Author: admin

  • যমুনা নদীতে রিলস বানাতে গিয়ে নদীতে ডুবে ৬ কিশোরীর মৃত্যু

    যমুনা নদীতে রিলস বানাতে গিয়ে নদীতে ডুবে ৬ কিশোরীর মৃত্যু

    যমুনা নদীতে গোসল করার সময় মোবাইলে রিলস বানাতে যেয়ে ছয় কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রার সিকান্দরা থানা এলাকায়।

    মঙ্গলবারের (৩ জুন) এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীরা কাছাকাছি কৃষিজমিতে কাজ শেষে যমুনার পাড়ে বিশ্রাম নিতে যায়। প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা করতে তারা নদীতে নামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুরুতে তারা নদীর তীরে খেলছিল ও মোবাইল ফোনে রিলস ভিডিও করছিল। ধীরে ধীরে গভীর পানিতে চলে গেলে স্রোতের টানে তারা তলিয়ে যায়।

    আরও পড়ুনঃ নারীর আবেগে রাজনীতি, মোদির সিঁদুর কৌশলে সরব সুনায়না চৌটালা
    দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় চারজন ডুবে যায় এবং বাকি দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই কিশোরীও মারা যায়। এর ফলে সেখানে পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।

    মারা যাওয়া সবাই একটি স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

    মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ছয়জনই পানিতে ডুবে মারা গেছে। জেলা প্রশাসন শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।

  • মীর মুগ্ধকে কারা হ..ত্যা করেছে, দেখা মিলল ভিডিও ফুটেজে

    মীর মুগ্ধকে কারা হ..ত্যা করেছে, দেখা মিলল ভিডিও ফুটেজে

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মীর মুগ্ধর হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালে এসে অভিযোগ দায়ের করেন মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত।

    অভিযোগ দাখিলের পর সাংবাদিকদের শহিদ মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে একটা বিতর্ক ছিল যে, গুলিটা পুলিশের মধ্যে থেকে করা হয়েছে নাকি বাইরের কারো থেকে করানো হয়েছে। অথবা স্নাইপার থেকে করা হয়েছে কিনা। তবে আমাদেরকে কাছে যে প্রমাণাদি আছে, তার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি পুলিশের পক্ষ থেকে এই গুলি চালানো হয়েছে। আমরা যে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের জীবন গেছে।

    বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দিপ্ত বলেন, বলেন, এই ছয় মাসে হত্যাকাণ্ডের বিষয় যতটুকু প্রমাণ বের করা সম্ভব তা আমরা নিজ উদ্যোগেই করেছি। যেহেতু প্রথম দিকে প্রশাসন পুরোপুরি অকার্যকর অবস্থা ছিল, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে এই কাজ করেছি। নিজ উদ্যোগে আমাদের সব ধরনের ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে হয়েছে।

    দীপ্ত আরও বলেন, মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পাওয়া ভিডিওর পুরোটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ আছে, তার বিচারের বিষয়ে সেটা আমরা সরকারের কাছে আশা করতেই পারি। কিন্তু এই ফুটেজ কালেক্ট করা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল। যেহেতু এটা নিজ উদ্যোগে করেছি, তাই আমাদের এখন আশা থাকবে ভিডিওটিকে ফরেনসিকের মাধ্যমে তাদের চেহারাকে পরিষ্কার করে, একজন একজন করে আসামিদেরকে নিয়ে এসে এক সুষ্ঠু বিচার কার্য করবে। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য শুধু ন্যায়বিচার পাওয়া।

    দীপ্ত বলেন, আমরা ট্রাইবুনালে অভিযোগ করেছি মুগ্ধের পুরো ঘটনাটার ওপর। চিত্র প্রসিকিউটরও আমাদের এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। আমরা প্রাথমিক অভিযোগে কোনো নাম দিইনি। তারাই এটিকে নিয়ে তদন্ত করবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণাদিসহ ক্রমান্বয়ে যে নামগুলো আসবে। এই প্রাণঘাতী অস্ত্রকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে এসবসহ একে একে নামগুলো আসবে। যে কারণে আমাদের অভিযোগে কোনো নাম দেইনি আমরা। আমরা আশা রাখছি এই সরকার এবং ট্রাইবুনাল আমাদের আশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

    তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুপেরিয়র হিসাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর এর দায়ভার যায়, যা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তথ্য প্রমাণের কারণে সেই পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয় না। বিচারকার্যে প্রমাণাদি হচ্ছে সবচেয়ে মুখ্য বিষয়। তাই কোনো এভিডেন্স ছাড়া যদি আমরা সেই প্রক্রিয়ায় যাই, তাহলে বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আমরা চাই না এ বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত হোক। আমরা যাতে ন্যায় বিচার পাই সেজন্যই আমরা এভাবে চেয়েছি।

    ১৮ জুলাই মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বড় ভাই দীপ্ত বলেন, মুগ্ধ যেখানে মারা যায় তার ১০ কদম দূরেই হাসপাতাল ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে স্পটডেড ঘোষণা করেন। সেখানে আমাদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তখন হাসপাতালে ডাক্তাররা আমাদেরকে বারবার বলছিল লাশ দিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ, পুলিশ আসলে পরবর্তীতে আমরা লাশ নাও পেতে পারি। পরে সেখান থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা দ্রুত বাসায় লাশ নিয়ে যাই।

    তিনি বলেন, মুগ্ধর লাশ কবরস্থ করার সময় ও আমাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। লাশ দাফন করার জন্য পুলিশের এনওসি’র প্রয়োজন হয়। এর জন্য আমরা থানায় গিয়েছি। কিন্তু থানা থেকে আমাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে, তাদের এখন কলমের একটি দাগ দেওয়ার পর্যন্ত অনুমতি নেই।

  • তিন সন্তানের মাকে আন্টি বলে ডাকত যুবক, অবশেষে তার সঙ্গেই ধরা বেডরুমে! (ভিডিও সহ)

    তিন সন্তানের মাকে আন্টি বলে ডাকত যুবক, অবশেষে তার সঙ্গেই ধরা বেডরুমে! (ভিডিও সহ)

    তিন সন্তানের মা ওই মহিলাকে সম্মান দিয়ে ‘আন্টি’ বলেই ডাকত। ফোনে কথাবার্তা, সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। ওই মহিলার সঙ্গে ধীরে ধীরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকলে, প্রায়সময়ই লুকিয়ে দেখা করতে আসত ওই যুবক।

    সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে! ওই যে কথায় আছে প্রেম মানে না কোনও বাধা। তিন সন্তানের মায়ের সঙ্গেই প্রেম যুবকের। আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়তেই যুগলকে টেনে নিয়ে গেল পঞ্চায়েত। বসল সালিশি সভা। আর সেখানে তারপর যা যা হল, তাতে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    তিন বছর আগে আলাপ, আধ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল দুইজনের বাড়ি। তিন সন্তানের মা ওই মহিলাকে সম্মান দিয়ে ‘আন্টি’ বলেই ডাকত। ফোনে কথাবার্তা, সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। ওই মহিলার সঙ্গে ধীরে ধীরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকলে, প্রায়সময়ই লুকিয়ে দেখা করতে আসত ওই যুবক।

    দিন কয়েক আগে যুবক আসে। পড়শিরাও তক্কে তক্কে ছিলেন। দরজা খুলে ঢুকতেই যুবক ও মহিলাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তারা। এরপরই হইচই পড়ে যায়। গ্রামে পঞ্চায়েত বসানো হয়। ডাকা হয় মহিলার স্বামীকেও। সেখানে যখন এই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা জানতে চান, তখন যুবক ওই মহিলার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেন।

    দাঁড়িয়ে সব দেখছিলেন মহিলার স্বামী। তিনি জানান, এই বিয়েতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। প্রেমিকের সঙ্গেই থাকুক স্ত্রী। শুধু সন্তানরা তাঁর কাছে থাকুক। কাহিনি এখানে শেষ নয়। এরপরই আরেক বোমা ফাটান ওই মহিলা। তিনি জানান, তাঁর কনিষ্ঠ সন্তানের বাবা তাঁর স্বামী নয়, প্রেমিক! বড় দুই সন্তান স্বামীর কাছে থাকলেও, ছোট সন্তানকে যেন তাঁর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় প্রেমিক তথা নতুন স্বামীও

    ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়। ওই মহিলার স্বামী বলেন, “ইতিমধ্যেই অনেক মহিলাকে ওই যুবক প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। গত দুই বছর ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তিন বছর আগে ওদের দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল। ও আমার স্ত্রীকে নানা উপহার এবং ২০-৩০ হাজার টাকাও দিয়েছিল। এখন পঞ্চায়েতের সামনে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে ওঁ। স্ত্রী যেখানেই থাকুক না কেন, সেটা তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। আমি তাকে খুশি মনে বিদায় জানালাম। আমার পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল। তবুও আমি বাচ্চাদের নিজের কাছে রাখতে চাই।

  • মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

    মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

    মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

    তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা যদি দিই সেটা আলাদা হিসাব করব।

    বুধবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কারো প্রেসক্রিপশন বা মহার্ঘ ভাতার জন্য ভ্যাট বাড়ানো হয়নি। রাজস্ব আয় বাড়াতেই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।

    ভ্যাট প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে লোয়েস্ট ট্যাক্স পেয়িং কান্ট্রি। এলডিসির চেয়েও আমাদের ট্যাক্স কম। ভুটান, নেপাল, আইভরি কোস্ট, বুরকিনা ফাসোর চেয়েও কম।

    আরও পড়ুনঃ টিউলিপক সিদ্দিক কে নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
    এত কম ট্যাক্স দিয়ে কিভাবে চান যে আপনাকে সব কিছু দেব? এটা এক্সপেক্ট করা ঠিক হয় না।

    ব্যয়ের দিকে সরকার সাশ্রয়ী হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যয়ের দিকটায় আমরা সাশ্রয়ী হবো। অনেক অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় আছে। পাঁচ বছরের প্রকল্প ১০ বছর নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প আছে যেখানে খরচ হওয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। টাকা কোথা থেকে আসবে, এগুলো তো আমাদের শোধ দিতে হবে।

  • বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে আবারো আসছে লকডাউন!

    বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে আবারো আসছে লকডাউন!

    সময়টা ২০১৯ সাল।সেই বছরের শেষদিকে চীনে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়ে নতুন এক ভাইরাসের যার নাম কোভিড-১৯ বা করোনা। একপর্যায়ে সেটি মহামারির রূপ নেয় সারাবিশ্বে। লকডাউনে চলে যায় পুরো বিশ্ব।পুরো বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও চলে যায় লকডাউনে।থমকে যায় সারা বিশ্বের অর্থনীতি।

    সেইসাথে বিশ্বে প্রাণ হারায় লাখ লাখ মানুষ। সেই বিভীষিকা মহামারির আতঙ্ক না কাটতে কাটতেই আবারো ৫ বছর পর নতুন ব্যাধি আতঙ্কে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন।

    এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, প্রাথমিক ধারণা, রাইনোভাইরাস ও হিউম্যান-মেটা-নিউমো (HMP) ভাইরাসের সংক্রমণে দেশটিতে রহস্যময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এটির লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে জাপানেও। ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা।

    এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এমনকি এ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই নতুন এই ভাইরাস বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের ভাইরাসের আক্রমণের মতোই, যার উপসর্গ হিসেবে জ্বর-স্বর্দি-কাশি-ঠান্ডা হয়ে থাকে। কোভিড-১৯ একেবারে ভিন্ন ও নতুন আবহের ভাইরাস হওয়ায় এর প্রাদুর্ভাব বা মহামারির রেশ এতোটা বিস্তর হয়েছিল। তবে HMP নিয়ে আতঙ্কিত না হবারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।Tourism guides

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে শনাক্ত হয়েছিলো HMP ভাইরাস।তাই এখনি বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব আবারো চলে যেতে পারে লকডাউনে।

    সুত্রঃ সুত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ

  • আন্দোলনের ‍মুখে এশিয়ার আরেক দেশে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

    আন্দোলনের ‍মুখে এশিয়ার আরেক দেশে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

    আন্দোলনের ‍মুখে এশিয়ার এক দেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। পার্লামেন্টে আনা আস্থা ভোটে হেরে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

    মঙ্গলবার (০৩ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভসান্নামস্রাইন ওয়ুন-এর্দেনে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেছেন। তার ছেলের বিলাসী জীবনযাত্রার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর দুর্নীতির তদন্ত শুরু এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন।

    ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ওয়ুন-এর্দেনের ছেলে এবং তার বান্ধবী তাদের বাগদানের ছুটিতে একটি কালো ডিওর শোল্ডার ব্যাগ এবং বেশ কয়েকটি শপিং ব্যাগ নিয়ে বিলাসিতা প্রদর্শন করছেন। বান্ধবীর পোস্ট করা ডিওর ব্যাগের একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, জন্মদিনের শুভেচ্ছা আমাকে। আরেকটি ছবিতে এই দম্পতিকে সুইমিংপুলে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা গেছে।

    বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ওয়ুন-এর্দেনের পরিবার কীভাবে এমন বিলাসী জীবনযাপনের সামর্থ্য রাখে। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা তাদের আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করছে। এই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

    মঙ্গলবারের আস্থা ভোটে ৮৮ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৪৪ জন ওয়ুন-এর্দেনের পক্ষে ভোট দেন, যেখানে ৩৮ জন তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। পার্লামেন্টের ১২৬ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ৬৪ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল।

    ভোটের পর তিনি বলেন, মহামারি, যুদ্ধ এবং শুল্কের মতো কঠিন সময়ে আমার দেশ ও জনগণের সেবা করা আমার জন্য সম্মানের বিষয় ছিল।

    ভোটের আগে দুই সপ্তাহ ধরে শত শত বিক্ষোভকারী বিশেষ করে তরুণরা রাজধানী উলানবাটারে রাস্তায় নেমে ওয়ুন-এর্দেনের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। ওয়ুন-এর্দেনে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ওয়ুন-এর্দেনে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মঙ্গোলিয়ায় দুর্নীতি আরও খারাপ হয়েছে। গত বছর, সরকারি স্বচ্ছতার দিক থেকে ১৮০টি দেশের মধ্যে মঙ্গোলিয়ার অবস্থান ছিল ১১৪তম।

    রাশিয়া এবং চীনের মাঝে অবস্থিত প্রাক্তন কমিউনিস্ট দেশ মঙ্গোলিয়া ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে গণতন্ত্রের দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে। দুর্নীতি এখানে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। গত বছর, মার্কিন প্রসিকিউটররা মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুখবাটার বাটবোল্ডের নিউইয়র্কের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট খনির তহবিল চুরি করে কিনেছিলেন বলে কথিত রয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্বরত এ রাজনীতিবিদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

  • স্যার টাকা লাগবে না! আমি টাকা নিলে মানুষে মন্দ কইবে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পথশিশু

    স্যার টাকা লাগবে না! আমি টাকা নিলে মানুষে মন্দ কইবে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পথশিশু

    সাম্প্রতিক সময়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও আবেগঘন দৃশ্যের জন্ম হয়েছে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্টেশন পরিদর্শনে এসে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এক ছিন্নমূল কিশোরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার খোঁজখবর নেন। ঘটনা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নেটিজেনদের হৃদয়ে নাড়া দেয়।

    কমলাপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনের সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন, তারা টিকিট পেতে বা যাতায়াতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি স্টেশন এলাকা ত্যাগ করার সময় একটি দৃশ্য সবার নজর কাড়ে।

    একজন পথশিশুর পাশে এসে দাঁড়ান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গাড়ি থেকে নেমে তিনি কিশোরটিকে বুকে টেনে নেন, তার সঙ্গে কথা বলেন এবং কিছু টাকা দিতে চান। কিন্তু কিশোরটি বিনয়ের সঙ্গে টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

    তার ভাষায়—
    “স্যার টাকা লাগবে না। এরা দেশ চালাইতেছে, আমি টাকা নিলে মানুষে মন্দ কইবে। দোয়া দিলেই চলবে।”

    এই কথাগুলো অনেককেই নাড়া দেয়। উপস্থিত জনতা ও সংবাদকর্মীদের সামনে কিশোরটি জানায়, তার নাম রামিন, বাড়ি নেত্রকোনার জাহেরপুরে। সে জানায়, সে এখানে কিছু করে না, বাড়ি যাবে। সকালে ভাত খেয়েছে, এখন কিছু দরকার নেই। আবারও জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে,
    “টাকা নিলে গুনাহ হইব। দোয়া দিলে হইব।”

    এই ঘটনা কেবল একজন মন্ত্রীর মানবিক রূপই নয়, একজন পথশিশুর আত্মসম্মানবোধ, সততা ও বিশ্বাসকেও সামনে এনেছে। উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এমন আন্তরিক আচরণ এবং কিশোরের এমন মানবিক উত্তর সমাজে এক ভিন্নধর্মী বার্তা পৌঁছে দেয়, মানবতা এখনো হারিয়ে যায়নি।

    কমলাপুর পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা মহাখালী বাস টার্মিনালে যান, সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভোগান্তি ও অভিজ্ঞতা জানার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • চিরতরে বাতিল হয়ে যাচ্ছে যেসব জমির দলিল!

    চিরতরে বাতিল হয়ে যাচ্ছে যেসব জমির দলিল!

    আসন্ন জুন মাসের মধ্যেই ছয় শ্রেণির দলিল চূড়ান্তভাবে বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জাল, অবৈধ ও বিভ্রান্তিকর দলিল বাতিল করে জুলাই থেকে সারাদেশে বিডিএস (ডিজিটাল ভূমি জরিপ) কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

    সূত্র অনুযায়ী, দলিল স্ক্যান ও অনলাইনকরণ চলমান থাকলেও ছয় ধরনের নির্দিষ্ট দলিল স্ক্যান কিংবা ডিজিটাল রূপে রূপান্তর করা হবে না। এসব দলিল আইনি জটিলতা ও জালিয়াতির কারণে ভবিষ্যতে বিরোধ তৈরি করতে পারে।

    যেসব ছয় শ্রেণির দলিল বাতিল হচ্ছে:

    ১. হেবা দলিল:যেসব হেবা দলিলে প্রতারণা, জালিয়াতি বা অসুস্থ ব্যক্তিকে ব্যবহার করে সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল হবে। হেবা দলিল তৈরির নির্ধারিত নিয়ম মানা না হলে দলিলটি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    ২. ওসিয়তনামা দলিল:এক-তৃতীয়াংশ সীমা লঙ্ঘন করে অথবা ওয়ারিশদের কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে ওসিয়ত করলে সেই দলিল বাতিল বলে গণ্য হবে। পূর্বের ওসিয়ত বাতিল করে পরবর্তীতে করা নতুন ওসিয়ত বৈধ থাকবে।

    ৩. রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল:যেসব দলিল কেবল মহুরীর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এবং নিবন্ধন হয়নি, সেগুলো স্ক্যান বা ডিজিটাল হবে না এবং বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।

    ৪. জাল দলিল:ভুয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে তৈরি দলিল প্রশাসনের নজরে এলে তা বাতিল করা হবে। অনলাইনে যুক্ত হয়ে গেলে সেগুলো বাতিল করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

    ৫. ক্ষমতার অপব্যবহারে অর্জিত দলিল:রাজনৈতিক বা প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল ও দলিল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে, সেসব দলিল বাতিলের আওতায় পড়বে। ভুক্তভোগীরা আইনি পথে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে পারবেন।

    ৬. অংশের চেয়ে বেশি জমি বিক্রির দলিল:যে ক্ষেত্রে কোনো ওয়ারিশ তার প্রকৃত অংশের চেয়ে বেশি জমি বিক্রি করেছেন, অতিরিক্ত অংশের দলিল অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রকৃত ওয়ারিশ আদালতের মাধ্যমে অংশ ফেরত নিতে পারবেন।

    উদ্দেশ্য ও ফলাফল :সরকার জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে একদিকে জমির মালিকানায় স্বচ্ছতা আসবে এবং অন্যদিকে জালিয়াতির শিকারদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা ও ডিজিটালকরণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

  • চিকিৎসা করাতে গিয়ে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ, ভুয়া মেজর গ্ৰেপ্তার

    চিকিৎসা করাতে গিয়ে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ, ভুয়া মেজর গ্ৰেপ্তার

    নারী চিকিৎসকের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় মো. বেনজির হোসেন (৪১) নামে এক ভুয়া মেজরকে গ্ৰেপ্তার করেছে যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। মঙ্গলবার (৩ জুন) যশোর পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাদী একজন চিকিৎসক এবং প্রতিনিয়ত নিজের চেম্বারে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় মো. বেনজির হোসেন চিকিৎসা নিতে আসেন তার চেম্বারে। একপর্যায়ে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেন ও ক্যাডেটে পড়াশোনা করেছেন বলে জানান। একপর্যায়ে ওই নারী চিকিৎসককে প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দেন।

    এতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ওই চিকিৎসককে আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ সময় সুকৌশলে বাদীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চিকিৎসকের বাসায় গিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এছাড়াও আসামি বাদীকে জানান যে তার বিদেশে যোগাযোগ রয়েছে এবং তাকে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। এই প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ওই নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে সর্বমোট পঞ্চাশ লাখ টাকা নেন। একপর্যায়ে বাদী বিয়ের জন্য চাপ দিলে ও টাকা ফেরত চাইলে আসামি তাকে কোন টাকা ফেরত দিবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, এরই মাঝে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, বেনজির কোন মেজর নন, তিনি একজন প্রতারক। পরে বিষয়টি জানালে বেনজির ওই চিকিৎসকের শিশু সন্তানকে গুম এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। এরপরই ওই চিকিৎসক বেনজিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, মামলার পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় যশোর সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নড়াইল সদর থানাধীন মির্জাপুর এলাকা থেকে বেনজির হোসেনকে গ্ৰেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় পর্নোগ্রাফিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার প্রতারক।

  • রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে একদম চেহারাই বদলে গেল অভিনেত্রীর

    রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে একদম চেহারাই বদলে গেল অভিনেত্রীর

    রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে বদলেই গেল অভিনেত্রীর চেহারা। তাঁকে চেনা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে গিয়েছে। ২০ দিন পরেও তাঁর মুখের ফোলা ভাব কাটেনি। জানা গিয়েছে সাথী সতীশ নামক ওই অভিনেত্রী সম্প্রতি রুট ক্যানাল করাতে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তাঁর মুখে চরম ফোলাভাব রয়েছে। তাঁকে চেনা পর্যন্ত যাচ্ছে না। ফলে কাজও হারিয়েছেন তিনি।

    রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে চরম বিপত্তি! অভিনেত্রীর মুখই বদলে গেল! চেনা একপ্রকার অসম্ভব। সম্প্রতি রুট ক্যানাল করিয়েছিলেন কন্নড় অভিনেত্রী সাথী সতীশ। অত্যন্ত সুন্দরী এই অভিনেত্রী ভাবতেও পারেননি যে তাঁর জীবনে ঠিক কী ঝড় নেমে আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, রুট ক্যানাল করার দু’সপ্তাহ পর অভিনেত্রীর মুখ অসম্ভব ফোলা রয়ে গিয়েছে। এমনকী, তাঁকে চেনা পর্যন্ত যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে তাঁর কাজের উপরেও।

    সাথী সতীশ কন্নড় ছবির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। FIR(2022) এবং d 6 to 6 ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তিনি রুট ক্যানাল করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে বলেছিলেন,এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মুখে ফোলাভাব থাকে। কিন্তু, এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ তা বেশিক্ষণের জন্য থাকে না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ফোলা ভাব চলে যায়। চিকিৎসকদের কথা মোতাবেক আর দু’বার ভাবেননি অভিনেত্রী। তিনি রুট ক্যানাল করিয়েছিলেন।

    কিন্তু, এরপর থেকে ২০ দিন তাঁর মুখ ফুলে রয়েছে। এমনকী, অভিনেত্রীকে চেনা পর্যন্ত যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে চরম বিপত্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই রুট ক্যানালের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে প্রায় ২০ দিন কেটে যাওয়ার পরেও তাঁর মুখের ফোলাভাব কমছে না। ফলে চরম বিপাকে অভিনেত্রী। তিনি জানাচ্ছেন, আপাতত তিনি কাজ করতে পারছেন না।

    জানা গিয়েছে, যেই ক্লিনিক থেকে তিনি এই সার্জারি করিয়েছিলেন তাদের উপর অত্যন্ত রুষ্ঠ অভিনেত্রী। তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। চিকিৎসকরা তাঁর মুখ ঠিক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। অতিদ্রুত যাতে তাঁর মুখে ফোলা ভাব কমে সেজন্যও যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও একটি সর্বভারতী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দাবি করছেন, রুট ক্যানালের চিকিৎসার জটিলতার কারণে অভিনেত্রীর সমস্যা হচ্ছে। কোনও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে নয়।

    এই ঘটনায় বিনোদন জগতে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে হইচই তুঙ্গে। উল্লেখ্য, এই বছর কন্নড় ছবির আরেক অভিনেত্রী Chetana Raj ‘ফ্যাট রিমুভ্যাল’ চিকিৎসা করানোর জন্য বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়।