Author: admin

  • বরিশালে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও পার্ক ভাঙল জনতা

    বরিশালে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও পার্ক ভাঙল জনতা

    বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও চৌমাথা লেকের পাড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভেঙে ফেলছে ছাত্র-জনতা। এ সময় তাদের আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুটি স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

    ভাঙচুরকারী শিক্ষার্থী হাফেজ মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে এটি খুনি হাসিনার পিতার ভাস্কর্য। যেটাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা তাদের পিতা মনে করতো। একটি মুসলিম কান্ট্রিতে এমন ভাস্কর্য বা অনৈতিক কাজ। ৪শ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নিয়ে, মানুষের পকেট থেকে টাকা চুরি করে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে। আমরা চাচ্ছি না নতুন প্রজন্ম এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে প্রভাবিত হোক। স্বাধীন দেশে কোনো ভাস্কর্য বা আর্টিফিসিয়াল কিছুই থাকবে না।

    তিনি বলেন, তারা যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তা ভাস্কর্য দিয়ে হয় না। আওয়ামী লীগ যে স্বৈরশাসক ছিল তাদের যত বাড়িঘর, ভাস্কর্য আছে তা নিশ্চিহ্ন করে ভারত বা দিল্লিতে তাদের দাদাদের দেশে পাঠিয়ে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব এই দেশে রাখতে চাই না।

    ভাঙচুরে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, আমরা চাই না মুজিববাদ বাংলাদেশে থাকুক। দ্যাটস ফিনিশ। আর কিছু না।

    গতকাল রাতে সাদিক আব্দুল্লাহ ও আমির হোসেন আমুর বাসভবন ভাঙচুরে উল্লেখজনক জনতা উপস্থিত থাকলেও প্রেসক্লাবে ভাস্কর্য ভাঙচুরে হাতেগোনা ৭/৮ জনকে দেখা গেছে। একইভাবে সিএন্ডবি রোডের চৌমাথা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভেঙে ফেলা হচ্ছে বুলডোজার দিয়ে। অল্প সংখ্যক জনতা নেতৃত্ব দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে পার্কটি উচ্ছেদ শুরু করে।

    তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে সাদিক আব্দুল্লাহ তার মায়ের নামে পার্ক গড়ে তুলেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই পার্কটি নিয়ে আপত্তি ছিল স্থানীয়দের। পার্কটি ছাত্র-জনতা আজকে উচ্ছেদ করছে। আমরা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। আর কোনো দিন বাংলার বুকে আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

    এ সময় ‘চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে শোনা গেছে কয়েকজনকে।

    এদিকে কারও বাড়ি ভাঙচুর বা উচ্ছেদের সেঙ্গ ছাত্রদল জড়িত নয় বলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে বার্তা দেওয়ার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দও জানিয়েছেন গতকাল রাত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদল জড়িত নয়। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দিলে তারা বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

  • একুশে পদক পাচ্ছেন অভ্র’র মেহেদী হাসান খান

    একুশে পদক পাচ্ছেন অভ্র’র মেহেদী হাসান খান

    বাংলা ভাষার ডিজিটাল বিপ্লবের এক যোদ্ধা মেহেদী হাসান খান। অভ্র কিবোর্ডের আবিষ্কারক এই প্রতিভাবান প্রোগ্রামার এবং চিকিৎসক এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একুশে পদক পাচ্ছেন। বাংলা ভাষায় লেখাকে সহজতর করার জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়।

    এক প্রতিভাবান উদ্ভাবকের যাত্রা
    মেহেদী হাসান খানের জন্ম ঢাকায়। তিনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

    তার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের প্রতি ঝোঁক ছিল ছোটবেলা থেকেই। ২০০৩ সালে তিনি ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার জন্য ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অভ্র কিবোর্ড তৈরি করেন।

    অভ্র কিবোর্ডের সৃষ্টি ও সংগ্রাম

    ২০০৩ সালের বইমেলায় বায়োস নামক একটি সংগঠনের প্রদর্শনী দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তখনই তার মনে উদ্ভব হয় একটি সহজতর বাংলা লেখার সফটওয়্যার তৈরির চিন্তা। সেই চিন্তাই পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয় অভ্র কিবোর্ডের মাধ্যমে।

    শুরুর দিকে, ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার না থাকায় তিনি নিজেই একটি সমাধান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। কিন্তু সেটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। অবশেষে, ক্ল্যাসিক ভিজ্যুয়াল বেসিকের ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি সংস্করণ তৈরি করেন, যা বাংলা লেখার জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে।

    ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো অভ্র কী-বোর্ড উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওমিক্রনল্যাব থেকে এটি মুক্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজেও অভ্র ব্যবহার করেছে।

    প্রভাব ও জনপ্রিয়তা
    অভ্র সফটওয়্যারের কারণে কম্পিউটারে বাংলা লেখা সহজ হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবাই এটি ব্যবহার করতে শুরু করে। অভ্র’র অন্যতম জনপ্রিয়তা এর ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং কাস্টম লেআউট সুবিধার জন্য।

    অভ্র টিমের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রিফাত উন নবী, সিয়াম রুপালী ফন্টের জনক সিয়াম, সারিম, ভারতের নিপন এবং মেহেদীর সহধর্মিণী সুমাইয়া নাজমুন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অভ্র আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে।

    পুরস্কার ও স্বীকৃতি
    অভ্র কী-বোর্ডের জন্য ২০১১ সালে মেহেদী হাসান খান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেসিস পুরস্কার পান। ২০২৫ সালে একুশে পদকের স্বীকৃতি তার দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল।

    অভ্র বনাম বিজয়
    অভ্র কিবোর্ড বিজয়ের তুলনায় অধিক ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং ওপেন সোর্স হওয়ায় বেশি জনপ্রিয়তা পায়। এটি ফ্রি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। অপরদিকে বিজয় কিবোর্ড নির্দিষ্ট লাইসেন্সের আওতায় থাকে।

  • বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কী সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব

    বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কী সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

    তিনি লিখেছেন, বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য সুসংবাদ। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য গঠিত বঞ্চনা নিরসন কমিটির (বণিক) প্রতিবেদনের আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সামারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

    আরও লেখেন, সচিব পদে : ১১৯ জন, গ্রেড-১ পদে: ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে: ৫২৮ জন, যুগ্মসচিব পদে: ৭২ জন এবং উপসচিব পদে: ৪ জনের অনুমোদিত সামারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর হস্তগত হয়েছে। পদভিত্তিক আলাদা আলাদা জিও জারি করে দ্রুত বকেয়া টাকা প্রাপ্তির জিও জারি করা হবে।

    উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের আমলে ২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকারি চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং এ সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য বঞ্চনা নিরসন কমিটি (বণিক) কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদ পদবি ও পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিকার পেতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে এক হাজার ৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি আবেদন ছিল মৃত কর্মকর্তার পরিবারের পক্ষ থেকে। কমিটি আবেদন যাচাইবাছাই শেষে সুপারিশ তৈরি করে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!

    গতকাল রাত থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে গরু জবাই করে জেয়াফতের আয়োজন করেছেন।

    তবে এরই মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা ও উৎসুক জনতা একটি অদ্ভুত দাবি তুলেছেন—তাদের মতে, ওই ভবনের বেসমেন্টে একটি আয়নাঘর তৈরি করা হচ্ছিল।

    স্থানীয়দের দাবি, বেসমেন্টে কিছু গোপন কার্যক্রম চলছিল, যা অনেকের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। যদিও বেসমেন্টে কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেখানে আরও একটি সিঁড়ি দেখতে পাওয়া গেছে, যা প্রশ্ন তুলছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ও স্থানীয়রা মনে করছেন, সিঁড়িটি সম্ভবত আরো গভীরে চলে গেছে, যেখানে কিছু বিশেষ বা রহস্যময় কার্যক্রম চলতে পারে।

    এছাড়া, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা মজা করে বলছেন, “এটা হয়তো একটি আয়নাঘর হতে পারে, তবে হয়তো এখানে অন্য কিছুই চলছে।” তাদের মতে, এমন সন্দেহজনক কার্যক্রমের তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।

    অতীতে গণঅভ্যুত্থান বা রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ও আয়নাঘর সম্পর্কে কথাবার্তা শোনা গেছে। তবে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নতুন ভবনের বেসমেন্টে সত্যিই কোনো গোপন আয়নাঘর তৈরি হচ্ছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত এই রহস্যময় ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে, তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া না গেলে এর সত্যতা সম্পর্কে কিছু বলা কঠিন।

  • এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা অপচয় করে বিদেশ ভ্রমণ ও ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্ক নিয়ে যেতেন বিশাল বহর। শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কে ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩৪।

    অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট সংগ্রহ করেছেন। দেশের সরকারি টাকা লবিস্ট এর পিছনে ব্যয় করে মানদন্ড ভংগ করে সংগ্রহকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট হলো-ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা যায় তিনি যে সকল পদক ও ডিগ্রী সংগ্রহ করেছেন তার প্রায় সবগুলোর পিছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।

  • ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

    ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার এ ঘটনার জন্য পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকেই দায়ী করেছেন। সরকার জানায়, গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থান নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্যের ফলে জনগণের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ এই সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে যার দুটো অংশ আছে।

    একটা অংশ হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

    দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

    অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।

    সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।

    জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।

  • ছাত্র-জনতাকে তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দিলেন শাওন

    ছাত্র-জনতাকে তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দিলেন শাওন

    ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠা ছাত্র-জনতাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দিলেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

    এবার তার পোস্টে লিখেছেন: “বাচ্চারা… এত্ত ভয় পেয়েছো???” আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট দেন খুনি হাসিনার এই দোসর।

    আজ রাতে ছাত্র-জনতার ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল কর্মসূচি নিয়ে এই লেখাটি লিখেন‌ শাওন। এর আগে অমর একুশে বইমেলায় হাসিনা ডাস্টবিন নিয়ে দেওয়া এক পোস্টে গণঅভ্যুত্থানকে নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, দিল্লিতে বসে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ঢাকা শহরের প্রতিটি মোড়ে জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ছবি প্রদর্শন করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

  • ড. ইউনূস শাহবাগে না আসলে জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি শহীদ পরিবারের

    ড. ইউনূস শাহবাগে না আসলে জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি শহীদ পরিবারের

    জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শাহবাগে এসে তাদের সাথে দেখা না করলে জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা। এতে শাহবাগ ও তার আশেপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

    শহীদ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তারা গত কয়েক মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করা চেষ্টা করে আসছেন, তবে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। জুলাই গণহত্যায় চলমান বিচারিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে তারা বিষয়টিকে ‘সার্কাস’ বলে অভিহিত করেছেন।

    তারা জানান, মারাত্মক ক্র্যাকডাউনের আদেশ দানকারী এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী অনেকেই এখনো বিচারের সম্মুখীন হয়নি। অধিকাংশ অপরাধী প্রকাশ্যে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শহীদদের স্মৃতির প্রতি অপমান।

    আন্দোলনে ছেলে হারানো এক অভিভাবক বলেন, আমরা গণহত্যার বিচার ও সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে অনেকের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছি, কিন্তু সহানুভূতির পরিবর্তে পেয়েছি অবহেলা ও অসম্মান।

    শহীদ ইমাম হোসেনের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে গত ৩০ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা তবে তারা দেখা করেননি তিনি। তাহলে শহীদ পরিবার যাবে কোথায়? আজকে ড. ইউনূস এখানে আসবে। তা না হলে আমরা শহীদ পরিবার সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেব।’

  • ধানমন্ডিত ৩২ এ এক নারীকে যে কারণে গণপিটুনি

    ধানমন্ডিত ৩২ এ এক নারীকে যে কারণে গণপিটুনি

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর চালাচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে নারীসহ দুজন গণপিটুনির শিকার হন। এর মধ্যে ওই নারী গণপিটুনির শিকার হন কারণ তিনি বার বার “আপা, আপা” বলছিলেন, আর ভাঙার দৃশ্যে আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘আপার বাড়ি ভাঙতেছে।’

    কিছু লোক দাবি করছেন যে, ওই ব্যক্তি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন, আবার কিছু লোক বলছেন তিনি ভিডিও করছিলেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন। এর পরই তাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দালাল বলে মারধর করা হয়।

    ঠিক পাঁচ মিনিট পর, ধানমন্ডি-৩২-এ আরেক নারী বেধড়ক মারপিটের শিকার হন। তিনি বার বার “আপা, আপা” বলছিলেন এবং ভাঙার দৃশ্যে আক্ষেপ করে বলছিলেন, “আপার বাড়ি ভাঙতেছে”। এতে প্রথমে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়, পরে গণপিটুনি শুরু হয়। তাকে মারতে মারতে ধানমন্ডি-৩২ এর বাইরে মূল সড়কের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ওই নারী চিৎকার করে বলেন, “মাইরেন না, মাইরেন না ভাই।”

    এ ঘটনাতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি, তবে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য মেট্রো শপিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

  • ৩৪ মিনিট আগেভবন ভাঙতে বুলডোজার কোথা থেকে এলো- এ নিয়ে প্রশ্ন

    ৩৪ মিনিট আগেভবন ভাঙতে বুলডোজার কোথা থেকে এলো- এ নিয়ে প্রশ্ন

    বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনসহ দেশের নানা স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

    এসময় ভেকু ও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে দেখা যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি। খুলনা ও কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙার সময়ও ভেকু ও বুলডোজার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

    অনেকেই বলছেন, আগেই ঘোষণা দেয়া কর্মসূচি ঠেকাতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন? একইসঙ্গে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এসব বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।

    এ নিয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এখানে মনে হয় সরকারের ভেতর থেকে সমর্থন রয়েছে। না হলে তো এভাবে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে এই পদক্ষেপ নেয়া কিংবা এই কর্মযজ্ঞে পাবলিককে উত্তেজিত করে অস্থিরতা তৈরি করা – এটা তো সরকারের ভেতরের সমর্থন ছাড়া হওয়ার কথা না।”

    একইসঙ্গে উপদেষ্টাদের দিকেও আঙুল তুলে তিনি বলেন, “আমরা তো দেখি নাই সরকারের ভেতর থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিরুৎসাহহিত করা হচ্ছে। বরং সরকারের উপদেষ্টাদের কারও কারও ফেসবুকে লেখাতেও আমরা দেখেছি যে এটাতে সমর্থন রয়েছে। সরকার যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয় তাহলে তো নৈরাজ্য তৈরি হবেই।”

    অন্যদিকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, এই ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুবই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিশেষ করে এই বুলডোজার কোথা থেকে এলো- এমন প্রশ্নও তুলে তিনি বলেন, “সরকার যদি এভাবে এটাতে ইনভলভ হয়ে যায় সেটা খুবই দুঃখজনক এবং খুবই উদ্বগের কারণ। এরকম পথ থেকে সরকারকে অবিলম্বে সরে আসা উচিত।”