটের চেয়েও ছোট বাজেট দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছর সরকারি ব্যয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।

  • সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচারকাজ

    সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচারকাজ

    সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচারকাজ
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বিচারকাজ বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

    রোববার (১ জুন) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিচারকাজ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়।

    এর আগে ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন।

    রোববার জুলাই আগস্ট জুড়ে সারা দেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায় করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

    এর আগে গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

    গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।

  • খালেদা জিয়াকে ১৪০০ কেজির ‘কালোমানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক সোহাগ

    খালেদা জিয়াকে ১৪০০ কেজির ‘কালোমানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক সোহাগ

    পটুয়াখালীর এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক কৃষক সোহাগ মৃধা। তাঁর জীবনের ছয়টি বছর কেটেছে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় পালনে। যার নাম দিয়েছেন ‘কালোমানিক’। ষাঁড়টির বিশালতা, সৌন্দর্য ও কালো কুচকুচে রং দেখে শুধু এলাকাবাসী নয়, অনেক দূর থেকে মানুষ এসেও বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ষাঁড় শুধু একটি পশু নয়। এটি হয়ে উঠেছে সোহাগ নামের কৃষকের স্বপ্ন। সাধনা, এবং দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। কালমানিককে উপহার হিসেবে ঢাকা পাঠাতে ভাড়া করা হয়েছে তিনটি ট্রাক, কেনা হয়েছে ৫০ গেঞ্জি ও ক্যাপ।

    সোহাগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কেনেন সোহাগ মৃধা। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গাভীটি একটি বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভীটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন আর বাছুরটিকে ভুসি, খৈল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে পরিবারের সদস্যরা মিলে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন। সেই গাভীর বাচ্চাটিকেই তিনি লালন-পালন করেছেন সন্তানের মতো। এখন যার ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি। দৈর্ঘ্য ১০ ফুট। উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বাজারে এই ষাঁড়ের দাম উঠেছিল ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সোহাগ বিক্রি করেননি। কারণ তাঁর মনে এক বিশেষ উদ্দেশ্য। তিনি চান তাঁর “কালোমানিক” কে আগামী ঈদুল আজহার কোরবানির পশু হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিবেন।

    কৃষক সোহাগ মৃধা জানান, পারিবারিক ভাবেই আমরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বাবা বিএনপির রাজনীতি করতেন। আমিও বিএনপিকে ভালোবাসি। কোন কিছুর আশায় নয়, ভালো লাগা থেকেই প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালো মানিককে উপহার দিতে চাই। আর কিছুই চাই না। এতে লাভ-লোকসানের কিছু নেই। নেত্রী যদি আমার উপহার গ্রহণ করেন তবে আমি অনেক খুশি হব।

    সোহাগের মা হাজেরা বেগম জানান, ছোটবেলা থেকেই তাঁর ছেলে বিএনপিকে ভালোবাসে। বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে যায়। অনেক দিন আগে সে বলে আসছেন ষাঁড়টি খালেদা জিয়াকে উপহার দেবেন। সংসারের অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, সোহাগের বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসারের খরচ চলে। খেয়েপরে কোনো রকম দিন চলে যায় তাঁদের।

    আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সোহাগ বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুটি শিশুসন্তান আছে। তাঁদের সহায়তায় ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন ছয় বছর ধরে। তিনি জানিয়েছেন, ষাঁড়টি তিনি খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চান। প্রথমে তাঁর কথা স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু সোহাগ নাছোড়বান্দা। ষাঁড়টি উপহার দিতে কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় রওনা দেবেন।

    একটি ষাঁড় উপহার দেওয়ার মধ্যে যে প্রতীকী ভালোবাসা লুকিয়ে আছে, তা গভীরভাবে উপলব্ধির দাবি রাখে। বর্তমান সময়ে রাজনীতি অনেকটাই শহরকেন্দ্রিক, মিডিয়া-নির্ভর এবং ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সেখানে এক কৃষকের এই সরল কিন্তু প্রগাঢ় রাজনৈতিক অনুভূতি প্রমাণ করে দেয়, রাজনীতির শিকড় এখনো মাটির মানুষের হৃদয়ে আছে। সোহাগের এই কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার এক মানবিক প্রকাশ।

    সোহাগ মৃধা কি তাঁর “কালোমানিক” খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পারবেন কি না? উপহারটি আদৌ গ্রহণ করা হবে কি না? এর উত্তর অনাগত ভবিষ্যত বলে দেবে। কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট রাজনীতি এখনো পুরোপুরি নিঃপ্রাণ হয়ে যায়নি। একজন কৃষকের মনের কোণে এখনো ভালোবাসা, আবেগ ও ত্যাগের জায়গা আছে। সে জায়গা থেকেই উঠে আসে এমন গল্প, যা শুধু সংবাদ নয়, সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে।

    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • বেড়েছে তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

    বেড়েছে তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    শনিবার (৩১ মে) রাত ১০টায় তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৬ মিটার (অটো গেজ), যা বিপৎসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।

    বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, রোববার (১ জুন) ভোর ৬টা নাগাদ পানির স্তর আরও ১৫ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে। এতে করে পানি বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করবে। তবে এরপর ধীরে ধীরে পানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১২০ সেন্টিমিটার।

    শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৯টায় সেখানে পানি সমতল ছিল ১১০ দশমিক ৩০ মিটার। বর্তমানে সেখানে পানি কমতে শুরু করেছে। একই সময়ে দোমহনী পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৬১ সেন্টিমিটার। রাত ৯টায় এ পয়েন্টে পানি সমতল ছিল ৮৫ দশমিক ৬৩ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচে।

    তিস্তা অববাহিকায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে কিংবা উজানে কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

    ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    সূত্র: আরটিভি

  • যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন ‘তথ্য আপারা’

    যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন ‘তথ্য আপারা’

    প্রধান অতিথি ভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। দুই দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তারা।

    আজ রবিবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি শুরু করেন তথ্য আপারা।

    তাদের দাবি, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পে কর্মরত সকল জনবলকে পদ সৃজনপূর্বক রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে এবং কর্মরত জনবলের কর্তনকৃত বেতন ও অন্যান্য সকল ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

    তথ্য আপাদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য যমুনাতে ডাক পেয়েছেন। তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে।

    গত বুধবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির মধ্যেও তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

  • নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন জামায়াত আমির

    নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন জামায়াত আমির

    রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তবে দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। আপিল বিভাগ প্রতীকের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

    রোববার (০১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেশের সর্ব্বোচ আদালত এ রায় দেন।

    এদিকে এ রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

    রোববার সকালে জামায়াত আমির তার ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনসংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে। মহান রবের দরবারে নতশিরে শুকরিয়া আদায় করি—আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

    তিনি আরও লিখেছেন, পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মহান রবের সাহায্য চাই—আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই। আমিন।

    এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।

    আরও পড়ুনঃ জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরে পেতেই আমিরে জামায়াত এর ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল
    এরপর গত ১৪ মে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন দিন ধার্য করা হয়েছিল।

  • কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃ’ত্যু

    কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃ’ত্যু

    কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন বাচ্চু (৪৪)। শনিবার (৩১ মে) সকালে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    নিহত ইমাম হোসেন বাচ্চু নগরীর মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা ও গোলাম মাওলার ছেলে। বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

    কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বলেন, কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাজতি বাচ্চু। তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ বিমানবন্দরে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
    তিনি আরও জানান, ইমাম হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যা চেষ্টার দুটি মামলায় চলতি বছরের ৩০ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শনিবার সকালে কারাগারের ভেতরে বাচ্চু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অচেতন হয়ে যান। জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, তবে পথেই তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।