Author: admin

  • অফিসার নেবে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কর্মস্থল ঢাকা

    অফিসার নেবে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কর্মস্থল ঢাকা

    বেসরকারি আর্থিকপ্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে ‘অফিসার/সিনিয়র অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি
    বিভাগের নাম: লিগ্যাল রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট

    পদের নাম: অফিসার/সিনিয়র অফিসার
    পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
    শিক্ষাগত যোগ্যতা: এলএলবি অথবা এলএলএম
    অভিজ্ঞতা: ০৩ বছর
    বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

    চাকরির ধরন: ফুল টাইম
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
    বয়স: সর্বনিম্ন ২৫ বছর
    কর্মস্থল: ঢাকা

    আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক LankaBangla Finance PLC করে আবেদন করতে পারবেন।
    আবেদনের শেষ সময়: ০৫ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    সূত্র: বিডিজবস ডটকম

  • অফিসার নিয়োগ দেবে ওয়ান ব্যাংক, ৩৫ বছরেও আবেদন

    অফিসার নিয়োগ দেবে ওয়ান ব্যাংক, ৩৫ বছরেও আবেদন

    ওয়ান ব্যাংক পিএলসিতে ‘ক্যাশ অফিসার (ট্রেইনি অফিসার/অফিসার (গ্রেড-১) এবং অফিসার (গ্রেড-২))’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৬ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়ান ব্যাংক পিএলসি

    পদের নাম: ক্যাশ অফিসার (ট্রেইনি অফিসার/অফিসার (গ্রেড-১) এবং অফিসার (গ্রেড-২))
    পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
    শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা সমমান
    অভিজ্ঞতা: ০২ বছর
    বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

    চাকরির ধরন: ফুল টাইম
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
    বয়স: ৩৫ বছর
    কর্মস্থল: যে কোনো স্থান

    আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক ONE Bank PLC করে আবেদন করতে পারবেন।
    আবেদনের শেষ সময়: ০৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    সূত্র: বিডিজবস ডটকম

  • ভোটে বিএনপির সঙ্গী হচ্ছে কারা, জানা গেল

    ভোটে বিএনপির সঙ্গী হচ্ছে কারা, জানা গেল

    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে ভোটের রাজনীতি।

    এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই দলটি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো।

    অন্যদিকে বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির। আবার জামায়াতও ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে ‘নির্বাচনি ঐক্য’ গঠনের চেষ্টা করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে।

    অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’।

    বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। আবার বিএনপির জোটে এনসিপিকেও দেখা যেতে পারে। জোট বা সমঝোতা নিয়ে পর্দার আড়ালে দলগুলোর নানা তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সবকিছু দৃশ্যমান হবে।

    এদিকে আগামী নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে-তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। তবে বিরোধী দল হওয়া নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে বা বিএনপির বাইরে কোনো জোট গঠন করলেও ভোটের মাঠে সেভাবে সুবিধা নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে জামায়াত অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায়ও তাদের প্রার্থীদের জয়ী হতে বেগ পোহাতে হতে পারে।

    কারণ কিছু আসনে জামায়াতের ভোট বেশি থাকলেও সেখানে যদি বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে ভোট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ যতই ফ্যাসিস্ট হিসাবে চিহ্নিত হোক না কেন, আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি বড়ই বিচিত্র ও কঠিন। মানুষ ভোটের সময় অনেক কিছু মনে রাখে না।

    পর্যবেক্ষকরা আরও মনে করেন, দেশের বিগত নির্বাচনে ভোটের ইতিহাস দেখলে দোদুল্যমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পড়েছে ‘ধানের শীষ’ ও ‘নৌকা’ প্রতীকে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব ভোট ধানের শীষে যাবে, অথবা আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সে পাবে। এখানে ইসলামপন্থি দলগুলোর বাক্সে দোদুল্যমান ভোট ততটা যাওয়ার রেকর্ড নেই। কারণ তাদের ভোট অনেকটা ‘ফিক্সড’। সে কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে।

    এছাড়া বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সারাক্ষণ রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করে। এসব বিবেচনায় তফশিল-পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করলে এটিই প্রতীয়মান হবে যে, ওই সময় সমাজে আওয়ামী ঘরানার ইমেজসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে। বাস্তবে এরাই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এর ফলে কিছু এলাকায় ভোট রাজনীতির সমীকরণ পালটে যেতে পারে। আর ভোট যেহেতু অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে, সেহেতু কম ভোটের ব্যবধানে নাটকীয় জয়-পরাজয় ঘটতে পারে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত। ভোটে অংশ নিতে হলে স্বতন্ত্র অথবা অন্য কোনো দলের প্রতীকেই তো নিতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে এখন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি-এ তিন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।

    আবার এর মধ্যে দুই দল একসঙ্গে ফ্রন্ট করতে পারে। আর তারেক রহমান তো আগেই বলেছেন জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে। আমরা বলেছি, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ করব। এখনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণত তফশিলের পর জোট বা নির্বাচনি সমঝোতা-যাই বলা হোক না কেন, তা হয়ে থাকে। সব দলের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক আছে। তবে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি।

    জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যুগান্তরকে বলেন, ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে, কীভাবে কী করা যায়। অনেকে প্রার্থী ঠিক করেনি, নির্বাচনটা ঠিক কীভাবে হবে-অনেকগুলো বিষয় আছে। ঐকমত্য কমিশনের ‘জুলাই সনদ’ ফাইনাল হলেই তখন এর অগ্রগতি বোঝা যাবে। সময় গেলে তা আরও স্পষ্ট হবে।

    জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এনসিপি এখনো নিজেদের স্বাতন্ত্র রক্ষা করে কাজ করে চলছে। নির্বাচনের জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। যদি বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে দলীয় আদর্শ ও কর্মসূচি মিলের কথাগুলোকে বিবেচনায় রেখে জোটের সম্ভাবনাকে আমরা একেবারেই নাকচ করি না। তবে এখনো জোটের বিষয়ে এনসিপি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

    ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা যে পথে অগ্রসর হচ্ছি তা হলো আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থি ভোট যাতে বিভক্ত না হয়। জোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সমঝোতা-সমন্বয়টাও কীভাবে হবে-তা হয়তো আরও পরে প্রকাশ পাবে। অর্থাৎ দৃশ্যমান হবে যৌক্তিক সময়ে।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যুগান্তরকে বলেন, সব ইসলামি দল এবং ইসলামি মত ও পথ যারা ইসলামের নামে কাজ করে সবাইকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ জুন ৫টি রাজনৈতিক দল-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মসলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিসের বৈঠক হবে। এর আগেও আমরা বৈঠক করেছি। আগামী বৈঠকে আমরা একক প্রার্থী ঠিক করার কৌশল নির্ধারণ করব। এছাড়া আরও যারা বাইরে আছে তাদের সঙ্গেও ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করব, পরামর্শ নেব। তারা কীভাবে জোটকে দেখতে চায়-এসব পরামর্শ নেওয়ার পর জোট ঘোষণা হবে।

    নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই নানা মেরুকরণ দেখা যাবে। বিগত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ‘ওয়ানম্যান শো’-এমন অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলও আছে, যাদের ভোটের আগে তৎপরতা বাড়বে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জোট ভারী করতে তাদেরও সঙ্গে রাখতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ওইসব দলের তেমন কোনো ভোট নেই।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি বিগত দিনে যেসব মিত্রদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে জোট করতে পারে। এ জোটে মুহাম্মাদ মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলও থাকতে পারে।

    এর কারণ হিসাবে বিএনপির একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, মুহাম্মাদ মামুনুল হকের পরিবারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের খুবই সুসম্পর্ক। তার বাবা প্রয়াত শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে ছিলেন। সেক্ষেত্রে সাত-আটটি ছাড়া বাকি ইসলামপন্থি দলগুলো একটি জোট করার চেষ্টা করতে পারে। তবে সেখানেও আকিদাগত কিছু সমস্যা রয়েছে।

    ইসলামপন্থি একটি রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, জামায়াতের সঙ্গে অন্য কোনো ইসলামি দলের এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো জোট হয়নি। এর কারণ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতের সঙ্গে অন্যদের আকিদাগত মতপার্থক্য আছে, যা ইসলামী আন্দোলন ও কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শের বিপরীত। তারপরও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। নানা মেরুকরণ ভোটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকবে। শেষ মুহূর্তে এমনও হতে পারে, বিএনপির সঙ্গে এনসিপিও থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা নেই।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে একটা জোট হবেই। পাশাপাশি এবার সমমনা ইসলামি দল পৃথক জোট করবে। আবার যারা কর্তৃত্ববাদবিরোধী বামদল তাদেরও একটা জোট থাকবে। আরেকটা সমীকরণ হতে পারে। সেটি হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল তাদের সঙ্গে পুরাতন কিছু দল মিলে জোট হবে। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। আবার এনসিপির সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। যদি এনসিপির সঙ্গে জামায়াত থাকে তাহলে ইসলামি দলগুলো একসঙ্গে হয়ে যেতে পারে। তখন আবার জোটের সংখ্যা কমে যাবে। এমনও হতে পারে জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামি দলগুলো মিলে একটা জোট করে ফেলতে পারে। তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের পাল্লা যে ভারী হবে সেটি নিশ্চিত বলা যায়।

    সূত্র: যুগান্তর

  • ‘৩ বোনকে বিয়ে করেছি, আরও ১০০ বিয়ে করবো’

    ‘৩ বোনকে বিয়ে করেছি, আরও ১০০ বিয়ে করবো’

    একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী; এমন ঘটনা শোনাই যায়। তবে তিন বোনের ‘এক স্বামী’ বিষয়টি যেন বিস্ময়কর। আর এমন এক ঘটনার নজির মিলেছে বরিশালে। একে একে একই পরিবারের তিন বোনকেই বিয়ে করেছেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবু হানিফ। শুধু তাই নয়, তাদের আরও এক বোনের জীবন নষ্ট করার অভিযোগও রয়েছে ৬০ বছর বয়সী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

    তবে এক বোনকেও শেষ পর্যন্ত স্ত্রী হিসেবে রাখেননি তিনি। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু এবং অপর দুই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে এখন অন্য নারীর পেছনে ছুটছেন বিয়ে পাগল শিক্ষক আবু হানিফ। তাই স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী তৃতীয় স্ত্রী জাকিয়া বেগম। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও করেছেন আদালত।

    অভিযুক্ত শিক্ষক আবু হানিফ বরিশাল সদর উপজেলার টুংগিবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবেরহাট ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।

    অভিযুক্তের তৃতীয় স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানিয়েছেন, তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলায়। সেখানে পারিবারিকভাবেই বড় বোনকে বিয়ে করেন মাওলানা আবু হানিফ। বড় বোনের ছেলের বয়সও এখন ৩০ বছর। বিয়ের কয়েক বছর পর বড় বোনের মৃত্যু হয়। এর চার মাস না যেতেই পরিবারের মেজো বোনকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই সংসারও টেকেনি বেশিদিন।

    মেজো বোনকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী আবু হানিফ। একপর্যায়ে বিয়ের প্রায় ১২ বছর পর বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। এরপর আবু হানিফের দৃষ্টি যায় পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ মেয়ে জাকিয়ার দিকে। বিয়ে পাগল আবু হানিফ থেকে রক্ষা করতে জাকিয়াকে কিশোরী বয়সেই অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু বেশিদিন সেই স্বামীর ঘর করতে পারেনি জাকিয়া।

    সেই স্বামীকে তালাক দিয়ে আবু হানিফকেই বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু শেষমেষ জাকিয়ার সঙ্গেও সংসার করতে রাজি নন মাদ্রাসা শিক্ষক আবু হানিফ। তাকে তালাক দিয়ে তিনি এখন অন্য নারীর সাথে সম্পর্ক গড়েছেন বলে অভিযোগ ছোট স্ত্রী জাকিয়ার। ফলে দুই সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে এ নারীর।

    জাকিয়া অভিযোগ করেন, তার বড় বোনের মৃত্যুও স্বাভাবিক ছিল না। আমার ধারণা তাকে কৌশলে হত্যা করেছে আবু হানিফ। শুধু তাই নয়, আমার জীবনও নষ্ট করেছে সে। যা তিনি নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। এখন লোকমুখে শুনি আমাকেও নাকি সে তালাক দিয়েছে। দুই সন্তানের খোঁজ নেয় না। তাই স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে বরগুনা আদালতে মামলা করেছি।

    তবে একে একে তিন বোনকে বিয়ের কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আবু হানিফ। বরং দম্ভ করে বলেন, তিনটা নয়, প্রয়োজনে আরও একশটা বিয়ে করব। কেউ যেন আমায় কিছু করে।

    যদিও একই পরিবারের তিন মেয়েকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেননি বলে দাবি করেন আবু হানিফ।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু স্ত্রীদের সঙ্গেই প্রতারণা নয়, বরং নিজ কর্মস্থল সাহেবেরহাট ফাজিল মাদ্রাসায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ আবু হানিফের বিরুদ্ধে। নিয়োগবাণিজ্য, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূতভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠন এবং ব্যাপক জাল-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    এমনকি মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালামের ছেলে নাঈম আবদুল্লাহকে অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দিয়েছেন অধ্যক্ষ আবু হানিফ। তার এ অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে সহযোগিতা করেন কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সদস্য আবুল কালামসহ কয়েকজন শিক্ষক। এসব বিষয়ে সম্প্রতি বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন সাহেবেরহাট ফাজির মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কামরুজ্জামান খান।

    এ অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়েও বক্তব্য দিতে রাজি নন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আবু হানিফ। তিনি বলেন, আগেও অনেক বড় বড় সাংবাদিক এসেছিল তারা কিছুই করতে পারেনি। আপনারা যা পারেন করেন। আমি বক্তব্য দেব না।

    যদিও ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালামের ছেলে নাঈম আবদুল্লাহ। তার দাবি, বাবার ক্ষমতায় নয়, বরং যোগ্যতা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি পেয়েছেন তিনি।
    সূত্র: কালবেলা

  • ৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

    ৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

    বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব নারী বীরত্বের সঙ্গে রণাঙ্গনে লড়াই করে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম সখিনা বেগম। যুদ্ধের সময় দা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ রাজাকারকে হত্যা করেছিলেন তিনি।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যের কারণে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

    কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান তার স্বামী কিতাব আলী।

    এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বয়সে দেখাশোনা করতেন তার ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নিকলী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহানা মজুমদার।

    স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বই থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহিদ হন। ভাগনের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে।

    ওই সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় ‘বসু বাহিনীর’ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে তিনি একটি ধারালো দা নিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে মারেন। সেই দা বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে এবং নামফলকে সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে।

    সূত্র : আরটিভি

  • ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ‘বয়কট’ করলো জামায়াত

    ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ‘বয়কট’ করলো জামায়াত

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করেছে জামায়াতে ইসলামী। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে দলটির নেতারা যোগ দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

    আজ বেলা ১১টার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিদল যোগ দেয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে যোগ দিয়েছে।

    জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ফোনটি রিসিভ করেন। দলের নেতারা সংলাপে আসবেন কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। পরে তিনি বলেন, জামায়াত সংলাপে যোগ দিলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে জামায়াত থাকবে না, বিষয়টি দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তাদের ‘ইগনোর’ করা হয়েছে বলে দাবি করছে দলটি। প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের বৈঠকে যোগ দেবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা পরে হলেও তাদের যোগ দিতে অনুরোধ করা হয় বলে জানা গেছে।

    জামায়াতের একটি সূত্র বলছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে তারা সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে তাদের ইগনোর করা হয়েছে, যা দৃষ্টিকটু। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় দেশে এসে ঘোষণা করলে ভালো হতো বলে মনে করে তারা।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ঈদের আগের (৩ জুন) বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ। সেদিন সকালে দলের সংবাদ সম্মেলন থাকায় দুপুরের বিরতির পরে যোগ দিয়েছিলেন নেতারা। তবে সকালে তাদের প্রতিনিধি ছিলেন।

    সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘সংলাপের বিষয়ে আমাদের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানেন। আপনি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’ তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

  • ব্রা-এর বাংলা অর্থ কী? অনেকেই বলতে পারেন না, জানলে অবাক হবেন

    ব্রা-এর বাংলা অর্থ কী? অনেকেই বলতে পারেন না, জানলে অবাক হবেন

    মহিলাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোশাকের মধ্যে ব্রা একটি। কিন্তু আজও সমাজে এটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় না। এমনকি দোকানে কিনতে গিয়েও মহিলাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু এটি একটি অন্তর্বাস, যা নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বরং লজ্জা ঢাকতেই এই পোশাক পরা হয়। যাইহোক এই প্রতিবেদনে ব্রা সম্পর্কে একটি মজার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
    আপনি নিশ্চয়ই জানেন, মহিলাদের অন্তর্বাসকে ব্রা বলে, যা একটি ইংরেজি শব্দ। আসলে ব্রা হল একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ফরাসি শব্দ ব্রেসিয়ার থেকে এসেছে। ১৮৯৩ সালে এই শব্দটি প্রথমবার এক মার্কিন সংবাদপত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন ম্যাগাজিনেও এই শব্দটির প্রচলন হয়। কয়েক বছর পর অক্সফোর্ড অভিধানেও জায়গা করে নেয় এই শব্দ৷

    তবে অতীতের তুলনায় এখন ব্রা-র ডিজাইনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শুরুতে ব্রা-তে কাপের আকার ছিল না। তাহলে একবার ভাবুন সেই সময় মহিলাদের কতটা সমস্যায় পড়তে হতো। জানা যায়, ১৯৩০ সালে এসএইচ ক্যাম্প কোম্পানি প্রথমবারের মতো ব্রা-তে কাপের আকার ডিজাইন তৈরি করেছিল।

    প্রাথমিকভাবে এই শব্দের অর্থ হলো শিশুদের অন্তর্বাস, কিন্তু পরবর্তীতে মহিলাদের পোশাকের রূপ দেয়া হয়েছিল। আসলে ব্রা (BRA) একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এর পূর্ণরূপ হল Breast Resting Area অর্থাৎ স্তন বিশ্রামের এলাকা। তবে একে বক্ষবন্ধনীও বলা হয়ে থাকে৷ তবে যত সময় এগিয়েছে, মহিলাদের এই অন্তর্বাসটির ডিজাইন পরিবর্তন হয়েছে। আজকাল বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের A থেকে D সাইজের ব্রা পাওয়া যায়।

    তবে অধিকাংশ মহিলাই স্তনের সঠিক আকার না জেনেই অন্তর্বাস ব্যবহার করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিষের প্রায় ৮০ শতাংশ নারী ভুল সাইজের ব্রা পরেন। এমনকি তারা ফিটিং এবং সঠিক মাপ নেওয়ার পরেও ভুল করেন। তবে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক মাপের ব্রা পরাই উচিত। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর এটি ব্যবহার করা যায় না। একটি ব্রা-র মেয়াদ ৮ থেকে ৯ মাস থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে তার স্তনের ক্ষতি হতে পারে।

  • সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো

    সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো

    সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এবারই প্রথম গ্রেডভিত্তিক মহার্ঘ ভাতা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন এ ভাতায় পিছনের গ্রেডে থাকা কর্মচারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধা পাবেন, আর সামনের গ্রেডের কর্মকর্তারা তুলনামূলক কম হারে ভাতা পাবেন।

    অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতার হার হবে:

    ১ম থেকে ৩য় গ্রেডে: মূল বেতনের ১০%

    ৪র্থ থেকে ১০ম গ্রেডে: মূল বেতনের ২০%

    ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডে: মূল বেতনের ২৫%

    ???? সর্বনিম্ন মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪,০০০ টাকা, এবং ???? সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হবে। কোনো সরকারি চাকরিজীবী ৪,০০০ টাকার নিচে মহার্ঘ ভাতা পাবেন না।

    এই ভাতা চালু হলে ৫% হারে আগের বিশেষ প্রণোদনা বাতিল হয়ে যাবে। পেনশনভোগীরাও এ সুবিধার আওতায় আসবেন, এবং ইনক্রিমেন্টের সময় এটি মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ভাতা চালু করতে উন্নয়ন বাজেট কিছুটা কমাতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন থেকেই নতুন মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে চূড়ান্ত হার এখনো নির্ধারণ হয়নি।

    উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেল চালুর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়েনি, কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায়, অনেকদিন ধরেই তারা মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

    মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণে গঠিত কমিটি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় এ ভাতার যৌক্তিকতা এবং পরিমাণ যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ জমা দিয়েছে।

  • হাসিনা বাদ! আ’লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন দুই নেতা, জেনে নিন তাদের নাম

    হাসিনা বাদ! আ’লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন দুই নেতা, জেনে নিন তাদের নাম

    বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এবার ভারতে গোপন বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।আর এই অস্থিতিশীল করার জন্য করা হয়েছে কমিটি জে কমিটির প্রধান জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বাহাউদ্দিন নাসি. হাসিনাকে বাদ দেওয়া হয় গত ১৫ই জানুয়ারি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও জানা গেছে, সম্প্রতি।

    আল জাজিরার অনুসন্ধানে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছে। বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৈঠকের কথা জানান তিনি।জুলকারনাইন সায়ের জানান, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সহিংসতায় যুক্ত হওয়া শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি গোপন বৈঠক গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার পার্ক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটিতে শুধু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতাদেরও উপস্থিতি দেখা গেছে।বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অসীম কুমার উকিল, যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন, আল নাহিয়ান খান জয়, গোলাম রাব্বানী, লেখক ভট্টাচার্য, শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সিদ্দিকী,নাজমুল আলম।

    এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন এবং চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা। গোপনে বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠকে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বাহাউদ্দিন নাসিমকে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন ও ধ্বংসাত্মক কাজের সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তবে হাসিনাকে এখানে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নায় । ছাত্রলীগ নেতা হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে মোহাম্মদ রুবেলকে গণভবন কোয়ার্টার, আদাবর প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।হাজারিবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত তোরাব আলীর ছেলে লিটন সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণে গিয়ে সেখান থেকে কলকাতা গিয়ে বৈঠকে অংশ নেন।

    তাকে দেশে এসে হাজারিবাগ, ধানমণ্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নানকের কথিত ছেলে মোহাম্মদপুর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেকুজ্জামান রাজীব এবং সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাগ্নে আসিফকে মোহাম্মদপুর ও আশপাশ এলাকার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সাবেক এমপি যুবলীগের মোহাম্মদ মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে পুরান ঢাকা চাঁনখারপুল উত্তরাসহ সমগ্র ঢাকায় নাশকতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে তার লোকজন দিয়ে, মগবাজার, গুলিস্তান, তেজগাঁও, বাড্ডা এবং বনশ্রী এলাকায় নাশকতার সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সাবেক এমপি ওয়াখিল উদ্দিনের লোকজনকে দিয়ে বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় নাশকতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু কে বনানী মিরপুর এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন চিত্রনায়িকা সুহানা সাবাকে, ভারতীয় কূটনীতিক ও বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা, অভিনেত্রী গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন কে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • শিক্ষকদের জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারি, বিপদে শিক্ষকরা

    শিক্ষকদের জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারি, বিপদে শিক্ষকরা

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, একজন শিক্ষক তার চাকরি জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার, আর একজন শিক্ষিকা তিনবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

    সাথে পূর্বে, অর্থাৎ গত আগস্টে জারি করা বদলি নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে।

    বদলির গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলি:

    শূন্যপদের চাহিদা প্রকাশ: এনটিআরসিএকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্যপদের তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে।

    আবেদনের সময়সীমা: অনলাইনে বদলির আবেদন করা যাবে ১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

    বদলির আদেশ: আবেদন যাচাই শেষে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ দেওয়া হবে এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

    বদলির যোগ্যতা ও শর্তাবলি:

    চাকরিতে প্রথম যোগদানের দুই বছর পর বদলির জন্য আবেদন করা যাবে।

    বদলি হওয়ার পর নতুন কর্মস্থলে ন্যূনতম দুই বছর কাজ করতে হবে, এরপর আবার আবেদন করা যাবে।

    শিক্ষকেরা নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে নিজ জেলায় পদ না থাকলে, নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় আবেদন করা যাবে।

    বদলি অনুমোদনের ভিত্তি:

    একটি শূন্যপদের জন্য একাধিক আবেদন পেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী প্রার্থিতা এবং দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন দেওয়া হবে। সিনিয়রিটি নির্ধারণে চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ বিবেচনা করা হবে।

    প্রার্থীরা যদি একই উপজেলার হয়, তবে কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত হবে।

    ভিন্ন উপজেলা বা জেলার হলে, জেলা সদর থেকে কাঙ্ক্ষিত স্থানের সদর পর্যন্ত দূরত্ব গণনা করে সিদ্ধান্ত হবে।

    দূরত্ব নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।

    আবেদন সংক্রান্ত নির্দেশনা:

    অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য থাকলে আবেদন বাতিল হবে।

    ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বদলির পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্যপদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবে।

    প্রযুক্তি-নির্ভর বদলি প্রক্রিয়া:

    সম্পূর্ণ বদলি প্রক্রিয়া ডিএমই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

    আবেদন ফরম্যাট ও সফটওয়্যার নির্ধারণ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    বদলি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকের ইনডেক্স ট্রান্সফার, এমপিও সুবিধা, এবং জ্যেষ্ঠতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হবে।

    বদলির বাড়তি নির্দেশনা:

    বদলির আবেদন কোনো অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না।

    বদলির জন্য কোনো টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।

    বদলির আদেশের ১০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন।

    এরপর পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

    অবমুক্তি থেকে যোগদানের মধ্যবর্তী সময় কর্মকাল হিসেবে গণ্য হবে।

    নতুন কর্মস্থলে যোগদানের তথ্য অনলাইনে চেয়ারম্যান, এনটিআরসিএ ও মাউশির মহাপরিচালককে জানাতে হবে।

    এই নীতিমালা শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, প্রযুক্তিনির্ভর ও নিয়মতান্ত্রিক করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।