Author: admin

  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন

    নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন

    বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, কলকাতার হোটেল পার্কে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের গোপন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বশরীরে ও ভার্চুয়ালি কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।

    প্রখ্যাত ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সভায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় ও তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য কারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তার তালিকাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

    তবে, এই সভার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

  • বাংলাদেশির ওপর বিএসএফের গুলি-পাল্টা হামলা বিসএফ সদস্য আহত

    বাংলাদেশির ওপর বিএসএফের গুলি-পাল্টা হামলা বিসএফ সদস্য আহত

    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের সংঘর্ষে হিলি সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মল্লিকপুর বিওপি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গুলি-পাল্টা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান ও এক বাংলাদেশী নাগরিক। আহতদের পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুর সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    বিএসএফের স্থানীয় বর্ডার আউটপোস্ট সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের মল্লিকপুর সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশির নাম মোহম্মদ আলাউদ্দিন (৩২) তিনি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা। আহত বিএসএফ জাওয়ানের নাম ওরফেজ কুমার (২৭) তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট এলাকার বাসিন্দা। আহত ৯১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ওয়াফেজ এদিন মল্লিকপুর বিওপিতে কর্তব্যরত ছিলেন।

    সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতে প্রায় পাঁচজন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারের উদ্দেশে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এসময় কর্তব্যরত ওই জওয়ান দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বিএসএফ জাওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে তারা। বাধা দিলে ধরানো অস্ত্রের কোপ দিয়ে বিএসএফ সদস্যকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পাচারকারীদের উদ্দেশে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ওই বিএসএফ জওয়ান। এ ঘটনায় মোহম্মদ আলাউদ্দিন নামে ওই বাংলাদেশি পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হলে, বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    এদিকে এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে খবর পেয়ে সীমান্তে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই মল্লিকপুরের উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এই এলাকায় বিএসএফ-বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

  • শেখ হাসিনার যেকোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য ভারত দায়ী থাকবে: উপদেষ্টা নাহিদ

    শেখ হাসিনার যেকোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য ভারত দায়ী থাকবে: উপদেষ্টা নাহিদ

    তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলে ভারত দায়ী থাকবে।

    আজ বুধবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং এর জন্য তাদের কাছে কিছু ব্যাখ্যা আছে। আমরা ভারতকে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে বলেছি এবং এটি একটি কূটনৈতিক বিষয়। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি সেখান থেকে রাজনীতি করার চেষ্টা করেন, ভারতে রাজনৈতিক সভা করেন, তাহলে এর জন্য ভারত সরকার দায়ী থাকবে।’

    জুলাই গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ গ্রন্থটি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের একটি প্রামাণ্য দলিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংবাদপত্রের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো কোনো পত্রিকা অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে, যা দুঃখজনক।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতা, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যেকোনো সম্ভাব্য নৈরাজ্যের জবাব দিতে রাজপথে থাকব। আমরা আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত রাখব। জনগণকে উদ্বিগ্ন করার এবং আমাদের ঐক্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। আমরা সর্ব অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছি।’

    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী সংবাদপত্রের সম্পাদকদের তাঁদের ভূমিকা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংবাদপত্রগুলো ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ভূমিকাই পালন করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংবাদপত্রগুলোক নির্ধারিত সংবাদ প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক সংবাদপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন করার জন্য বয়ান তৈরি করেছিল।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যাদেরকে শাসকের ন্যারেটিভ প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, তাদের জনগণের কাছে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত, অন্যথায় তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।’ এ সময় দেশের কল্যাণের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে কেউ তুলে ধরেছেন ছবির মাধ্যমে, আবার কেউ তুলে ধরেছেন গ্রাফিতি ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে। এ ছাড়া জাতীয় দৈনিকগুলোও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানকে তুলে ধরেছে স্বমহিমায়।

    ২৫টি জাতীয় দৈনিক থেকে চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মাধ্যমে মুক্তিকামী মানুষের লড়াই–সংগ্রামের অবদান অম্লান হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বইটির লেখক ও প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।

  • এবার হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন

    এবার হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন

    রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

    বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এ আগুন দেয়।

    স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ধানমন্ডি ৩২, ভাঙচুর-আগুন
    সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সুধা সদন পুরোপুরি খালি ছিল। এরপর আজ (বুধবার) শেখ হাসিনার বক্তৃতা ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। পরে তারা প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুরের বাড়িতে আগুন দেয়। পরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দেয়।

    বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’

    এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।

    এ ছাড়া সন্ধ্যায় ‘ছাত্র-জনতা আন্দোলন’ নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করা হয়।

  • টুঙ্গিপাড়া কবরসৌধ বুলডোজ করে পুরাপুরি মাটির সাথে মিলিয়ে দিবো

    টুঙ্গিপাড়া কবরসৌধ বুলডোজ করে পুরাপুরি মাটির সাথে মিলিয়ে দিবো

    শেখ হাসিনা যদি কোনোদিন পাবলিক এড্রেস করে – এন্টি ফ্যাশিস্টদের সরাসরি ঘোষণা দেয়া উচিত যে – আমরা টুঙ্গিপাড়া কবরসৌধ বুলডোজ করে পুরাপুরি মাটির সাথে মিলিয়ে দিবো।সরকারের কোনো বাধা দেয়া উচিত না।

    আমরা বাংলাদেশের সব বুলডোজার টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যাবো। সারা জীবনে কোনোদিন যদি পাবলিক এড্রেস করে – এইটা হবে পরিণতি। ফেজবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন, লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম

  • যেসব জেলা নিয়ে ‘সিটি সরকার’ গঠনের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের

    যেসব জেলা নিয়ে ‘সিটি সরকার’ গঠনের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের

    জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এই সুপারিশ জমা দিয়েছেন।

    কমিশনের সুপারিশে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ হিসেবে গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ‘গ্রেটার সিটি ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি’ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন এও প্রস্তাব করেছে, ঢাকার মতো বড় মহানগরী জন্য ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ গঠিত হোক, যা ভারতের নয়াদিল্লির মতো হবে। এই সরকারে নির্বাচিত আইনসভা ও স্থানীয় সরকার থাকবে। ঢাকা মহানগরী, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও নারায়ণগঞ্জ অন্তর্ভুক্ত করে ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট গঠন করা যেতে পারে।

    এছাড়া, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের প্রস্তাব এবং পাবলিক সার্ভিস পৃথক করে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করার সুপারিশও রয়েছে।

    বিচার বিভাগ নিয়ে কমিশন সুপারিশ করেছে, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার প্রস্তাব দিয়ে, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নিয়োগ এবং একটি স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য পুলিশী তদন্তকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা।

    কমিশন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও করেছে।

    এমন সুপারিশগুলো নিয়ে একটি জুলাই চার্টার তৈরি হবে, যেখানে বিভিন্ন পক্ষের স্বাক্ষর থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই চার্টারের কতটুকু বাস্তবায়ন করবে, তা নির্ভর করবে নির্বাচনের পর।

    এদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। গত অক্টোবর মাসে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়, এর মধ্যে সম্প্রতি আরো দুটি কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়া হলো।

  • মিডিয়ার ট্রলের শিকার ১১ বছর বয়সী সুবা, সত্যিই কি দোষ ছিলো শিশুটির?

    মিডিয়ার ট্রলের শিকার ১১ বছর বয়সী সুবা, সত্যিই কি দোষ ছিলো শিশুটির?

    ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে, মা এর চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে এসেছিলেন ঢাকায়। সেখান থেকেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

    মেয়েটির নাম আরাবি ইসলাম সুবা। পুলিশের সহায়তায় র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা নওগাঁ থেকে তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার পর ১১ বছর বয়সী শিশুটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। সে জানায়, দুই বছর আগে টিকটকে পরিচয় হওয়া এক ছেলের সঙ্গে সে পালিয়ে এসেছে। বাসায় ভালো লাগে না, তাই পরিবার ছেড়ে ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে সে। আর এটি নিয়েই দেশের মিডিয়া শিশুটিকে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করে ভিউ বাণিজ্য করছে। আর নেটিজেনরাও মেতেছে তাকে নিয়ে ট্রল করতে। ১১ বছর বয়সী একটি শিশু যখন এমন উদ্ভট আচরণ করছে। তখন বুঝতে হবে তার বেড়ে ওঠার পরিবেশে সমস্যা ছিলো। এত কম বয়সী একটি মেয়ে শিশু কিভাবে স্মার্টফোন হাতে পায়? এটি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। শফিক নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, দেখে অবাক হলাম মেয়েটির বয়স মাত্র ১১ বছর। এই শিশুটির হাতে যে ফোন তুলে দিয়েছে এখানে দোষ তার, তার পরিবারের।

    শিশুটিকে যে খুঁজে পাওয়া গেছে এটিই কি সৌভাগ্য নয়? এমন পরিস্থিতিতে তার সাথে অনেক কিছুই তো ঘটতে পারতো। এখানে পুলিশ বাহিনী ও র‌্যাবকে বাহবা দেওয়াই যাই। মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে কিছু ভিউ ব্যবসায়ী অসাধু মিডিয়া শিশুটিকে নিয়ে নেগেটিভ নিউজ করছে, তাকে সমাজের কাছে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করছে । এত কম বয়সী একটি শিশুর কি এসব বোঝার বয়স সত্যিই হয়েছে? শিশুটিকে নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য না করে তার পাশে দাঁড়ানো উচিৎ সকলের এমনটিই মনে করেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।

  • একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার ৬ বান্ধবী” – বেরিয়ে এলো আসল তথ্য

    একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার ৬ বান্ধবী” – বেরিয়ে এলো আসল তথ্য

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দাবি করা হয়, ছয় বান্ধবী একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে একজন এডিসি, একজন আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুজন এসি ল্যান্ড ও একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার রয়েছেন। তবে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এটি পুরোপুরি মিথ্যা।

    ফ্যাক্ট চেকিংয়ে জানা যায়, ওই নারীরা একে অপরের বান্ধবী ছিলেন না। ২০২৩ সালে তারা শরীয়তপুর জেলায় প্রশাসনিক পদে কর্মরত অবস্থায় পহেলা ফাল্গুনে একসাথে কয়েকটি ছবি তুলেছিলেন, যা পরে ভুলভাবে ভাইরাল হয়ে সামাজিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।

    এ বিষয়ে ছবি তোলা নারীদের একজন, হাছিবা খান জানান, “আমরা কখনোই বান্ধবী ছিলাম না, আমরা সবাই কলিগ ছিলাম এবং ছবিটি ফটোগ্রাফার ভুলবশত পোস্ট করেছিলেন, পরে তা মুছে ফেলা হয়।”

    এটি প্রথমে মিথ্যা তথ্য হিসেবে শনাক্ত করা হলেও, আবারো একই ছবি ব্যবহার করে ভিন্ন দাবি করা হয়, যা সত্যিকার অর্থে ভ্রান্ত।

  • ফয়জুল করীমের ওপর হামলা, সেই স্বপন আটক

    ফয়জুল করীমের ওপর হামলা, সেই স্বপন আটক

    ২০২৩ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়বে আমির সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রধান অভিযুক্ত স্বপনকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।

    নগরীর বান্দ রোডের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোয়ার্টার থেকে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে।

    এর আগে বিকেল থেকে স্বপনের বাসা ঘিরে রাখে ইসলামী আন্দোলনের একদল নেতাকর্মীসহ মুসল্লিরা। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    জানা গেছে, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বিসিসি নির্বাচনের দিন নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে ফয়জুল করীমের ওপর হামলা চালানো হয়। সেই হামলার মূলহোতা স্বপন।

    স্বপনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিকেল থেকে তার বাসা ঘিরে রাখেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে স্বপন ঘর থেকে বের হন এবং তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

    এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে মুসল্লীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো এমন খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বিয়েতে কনের বয়স ১৬, বরের বয়স ১৮ করার দাবি

    বিয়েতে কনের বয়স ১৬, বরের বয়স ১৮ করার দাবি

    বাল্য বিবাহ রোধে বিবাহের ক্ষেত্রে কনের বয়স ১৬ এবং বরের বয়স ১৮ করাসহ ১৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি।

    মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি কর্তৃক ‘বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের যৌক্তিক দাবি সংক্রান্ত’ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মো: গোলাম কিবরিয়া। বক্তব্যে তিনি বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের দাবি; নারী অধিকার সংস্কার কমিটির প্রতি ‘ইসলাম বিরোধী’ প্রস্তাবনা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে বলেন। পাশাপাশি কিছু দাবির কথা বলেন তিনি।

    বিবাহ ও তালাক বিষয়ে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির ১৫ দফা দাবিগুলো হলো:

    নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে; নিকাহ্ রেজিস্ট্রার অস্থায়ী নিয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। নিকাহ্ রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে; নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের সংশ্লিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন সন্তানকে শূণ্য পদে পিতার স্থলে পুত্রকে সরাসরি নিয়োগ দানের বিধান রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বাল্য বিবাহ রোধে বিবাহের ক্ষেত্রে কনের বয়স ১৬ এবং বরের বয়স ১৮ করার জোর দাবি জানাচ্ছি; নিকাহ্ রেজিস্ট্রারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম পাশের পরিবর্তে কামিল করতে হবে; নিকাহ্ রেজিস্ট্রারদের ছুটিজনিত সময়ে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হওয়ার যোগ্যতা রাখে এমন ব্যক্তিকে উক্ত সময়ে দায়িত্ব প্রদানের বিধান রাখতে হবে, যা পূর্বেও ছিল; প্রবাসীদের বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে; একাধিক স্বামী গ্রহণ ইসলামি শরিয়তে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাই যে সকল মহিলা পূর্বের স্বামীকে তালাক কার্যকর না করে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদের বিষয়ে শাস্তির বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

    এছাড়াও নিকাহ্ নামায় প্রদত্ত তথ্য ভুল হলে প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা রাখতে হবে; প্রত্যেকটি বিবাহ ও তালাক অফিসে এসে রেজিস্ট্রিকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে; কনে যে এলাকার স্থায়ী বা অস্থায়ী বাসিন্দা সে এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার উক্ত বিবাহটি নিবন্ধন করবেন মর্মে বিধান করতে হবে; নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ ও তালাকের হলফনামা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নিকাহ্ রেজিস্ট্রারদের দাপ্তরিক কাজের জন্য অফিস সহায়ক রাখার বিধান রাখতে হবে; বিবাহ ও তালাকের বালামে কিছু সংযোজন, বিয়োজনও সংশোধন করতে হবে; এবং বিবাহ রেজিস্টার ভলিয়মে বর-কনের ছবি সংযুক্ত করণ ও ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

    এসময় নারী অধিকার সংস্কার কমিটির প্রতি ‘ইসলাম বিরোধী’ প্রস্তাবনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ৪ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন মো: গোলাম কিবরিয়া।

    সংবাদ সম্মেলনে ‘বিবাহ কর’ বাতিল করায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের প্রতি বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী মো: মামুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম তালুকদার, মহাসচিব এড. কাজী মাওলানা মো. আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো: আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া সায়েম প্রমুখ।