Author: admin

  • বরগুনায় ডেঙ্গুতে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২১৪

    বরগুনায় ডেঙ্গুতে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২১৪

    বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সাফওয়ান নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (১৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ।

    সাফওয়ানের বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন বরগুনার লাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি মির্জাগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা। সাফওয়ানের মা সাজিয়া আফরিন বরগুনার নার্সিং ইন্সটিউটের একজন ইন্সট্রাক্টর।

    জানা যায়, গত ৪ দিন আগে সাফওয়ান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। প্রথমে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে রোববার তাকে ঢাকা নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই সাফওয়ান মারা যায়। এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে শপথ গোপালগঞ্জে আ.লীগের
    বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১০ জন বরগুনা থেকে রেফার্ড করার পরে বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২১৪ জন।

  • মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ২১ মুসলিম দেশ

    মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ২১ মুসলিম দেশ

    মিসরের নেতৃত্বে ২১টি মুসলিম দেশের একটি গ্রুপ ইসরায়েলের ইরানের উপর হামলার নিন্দা করেছে। সে সঙ্গে গ্রুপটি জরুরি ভিত্তিতে উত্তেজনা হ্রাস এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

    ‘বাছাইহীনভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবাই’ বলছে গ্রুপটি ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করেছে। অর্থাৎ, ইসরায়েলকেও পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তির চেষ্টা থেকে সরে আসতে হবে।

    গ্রুপটি সতর্ক করে বলেছে, সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান তাদের। তারা মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য তাদের সমর্থন প্রকাশ করে এবং এই অঞ্চলের সকল রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।

    আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর আগে গাজা নিয়ে শেষ বার্তায় যা বলেছেন পোপ
    গ্রুপটিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো- আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, চাদ, কোমোরোস, জিবুতি, মিসর, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

    এদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু একটা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইরান-ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছে।

    আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলি সেনাদের ওপর দফায় দফায় লেবাননের হামলা
    মাখোঁ কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে পারে, তবে তা খুবই ভালো একটি বিষয়।

  • মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি এখন ইরানের কব্জায়

    মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি এখন ইরানের কব্জায়

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের গোয়েন্দা সাফল্য দাবি করেছে ইরান। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি অত্যন্ত জটিল অভিযানের মাধ্যমে তারা ইসরায়েলের মোসাদ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার বহু সংবেদনশীল ও কৌশলগত নথি হস্তগত করেছে।

    ইরান দাবি করেছে, তারা হাজার হাজার গোপন নথি, ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক পরিকল্পনা, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গোপন কার্যক্রম ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তথ্য। এই খবর প্রকাশ করেছে পার্স টুডে ও আল-মায়াদিন।

    জর্ডানের সামরিক বিশ্লেষক ও কৌশলবিদ নাজাল আবু জায়েদ বলেন, ইরানের এই গোয়েন্দা অভিযান ছিল সময় ও স্থানভিত্তিক সমন্বিত এক সাইবার ও মাঠ পর্যায়ের হামলা। তারা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও সক্ষমতার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সংবেদনশীল আর্কাইভ সবসময় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকে। তবুও ইরানি গোয়েন্দারা তা ভেদ করে ঢুকে পড়েছে। এটি ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী ও সামরিক প্রধানদের বহুদিনের অহংকার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সক্ষমতাকে মুছে দিয়েছে।

    আল-মায়াদিনকে দেওয়া তথ্যে একাধিক অভিজ্ঞ সূত্র জানায়, অনেক আগেই এই অভিযানের সূচনা হয়, তবে বিপুল সংখ্যক নথিপত্র নিরাপদভাবে ইরানের অভ্যন্তরে স্থানান্তরের পরই বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। তারা জানায়, নথির পরিমাণ এত বেশি যে শুধু তা পর্যবেক্ষণ, ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।

    সূত্রগুলো আরও দাবি করে, ইরান এখন মোসাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত সকল তথ্যের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে শুধু কৌশলগত সুবিধা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে গোয়েন্দা লড়াইয়ে ইরান এক ঐতিহাসিক বিজয় দাবি করতে পারে। তেলআবিব এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের চাপে পড়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

    বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনার এই সময় ইরানের এই দাবি এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা ভবিষ্যতের সংঘাতের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

  • এবার তুরস্কসহ ৪ দেশ নিয়ে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের প্রস্তাব

    এবার তুরস্কসহ ৪ দেশ নিয়ে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের প্রস্তাব

    মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা জোরদারে যৌথ ‘ইসলামিক সেনাবাহিনী’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রভাবশালী নেতা মহসেন রেজাই জানিয়েছেন, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং তুরস্ককে সঙ্গে নিয়ে এই বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

    তার মতে, একটি শক্তিশালী ইসলামিক সামরিক জোট গড়ে তোলা গেলে তা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের জবাবে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে পারবে। ইরান বলছে, মুসলিম দেশগুলোর একতাবদ্ধ হয়ে আত্মরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন সেনাবাহিনী গঠিত হলে তা অঞ্চলটির ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে একইসঙ্গে এতে নতুন করে সংঘাত ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।

    এদিকে, ইরান সোমবার আবারও ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে রাজধানী তেল আবিব ও হাইফা শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলায় আবাসিক এলাকায় আগুন ধরে যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

    এই হামলায় মার্কিন দূতাবাসও আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানকার মার্কিন নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রায় সাত লাখ মার্কিনি এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা ঘাঁটিতে হামলা হলে তার জবাব দেওয়া হবে ‘সম্পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে।

  • নারী কর্মীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতার, অডিও ফাঁস

    নারী কর্মীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতার, অডিও ফাঁস

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে দলের এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর সঙ্গে তুষারের কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস করে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।

    জাওয়াদ নির্ঝর দাবি করেন অডিওটি ৪৭ মিনিটের। তবে তিনি ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি অডিও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশ করেছেন।

    যা ওই কথোপকথনের চুম্বক অংশ।

    সোমবার (১৬ জুন) সকালে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে অডিও ফাঁস করে লিখেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার তার দলের নারী কর্মীকে **(কুপ্রস্তাব) দিচ্ছে! গভীর রাতে মেয়েদের ছবি চায়! ওই নারীর সঙ্গে তার ৪৭ মিনিটের কথোপকথনের চুম্বক অংশ দেওয়া হলো। গোটা অডিও নিচের লিংকে আছে!’

    আরেক পোস্টে তুষারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান নির্ঝর সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির নারীর আদৌ নিরাপদ কি না, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হোক। আগে থেকে পরিচিত যৌন নিপীড়ক সারোয়ার তুষারকে কেনো ছাত্রদের দলের বড় নেতা বানানো হয়েছে?

    জাওয়াদ নির্ঝরের পোস্ট করা ওই অডিওতে শোনা যায়, সারোয়ার তুষারের কণ্ঠসদৃশ একজন এক নারীর সঙ্গে কথা বলছেন। এতে ওই নারীকে অভিযোগ করতে শোনা যায়, তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার ছবিও চাওয়া হয়।

    তাতে ওই নারী অবাক হন। তবে ছবি চাওয়ার পেছনে অন্য কোনো ইনটেনশন নেই বলে দাবি করেন তুষার কণ্ঠসদৃশ ব্যক্তির। একপর্যায়ে এমন প্রস্তাবের জন্য ওই নারীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি।

    তাদের কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, এটি গত রমজানের কোনো একসময়ের অডিও। যেখানে ইফতারের পর ওই নারীকে দেখা করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে কল রেকর্ডের ওই দুই জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

  • ‘সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কারণ তারা আমাদের ভাই’

    ‘সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কারণ তারা আমাদের ভাই’

    ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আজ ইরানি জনগণের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি। তিনি বলেন, আমাদের এখন এক হয়ে দাঁড়াতে হবে গণহত্যাকারী ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।

    আজ সোমবার (১৬ জুন) পার্লামেন্ট অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী এবং অসংখ্য সাধারণ নাগরিকের শহীদ হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

    পেজেশকিয়ান বলেন, শত্রুদের সহিংসতা, হত্যা বা সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমাদের জাতিকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। যারা শহীদ হন, তাদের স্থানে শত শত মানুষ উঠে আসে পতাকা বহনের জন্য—অত্যাচার, অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।

    তিনি বলেন, ইরানি জনগণ বারবার প্রমাণ করেছে যে, তারা কোনো বর্বরতা বা আগ্রাসনের মুখে মাথা নত করে না।

    তিনি আরও বলেন, ইরান এই যুদ্ধের শুরুকারী নয়। আজ আমাদের দরকার ঐক্য ও সম্মিলিত প্রতিরোধ। সব মতভেদ ভুলে পুরো জাতিকে একত্রিত হয়ে এই আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের মধ্যে যেসব ভিন্নতা ও সমস্যা আছে, সেগুলো এখন পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়। এখন দরকার সাহসিকতা ও সংহতি।

    তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তি ও গবেষণায় অংশ নেওয়া ইরানের অধিকার, যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আমরা আমাদের এই ন্যায্য অধিকার অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কোনো শক্তিকেই ভয় করি না।

    ইরানি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কারণ তারা আমাদের ভাই। আজ অধিকাংশ মুসলিম দেশ আমাদের পাশে আছে।

    পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে হামলার সুযোগ দিয়েছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা যুদ্ধ চাই না, কখনো যুদ্ধ শুরুও করিনি। কিন্তু ইসরায়েল আমাদের বিজ্ঞানীদের, সামরিক নেতাদের ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।

    তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘একজন পরমাণু বিজ্ঞানী কী অপরাধ করেছিল যে, সপরিবারে তাকে হত্যা করা হলো? বিশ্বের আরেক প্রান্ত থেকে এসে একজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করার অধিকার কে দিয়েছে?’

    উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, মহাকাশ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরআলি হাজিজাদেহ, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ এবং আইআরজিসি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি। এ ছাড়া শহীদ হয়েছেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ফেরেইদুন আব্বাসি, ড. মোহাম্মদ মেহদি তেহরাঞ্চি এবং ড. আবদুলহামিদ মিনুচেহর।

    ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইতোমধ্যে ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলে আট দফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে, যার সর্বশেষ ধাপকে সংস্থাটি ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিধ্বংসী’ আখ্যা দিয়েছে।

    ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে চালানো এই পাল্টা আঘাতে ইরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা নির্যাতনের জবাব দিতেই জানে। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা শহীদ হয়েছি, কিন্তু নত হইনি। আমরা প্রতিরোধে আছি, থাকব।

    সূত্র: প্রেস টিভি

  • বিএনপির এমপি মনোনয়ন পেতে লাগবে যে তিনটা যোগ্যতা

    বিএনপির এমপি মনোনয়ন পেতে লাগবে যে তিনটা যোগ্যতা

    বিএনপি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আগাচ্ছে দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ে দলটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এর জন্য ইতোমধ্যে একাধিক জরিপ সম্পন্ন করেছে।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতাকে অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ত্যাগ ও সংগ্রাম: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দেশ ও দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকারকারী প্রার্থী। সততা ও সুনাম: সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং স্থানীয় জনগণের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত ব্যক্তি। জনপ্রিয়তা: নির্বাচনী এলাকায় ভোটের রাজনীতিতে জনপ্রিয় প্রার্থী।

    বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে, তবে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে একটি চমৎকার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের একাধিক সদস্যও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এ ছাড়া, মিত্র দলগুলোর জন্য কিছু আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে যারা বিগত ১৫ বছরের শাসনকালে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম-ইনান যেভাবে দেশত্যাগ করেন
    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। প্রার্থী বাছাই দলটির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী অসংখ্য প্রার্থী ইতোমধ্যে গণসংযোগে নেমেছেন। যদিও দলটির হাইকমান্ড উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা জরিপ চালিয়েছে। এখনো জরিপ চলছে।

    অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের পর একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড।

    আওয়ামী আমলে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ২০১৪ ও ২০২৪ এর নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল বর্জন করে। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে রাতে ভোটের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে আসে দলটি।

    আরও পড়ুনঃ প্রেস অফিসারদের জন্য আইফোন বরাদ্দ বাড়াবাড়ি মনে হয়নি: মারুফ কামাল
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এটি নিশ্চিত করেছেন, জোর দিয়ে বলেছেন যে ত্যাগী, সৎ, এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অপকর্মে জড়িত বা জনপ্রিয়তাহীন ব্যক্তিরা মনোনয়ন পাবেন না। ওই নির্বাচনে একটি আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত হলো একক প্রার্থী নির্ধারণ করা। ২০১৮ সালের মতো একাধিক প্রার্থী হবে না।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, দলের প্রতি কার কতটুকু ত্যাগ রয়েছে, নিঃস্বার্থভাবে দলকে সেবা করেছেন এবং দুর্দিনে যারা দলের সঙ্গে ছিলেন তাদের আমরা নিশ্চয়ই সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেব। তারেক রহমান কয়েকটি জরিপ করেছেন, আরও করবেন। নিশ্চয়ই যোগ্য ব্যক্তি উঠে আসবে এবং তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুনঃ বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত, ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা বলেন, এবার প্রার্থী মনোনয়নে অনেক চমক থাকতে পারে। কিছু আসনে এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী দেওয়া হবে, যার কথা অনেকের চিন্তার মধ্যেও থাকবে না। আবার অনেক সিনিয়র ও প্রভাবশালী নেতাও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন টিকিট পাবেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্যাগী, সৎ-যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে পারেন। যার বিরুদ্ধে অপকর্মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং মাঠে গ্রহণযোগ্যতা নেই, তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক, ত্যাগ ও আনুগত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী মূল্যায়ন করা হবে।

  • জমি থেকে লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

    জমি থেকে লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

    জমি থেকে লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
    নাটোরের নলডাঙ্গায় জমি থেকে ভুট্টা লুটের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার মহিষমারি এলাকার একটি গোডাউন থেকে লুটকৃত প্রায় ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।

    এ সময় মনির সরদার ও সেন্টু মন্ডল নামে দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা পশ্চিম মাধনগর এলাকার বাসিন্দা।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব মাধনগরের বাসিন্দা আসমা বেগমের চাষ করা ভুট্টা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি সেনাবাহিনী অবগত হয়ে অভিযান চালিয়ে মনির সরদার ও তার শ্যালক সেন্টুকে আটক করে থানার হস্তান্তর করে। সেই সঙ্গে ভুট্টাগুলো উদ্ধার করে আসমা বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়া। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

  • ফরিদপুরে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আ.লীগ নেত্রীর মেয়ে

    ফরিদপুরে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আ.লীগ নেত্রীর মেয়ে

    ফরিদপুরে সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব মো. সোহেল রানা।

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    ২৩ সদস্যের এ কমিটিতে ‘তৎকালীন আওয়ামী লীগের দোসর’ ও ‘ফ্যাসিবাদের কোলে বসে থাকা মুখোশধারীদের’ স্থান দেওয়ায় তিনি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    সোহেল রানা বলেন, জুলাই-গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এনসিপি ছিল শহীদদের রক্ত ও বীরদের ত্যাগে নির্মিত। কিন্তু আজ সেই দলে জায়গা পাচ্ছে তারা, যারা সেই সময় বিরোধিতা করেছিল।

    জানা যায়, ফরিদপুর জেলা শাখার ঘোষিত সমন্বয় কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুরের ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগ্নি সৈয়দা নীলিমা দোলা। যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন এসএম জাহিদ, সাইফ হাসান খান, জিল্লুর রহমান, মো. বায়েজিদ হোসেন ও মো. কামাল হোসাইন। এ ছাড়াও ১৭ জন সদস্য রয়েছেন যারা জেলার বিভিন্ন পেশা ও পটভূমি থেকে এসেছেন।

    আরও পড়ুনঃ ১০ মাসে ৩ দল বদল করে এখন এনসিপির নেতা
    গত ৫ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে এ কমিটি ঘোষণা করেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস বা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত। এ ছাড়া গত ৩ জুন এনসিপির শ্রমিক উইংসের ৩৬ সদস্যের আরেকটি জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হয়। যার প্রধান সমন্বয়কারী এসএম জুনায়েদ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের সদস্যসচিব সোহেল রানা ফেসবুকে তার নিজস্ব আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন।

    আরও পড়ুনঃ ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির : মির্জা ফখরুল
    ওই মন্তব্যে সোহেল রানা লেখেন, উল্টে যাচ্ছে গণেশ। জুলাই- গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দল এনসিপি। শদীদের রক্ত, হায়েনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া বীরদের ত্যাগের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি রাজনৈতিক দল। দেখতে পাচ্ছি আমরা তৎকালীন সময়ের আওয়ামী লীগের সম্মানিত দালালরা, ফ্যাসিবাদের কোলে বসে থাকা দোসররা মুখ লুকিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যায়গা নিচ্ছেন এই দলে। বাদ যাচ্ছে না সহযোগী সংগঠন গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদ।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার আগে কখনও খতিয়ে দেখার চেষ্টাও করেন নাই, জুলাইয়ে তাদের ভূমিকা ছিল। কার অবস্থান কি ছিল! জুলাইয়ের পক্ষে নাকি বিপক্ষে? যাদের পদ/পদবি দেবেন, তারা কি চায়! মানুষের জন্য রাজনীতি নাকি, টেন্ডারবাজি, দখলদারী, করে নিজের পকেট ভারী। সময় ভালো চলছে…বসন্তের কোকিল আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে, সময় খারাপ হলে, এদের কি আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে? রীতিমতো অবাক করে দিচ্ছেন আমাদের! যেটার ফলাফল হবে- সাপের ডিম সাপেই খাবে!

    আরও পড়ুনঃ “জাতীয় স্বার্থে ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে” — তারেক রহমান
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ফরিদপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, রাজনীতিতে কিছু বিতর্ক থাকবেই। আমরা ছবির রাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কারও ছবি থাকলে সেটাই সব নয়। তবে কারও বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতেও নানান মন মানসিকতার অনেকে রয়েছে। তাই কারও পুরোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা সম্পর্কের ভিত্তিতে না দেখে আমরা তার বর্তমান অবস্থান ও ভূমিকা দেখছি।

  • মোসাদের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার উদঘাটন করলো ইরান

    মোসাদের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার উদঘাটন করলো ইরান

    ইন্টারনেট-ভিত্তিক অটোমেশন এবং রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত মোসাদের তৈরি কাস্টমাইজড স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার উদঘাটন করেছে ইরানের গোয়েন্দা বাহিনী। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত করতে এই লঞ্চারগুলো ব্যবহার করা হয়।

    মেহর নিউজের প্রতিবেদনে, স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের (ফায়ার-এন্ড-ফরগেট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং অ্যান্টি-পার্সোনেল) বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে হামলার সময় সন্ত্রাসী মোসাদ এজেন্টরা লঞ্চারগুলো ব্যবহার করে।