Author: admin

  • টানা ৩ ঘন্টা ধরে সহ-বা.স করতে গিয়ে হা’সপাতালে দম্পতি

    টানা ৩ ঘন্টা ধরে সহ-বা.স করতে গিয়ে হা’সপাতালে দম্পতি

    তিন ঘণ্টা ধরে উপভোগ করলেন চ’রম যৌ’নসুখ। আর তারপরই হাসপাতালে ভর্তি হতে হল ম’হিলাকে। সিয়াটেলের দম্পতি এরিক ও লিজা যৌ’ন,মি’লনে লি’প্ত হন। এক ঘণ্টা পর এরিক বিছানা থেকে নেমে কাজে যেতে চাইলেও নিজেকে তখনও সামলাতে পারেননি লিজা।

    লিজা বলেন, এক ঘণ্টা অ’র্গা,জম অনু,ভব করার পর আমি ওয়াইন খেয়ে চেষ্টা করছিলাম নিজেকে শান্ত করার। সবরকম চেষ্টা করেও ৩ ঘণ্টা,র আগে শান্ত হতে পারিনি।

    দু ঘণ্টা পরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান এরিক। কিন্তু সেখানেও অন্তত এক ঘণ্টা লেগেছে তাঁর স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে। সে’ক্স সেন্ট মি টু এর নামক একটি টেলিভিশন শো-য়ে নি,জেদের অ’ভিজ্ঞ,তার কথা জানান এরিক ও লিজা।

    নারী ভাড়াটিয়ার বেডরুম ও বাথরুমে গোপন ক্যামেরা! আর তাতেই গোপনে রেকর্ড হচ্ছিল সব। বাথরুম ও বেডরুমে লুকিয়ে রাখা ক্যামেরা দিয়েই সার্বক্ষণিক নজর রাখা হতো। কিন্তু একপর্যায়ে ভাড়াটিয়ার নজরে পড়ে গেল সেটি।অভিযুক্তের সন্দেহজনক আচরণই ফাঁস করে দিলো তার কুকীর্তি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাড়ির মালিকের ৩০ বছর বয়সী ছেলেকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম ও টাইমস নাউ।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নারী ভাড়াটিয়ার ভাড়া নেওয়া এই অ্যাপার্টমেন্টে গোপন ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার এই ঘটনা বিভিন্ন শহরে একা বসবাসকারী নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নারী ভাড়াটের অ্যাপার্টমেন্টে বেআইনিভাবে গোপন ক্যামেরা বসানোর দায়ে অ্যাপার্টমেন্টের মালিকের ছেলেকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের নাম করণ। সে তিন মাস আগে ওই নারীর বেডরুম ও বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব দিল্লির শকরপুর এলাকায়।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দিল্লির শকারপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক যুবতী। যে অ্যাপার্টমেন্টে ওই যুবতী থাকতেন, তার উপরের তলায় বাড়ি মালিকের স্ত্রী ও ছেলে থাকতেন। তাদের ভালো ব্যবহার, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে ভরসা করেই ওই যুবতী বাড়ি যাওয়ার সময় চাবি দিয়ে গিয়েছিলেন।

    তবে উত্তর প্রদেশ থেকে ফেরার পরই ওই যুবতী হঠাৎ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও, তার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক গতিবিধি হতেই ‘লিঙ্কড ডিভাইস’ চেক করেন। সেখানে দেখেন— একটি অজানা ল্যাপটপের সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ লিংক দেখাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ল্যাপটপ থেকে লগ আউট করে দেন।

    এই ঘটনার পরই তার সন্দেহ হয় যে— কেউ নজর রাখছে। এরপর বাড়ি তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর নজরে আসে, বাথরুমে লাগানো লাইট বাল্বটি একটু ব্যাঁকা দেখাচ্ছে। খুলতেই দেখেন, ভেতরে ক্যামেরা। এক মুহূর্তও নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করেন যুবতী। পরে পুলিশ এসে ফের তল্লাশি চালায়। এবার যুবতীর বেডরুমের লাইট বাল্ব হোল্ডারের ভেতর থেকেও ক্যামেরা বের হয়।

    পুলিশ ওই যুবতীকে প্রশ্ন করে— তার অ্যাপার্টমেন্টে কাদের যাতায়াত ছিল। ভুক্তভোগী যুবতী জানান, প্রায়সময়ই তিনি বাড়ি মালিকের ঘরে চাবি দিয়ে যেতেন। এরপরই পুলিশ বাড়ি মালিকের ছেলেকে আটক করে।

    জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন, তিন মাস আগে যুবতী যখন বাড়ি গিয়েছিলেন, সেই সময় তার ঘরে ঢুকে বেডরুম ও বাথরুমে ক্যামেরা লাগিয়ে আসে সে। ক্যামেরাগুলোতে মেমরি কার্ডও ছিল। যখন মেমরি ফুল হয়ে যেত, তখন বিদ্যুতের কাজের নামে ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে সেই রেকর্ডিং নিজের ল্যাপটপে ট্রান্সফার করে, ফাঁকা চিপ লাগিয়ে আসত।

    এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। এই ল্যাপটপের মধ্যে যুবতীর একাধিক নগ্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • মাত্র ১০ মিনিটেই পটিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের মেয়েটিকে

    মাত্র ১০ মিনিটেই পটিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের মেয়েটিকে

    কোনো মেয়েকে পছন্দ করলেন কিন্তু সহজে পটাতে পারছেন না? এমন সমস্যা বেশিরভাগ ছেলেদেরই হয়ে থাকে। পছন্দের মেয়েটিকে পটাতে যদিও তারা চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না। তারপরও ফলাফল জিরো। এত সহজেই দেখা যায় কোনো মেয়ে বাগে আসে না।

    তবে চিন্তার কিছু নেই। সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সমাধানও। সহজেই মেয়ে পটানোর এমন ১০টি উপায়া রয়েছে যা বেশ কার্যকর। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোনো মেয়েকে কীভাবে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করবেন বা খুব সহজেই পটাবেন তার কিছু টিপস-

    >> কোনো মেয়েকে পটানোর কথা ভাববার আগে ভাবতে হবে যে কীভাবে তাকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করবেন। কারণ মেয়েটি আপনার প্রতি আকৃষ্ট না হলে তাকে পটানো কঠিন। এর জন্য আগে বুঝে নিন মেয়েটির পছন্দ। সে অনুযায়ীই চেষ্টা করুন। সফল হবেনই।

    >> সুন্দর ভঙ্গিতে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। শুরুতেই মেয়েটির সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে দুই থেকে তিন মিনিট কথা বলার চেষ্টা করুন। তারপর কথা বলার সময় বাড়াতে থাকুন।

    >> আপনি যে পর্যায় বা যে পরিস্থিতিতেই থাকেন না কেনো যদি কোনো মেয়েকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করাতে চান তাহলে সেই মেয়ের সামনে আপনাকে একটু গোছালো অবস্থায় থাকতে হবে। যেমন- উচ্চসরে কথা বলবেন না বা চেচামেছি করবেন না। কারণ রাগী আর বদ মেজাজী মানুষকে সবাই অপছন্দ করেন। তাই সেই মেয়েটির সামনে নিজেকে একটু সামলে রাখুন। নিজেকে শান্ত রাখুন। তবে শান্ত থাকার মানে এই নয় যে সবার থেকে আলাদা থাকতে হবে। সবার সঙ্গে মিলে মিশে থেকেই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন সবকিছু নিজের কন্ট্রোলে থাকবে।

    >> অবশ্যই মেয়েটির সামনে হাসিখুশি থাকবেন। মেয়েরাই নয় পৃথিবীর প্রত্যকটা মানুষেই হাসি খুশি থাকা মানুষগুলোকে একটু বেশিই পছন্দ করেন বা ভালোবাসেন।

    >> চুল এলোমেলো রাখবেন না। কারণ এলোমেলো চুল পৃথিবীর কোনো মানুষকেই কোনোভাবেই ভালো লাগে না। চুল বিভিন্ন স্টাইল করে না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই, শুধু আপনার চুল গুলো এলোমেলো করে রাখবেন না। এতেই দেখবে মেয়েটা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে।

    >> ময়লা পোশাক পরিহার করুন। মানুষের পোশাক দেখেই মানুষকে বাহির থেকে নির্নয় করা যায় যে সে কতটা ভালো বা কতটা নোংরা। তাই কাউকে যদি আপনার প্রতি আকৃষ্ট করাতে চান অবশ্যই ময়লা বা নোংরা পোশাক পরিহার করা প্রয়োজন।

    >> কথা বলার ধরণ সুন্দর করুন। মেয়ে পটাতে হলে আপনাকে সুন্দর করে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। আর এই সুন্দর করে কথা বলার জন্য আপনাকে অন্য কোনো ভাষা নতুন করে শেখার দরকার হবে না। শুধু নিজের ভাষায় সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করলেই হবে।

    >> আপনি হয়তোবা জানেন যে আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে আপনার ধৈর্য। ধৈর্য না ধারণ করলে কোনো কাজে সুফলাফল পাওয়া সম্ভব না। আর এই ধৈর্য আপনার কাজে সুফল এনে দেয়। তাই যেকোনো কাজে সুফল পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। পছন্দের মেয়েটিকে পটানোর ক্ষেত্রেও আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে।

    >> পছন্দের মানুষের প্রতি একটু যত্নশীল হতে হবে। কারণ মেয়েরা চায় পছন্দের মানুষটি তার প্রতি কেয়ারিং থাকুক। এতে ভালোবাসা মজবুত হয়।

    >> মেয়েদের সম্মান করুন। অর্থাৎ পছন্দের মানুষটির মতামতের গুরুত্ব দিন, নারী হিসেবে তাকে সম্মান করুন। এমন স্বভাবের ছেলেদের প্রতি মেয়ে দ্রুত আকৃষ্ট হয়ে থাকে।

  • ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: ‘অবিশ্বাস্যভাবে’ বেঁচে গেছেন এক যাত্রী

    ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: ‘অবিশ্বাস্যভাবে’ বেঁচে গেছেন এক যাত্রী

    ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক ব্যক্তি। তাকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ (৪০)।

    রাতে WION’s নামক এক ফেসবুক আইডিতে রমেশ নামের ওই ব্যক্তির বেঁচে ফেরার পোস্ট শেয়ার করা হয়।

    সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর, ওই বিমান দুর্ঘটনায় ‘কেউ বেঁচে নেই’ বলে বিবৃতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে দুর্ঘটনায় একজন বেঁচে গেছেন।

    উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুরে বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি। উড়োজাহাজটি ছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। গুজরাটের আহমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় সেটি। উড়োজাহাজটি ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন যাচ্ছিল। বিমানটিতে ২৩২ জন সাধারণ যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ

  • প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রদল নেতা, অতঃপর…

    প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রদল নেতা, অতঃপর…

    বরিশাল নগরীতে প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় এক ছাত্রদল নেতা আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর গ্যাসটাবাইন বাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে প্রেমিকারসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

    আটক ওই নেতার নাম মেহেদী হাসান। তিনি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।

    থানা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের সহযোগিতায় গত ১০ জুন রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর গ্যাসটাবাইন বাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে প্রেমিকারসহ মেহেদী হাসানকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ সদস্যরা। পরে ১১ জুন দুপুরে আটকৃত মেহেদীকে মেহেন্দিগঞ্জ থানা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মেয়ে-ছেলে উভয়পক্ষ নিয়ে থানা হাজির হন। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা ছেলে-মেয়েকে বিয়ে করার বিষয়ে একমত হন। পরে ৩শ টাকার অঙ্গিকারনামায় উভয় পক্ষের পরিবারের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এবং তরুণীকে বিয়ে করার পর মেহেদীকে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।

    কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির কালবেলাকে বলেন, ৫ মাস পূর্বে মেহেদীর সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয়। ফাতেমা বরিশাল গ্যাসটাবাইন এলাকায় অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ওষুধ তৈরির কারখানায় চাকরি করেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই মেহেদী বরিশালে ফাতেমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

    তিনি আরও বলেন, বুধবার (১১ জুন) দুপুরে ছেলে এবং মেয়ে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন থানায় আসেন এবং সেখানে বিএনপির ও ছাত্রদলের নেতারা ছিলেন। থানায় বসে উভয় পক্ষের মধ্যে ছেলে-মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত হলের ৩শ টাকা স্টাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বরিশাল আদালত চত্বরে এক আইনজীবীর চেম্বারে বসে তাদের বিয়ে শেষে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

    বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, এক যুবক ও তরুণীকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ছেলেমেয়ে পূর্ব পরিচিত থাকায় তারা বিয়ে করবে বলে জানালে উভয় পক্ষের কাছ থেকে লিখিত রাখা হয়। পরে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে আসার পরে মেহেদীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

  • লন্ডনে নতুন জীবন শুরুর আশায় ২ দিন আগেই ছেড়েছিলেন চাকরি, বিমান বিদ্ধস্তে মারা গেল পুরো পরিবার

    লন্ডনে নতুন জীবন শুরুর আশায় ২ দিন আগেই ছেড়েছিলেন চাকরি, বিমান বিদ্ধস্তে মারা গেল পুরো পরিবার

    আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজস্থানের ১০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বান্সওয়ারার প্রতীক জোশি ও ডা. কোমি ব্যাসের পরিবার। লন্ডনে একটি নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আর পৌঁছাতে পারলেন না।

    প্রতীক জোশি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ছয় বছর ধরে তিনি লন্ডনে কর্মরত ছিলেন এবং সেখানেই নিজেকে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে একটি নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই লালন করেছিলেন তিনি।

    আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজস্থানের ১০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বান্সওয়ারার প্রতীক জোশি ও ডা. কোমি ব্যাসের পরিবার। লন্ডনে একটি নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আর পৌঁছাতে পারলেন না।

    প্রতীক জোশি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ছয় বছর ধরে তিনি লন্ডনে কর্মরত ছিলেন এবং সেখানেই নিজেকে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে একটি নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই লালন করেছিলেন তিনি।

    সম্প্রতি ডা. কোমি ব্যাস তাঁর চিকিৎসকের পেশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, যেন পরিবার নিয়ে বিদেশে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছিল—পাসপোর্ট, টিকিট, বিদায় পর্ব—সবই সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে যখন তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে যাত্রা শুরু করেছিল, তখনই সবকিছু থেমে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায়।

    বিমানটি আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হলে রাজস্থানের মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। প্রতীক জোশির পরিবারে নিহতের সংখ্যা ৫, যা পুরো বান্সওয়ারা জেলায় শোকের ছায়া নামিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “ওরা স্বপ্ন দেখতে জানত। এখন শুধু সেই স্বপ্নের ভাঙা টুকরোগুলো পড়ে রয়েছে।”

  • আওয়ামী লীগের ভুল ছিল, আজকের অবস্থা ভুলেরই শাস্তি: আব্দুল হামিদ

    আওয়ামী লীগের ভুল ছিল, আজকের অবস্থা ভুলেরই শাস্তি: আব্দুল হামিদ

    আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিণতি দেখে ‘খুব মন খারাপ’ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের। তিনি কাছের মানুষদের প্রায়ই বলেন, গত ১৬ বছরে ‘আমাদের অনেক ভুল ছিল। তা না হলে এমনটা কেন হলো? ভুল ছিল বলেই আজকের এই পরিণতি। আজকের অবস্থা হয়তো আমাদের ভুলেরই শাস্তি।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ২০১২ সালে যখন স্পিকার ছিলাম তখনই বলেছি, ‘সরকার স্বৈরাচারী হলে জনগণ বেশিদিন সায় দেবে না।’ বর্তমানে কার্যত নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগকে আগামী দিনে রাজনীতি করতে হলে তাদের অতীতের ভুল শোধরাতে হবে বলেও মনে করেন দলটির শাসনামলে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদ।

    বৃহস্পতিবার আলাপকালে এসব তথ্য জানান আবদুল হামিদের শ্যালক ডা. আনম নওশাদ খান। গত ৭ মে রাতে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন। প্রায় এক মাস পর রোববার গভীর রাতে (রাত ১টা ২৫ মিনিটে) থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৯৯ ফ্লাইটে তারা ফিরেছেনও একই সঙ্গে। ৮২ বছর বয়সি অসুস্থ ভগ্নীপতিকে কাছে থেকে দেখাশোনা করছেন নওশাদ খান। তার সঙ্গে আবদুল হামিদের চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার পাশাপাশি কথা হয় আওয়ামী লীগের বিগত দিনের রাজনীতি এবং সামনের দিনের রাজনীতির সুযোগ সম্পর্কে আবদুল হামিদের ভাবনার বিষয়ে। নওশাদ খান জানান, তিনি (আবদুল হামিদ) পুরোপুরি পারিবারিক আবহেই আছেন। রাজনৈতিক কোনো যোগাযোগ এখন নেই। সেই ধরনের শারীরিক অবস্থাও তার নেই বলে জানান তার শ্যালক নওশাদ খান।

    ৫ আগস্টের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের। তার নিজের বা শেখ হাসিনা-কোনো পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের যোগাযোগের চেষ্টাও করা হয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ও কথাবার্তা হয় না। তবে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন দেশ ও রাজনীতি সম্পর্কে। নিয়মিত পড়েন খবরের কাগজ। সুযোগ পেলে খবর দেখেন টেলিভিশনেও। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষ নেতারা প্রায় সবাই হয় পলাতক, নয়তো জেলে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছে। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনও স্থগিত করেছে।

    আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি থাকার সময়ও কথা বলার চেষ্টা করতেন আবদুল হামিদ। যেসব বিষয় তার পছন্দ হতো না সেসব বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মাঝে মধ্যে বলতেন। এ বিষয়ে তার শ্যালক নওশাদ খান বলেন, তিনি প্রায়ই বলেন, আমিই একমাত্র অনেক কথা বলতাম। এজন্য অনেকে আমাকে পছন্দও করত না।

    আবদুল হামিদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাকে ধরে ধরে বাথরুমে নিতে হয়। তিনি নামাজও পড়তে পারেন না। এ বিষয়ে নওশাদ খান জানান, উনি বলেছেন, ‘নামাজ-কালাম তো পড়ি নাই। আল্লাহই জানেন কী হয়।’ তবে আমি বলেছি, আপনি তো অনেক মানুষের উপকার করেছেন, কারও ক্ষতি করেননি। আল্লাহ নিশ্চয় মাফ করবেন।

    আবদুল হামিদের ল্যাং ক্যানসার ‘থ্রি টু ফোর স্টেজ’-এর মাঝামাঝিতে রয়েছে। যেটাকে লাস্ট স্টেজ বলা হয়। যা কিছুটা ছড়িয়েও গেছে। তিনি শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল। ওজন অনেক কমে গেছে। নিজে নিজে চলাফেরাও করতে পারেন না। অন্যের সাপোর্ট নিয়ে চলাফেরা করেন। ডা. আনম নওশাদ খান বলেন, ডাক্তার তিন মাস অপেক্ষা করতে বলেছেন। এরপর আবার তাকে যেতে হবে। তার বিদেশ যাত্রা নিয়ে দেশে নানা ধরনের আলোচনা চললেও তিনি নিজে দেশে ফেরার বিষয়ে অনড় ছিলেন। নওশাদ খান জানান, অনেকেই তাকে বলেছেন, আপনি দেশে ফিরবেন না। কিন্তু তিনি বলেছেন, না, আমি দেশে ফিরবই। যা হওয়ার হবে। দেশে ফিরে দেশের মাটিতেই না হয় মারা গেলাম। দেশেই তো আমার আত্মীয়স্বজন সবাই আছে।

    তবে চলাফেরা করতে না পারলেও এখনো দেশ ও রাজনীতির খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করেন সব সময়। নিয়মিত পত্রিকা পড়েন এবং মাঝে মধ্যে টেলিভিশন দেখেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। নওশাদ খান বলেন, তিনি প্রায়ই বলেন, দেশে আসার পর তিনি মানসিকভাবে খুব ভালো আছেন।

    হাওড় এলাকায় জন্ম আবদুল হামিদের। ছাত্রজীবন থেকেই জড়িত ছিলেন রাজনীতিতে। ছিলেন সাতবারের এমপি। ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার। এরপর রাষ্ট্রপতি হিসাবে টানা ১০ বছর ৪১ দিন কাটিয়েছেন রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে। কিন্তু হাওড়ের মাটি-মানুষ তাকে সব সময়ই টানত। রাষ্ট্রপতি হিসাবে বঙ্গভবনের চার দেওয়ালের ভেতর অবস্থানের সময়কে বন্দিজীবন হিসাবে অভিহিত করেছেন। সময় পেলেই ছুটে যেতেন হাওড়ে।

    শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও এখনো এলাকার খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করেন আবদুল হামিদ। নওশাদ খান জানান, হাওড়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা তিনি সব সময়ই বলেন। কিন্তু তার শরীরের যে অবস্থা তাতে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে তিনি সুযোগ পেলেই এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। তাদের বিষয়ে জানতে চান।

  • নেতাকর্মী নয়, যেকারণে ৩ আগস্ট আত্মীয়দের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন হাসিনা!

    নেতাকর্মী নয়, যেকারণে ৩ আগস্ট আত্মীয়দের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন হাসিনা!

    ৩ আগস্ট, দেশের রাজনীতি যখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দুলছে, তখন দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, বরং নিজের আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে সরাসরি দেশ ছাড়ার নির্দেশ পাঠান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনার দিন তিনি নিজের মোবাইল ফোন থেকে একটি ছোট বার্তা পাঠান—“No one to hear”—এই চার শব্দেই তিনি স্বজনদের বুঝিয়ে দেন অবস্থা কতটা ভয়াবহ।

    এই মেসেজের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার এক আত্মীয়, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন, এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংবাদিককে জানান, “ভোরে ঘুম ভাঙতেই দেখি হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা। বার্তাটির অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেই দেশ ছাড়ার।”

    জানা গেছে, ৩ আগস্ট রাতেই শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে একই ধরণের বার্তা পাঠান। পরদিন ৪ আগস্ট কারফিউ চলাকালেই ওই আত্মীয় পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান।

    এই আত্মীয় আরও জানান, শুধুমাত্র শেখ মুজিবের বংশধর ও ঘনিষ্ঠ স্বজনদেরই এমন বার্তা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা মন্ত্রীদের শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার বিষয়ে কিছু বলেননি।

    ৫ আগস্ট দুপুরে অধিকাংশ আত্মীয় নিরাপদে বিদেশে পৌঁছালে শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত চলে যান। তিনি বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং শেখ রেহানা লন্ডনে। রেহানার ছেলেমেয়েরা আগেই লন্ডনে ছিলেন।

    এদিকে, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেও শেখ হাসিনার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিরাপদে বিদেশে চলে যেতে সক্ষম হন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়াই ছিল তাদের গন্তব্য।

    তবে এক ব্যতিক্রম হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য সারনিয়াবাদ মইনুদ্দিন আব্দুল্লাহ গ্রেপ্তার হন গত বছরের অক্টোবর মাসে। তিনি শেখ হাসিনার ফুয়াত ভাই ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর পুত্র।

    এই আত্মীয় আরও দাবি করেন, ৩ আগস্ট বিকেলেই শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন তার সরকার টিকবে না। তিনি নিজেই স্বজনদের বলেন—”পরিস্থিতি ভালো নয়, জীবন বাঁচাতে হলে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।”

    তৎকালীন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সেদিনই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরলেও বিমানবন্দরেই শেখ হাসিনার মৌখিক বার্তা পেয়ে আবার সিঙ্গাপুরে ফিরে যান।

    সেদিনই শেখ হাসিনা জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। সেনাবাহিনী প্রধানরা তাকে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝান এবং জানিয়ে দেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে বাহিনী কাজ করতে পারবে না। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত হন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

    শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাগ্য অনিশ্চিত রেখে নিজের আত্মীয়দের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নিজেও দেশ ত্যাগ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের ভাষ্যমতে, “শেখ হাসিনা হয়তো ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছিলেন। তাই জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।”

  • টিউলিপ ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ টের পেলেন ড. ইউনূস: গোলাম মাওলা রনি

    টিউলিপ ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ টের পেলেন ড. ইউনূস: গোলাম মাওলা রনি

    সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা প্রভাবশালী এবং কতটা ইনফ্লুয়েনশিয়াল সেটা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ড. ইউনূস। গোলাম মাওলা রনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যখন লন্ডন যাচ্ছিলেন তখন টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি যেভাবে লেখা হয়েছে তা ড. ইউনূসের জন্য অবমাননাকর, অসৌজন্যমূলক। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের যে বিশ্বজোড়া খ্যাতির কথা আমরা প্রচার করি, টিউলিপের চিঠির ভাষা এবং উদ্দেশ্য এই খ্যাতিতে রীতিমতো চপেটাঘাত।

    আজ সকালে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এ কথা বলেন। গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া, বিশ্বমিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই চিঠি এবং চিঠির ভাষা রীতিমতো ভাইরাল। ড. ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করবেন কি না, ডিনার বা লাঞ্চে অংশ নেবেন কি না তা নিয়ে গত কয়েক দিন বেশ আলোচনা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকী ড. ইউনূসের নাতির বয়সী।

    এখন নাতির বয়সী একটা ব্যক্তির সঙ্গে যখন তাকে সমান্তরালে নামিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা হয়, গ্রেডিং দেওয়া হয়, এর অর্থ ড. ইউনূসকে নিচে নামানো হলো এবং টিউলিপ সিদ্দিকীকে ওপরে তোলা হলো।
    সাবেক এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইংল্যান্ড সফর, সফরে তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন, সঙ্গে বিরাট লটবহর নিয়ে গেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গেছেন, তার যেসব ম্যাজিক্যাল বয় রয়েছে— লুৎফে সিদ্দিকী রয়েছেন, আরো যাদের তিনি নিয়ে গেছেন ইনক্লুডিং তার প্রেসসচিব ‘মহামান্য’ শফিক সাহেব। এই সব কিছুর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীর ওই চিঠির ওজন বেশি হয়ে গেছে। ওই চিঠির গুরুত্ব বেশি হয়ে গেছে।

  • দুর্ঘটনার আগে বিমানটিতে ভ্রমণ করা এক যাত্রী জানালেন ভয়াবহ তথ্য

    দুর্ঘটনার আগে বিমানটিতে ভ্রমণ করা এক যাত্রী জানালেন ভয়াবহ তথ্য

    ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে আজ বৃহস্পতিবাডর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এটি আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু উড্ডয়ন করার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

    এই একই বিমানে করে আজ দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন আকাশ ভাস্তা নামে এক যাত্রী। তিনি দুর্ঘটনার পর জানিয়েছেন ভয়াবহ তথ্য। এ যাত্রী বলেছেন, তিনি যখন বিমানটিতে করে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে যাচ্ছিলেন, তখন এটির কোনো কিছু কাজ করছিল না। এসি থেকে লাইট— সবই ছিল বন্ধ। এসি কাজ না করায় তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, যাত্রীরা সেখানে থাকা ম্যাগাজিন দিয়ে নিজেদের বাতাস করছিলেন।

    আকাশ ভাস্তা জানিয়েছেন, তিনি ওই মুহূর্তের সবকিছু ভিডিও করে রেখেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

    ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি বিমানে সবকিছু অস্বাভাবিক দেখতে পাচ্ছি। বিমানের এসি কাজ করছে না এবং অনেক যাত্রী ম্যাগাজিন দিয়ে নিজেদের বাতাস করছেন। এমনকি অন্য সময়ের মতো টিভি স্ক্রিনও কাজ করছিল না। কোনো কিছু কাজ করছে না। লাইটও কাজ করছে না। এয়ার ইন্ডিয়া আপনারা কি আমাদের এই সেবাই দিচ্ছেন?”

    ভিডিওতে তাকে ঘামতেও দেখা যাচ্ছিল। তিনি সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করে বিমানটির মালিক এয়ার ইন্ডিয়া এবং উৎপাদনকারী বোয়িংকে ট্যাগ করেছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি আজ সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে অবতরণ করে। এরপর দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে এটি লন্ডনের গ্যাটউইকের দিকে রওনা দেয়। তখনই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

    ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর ২৪১ জনই মারা গেছেন। অলৌকিকভাবে শুধুমাত্র একজন বেঁচে গেছেন।

    বিমানটি আছড়ে পড়ে সেখানকার বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। এতে ওই ছাত্রাবাসে থাকা পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

    সূত্র : দ্য মিরর

  • ৬০০ সিনেমায় অভিনয় করেও অর্থকষ্টে, সংসার চলে ১১ হাজার টাকায়

    ৬০০ সিনেমায় অভিনয় করেও অর্থকষ্টে, সংসার চলে ১১ হাজার টাকায়

    বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে বইছে নির্বাচনি উত্তাপ। সেখানে লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে প্রবীণ একজনকে। চেনা মুখ, অভিনেতা জামিলুর রহমান শাখা।

    কাছে যেতেই জানালেন, বয়স ৮০, বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এখনও অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে সিনেমায় নয় নাটকে। সেটাও কম। কারণ, থাকেন দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার একটি গ্রামে। গাড়িতে চড়ে দূর যাত্রায় শুটিংয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়।

    এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ অভিনেতা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ সিনেমায় অভিনয় করলেও এখন তাঁর সংসার চালাতে হয় ১১ হাজার টাকায়।

    পর্দায় তিনি বাবা, জজ সাহেব, কুলি, চাকর, শিক্ষক থেকে এমন কোনো ‘চরিত্র’ নেই যা করেননি! ৪২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ছয় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই শাখা। তবে অভিনয় জীবনে তার একটি আফসোস তাড়া করে বেড়ায়। কখনও ‘সেন্ট্রাল ক্যারেক্টার’-এ অভিনয়ের সুযোগ পাননি প্রবীণ এই অভিনেতা।

    এই অভিনেতা জানান, তিনি দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার একটি গ্রামে থাকেন। সেখান থেকে একটি চেক পেতে ঢাকায় এসেছিলেন। সেই সঙ্গে ভোটের আমেজ চলছে এফডিসিতে, সেটা জেনেই ঘুরে দেখতে এসেছিলেন। বলছিলেন, জ্যাম ঠেলে এফডিসি আসতে বেগ পোহাতে হয়ে তাকে।

    ঢাকায় থাকেন না কেন জিজ্ঞেস করতেই জামিলুর রহমান শাখা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমাদের যখন ক্যারিয়ার শুরু তখনকার অনেক পরিচালক আর বেঁচে নেই। অনেক শিল্পীরাও মারা গেছেন। যারা আছেন তারা সেভাবে কাজ করেন না। তবে অধিকাংশই ভালো আছেন। আমি গত ১৭ বছর যাবত গ্রামে থাকি। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার সামর্থ্য নেই। এতো বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে থাকা সম্ভব না। আমার দুই ছেলে মেয়ে। মেয়ে ঢাকায় পড়ে। ছেলে বাইরে চাকরী করে। সপ্তাহে একদিন বাড়িতে আসে।

    এই বয়সে ঢাকায় বাস করা আমার জন্য জরুরী না। এখন এতোটা সিনেমায় কাজ হয় না। টুকটাক নাটকে কাজ করি। যেদিন শুটিং থাকে আসি। জীবনে সাড়ে ছয়শো’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেও সেন্ট্রাল চরিত্র পাইনি। এটাকে আমি মনে করি আমার অক্ষমতা। তবে আমি নায়ক হওয়ার কম চেষ্টা করিনি। কিন্তু বলা হতো, শাবানার পাশে স্টার কাস্ট লাগবে। এভাবেই আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হতো। এটা আমি আমার নিজের ব্যর্থতাই বলবো। আমি যদি যোগ্য হতাম তাহলে একবার হলেও সুযোগ পেতাম।

    ২০১৯ সাল নাগাদ চরমভাবে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন জামিলুর রহমান শাখা। তখন শিল্পী সমিতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় বলে জানান এই অভিনেতা। এরপর থেকে সেই টাকার উপর নির্ভরশীল তার পরিবার।

    জামিলুর রহমান শাখা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়ীপত্র অনুদান পাই। সেখান থেকে প্রতিমাসে আট হাজার টাকা করে পাই। আমার মেয়ে প্রতিমাসে দেয় তিন হাজার টাকা। এই এগারো হাজার টাকায় সংসার চালাতে হয়। এভাবেই সংসার চলে। অভিনয় তো তেমন করা হয় না। গাড়িতে চড়ে দূর যাত্রায় শুটিংয়ে যেতে সবচেয়ে কষ্ট হয়। তাই দূরে শুটিং হলে করি না।

    তবে আঞ্জুমান, মাঝির ছেলে ব্যারিস্টার, হৃদয়ের কথা, খায়রুন সুন্দরী, সত্যের মৃত্যু নেই, প্রেম পিয়াসী, আমার প্রাণের স্বামীর মতো আলোচিত সব সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া জৈষ্ঠ্য এই অভিনেতা জানান, তার জীবনে আর তেমন কিছু চাওয়ার নেই। বলেন, আমাকে দিয়ে সব ধরনের চরিত্র করানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং নায়ক বাদে কোনো চরিত্র বাদ আছে কিনা জানা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ‘রাজধানী’ সিনেমার কথা। অনেকটা ভিলেন টাইপের চরিত্র করেছিলাম। এছাড়া একবার জসিম ভাইয়ের কথায় ফাইটিংয়ের শুটিংয়ে সত্যি সত্যি তার বুকে ঘুষি মেরেছিলাম। এই জিনিসটা বেশি বেশি মনে পড়ে।