Author: admin

  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ‘আয়নাঘরে’র ভিডিওটি কি আসল?

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ‘আয়নাঘরে’র ভিডিওটি কি আসল?

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। একপর্যায়ে এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙা হয়।

    এ ঘটনার পর ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কথিত ‘আয়নাঘর’ থাকার দাবি তোলে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা ওই ‘আয়নাঘর’-এর দৃশ্য দাবি করে প্রচার করা হয়।

    তবে এ তথ্য সঠিক নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

    রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের কথিত আয়নাঘরের নয়, বরং এটি ভিন্ন একটি দেশের খনির দৃশ্য।

    ওই ভিডিওর বিষয়ে অনুসন্ধানে গত ৩০ জানুয়ারি ‘Tata Jean’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একই ভিডিওর দীর্ঘ সংস্করণ খুঁজে পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, এর ব্যবহারকারী হাইতিতে বসবাস করেন।

    ভিডিওটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, এটির শুরুতেই একটি পাহাড়ি বা বনাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত গুহার প্রবেশদ্বার দেখা যায়। তবে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে সেই অংশটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া ভিডিওর ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের দৃশ্যে একটি গাধা এবং ২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের দৃশ্যে কয়েকজন খনি-শ্রমিককে দেখা যায়। এসব উপাদান ইঙ্গিত দেয় যে ভিডিওটি মূলত একটি খনির।

    অর্থাৎ ভিন্ন দেশের একটি খনির ভিডিও কাটছাঁট করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কথিত ‘আয়নাঘর’ হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।

    তা ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কথিত আয়নাঘর নিয়ে প্রচার শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। অথচ ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি অন্তত ৩০ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে রয়েছে।

    গত ৭ ফেব্রুয়ারি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন ভবনের ভূগর্ভস্থ চারটি তলা কোনো গোপন আটককেন্দ্র নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটির এই অংশ মূলত গাড়ি পার্কিংয়ের গ্যারেজ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে।

    সুতরাং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের কথিত আয়নাঘর দাবিতে ভিন্ন দেশের একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

  • সাবেক মহিলা এমপির চুরি করা কম্বল লুট করার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

    সাবেক মহিলা এমপির চুরি করা কম্বল লুট করার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

    সরকার পরিবর্তনের পর পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন পালিয়ে যাওয়ার সময় তার বাসায় থাকা প্রায় সাত শতাধিক গরিবের জন্য বরাদ্দ করা কম্বল রেখে যান তার প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায়। পরবর্তীতে সেই কম্বল লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শহরের প্রভাবশালী এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।

    আজ শনিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে পৌর শহরের সবুজ বাগ ৮ নম্বর লেনে জেলা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধিদের এক বিশেষ অভিযান চলাকালীন এমন তথ্য উঠে আসে।

    ব্যাংক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে পলাতক সাবেক মহিলা এমপি কাজী কানিজ সুলতানা (হেলেন) তার প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বাসার চার তলায় একটি খোলা রুমে কিছু সরকারি কম্বল রেখে যান।

    ৬ আগস্ট থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কম্বলগুলো ক্যাংক কর্মকর্তার হেফাজতেই ছিলো। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আসিফ ইকবাল মাহমুদ অনিক (বাবু) তার সঙ্গীদের নিয়ে সেই কম্বলগুলো নিয়ে যান।

    ব্যাংক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সাবেক মহিলা এমপি কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন ৬ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার যাওয়ার সময় আমার বাসায় ৭-৮ বস্তা সরকারি কম্বল ও কিছু খেলাধুলার সামগ্রী রেখে যান। সেগুলো আমার বাসার চার তলার একটা খোলা রুমেই রাখা ছিলো।

    কিন্তু হঠাৎ করেই আজ ছাত্রদলের বাবু কম্বলগুলো নিয়ে গেছে। তবে আমার উচিত ছিলো ৫ আগস্টের পর প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো।’
    তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা আসিফ ইকবাল মাহমুদ অনিক (বাবু) বলেন, ‘আমি সেখানে যাইনি। তবে শুনেছি সেখানে কম্বল কেন্দ্রিক একটা ঘটনা ঘটেছে।

    ’ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আছে শুনে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সেখানে গিয়েছি, গিয়ে তার সাথে একটু কথা বলেই চলে আসছি।’
    আরো পড়ুন

    এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধিরা জানান, পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই প্রচুর পরিমাণ লুটপাট করেছে তার প্রমাণ এগুলোই। যারা জনগণের সামান্য কম্বল লুটপাট করতে পারে তাদের দ্বারা সব কিছুই সম্ভব। আমরা চাই এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) চন্দন কর বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি এখানে কিছু সরকারি কম্বল ও খেলাধুলার সামগ্রী আছে।

    তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি। এখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও আলামত পাওয়া যায়নি। যেহেতু কোনো আলামত পাইনি তাই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ওই ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে, আমরা নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

  • একদিনে তিন এসপি আটক

    একদিনে তিন এসপি আটক

    বাংলাদেশ পুলিশের তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-আসাদুজ্জামান, আবুল হাসনাত ও আব্দুল মান্নান। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

    শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। একইদিন রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ শেখ মুজিবের ছবিতে মন্তব্য করায় ৪ মাসের জেল, শিক্ষা জীবন শেষ
    জানা যায়, বিসিএস ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।

    তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

    আর বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।

    এছাড়া, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন।

    আরও পড়ুনঃ মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি রাতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
    এর আগে সিটিটিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত‍্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

  • সমন্বয়কদের শশুর বাড়িরও খোঁজ নিচ্ছেন শেখ হাসিনা!

    সমন্বয়কদের শশুর বাড়িরও খোঁজ নিচ্ছেন শেখ হাসিনা!

    সমন্বয়কদের শশুর বাড়িরও খোঁজ নিচ্ছেন শেখ হাসিনা!
    সম্প্রতি বিশিষ্ট আলোচক ডা. জায়েদ উর রহমান একটি বেসরকারী টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন,তাকে (শেখ হাসিনাকে) তো আমাদের হাতে দেওয়ার কথা ছিল। তার বিচার করব।

    হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সে হুমকি দিচ্ছে খুব ফান করে, উনি এত সব ফান করেন ওই গ্রুপের সাথে বসেছে , সমন্বয়দেরতো দেখে নিবেন, ওরা এখন কেউ কেউ বিয়ে করছে, তাদের শ্বশুরবাড়ির খবর নিতে হবে।

    খুব অবাক হয়েছি মাসুদ ভাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আশা করছেন শেখ হাসিনা মাফ চাইতে পারেন আকারে ইঙ্গিতে। শেখ হাসিনা ২০১৪ পর রাজনীতি করেছে।তার একটা মাফিয়া বা ক্রিমিনাল গ্যাং পাওয়ারে ছিল। আমি ওনাকে থেকে ফ্যাস্টিট বলি না।ফ্যাসিস্টদের একটা রাজনীতি থাকে। তিনি আউট অ্যান্ড আউট ক্রিমিনাল গ্যাং।

    আরও পড়ুনঃ আমাদের মন্দিরে হামলা আমরা জানলাম না, ভারতীয় টিভিতে খবর দেখে অবাক হয়েছি
    ওনি ওনার বক্তৃতা বলেছেন, যারা এ সব করছে তারা ফ্যাসিস্ট। আমি ফ্যাসিস্ট না । আমি বলছি আপনি ফ্যাসিস্ট না, আপনি আসলে ফ্যাসিস্ট না আপনি মাফিয়া। ওনি ক্ষমতায় থাকতে থাকতে এমন একটা ইল্যুশনে ভোগছেন যে, তিনি মনে করেন তিনি গড এর কাছাকাছি কিছু একটা হয়ে গেছেন।

    ওনি যতগুলো স্পিচ দিচ্ছেন আমি কিন্তু খুব আনন্দ নিয়ে আমার এই পুরোটা এই কয়েকদিন আগে আবার একটা সো কলড অনলাইন গ্রুপের সাথে বসে কথা বলেছেন৷ তাঁর আগে যেখানে যেখানে বলেছেন, আমাদের দুর্দান্ত বিনোদন মনে হয়৷ আমি খুব উপভোগ করি৷ আরেকটা কারণ উপভোগ করি,একজন এই বীভৎস স্বৈরাচারকে এবং তার অসহায়ত্ব মানে আমরা উভয়েই খুঁজে পাই। এটা এক ধরনের আদিম আনন্দ। আমাদের রক্তের মধ্যে কোথাও প্রতিশোধপরায়ণতা আছে।

    আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় ও ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন
    আমি তাঁকে এই পরিস্থিতিতে দেখছি যে মানুষটা আমাদের দেশকে, আমাদের দেশের ইনস্টিটিউটকে সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আজকে তিনি একটা তৃতীয় শ্রেণির কিছু লোকজনের সাথে বসে একটা গ্রুপ করে বসে কনভারসেশন পার্টিসিপেট করে অত্যন্ত নোংরা ধরণের মানুষজন। যাঁদের এই ধরনের পরিচিতি আছে।সো আমি খুব আনন্দ নিয়ে শুনি!

    ৩২ নম্বরের ঝুঁকি নিয়ে ওনি যা বলেছেন আগেও বলেছেন, নতুন করে আর কিছু যোগ করেন নাই। ওনার কাছ থেকে কিছু আশা করার কিছু নেই। বরং ওনি নতুন আরেকটা এক সময় যে সব ব্যবহার করতেন এখন নতুন করে আর একটা অজুহাত করেন।

  • ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে!

    ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে!

    ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে!
    গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু।

    এই অপারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা

    সূত্র হিসাবে তিন দাবি করেছেন : সাংবাদিক আমিরুল মো’মেনিন মানিক

  • গাজীপুরসহ সারা দেশে যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’

    গাজীপুরসহ সারা দেশে যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’

    সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই এ অপারেশন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান।

    তিনি জানান, শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ফয়সল হাসান আরও জানান, এই অপারেশনের ব্যাপারে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

  • আমাদের দেশেও একজন সাহসী, বলিষ্ঠ ও জনপ্রিয় নেতা আসবে: কার কথা বললেন পিনাকী?

    আমাদের দেশেও একজন সাহসী, বলিষ্ঠ ও জনপ্রিয় নেতা আসবে: কার কথা বললেন পিনাকী?

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য মনে করেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তন ফরাসি বিপ্লবের পথ অনুসরণ করতে পারে এবং এর পরিপূর্ণ স্থিতিশীলতা পেতে এক দশক সময় লাগতে পারে।

    আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯) পর ফ্রান্স দীর্ঘ সময় ধরে অরাজকতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। চারটি প্রধান ধাপে বিপ্লবের গতি নির্ধারিত হয়—রাজতন্ত্রের পতন, সন্ত্রাসের রাজত্ব, দুর্বল শাসন এবং অবশেষে একজন শক্তিশালী নেতার ক্ষমতা গ্রহণ।

    পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, “ফরাসি বিপ্লবের পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রায় ১০ বছর লেগেছিল। একইভাবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনও বিভিন্ন পর্যায় পার হবে এবং অবশেষে একজন সাহসী, বলিষ্ঠ ও জনপ্রিয় নেতা আবির্ভূত হবেন, যিনি জাতিকে নতুন পথে এগিয়ে নেবেন।”

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, গাজীপুরের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সেই পরিবর্তনের সূচনা মাত্র। আমাদের এখন সেই অনাগত উজ্জ্বল নেতার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, যিনি দেশকে স্থিতিশীলতা ও নতুন দিশা দেখাবেন।

    তার মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ এক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা বৈশ্বিক রাজনৈতিক গতিশীলতার সঙ্গে সংযুক্ত। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পরিবর্তনের ধরণ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং দেশ একটি নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিমুখে এগিয়ে যাবে।

  • গাজীপুরে মোটরসাইকেলে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি

    গাজীপুরে মোটরসাইকেলে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি

    গাজীপুরের শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোবাশ্বের হোসেন নামের এক ছাত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই গুলি ছুড়েছে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. নয়ন দেওয়ান সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে এসে এক ব্যক্তি গুলি করে পালিয়ে যায়।

  • ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক

    ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক

    বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

    একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল‍্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এ ছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

    পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ডিআইজি মোল‍্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

    একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।
    বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।

    আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।

    জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

    তাদের বিরুদ্ধে হত‍্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।