Author: admin

  • গাজীপুরসহ সারা দেশে আজ থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু

    গাজীপুরসহ সারা দেশে আজ থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

    মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে এই অভিযান শুরু হবে।

    ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর ব্যাপারে আগামীকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

    উল্লেখ্য, গতকাল (শুক্রবার) রাতে পতিত স্বৈরাচারের সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

  • গাজীপুরে হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    গাজীপুরে হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    গাজীপুর রাতের আধাঁরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

    এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সে ব্যবস্থা করা হবে।

    এর আগে হাসপাতাল ঘুরে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সাজ্জাত আলী।

    তারা সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢামেকের অর্থোপেডিক বিভাগ ও বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ৬ষ্ঠ তলার ৬১৭ নং ওয়ার্ডে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের খোঁজখবর নেন। পরে পৌনে ১১টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান।

  • ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বারোমাস কৃষকের মুখে হাসি থাকবে’

    ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বারোমাস কৃষকের মুখে হাসি থাকবে’

    জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বারোমাস সব কৃষকের মুখে হাসি থাকবে। কৃষকদের দিয়েই উন্নয়ন শুরু করবে বিএনপি। কৃষকের কোনো সমস্যাই থাকবে না।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহের ভালুকার উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গোয়ারী ভাওয়ালিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন আরও বলেন প্রান্তিক কৃষকদের প্রাথমিক কৃষি শিক্ষার ব্যবস্থা, বিনা সুদে কৃষি ঋণ, শস্য বীমা চালুসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কৃষকদল সভাপতি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি বাড়িকে বাগানে ও খামারে পরিণত করা হবে। নারীদেরও কৃষিতে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে ভালুকায় বিরুনিয়া ইউনিয়ন কৃষকদল এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সমাবেশস্থলে ঢল নামে নেতাকর্মীদের।

    বিরুনীয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ মল্লিক সেলিমের সভাপতিত্বে আরোও বক্তব্য রাখেন কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাসার আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক শামছুর রহমান শাসম, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এনামুল আকন্দ লিটন, ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন পাঠান, সদস্য আঃ কাইয়ুম রিপন, ভালুকা উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম তারু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির বুলবুল, সদস্য সচিব মাসুদ রানা সহ ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ভালুকা উপজেলার কৃষক দল সহ বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

  • গৃহবধূ ধর্ষণচেষ্টার সময় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

    গৃহবধূ ধর্ষণচেষ্টার সময় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাটাশ্রমিকের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার সময় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন উজ্জ্বলকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে তাকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ইকবাল হোসেন উজ্জ্বল উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের ইসরাফিল তরফদারের ছেলে ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি।

    মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে স্বামী ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর এলাকার এক গৃহবধূকে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ইকবাল হোসেন উজ্জ্বল। এক পর্যায়ে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ বুঝে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে উজ্জ্বল। ধস্তাধস্তি ও চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা এসে ইকবাল হোসেন উজ্জ্বলকে হাতেনাতে আটক করে। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল ফারুক বলেন, উজ্জ্বল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গৃহবধূর বাড়িতে প্রকাশ্য যাতায়াত করে। এছাড়াও এলাকায় নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। বিষয়টি সবাই জানলেও উজ্জ্বলের ক্ষমতার দাপট ও হুমকির কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না।

    কালিগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উজ্জ্বলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • টানা ৬০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার পেল ২০ শিশু-কিশোর

    টানা ৬০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার পেল ২০ শিশু-কিশোর

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় টানা দুই মাস পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতে আদায় করায় ২০ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী কর্মসূচির আয়োজন করে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামের হজরত বিলাল (রা:) জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি। শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোন আসক্তি কমিয়ে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানান আয়োজকরা।

    নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ২০ কিশোরের মধ্যে ৩ জনকে বাইসাইকেল ও ২ জনকে টেবিল ফ্যানসহ বাকিদের বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়।

    গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে মনসুর হজরত বিলাল (রা:) জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ওই কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মসজিদ কমিটির সদস্যরা ও অতিথিবৃন্দরা।

    কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মহি উদ্দিন রিপনের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, খতিব মুফতি আশরাফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল মুহিত বাবলু, খতিব আব্দুল মুতাকাব্বির, পৃষ্ঠপোষক মুহিবুর রহমান জাবেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি আব্দুস শহীদ ফারুক, পারভেজ আহমদ, হারুন মিয়া, প্রবাসী ময়ুব আলী, আজাদ মিয়া, মাসুক আহমদ প্রমুখ।

    আয়োজক কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান জাবেদ জানান, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত টানা ৬০ দিন নামাজ আদায়ের কর্মসূচি নেয়া হয়।

    কর্মসূচিতে ২০ জন কিশোর অংশ নেয়। প্রত্যেকেই টানা ৬০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রথম তিনজনকে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

    আয়োজক কমিটির পৃষ্ঠপোষক আব্দুল মুহিত বাবলু বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন।

    আমরা শিশু-কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।

    বাইসাইকেল পুরস্কার পাওয়া কিশোর মারোয়ানুর রহমান বলেন, টানা ৬০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শুধু পুরস্কার পাওয়ার আশায় নয়, মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। জীবনের বাকি সময় যেন জামাতে নামাজ পড়তে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

    মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম বলেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করি।

    নামাজ খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে সহায়তা করে। শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।

  • দেশের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে

    দেশের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে

    দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্রোহের গ্রাফিতি চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ আহ্বান জানান।

    প্রেস সচিব বলেন, যে যেখানে আছেন সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

    শফিকুল আলম আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও প্রফেসর ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।

  • নবীনগর যুবলীগের সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রিপন গ্রেপ্তার

    নবীনগর যুবলীগের সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রিপন গ্রেপ্তার

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ দুপুর দেড়টার দিকে নবীনগর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রিপন নবীনগর উপজেলা ছাত্রীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

    নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে কিছুক্ষণ আগে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুবলীগ নেতা রিপনকে বিস্ফোরক মামলাসহ দুটি মামলায় আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজই আদালতে পাঠানো হবে।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

  • গাজীপুরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে সারজিস ও হাসনাত

    গাজীপুরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে সারজিস ও হাসনাত

    গাজীপুরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে সারজিস ও হাসনাত
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে রাতেই গাজীপুরে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন তারা।

    এই হামলার প্রতিবাদে আজ গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো অভিযোগ ও মামলা হয়নি।

    এর আগে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে স্থানীয় লোকজন। এতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতাকর্মীরা জানান, হামলায় আহতদের প্রায় সবাইকেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের দেখতে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম হাসপাতালে আসেন।

    তারা আরও জানান, ধানমন্ডিতে ভাঙচুরের ঘটনার পর আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেছি কোথাও ভাঙচুর হলে আমাদের জানাতে। শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। খবরটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হয়। দ্রুত ১৫ থেকে ২০ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় লুটপাট হচ্ছে। এ সময়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অনন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫-১৬ জনকে বাসার ছাদে নিয়ে বেধড়ক পেটায়, কুপিয়ে জখম করে। পরে অনন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পেটায়।

    গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি।

  • গাজীপুরের ঘটনা পরিকল্পিত, প্রতারণার ফাঁদে ছাত্ররা

    গাজীপুরের ঘটনা পরিকল্পিত, প্রতারণার ফাঁদে ছাত্ররা

    দেশজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্রদের ওপর মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়েছিল। ফোন করে জানানো হয়, সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে কয়েকজন ছাত্রকে আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত মুক্ত করতে সেখানে যেতে বলা হয়।

    দেশজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্রদের ওপর মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়েছিল। ফোন করে জানানো হয়, সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে কয়েকজন ছাত্রকে আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত মুক্ত করতে সেখানে যেতে বলা হয়।

    তেমন কোনো প্রস্তুতি না নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সদস্যরা প্রচার করেন, ডাকাত ঢুকেছে। এরপরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নাবওল আহমেদ অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরা ফাঁদে পড়েছে, এটা বুঝতে পেরে বারবার পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

    স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সম্প্রতি এক ফোনালাপে তিনি উসকানিমূলক মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, এই হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

    এই হামলার প্রতিবাদে গাজীপুরের রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

  • চলমান পাগলামি না থামলে বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাবে: জামায়াত আমির

    চলমান পাগলামি না থামলে বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাবে: জামায়াত আমির

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান গত কয়েকদিনের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন, এবং সতর্ক করেছেন যে, যদি এই পরিস্থিতি না থামে, বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

    তিনি বলেন, “গত ২-৩ দিন ধরে যা ঘটছে, তা আমি সমর্থন করব না, যেহেতু আমি আমার বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। আমি বুধবার রাতে একটি সফট স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেখানে বলেছিলাম, শীতকালে বঙ্গোপসাগরে জোয়ার শুরু হয়েছে এবং জানি না, সেই জোয়ার কোথায় নিয়ে যাবে। এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আমাকে ১৮,৯৫০টি গালি দেওয়া হয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “সংগঠনের দায়িত্বশীলরা আমাকে বলেছিলেন, আমি যদি না দিতাম, তবে অন্য কেউ দিলেও ভালো হতো। কিন্তু আমি প্রশ্ন করেছি, কেন আমি এটা দেব না? আমি কখনোই অন্যায়ের প্রতি সমর্থন জানাবো না।”

    তিনি আরও যোগ করেন, “অনেকেই বলেছেন, অন্য কেউ তো কিছু বলেনি, কিন্তু আমি মনে করি, সবার আগে বলাটা জরুরি। এরপর ধীরে ধীরে সবাই বলেছে।”

    “যে কথাটি সবাই এক সুরে বলছে, তা যদি সময়মতো না বলা হতো, তবে সেই অস্থিরতা কি দেখানোর কোনো প্রয়োজন ছিল?”—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

    জামায়েত আমির জানান, “আমি বিশ্বাস করি, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। দেশের ভবিষ্যতকে অন্যদিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পক্ষ কাজ করছে, এবং নানা এক্টররা এ বিষয়টিতে যুক্ত রয়েছে।”

    “যদি এই পাগলামি না থামে, আল্লাহ না করুক, আমি ভয় পাচ্ছি যে বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যেতে পারে। এত রক্ত, ত্যাগ, কোরবানি, কষ্ট, জেল-জুলম সহ্য করার পর, কি আমরা একটি গৃহযুদ্ধ তৈরি করতে চাই?”—এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

    শেষে, তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের সবার নাক-কান সজাগ রাখতে হবে। দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে আমি আশা করি, আমার সহকর্মীরা বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করবেন।