Author: admin

  • পটুয়াখালীতে ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত

    পটুয়াখালীতে ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত

    পটুয়াখালীতে ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত
    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

    বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী ইসলামী ফাউন্ডেশনের হলরুমে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

    ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন

    পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক শাহ আলম এবং পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল কাওয়ুম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

    মতবিনিময় সভায় বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, জামায়াতের বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা একেএম ফখরুদ্দিন খান রাযী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মোশাররফ হোসেনসহ দলটির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়সারী।

    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

  • শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সাদ্দামের ২৬ সেকেন্ডের নসিহত!

    শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সাদ্দামের ২৬ সেকেন্ডের নসিহত!

    গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন।তারপর থেকেই দলটির অনেক নেতাকর্মীই রয়েছেন পলাতক,অনেকেই বিচারের মুখোমুখি।

    গত একদিনে লংমার্চ টু ধানমন্ডি ৩২ কর্মসূচি নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে । গেল ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র জনতার জমায়েত শুরু হয়। এরপরই সারাদেশে রাতভর চলে ফ্যাসিস্টদের চিহ্ন উৎখাতের বন্দোবস্ত ।

    সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিও পোস্ট করেন।যেখানে ভিডিওর ক্যাপশনে হাসনাত লিখেন,হাসিনার উদ্দেশ্য সাদ্দামের নসিহত।তিনি আরো উল্লেখ করেন,আওয়ামীলীগের পলাতক নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান নছীহত করছে সাদ্দাম হোসাইন।

    ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম বলছেন, কর্মীদের সাথে থেকে রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করতে হবে।যেখানে তিনি বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন গণতান্ত্রিক দেশ আছে যেখানে নেতা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন আর কর্মীদেরকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। আর আন্দোলন সফল হয়েছে।আজকে ভিডিও কনফারেন্স দিয়ে বড় বড় কথা বলছেন।সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আইন আদালতের মুখোমুখি হন।

    মূলত ভিডিওটি সাবেক স্বৈরাচার,ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের দেওয়া একটি বক্তব্য সাদ্দামের।মূলত এর মাধ্যমে সাদ্দামের কথা সাদ্দামকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন নেটিজেনরা।

  • পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত

    পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বাড়ির নামফলকের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে লেখা – “ডাক্তার বাড়ী | ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য | ইউটিউব চ্যানেল মালিক (৩টি) ভ্লগার, লেখক চিন্তাবিদ, মানবাধিকার কর্মী, ফেসবুক পেইজের মালিক (১২টি) গ্রাম: নেয়ামতপুর পো: দেওগ্রাম, থানা: কাহালু, জেলা বগুড়া”।

    এটি অনলাইন একটিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ি বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এ ছবিটি সম্পাদিত চলে রিউমর স্ক্যানার বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

    তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং ভিন্ন এক ব্যক্তির বাড়ির নামফলকের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।

    এছাড়া ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘এএনএম ইশতিয়াক আহাম্মেদ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তারিখে “একজন পিওর অলরাউন্ডার ব্যক্তি! যার মধ্যে সব গুণই আছে।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি পোস্ট পাওয়া যায়।

    এই ছবির পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে নামফলকের লেখা ছাড়া সবকিছুর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায়, বর্তমানে পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের যে ছবি প্রচারিত হচ্ছে সেটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদিত করা হয়েছে।

    আসল ছবিটি ২০২৩ সালে আরও একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট হতে দেখা যায়। এছাড়া, স্যাটায়ার প্ল্যাটফর্ম ইয়ার্কির ফেসবুক পেজেও ২০২৩ সালে মিম প্রচার হতে দেখা যায়। সুতরাং, ডাক্তার বাড়ী নামে পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।

  • নোয়াখালীতে ‘মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি’ কর্মসূচির ডাক, বিপ্লবীদের প্রস্তুতির আহ্বান

    নোয়াখালীতে ‘মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি’ কর্মসূচির ডাক, বিপ্লবীদের প্রস্তুতির আহ্বান

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন – নোয়াখালী ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “নোয়াখালীর বিপ্লবীরা, বুলডোজার নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি! আজ সকাল ১১টা।”

    এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

  • জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙতে হাসিনার বুক কাঁপে নাই, ৩২ ভাঙতে আমাদেরও কাঁপবে না

    জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙতে হাসিনার বুক কাঁপে নাই, ৩২ ভাঙতে আমাদেরও কাঁপবে না

    ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, এক স্মরণীয় দিনে বেগম খালেদা জিয়াকে টেনেহিঁচড়ে মঈনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি রাতের অন্ধকারে খালি করা হয়, আর সেই ঘটনাটি আজও দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব রেখে গেছে। বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    তার পরদিন বেগম খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অঝোরে কেঁদে তিনি বলেছিলেন, কার কাছে আমি বিচার চাইবো? দীর্ঘদিনের সংসারের সকল মালামাল রেখে আমাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হলো। তারা আমার বেডরুমে দরজা ভেঙে আমাকে রীতিমতো টেনেহিঁচড়ে বের করে দিয়েছে। পুরুষ মানুষ হয়ে বলছে, উনাকে কোলে করে তুলে নিয়ে আসেন। ধাক্কা দিয়ে আমাকে গাড়িতে তুলেছেন। আমি এর বিচারের ভার মহান আল্লাহ ও দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।

    অন্যদিকে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্ভের সঙ্গে মিডিয়ায় বলেছিলেন, প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সুযোগ পাব বের করে দেব। বের করেও দিয়েছি। শেষ!

    যদিও সেদিন বেগম জিয়ার প্রতি কারো বিবেকবোধ কাজ করেনি, এবং কেউ সেই ইনজাস্টিসের প্রতিবাদও করেনি, তবে আজও সেই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় হয়ে রয়েছে। বেগম জিয়া নিজেই নিজের বিচার মহান আল্লাহ ও দেশের জনগণের কাছে ছেড়ে দেন।

    এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক চিত্রে অনেকেই ভেবেছিলেন, এমন কর্মকাণ্ডে কারো বিবেক বা সহানুভূতি জাগবে না। তবে আজও সেই দিনের স্মৃতি জীবিত আছে, বিশেষ করে শহীদ জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙা এবং বেগম জিয়ার এই দুর্দশার ঘটনা স্মরণে রয়ে গেছে।

    আজকের দিনেও এই স্মৃতির দিকে ফিরে তাকালে ৩২ নম্বরের ইট খুলে নেয়ার’ মতো কিছু ঘটনা ঘটলে, দেশবাসী সেই দিনগুলোর মতো দৃঢ় থাকতে প্রস্তুত হবে—এটা স্পষ্ট। এখন চয়েস শেখ হাসিনার উপর। তিনি চুপ থাকবেন, নাকি দিল্লিতে বসে উস্কানি দেবেন, তা সময়ই বলে দেবে।

  • ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ সন্দেহে বিএনপি নেতাকে গণধোলাই

    ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ সন্দেহে বিএনপি নেতাকে গণধোলাই

    ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ সন্দেহে এক বিএনপি নেতাকে গণধোলাই দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির ওই নেতার নাম আক্তার হোসেন। তার বাড়ি ফিরোজপুরে। এছাড়া তিনি স্থানীয় বিএনপির সদস্য বলে দাবি করেন।

    জানা যায়, কেউ একজন তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে চিৎকার দেয়। পাশে থাকা কয়েকজন তাকে ধরতে বলে। কথা রটে গেলে আশেপাশের কয়েকজন তাকে আওয়ামী লীগের কেউ ভেবে গণধোলাই শুরু করে। পরে পরিচয় জানার পর ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে কয়েকজন ঘিরে রয়েছেন। এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ‘আপনাদের মত ৫ আগস্টের আন্দোলনে আমিও ছিলাম, যদি এখানে আওয়ামী লীগের কোনও লোকও আসে তাহলে কি তাকে এভাবে মারধর করবেন।’

    এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙ্গা শুরু করা হয়। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র-জনতার জমায়েত শুরু হয়। রাত ৮টার পর থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটির মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, দরজা জানালাসহ অনেক কিছুই ভাঙ্গা হয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। প্রতিবাদকারীরা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’—এমন নানা স্লোগানে এলাকাকে মুখরিত করে তোলেন। তারা দাবি করেন, ‘আমরা বুলডোজার দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে চাই।’এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাঙচুর চলছিল।

  • ধানমন্ডি-৩২ থেকে এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ

    ধানমন্ডি-৩২ থেকে এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ

    এবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বিক্ষোভ করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় ছাত্র-জনতা ‘একদফা এক দাবি, চুপ্পু তুই এবার যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

    এর আগে বুধবার রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙ্গা শুরু করা হয়। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র-জনতার জমায়েত শুরু হয়। রাত ৮টার পর থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটির মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, দরজা জানালাসহ অনেক কিছুই ভাঙ্গা হয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। প্রতিবাদকারীরা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’—এমন নানা স্লোগানে এলাকাকে মুখরিত করে তোলেন। তারা দাবি করেন, ‘আমরা বুলডোজার দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে চাই।’এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাঙচুর চলছিল।

  • ৩২-এর পর এবার নুহাশ পল্লী নিয়ে পিনাকীর পোস্ট

    ৩২-এর পর এবার নুহাশ পল্লী নিয়ে পিনাকীর পোস্ট

    ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর এবার কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত নুহাশ পল্লী নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসটি দেন তিনি।

    স্ট্যাটাসে তিনি, নুহাশ পল্লীকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে এটিকে জাতীয়করণ করার দাবি উত্থাপন করেন।

    তিনি লিখেন, ‘নুহাশ পল্লী জাতীয় সম্পদ। নুহাশ পল্লী জাতীয় করণ করে ওইখানে হুমায়ুন আহমেদ যাদুঘর করা হোক।’

    এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় এক পোস্টে শেখ হাসিনার পৈতৃক বাড়ি ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে মানুষকে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি বলেন, হাতুড়ি, শাবল, গাঁইতি নিয়ে আসুন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসুন। ইতিহাসের দায় মোচন করতে আসুন।

    পিনাকী বলেন, ফ্যাসিবাদের আতুরঘর নিশ্চিহ্ন করতে আসুন। গান গাইতে গাইতে আসুন, স্লোগান দিতে দিতে আসুন, সন্তানের হাত ধরে আসুন, প্রেমিক প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে আসুন, মুখে হাসি আর বুকে প্রতিরোধের আগুন নিয়ে আসুন। ফ্যাসিবাদের ধ্বংসস্তূপের ওপরে ছাত্র জনতার বিজয় নিশান উড়াতে আসুন।

    তিনি বলেন, আজ রাত ৯টায়। ইতিহাস রচিত হোক। আবু সাঈদ, মুগ্ধরাও আসবে আপনাদের দেখানো পথে। আসুন অসমাপ্ত কাজ আজ আমরা সম্পাদন করি। ইতিহাসের দায় মোচন করি। ছাত্র জনতা সৈনিক ঐক্য জিন্দাবাদ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

  • দেশের মানুষ আলেম-ওলামাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব

    দেশের মানুষ আলেম-ওলামাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব

    বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, এখন থেকে ২০০ বছর আগে, এই বাংলার মনের কথা বলেছিল কুসুম কুমারী দাস। ২০০ বছর পরে, বাংলার যে আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটিয়েছে জামায়াতে ইসলাম। যে কাজ অন্যেরা কেউ করে নাই, সেই কাজ আজকে জামায়াতে ইসলামী করেছে। আজকে শহীদের যে স্মৃতি, সেই স্মৃতির বই রচনা করা উচিত ছিল সরকারের। অন্য বড় দলের, তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল অন্যান্যদের, কিন্তু সেই কাজটা তারা করে নাই।

    শুধু তাই না, বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িকতার নামে, সেকুলারিজমের নামে, বহু ভন্ডামি দেখেছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলাম যে কার্যক্রম করেছে, তার কাজ প্রমাণ করে যে একমাত্র বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের একমাত্র সাম্প্রদায়িক দল সেটা তারা প্রমাণ করেছে। শুধু আজকে না, অতীতে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে হিন্দু তীর্থযাত্রীরা জলে ডুবে মারা গেছে, তাদেরকে আমরা জানার আগেই, তারা তাদেরকে মানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে সেই ব্যবস্থা করেছে।

    আজকে আমাদের এই দেশের রাজনীতির কথা শুনলে মানুষের মধ্যে এই করে, যে রাজনীতি করেন না। বাংলাদেশের মানুষ সেবক চায় এবং জামায়াত ইসলামী জনগণের সেবক হিসেবে সেই কাজগুলো করছে।

    তিনি আরো বলেন, প্রচলিত ধারার যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি মানুষ এখন চায় না। এখন মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে যে, এই দেশ সব সংগঠনকে দেখেছে, এই দেশের আলেম-ওলামাদের দ্বারা, ধার্মিক লোকদের দ্বারা, এই দেশ পরিচালনা হোক সেইটা চায়। এবং আমরা চাই, যে আগামী দিনে জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে এই দেশ পরিচালিত হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা না, তারা দেশের সেবা করে, ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে। যে দেশের জনগণের আমরা সেবা করতে চাই এবং সেবা করে ক্ষমতা তাদের কাছে বড় চাওয়া না, সেটা অলরেডি জামায়াতে ইসলাম প্রমাণ করে দিয়েছে।

    এই দেশ স্বামী প্রণবানন্দ বলেছে যে, এটা হচ্ছে নীতি, আদর্শ এবং ধর্ম আধ্যাত্মিকতার দেশ। আমরা চাই, এই দেশ ধার্মিক লোকদের দ্বারা পরিচালিত হোক। এই দেশ আধ্যাত্মিক লোকদের দ্বারা পরিচালিত হোক। তাহলে এই দেশ সৎ এবং আদর্শ মানুষ গড়ে উঠবে। আমরা জামায়াতে ইসলামীর আগে দুইজন মন্ত্রীকে দেখেছি, যে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে নাই। আমি আজকে আসার পথে একজন বলছিল, যে একজন চোর, সে চোরও চায় না, যে তার রুমের মধ্যে আরো দুইটা চোর থাক, অসৎ লোক থাক। কারণ তার চুরি করা, যেন চুরি না হয়ে যায়, তো সেই কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ চায়, যে একটা সৎ, আদর্শ এবং সৃষ্টিকর্তার আইন দ্বারা এই দেশ পরিচালিত হবে, সেটা চায় এবং আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।

  • এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ

    এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, “এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ,,,”

    তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এটি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রতিফলন।

    তবে স্ট্যাটাসটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি আরও বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।