Author: admin

  • নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ফাঁ’স, ভাগ্যে যা জুটলো সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের

    নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ফাঁ’স, ভাগ্যে যা জুটলো সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের

    ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় দণ্ডিত সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

    রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর করা আবেদনটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে মতামতের জন্য রয়েছে। ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় মামলাটি করেছিলেন বর্তমানে কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ওই সময় তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

    মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে মোয়াজ্জেম হোসেন উল্লেখ করেন, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হিসেবে তিনি গত ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর হতে ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি যৌন হয়রানির শিকার হলে তিনি অফিসারের মাধ্যমে তাকে (নুসরাত) থানায় এনে অনুমতি নিয়ে জবানবন্দি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সরকারি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রমাণস্বরূপ তিনি ভুক্তভোগীসহ আরও সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ভুক্তভোগীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নিয়ে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন।

    মোয়াজ্জেম হোসেন দাবি করেন, ওই বছরের এপ্রিলে পরীক্ষা চলাকালীন মাদ্রাসার ছাদে ভুক্তভোগীর গায়ে একদল দুষ্কৃতকারী কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি (ওসি) ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ভুক্তভোগীর ভাইয়ের লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা নিয়ে দুই দিনের মধ্যে চারজনসহ আট আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। ওই সময় ঘটনাটি সারা দেশ তথা বিশ্ব মিডিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এর প্রেক্ষিতে থানায় সব সময় মিডিয়াকর্মীসহ সবার ভিড় লেগে থাকত। এর ফাঁকে তার অজ্ঞাতে মোবাইল হতে সময় টিভির স্থানীয় একজন প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান সজল ভিকটিমের দেওয়া জবানবন্দি মোবাইলে শেয়ারইটের মাধ্যমে নিয়ে নেন। ১০ এপ্রিল ভিকটিম মারা যাওয়ার পর তার জবানবন্দির ওই ভিডিও ভাইরাল হয়, যা নিয়ে ১৪ এপ্রিল তিনি থানায় জিডি করেন। ১৬ এপ্রিল ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এ ঘটনায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।

    বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। পিবিআই বেআইনিভাবে পিটিশনটির তদন্ত করে একটি মনগড়া রিপোর্ট দেয়। রিপোর্টে তদন্ত কর্মকর্তা কোন মোবাইল বা আইডি হতে ভিডিওটি পোস্ট হয়েছে, তা উল্লেখ করেননি। কে করেছে, তিনি তার তদন্ত না করে রিপোর্ট শেষে ‘ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে’ মর্মে রিপোর্ট দিলে ট্রাইব্যুনাল নিয়ম মোতাবেক সমন না দিয়ে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে হাইকোর্টে জামিনের জন্য গেলে পুলিশ তাকে (ওসি) গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত জামিন না দিয়ে ঘটনাস্থলের সাক্ষীদের পরীক্ষা না করে শুধুমাত্র বাদীর মনোনিত সাক্ষ্য নিয়ে সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করেন। একপর্যায়ে প্রায় ৫ বছর জেল খেটে হাইকোর্টে আপিল করে জামিনে মুক্ত হন তিনি। বাদী থেকে শুরু করে পিবিআই কর্তৃক অভিযোগ দাখিল, আদালতে চার্জ গঠন এবং সাজা প্রদান কোথাও আইনের অনুসরণ করা হয়নি। তা ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৮ ধারার বিধান অনুযায়ী ব্যারিস্টার সুমন এই মামলার বাদী হতে পারেন না।

    তাকে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থাৎ ভিকটিমের কেউ নিয়োজিত করেননি। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল আইনজীবীর কোনো বক্তব্য আমলে না নিয়ে অজ্ঞাত কারণে তড়িঘড়ি করে চার্জ গঠন করে ঘন ঘন তারিখ রেখে বিচারকার্য সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ সাজার ফরমাইশি রায় প্রদান করেন। তিনি বিগত সরকারের নির্যাতনমূলক ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ প্রায় ৫ বছর সাজা খেটে আপিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার তার দলীয় লোক ব্যারিস্টার সুমনকে দিয়ে মিথ্যা মামলা এবং অনুগত পিবিআই কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমারকে দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে দাখিল করিয়ে তাকে (ওসি) বলির পাঠা বানিয়ে জেলে পাঠায়।

    চাকরি হারিয়ে জেল খেটে বর্তমানে সন্তান ও পরিবারসহ মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করে মামলাটি প্রত্যাহারের ব্যবস্থা ও চাকরিতে পুনর্বহালের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানান ওসি মোয়াজ্জেম। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে রাজনৈতিক করণে যে-সব নাশকতার মামলা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। আর দুদকের সিডিউলভুক্ত অপরাধের যে-সব মামলায় আবেদন করা হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা মতামত দেইনি।

    কারণ, সেগুলো প্রত্যাহারের এখতিয়ার দুদকের। এর বাইরে যে-সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিক কারণে কি না, মামলা প্রমাণের পর্যাপ্ত ডকুমেন্টারি এভিডেন্স আছে কি না। তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় সোনাগাজী থানায় নুসরাতের মা শিরিনা আক্তারের করা মামলায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ওই বছরের ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা দুর্বৃত্তরা। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। এছাড়া সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল। তাকে জিডিটাল আইনের দুটি ধারায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে তাকে।

  • এবার আরেক মুসলিম দেশে হামলা করতে যাচ্ছে ইসরাইল?

    এবার আরেক মুসলিম দেশে হামলা করতে যাচ্ছে ইসরাইল?

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবার জর্ডান উপত্যকায় বৃহৎ পরিসরের সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই মহড়া চলবে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিনব্যাপী চলমান এই মহড়ায় বিপুলসংখ্যক সামরিক যান ও সরঞ্জাম অংশ নেবে এবং এতে ওই অঞ্চলে ভারী সামরিক তৎপরতা দেখা যাবে।

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মাত্র একদিন পরই এই মহড়ার আয়োজন করা হলো।

    গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানে ব্যাপক সামরিক হামলা শুরু করে। এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইসরায়েলি বাহিনী পারমাণবিক, সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো এবং আবাসিক এলাকাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করে বোমা বর্ষণ করে।

    জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তেলআবিব ও অন্যান্য ইসরায়েলি স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

    এই উত্তেজনার মধ্যেই গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সোমবার রাতে কাতারের দোহায় অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।

    এর পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং মঙ্গলবার ভোরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর হয়।

    ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এই সংঘর্ষকে “জনগণের দৃঢ়তা ও প্রতিরোধের মাধ্যমে অর্জিত এক ঐতিহাসিক জয়” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

  • যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে পাকিস্তান

    যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে পাকিস্তান

    বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

    ফরেন অ্যাফেয়ার্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক সক্ষমতা ও আগ্রাসন নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, যদি পাকিস্তান একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে সফল হয়, তাহলে দেশটিকে আর ‘সাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে নয়, বরং পূর্ণাঙ্গ ‘পারমাণবিক প্রতিপক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা ছাড়া ওয়াশিংটনের আর কোনো পথ থাকবে না।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ব্যাপারে পাকিস্তান বারবার দাবি করে এসেছে তাদের কর্মসূচি মূলত ভারতের সামরিক প্রাধান্য ঠেকানোর জন্য। তবে এই বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন। তাদের ভাষ্যমতে, পাকিস্তানের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

    প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান সম্ভবত এমন একটি সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে এই বার্তা দিতে চাইছে যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে প্রতিরোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে, তবে তা হবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি, এই সক্ষমতা ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তান বিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকেও নিরুৎসাহিত করতে পারে।

    প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পাকিস্তান যদি দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র অর্জন করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেশটিকে মিত্র হিসেবে দেখার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এমন কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়।

    এ ছাড়া, প্রতিবেদনে চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক সহযোগিতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। চীন যখন তার অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে এবং রাশিয়া বহুদিন ধরে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নীতিকে অবজ্ঞা করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে একাধিক ফ্রন্টে পারমাণবিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে- যার মধ্যে উত্তর কোরিয়া, ইরান এবং বর্তমানে পাকিস্তান অন্যতম।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে, মূলত উপমহাদেশীয় উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। বিশেষ করে ১৯৭৪ সালে ভারতের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার পর পাকিস্তান এই কর্মসূচিতে গতি আনে। ১৯৯৮ সালে ছয়টি সফল বিস্ফোরণ ঘটানোর পর দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

  • আমিনুলকে সরিয়ে হাসিনার নতুন আইনজীবী নিয়োগ, তিনি কে?

    আমিনুলকে সরিয়ে হাসিনার নতুন আইনজীবী নিয়োগ, তিনি কে?

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গনি টিটোর নিয়োগ বাতিল করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    ন্যায় বিচার নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠায় আদালত অবমাননার মামলায় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রনিযুক্ত নতুন আইনজীবী হিসেবে আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার আইনজীবী টিটোর বক্তব্য শুনে বিচারপতি গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    একই সঙ্গে এ মামলার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে আগামী বুধবার লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

    বুধবার আমির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার তাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ তিনি সেই নিয়োগের চিঠি পেয়েছেন।

    প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    ট্রাইব্যুনাল তার কাছে জানতে চান, আসামি শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন কি না। জবাবে আইনজীবী টিটো বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আমি একজন পেশাদার আইনজীবী হিসেবে আসামিদের পক্ষে আইনগতভাবে লড়তে চাই।
    এর আগে গত ১৯ জুন আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী আমিনুল গনি টিটোকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ২৫ জুন ট্রাইব্যুনালে পলাতক আসামিদের পক্ষে বক্তব্য শোনার জন্য দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠে।

    এতে বলা হয়, আমিনুল গনি টিটো গত বছর ৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।

    এরই ধারাবাহিকতায় আজ যথারীতি ট্রাইব্যুনালে আসেন আমিনুল গনি টিটো ও অ্যামিকাস কিউরি এ ওয়াই মশিউজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে এ ওয়াই মশিউজ্জামান বক্তব্য দিতে প্রস্তুতির জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে দুই সপ্তাহের সময় চান। এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করে।

    এরপর স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আমিনুল গনি টিটোর বক্তব্য শোনেন ট্রাইব্যুনাল। বক্তব্য শুরুতেই আমিনুল গনি টিটো বলেন, ৩৬ বছর আইন পেশার জীবনে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় সম্মানিত বোধ করছেন তিনি। এ মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আসামির পক্ষে আইনগতভাবে লড়াই করতে তিনি সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন। এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল তার কাছে জানতে চান, আসামি শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন কি না। জবাবে আইনজীবী টিটো বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আমি একজন পেশাদার আইনজীবী হিসেবে আসামিদের পক্ষে আইনগতভাবে লড়তে চাই।

    এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকায় এখন আর আপনি এ মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে থাকতে পারেন না। এখানে ন্যায় বিচারের প্রশ্নে নৈতিকতা জড়িত। পরে তার নিয়োগ বাতিল করেন ট্রাইব্যুনাল।

    সূত্র: যুগান্তর

  • ইরানে আবারও হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    ইরানে আবারও হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    ইরান যদি পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করে তাহলে দেশটিতে আবারও হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দেন।

    ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতি এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল-তেহরান যদি আবার পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু করে, যুক্তরাষ্ট্র কি আবার বোমাবর্ষণ করবে? ট্রাম্পের সরাসরি জবাব, ‘অবশ্যই’। এ মুহূর্তে তারা কিছুই সমৃদ্ধ করতে চায় না। তারা কেবল ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।’

    ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা বোমা পাবে না, আর তারা ইউরেনিয়ামও সমৃদ্ধ করতে পারবে না।’ তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে কিছুটা সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, শেষ পর্যন্ত আমাদের ইরানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’

    ট্রাম্প দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে তা ‘অত্যন্ত সমতাভিত্তিক’। দুই পক্ষই বলেছে ‘এটি যথেষ্ট হয়েছে।’ তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলাকে বর্ণনা করেন ‘একটি বিশাল বিজয়’ এবং জবরদস্ত এক আঘাত’ হিসেবে।

    ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইসরায়েলও এই সংঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। ‘ইসরায়েল ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে, বিশেষ করে গত কয়েক দিনে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অনেক ভবন ধ্বংস করেছে।

    তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার গর্বিত হওয়া উচিত।’

    এর আগে একই সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তির বিষয়ে ‘বড় ধরনের অগ্রগতি’ হয়েছে। তিনি মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ও ইসরায়েলি যৌথ হামলার ফলেই এমন অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

    ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, আমরা খুব শিগগিরই খুব ভালো খবর পাবো… গাজা চুক্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’

    সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

  • অসুস্থ সাবেক পৌর মেয়রকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নেওয়া হলো হাসপাতালে

    অসুস্থ সাবেক পৌর মেয়রকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নেওয়া হলো হাসপাতালে

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা অসুস্থ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েলকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

    বুধবার (২৫ জুন) কারাগার থেকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে দ্রুত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা ভুগতে থাকা এমরান উদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে দ্রুতই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

    এদিকে এমরান উদ্দিন জুয়েলকে ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। কসবা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে এমরান উদ্দিন জুয়েল সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে কসবা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের হওয়া মামলার এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখা হয়।

  • নেতানিয়াহুর ছেলেকে গণধোলাই দেওয়ার ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

    নেতানিয়াহুর ছেলেকে গণধোলাই দেওয়ার ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

    সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছিল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ছেলেকে গণধোলাই দিচ্ছে সেই দেশের জনগণ। তবে ভিডিওটি নেতানিয়াহুর ছেলের নয় বলে জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার। বুধবার (২৫ জুন) নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

    তাদের অনুসন্ধান থেকে জানা গিয়েছে, প্রচারিত ভিডিওটি নেতানিয়াহুর ছেলেকে গণধোলাই দেওয়ার নয় এবং তাকে গণধোলাই দেওয়ার দাবির সপক্ষেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

    বরং, এটি গত বছরের অক্টোবর মাসে গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের সময়কার হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের বন্দীদের স্বজনদের সাথে চলতি বছরের মার্চে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের দৃশ্য।

    অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাউ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৫ মার্চ প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

    প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের পার্লামেন্টে নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দীদের স্বজনদের ধাক্কা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিচ্ছে–এমন ঘটনার দৃশ্য এটি।

    উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে আল জাজিরার ওয়েবসাইটে গত ০৪ মার্চ “Israeli captives’ families fight with Knesset security guards” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনেও একই মারামারির দৃশ্য দেখা যায়।

    প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণ দেখতে বাঁধা দেওয়ার সময় গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার এবং গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলা থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    সুতরাং, চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে গত বছরের অক্টোবর মাসে হামলায় হামাসের কাছে বন্দিদের স্বজনদের সাথে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের দৃশ্যকে নেতানিয়াহুর ছেলেকে গণধোলাইয়ের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

  • ফেসবুকের ‘ভিডিও’ থেকে বন্ধ হলো আয়

    ফেসবুকের ‘ভিডিও’ থেকে বন্ধ হলো আয়

    ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে যারা আয় করতেন, তাদের জন্য বড় ধাক্কা হতে যাচ্ছে মেটার নতুন সিদ্ধান্ত। এবার থেকে ফেসবুকে আর আলাদাভাবে ভিডিও পোস্ট করা যাবে না—সব ভিডিও-ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিলস’ হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে ফেসবুকের ভিডিও প্ল্যাটফর্মে আয়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মেটা।

    সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে যে ভিডিওই আপলোড করবেন না কেন—তা ছোট হোক কিংবা বড়—সবই এখন থেকে রিলস হিসেবেই প্রকাশিত হবে। আগে ভিডিও ও রিলস ছিল আলাদা দুটি ফিচার। এবার থেকে ভিডিও ও রিলসের ব্যবধান মুছে যাচ্ছে।

    মেটার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, নতুন আপডেটের মাধ্যমে একটি ইউনিফায়েড ভিডিও ইন্টারফেস চালু করা হচ্ছে, যা ব্যবহারকারীদের ভিডিও তৈরি, সম্পাদনা ও শেয়ার করার কাজ আরও সহজ করে তুলবে।

    এর আগে রিলস আপলোডের সময়সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৯০ সেকেন্ড। তবে নতুন নিয়মে এই সীমাবদ্ধতাও তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা চাইলে ৩০ সেকেন্ডের শর্ট ক্লিপ কিংবা ১০ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন—তবে সেটিও রিলস হিসেবেই প্রকাশিত হবে।

    আয় হবে শুধু রিলস থেকে

    নতুন এই আপডেটের ফলে ফেসবুক ভিডিও থেকে আলাদা মনেটাইজেশনের সুযোগ আর থাকছে না। অর্থাৎ যারা আগে বড় ভিডিও পোস্ট করে অর্থ আয় করতেন, তাদের এখন থেকে কনটেন্ট আপলোড করতে হবে রিলস আকারেই এবং আয়ও হবে রিলসের নির্ধারিত নীতিমালার আওতায়।

    আসছে নতুন ক্রিয়েটিভ টুল

    মেটা জানিয়েছে, নতুন ফিচারের সঙ্গে থাকবে আরও কিছু ক্রিয়েটিভ টুলস ও এডিটিং অপশন, যা ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। কোনো প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াও ব্যবহারকারীরা সহজেই ভিডিও কাট, ফিল্টার, টেক্সট ও মিউজিক যুক্ত করতে পারবেন।

    ভিডিও ও রিলস একীভূত করার এ সিদ্ধান্ত ফেসবুকের ভিডিওভিত্তিক ব্যবহার আরও বাড়াতে সহায়ক হলেও, আয়ের দিক থেকে অনেক কনটেন্ট নির্মাতাকে নতুন কৌশলে মানিয়ে নিতে হবে।

  • নতুন তিন দিবসের ঘোষণা দিলো সরকার, প্রজ্ঞাপন জারি

    নতুন তিন দিবসের ঘোষণা দিলো সরকার, প্রজ্ঞাপন জারি

    ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বর্তমান সরকার ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

    এছাড়া, গণআন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

    বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি পরিপত্র জারি করে দিবস তিনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, দিবস তিনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রতিপত্রে আরও জানানো হয়, প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনুষ্ঠানিকভাবে দিবস তিনটি পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    এর আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালনের লক্ষ্যে ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কর্মসূচি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এই কমিটিতে।

    উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালিত হবে। ১ জুলাই মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।

  • জানেন কি? মেয়েদের সবচেয়ে দূর্বল পয়েন্ট কি !

    জানেন কি? মেয়েদের সবচেয়ে দূর্বল পয়েন্ট কি !

    মেয়েদের সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্ট
    মেয়েদের সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্টগুলি হল তাদের মানসিক এবং শারীরিক প্রকৃতি। মানসিকভাবে, মেয়েরা প্রায়শই তাদের আবেগগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়ে। তারা সহজেই আঘাত পেতে পারে এবং তাদের অনুভূতিগুলি প্রকাশ করতে পারে। এটি তাদেরকে প্রতারিত বা শোষিত হওয়ার জন্য আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
    শারীরিকভাবে, মেয়েরা প্রায়শই দুর্বল হয়। তারা পুরুষদের তুলনায় কম পেশী ভর এবং শক্তি থাকে। এটি তাদের আক্রমণ বা সহিংসতার শিকার হওয়ার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
    মেয়েদের দুর্বল পয়েন্টগুলি তাদের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তারা তাদের সম্পর্কের, তাদের কর্মজীবন এবং তাদের সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
    মেয়েদের দুর্বল পয়েন্টগুলি মোকাবেলা করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:
    আপনার আবেগগুলি সম্পর্কে সচেতন হন: আপনার আবেগগুলি কীভাবে আপনাকে প্রভাবিত করছে তা বুঝতে শিখুন।
    আপনার শক্তি এবং অর্জনগুলিতে ফোকাস করুন: আপনার দুর্বলতাগুলির পরিবর্তে আপনার শক্তি এবং অর্জনগুলিতে ফোকাস করুন।
    মেয়েদের দুর্বল পয়েন্টগুলি অবশ্যই তাদেরকে দুর্বল করে তোলে না। তারা কেবল তাদেরকে আরও মানবিক করে তোলে। মেয়েরা তাদের দুর্বল পয়েন্টগুলি সম্পর্কে সচেতন হলে এবং সেগুলি মোকাবেলা করার উপায় খুঁজে পেলে, তারা তাদের জীবনে সফল হতে পারে।