Author: admin

  • যেসব কারণে কমে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন, না জানলে বিপদ

    যেসব কারণে কমে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন, না জানলে বিপদ

    টেস্টোস্টেরন হলো মানব শরীরের অপরিহার্য এক হরমোন। এটি পুরুষের শরীর ও আচরণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ন্ত্রন করে। পেশীর ঘনত্ব ও শক্তিতে যেমন এর ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি যৌন আকাঙ্ক্ষা ও সক্ষমতা, অস্থির ঘনত্ব, মানসিক অবস্থা ও শরীরের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে এই হরমোনের।

    পুরুষ ও নারী দুজনের শরীরেই টেস্টোস্টেরন থাকে, কিন্তু পুরুষের শরীরে এর পরিমাণ অনেক গুণ বেশি থাকে। তাই ঘাটতি হলে এর প্রভাবও প্রকাশ পায়। জীবনধারা ও পরিবর্তনগত কারণ যেমন অনিয়ন্ত্রিত ওজন, অল্প ঘুম বা মানসিক চাপ টেস্টোস্টেরন ঘাটতিকে বাড়াতে পারে। আবার অণ্ডকোষের অসুখ বা আঘাত, জন্মগত কারণ ও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ঘাটতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ— টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।’

    অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ’আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক রয়েছে, কারো কারো কম রয়েছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।’

    যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইর মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

    হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরন এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়িতে ও শরীরের অন্যান্য অংশে লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

    টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক পর্যন্ত এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

    হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

    টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

    যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে : যৌন তাড়না কমে যাওয়া, যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা, যৌন মিলনে অক্ষমতা, অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া, শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এ ছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

    এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোনো ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

    বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

    টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

    ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের ওপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণেও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

    আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরন কমে যেতে পারে।

    এ ছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

    যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব

    ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা, অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

    এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

    চিকিৎসা কি

    টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্ণতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

    তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিতে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ, সন্তান জন্ম দিলে মিলবে না আর ভিসা!

    বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ, সন্তান জন্ম দিলে মিলবে না আর ভিসা!

    পর্যটন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বা ‘বার্থ ট্যুরিজম’ সম্পর্কে আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, যদি কারো যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার মূল উদ্দেশ্য সন্তান জন্ম দেওয়া হয়, তাহলে সেই আবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।

    গত শনিবার (১৪ জুন) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ফেসবুকে দেওয়া সেই বার্তায় উল্লেখ রয়েছে যে অনেক বিদেশি বাবা- শুধুই সন্তান জন্ম দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং এর সাথে যুক্ত চিকিৎসা ব্যয়ও সরকারের ঘাড়ে চাপান। এর ফলেও মার্কিন করদাতারা চাপের মুখে পড়েন।

    বার্তার সাথে আরও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের অভিভাবকরা ভবিষ্যতে তাদের ভিসা নবায়ন করার সুযোগও হারাতে পারবেন। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে কোনো শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পায় — যা অনেক ক্ষেত্রে অ্যাংকর বেবির সুযোগ সৃষ্টি করে।

    অনেক বিদেশিরাই এই সুযোগকে ব্যবহার করে স্থায়ী আবাসন বা গ্রিন কার্ডের পথ সুগম করার চেষ্টা করে থাকে বলেও দূতাবাস উল্লেখ করেছে। এই বাস্তবতায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর হয়েছে এবং আবেদনকারীর উদ্দেশ্য সন্দেহজনক হলে তা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়েছে।

  • ইসরায়েলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

    ইসরায়েলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

    ইরানের চালানো নতুন হামলার জেরে দখলদার ইসরায়েলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন। এ সময় ইসরায়েলিরা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যেতে থাকেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড এরআগে ইসরায়েলে বড় হামলার হুমকি দিয়েছিল।

    তবে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে যে হামলা চালায় সেটি কত বড় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তেলআবিব, মধ্য ইসরায়েল, সঙ্গে আশোদ এবং আশকেলনেও সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।

    পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্র অথবা বোমা শেল্টার কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড। তারা বলেছে, ইরানের ছোড়া মিসাইলগুলো তারা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।

    সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

  • শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

    শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

    জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার। পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।

    এর আগে, সোমবার (১৬ জুন) জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ওইদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।

    আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

    গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামা কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা যায়।

    এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।

    গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

    গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।

  • এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, যেভাবে ধরা পড়ল নিরাপত্তাকর্মী

    এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, যেভাবে ধরা পড়ল নিরাপত্তাকর্মী

    গাজীপুরের শ্রীপুরে এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    সোমবার (১৬ জুন) রাতে শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার তাকে আদালতে ওঠানো হবে।

    গ্রেপ্তার মো. লিটন শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি তালহা স্পিনিং মিলসংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে দায়িত্বরত ছিলেন।

    শ্রমিকের স্বজন ও পুলিশ জানায়, এটিএম বুথ থেকে টাকা ওঠানোর সূত্র ধরে ভিকটিম কারখানা শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় নিরাপত্তা কর্মী লিটনের সঙ্গে। ভিকটিম কারখানা শ্রমিক স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। তালহা স্পিনিং মিল নামের কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরী লিটন ভিকটিমের বাবার মোবাইলে ভিকটিমকে গত রোববার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় ডেকে নেয়। বুথে যাওয়ার পর কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন এই বলে লিটন মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। পরে ভিকটিমের বাবা দুবার মেয়ের চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত লিটন মেয়ের চাকরির কথা চিন্তা না করতে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে এটিএম বুথে ভেতরে বসিয়ে রাখা কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে রাস্তায় ঘটনাটি মেয়ে তার বাবাকে জানান।

    ওসি আবদুল বারিক জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই শ্রীপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম লিটনকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন। লিটন বিভিন্ন সময় স্থান ত্যাগ করছিল। পরে সবশেষ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

  • সংঘাত বন্ধে ইরানকে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

    সংঘাত বন্ধে ইরানকে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

    ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরানের উচিত অনেক দেরি হওয়ার আগেই উত্তেজনা কমানোর কথা বলা এবং একটি চুক্তিতে সম্মত হওয়া।

    সোমবার (১৬ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি উভয় পক্ষের জন্যই বেদনাদায়ক, তাদের একটি চুক্তি করতে হবে এবং আমি বলবো ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না। খুব দেরি হওয়ার আগেই তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।’

    ইসরায়েলের গণমাধ্যম বলছে, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করতে চাইছে এমন খবরের পর সোমবার তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২ ডলারেরও বেশি কমে গেছে। যার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এবং অঞ্চলটি থেকে কমেছে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।

  • দুপুরের মধ্যে যে ৮টি জেলায় ঝড়ের আভাস

    দুপুরের মধ্যে যে ৮টি জেলায় ঝড়ের আভাস

    দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমি বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং তা অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

  • বরগুনায় ডেঙ্গুতে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২১৪

    বরগুনায় ডেঙ্গুতে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২১৪

    বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সাফওয়ান নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (১৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ।

    সাফওয়ানের বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন বরগুনার লাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি মির্জাগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা। সাফওয়ানের মা সাজিয়া আফরিন বরগুনার নার্সিং ইন্সটিউটের একজন ইন্সট্রাক্টর।

    জানা যায়, গত ৪ দিন আগে সাফওয়ান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। প্রথমে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে রোববার তাকে ঢাকা নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই সাফওয়ান মারা যায়। এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে শপথ গোপালগঞ্জে আ.লীগের
    বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১০ জন বরগুনা থেকে রেফার্ড করার পরে বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২১৪ জন।

  • মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ২১ মুসলিম দেশ

    মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ২১ মুসলিম দেশ

    মিসরের নেতৃত্বে ২১টি মুসলিম দেশের একটি গ্রুপ ইসরায়েলের ইরানের উপর হামলার নিন্দা করেছে। সে সঙ্গে গ্রুপটি জরুরি ভিত্তিতে উত্তেজনা হ্রাস এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

    ‘বাছাইহীনভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবাই’ বলছে গ্রুপটি ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করেছে। অর্থাৎ, ইসরায়েলকেও পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তির চেষ্টা থেকে সরে আসতে হবে।

    গ্রুপটি সতর্ক করে বলেছে, সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান তাদের। তারা মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য তাদের সমর্থন প্রকাশ করে এবং এই অঞ্চলের সকল রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।

    আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর আগে গাজা নিয়ে শেষ বার্তায় যা বলেছেন পোপ
    গ্রুপটিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো- আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, চাদ, কোমোরোস, জিবুতি, মিসর, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

    এদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু একটা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইরান-ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছে।

    আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলি সেনাদের ওপর দফায় দফায় লেবাননের হামলা
    মাখোঁ কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে পারে, তবে তা খুবই ভালো একটি বিষয়।

  • মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি এখন ইরানের কব্জায়

    মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি এখন ইরানের কব্জায়

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের গোয়েন্দা সাফল্য দাবি করেছে ইরান। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি অত্যন্ত জটিল অভিযানের মাধ্যমে তারা ইসরায়েলের মোসাদ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার বহু সংবেদনশীল ও কৌশলগত নথি হস্তগত করেছে।

    ইরান দাবি করেছে, তারা হাজার হাজার গোপন নথি, ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক পরিকল্পনা, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গোপন কার্যক্রম ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তথ্য। এই খবর প্রকাশ করেছে পার্স টুডে ও আল-মায়াদিন।

    জর্ডানের সামরিক বিশ্লেষক ও কৌশলবিদ নাজাল আবু জায়েদ বলেন, ইরানের এই গোয়েন্দা অভিযান ছিল সময় ও স্থানভিত্তিক সমন্বিত এক সাইবার ও মাঠ পর্যায়ের হামলা। তারা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও সক্ষমতার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সংবেদনশীল আর্কাইভ সবসময় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকে। তবুও ইরানি গোয়েন্দারা তা ভেদ করে ঢুকে পড়েছে। এটি ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী ও সামরিক প্রধানদের বহুদিনের অহংকার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সক্ষমতাকে মুছে দিয়েছে।

    আল-মায়াদিনকে দেওয়া তথ্যে একাধিক অভিজ্ঞ সূত্র জানায়, অনেক আগেই এই অভিযানের সূচনা হয়, তবে বিপুল সংখ্যক নথিপত্র নিরাপদভাবে ইরানের অভ্যন্তরে স্থানান্তরের পরই বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। তারা জানায়, নথির পরিমাণ এত বেশি যে শুধু তা পর্যবেক্ষণ, ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।

    সূত্রগুলো আরও দাবি করে, ইরান এখন মোসাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত সকল তথ্যের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে শুধু কৌশলগত সুবিধা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে গোয়েন্দা লড়াইয়ে ইরান এক ঐতিহাসিক বিজয় দাবি করতে পারে। তেলআবিব এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের চাপে পড়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

    বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনার এই সময় ইরানের এই দাবি এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা ভবিষ্যতের সংঘাতের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।