Author: admin

  • বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা

    বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. জুলফিকার আলী। পবিত্র কোরআন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

    তবে তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে শহরের মাদ্রাসা রোড়স্থ নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

    মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে একাধিকবার পবিত্র হজ পালনের সৌভাগ্য হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

    নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির এক জনসভায় সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছি।

    আমি বলেছিলাম— রাজনৈতিক কতিপয় ব্যক্তি পবিত্র কোরআন নিয়ে ভাওতাবাজি করে। এটি বলা আমার ভুল হয়েছে, যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।’

    এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বক্তব্য খণ্ডিত ও বিকৃতি আকারে উপস্থাপন করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই আমি মহান আল্লাহ ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ব্যাখ্যা দিয়েছি।


    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহবুব রহমান মানিক, এমরান হোসেন, খোরশেদ আলম, মো. আলাউদ্দিন, মো. রাজ্জাক ও মো. নাসির।

  • ভারতের থেকেও কম খরচে উন্নত চিকিৎ*সা দিবে ই*রান!

    ভারতের থেকেও কম খরচে উন্নত চিকিৎ*সা দিবে ই*রান!

    বাংলাদেশের রোগীদের জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হতে চলেছে। ইরানের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে বন্ধ্যাত্ব, হৃদরোগ, ক্যান্সার ও প্লাস্টিক সার্জারির মতো জটিল চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

    পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তুলনায় অনেক কম খরচে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে ইরান, যা বাংলাদেশী রোগীদের জন্য এক বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় ইরান বিশ্বের অন্যতম সফল দেশ হিসেবে পরিচিত। ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের রোগীরা বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের জন্য ইরানে ভিড় জমায়। উন্নতমানের হাসপাতাল, অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনে ইরান স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

    এছাড়া, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ইরানে চিকিৎসা প্রক্রিয়া সহজ করতে ক্যাবম্যাট নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই সেবার আওতায় রোগীদের হাসপাতাল নির্বাচন, চিকিৎসা পরিকল্পনা, হোটেল বুকিং, স্থানীয় পরিবহন এবং দোভাষী সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। শুধু চিকিৎসাই নয়, রোগীরা ইরানের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান ভ্রমণের সুযোগও পাবেন।

    বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটনের এক নতুন যুগের সূচনা করতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসেছে ক্যাবম্যাট। উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি যারা ইরানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

    ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/iLrtcU7m8rA?si=jDcrdce6SyEdKob0

  • মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে : তারেক রহমান

    মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে : তারেক রহমান

    বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ বিগত দিনের সব অধিকার আদায়ে বিএনপিকে পাশে পেয়েছে। তাই অধিকার আদায়ে বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে তারা।’

    রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলন উদ্বোধন করেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

    এ সময় বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অন্দিন্দ্য ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, সহসভাপতি জুলফিকার আলীসহ স্থানীয় নেতারা।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান আরো বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, পুলিশ, বিচার বিভাগসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিএনপির ৩১ দফার মাধ্যমে রাষ্ট্র রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করতে হবে।

    উদ্বোধনী আলোচনায় আমানউল্লাহ আমান ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামীতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেখানে সমমনা দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার হবে।

    সম্মেলন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ব্যালটের মাধ্যমে জেলার সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করে। জেলার মোট চারটি থানা ও তিনটি পৌরসভার মোট সাতটি ইউনিটের ৭০৭ জন ভোটার ব্যালটে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন।

  • জামায়াতের নায়েবে আমিরের ব্যক্তিগত পিওন হিন্দু

    জামায়াতের নায়েবে আমিরের ব্যক্তিগত পিওন হিন্দু

    জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের ব্যক্তিগত পিওন হিন্দু বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জামায়াতের এই নেতা।

    তিনি বলেন, আমি এখন আর প্রাকটিস করি না, জামায়াতের আমিরও করেন না। আমরা এখন আর ডাক্তারি পেশার সাথে নেই। ডাক্তার হিসেবে কিছুটা ক্ষতি আছে, কারণ এখানে আমি আর নেই। কিন্ত আমরা বিশাল একটা জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করছি, ইসলামের সাথে ডাকছি। আর আমি ডাক্তার সাথে আছি, আমি এনডিএফের তত্ত্বাবধায়ক। ডাক্তারদের সাথে টাচে আছি আমি, এই পেশাকে আরো কীভাবে উন্নত করা যায় ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় তা দেখছি।

    আমি ডাক্তারি পেশায় নেই কিন্ত ব্যবসায় আছি। আমার নিজের একটা হসপিটাল আছে। আমার একটা মেডিকেল কলেজও আছে সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ। হসপিটাল হচ্ছে কুমিল্লা টাওয়ার, এছাড়া ঢাকায় একটা হসপিটাল আছে ওইটার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমি। তাই ডাক্তারদের সাথে আমার সম্পৃক্ততা আছে। জামায়াত আমিরও কিছুদিন প্রাকটিস করেছিল শুরুতে, পরে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত হওয়ায় পরে আর পারেননি।

  • জাতীয় কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর সাময়িক বরখাস্ত

    জাতীয় কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর সাময়িক বরখাস্ত

    কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

    এতে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে (সাবেক পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া) কুষ্টিয়া সদর থানার মামলায় গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন আদালতে হাজির করা হলে তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। তাই সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

    এতে আরও বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।

  • ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে: রাজনীতিতে তোলপাড়

    ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে: রাজনীতিতে তোলপাড়

    আবদুস সাত্তার, যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং তার প্রতিবেশী, সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সম্পর্ক ছিল কাদের মির্জার হেলমেট বাহিনীসহ বিভিন্ন শক্তিশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে।

    আবদুস সাত্তার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এবং জেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে বিষয়টি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই সম্পর্কের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়, এবং অনেক নেতাকর্মী এই বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ট হন। তারা প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে একজন রাজনৈতিক নেতা, যিনি এতদিন ক্ষমতাসীন দলের অংশ ছিলেন, এখন বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।

    তবে সাত্তার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা দাবি করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগে থাকা বা বিএনপিতে আসার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত ছিল, এবং তিনি ছাত্রদল থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, তার উপর নানা ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠছে যা তার রাজনৈতিক কর্মজীবনকে অকারণে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

    এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার জানান, সাত্তারকে বিএনপিতে নিয়ে আসা নিয়ে কিছু নেতাদের সম্পৃক্ততা ছিল, তবে তার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি জানান, কয়েকটি মিটিং থেকে সাত্তারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এমনকি তাকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার প্রভাব ও উপস্থিতির কারণে কিছু নেতাকর্মী অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

    সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ এবং অন্যান্য নেতাদের মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি, তবে এসব ঘটনাবলীতে বিএনপির ভেতরে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এই বিষয়ে বলেন, সাত্তার যদি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাদের মধ্যে আগে সুরাহা হওয়া উচিত ছিল। তিনি জানান, সাত্তার তার সঙ্গে একটি ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াত দেওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ছবি তুলেছেন, কিন্তু সেই ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের নেতাদের মনোভাব এবং এলাকায় সাত্তারের উপস্থিতি যদি এর আগে স্পষ্টভাবে সমাধান করা হতো, তাহলে এখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।

    এদিকে, কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে, এবং সাত্তারকে নিয়ে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে।

  • নতুন দলের নেতৃত্বে এবার আলোচনায় সারজিস আলমের নাম

    নতুন দলের নেতৃত্বে এবার আলোচনায় সারজিস আলমের নাম

    চলতি মাসেই নতুন দলের ঘোষণা করতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মাসের শেষের দিকে নতুন এই দলের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক ছাত্র নেতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ নেতারাই আসছেন নতুন দলের নেতৃত্বে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন মো. নাহিদ ইসলাম।

    সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেছেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা বা আলোচনা রয়েছে। সে দলে অংশগ্রহণ করতে হলে সরকারে থেকে সেটি সম্ভব নয়। সেই দলে আমি যদি যেতে চাই তাহলে সরকার থেকে আমি পদত্যাগ করব।

    দলের শীর্ষ পদে নাহিদ ইসলাম নেতৃত্ব দিলে দ্বিতীয় শীর্ষ পদে (সদস্যসচিব) কারা আসছেন, সে বিষয়ে চলছে আলোচনা।

    তবে ছাত্রদের পক্ষ থেকে একনও সদস্যসচিবের নাম চূড়ান্ত হয়নি। এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

    নতুন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে কে আসছেন, তা নিয়ে একধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রধান দুটি পদের বাইরে অন্য শীর্ষ পদগুলোতে ‘পছন্দের নেতাদের’ বসাতে তৎপর নাগরিক কমিটির বিভিন্ন অংশ।

    ইতিমধ্যে ঘোষণা এসেছে, আসতে যাওয়া রাজনৈতিক দলটি হবে মধ্যমপন্থী। যেখানে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসনকে ঘিরে যাত্রা শুরু করবে রাজনৈতিক দলটি।

    জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দলটি কোনো বাইনারি প্রসেসের মধ্যে থাকবে না, মতাদর্শ ভিত্তিক বিভাজন থাকবে না। আমাদের সামাজিকভাবে ঐক্যের জায়গাটা গড়তে হবে।

  • প্রধান উপদেষ্টার টুইট, ইলন মাস্কের সাড়া

    প্রধান উপদেষ্টার টুইট, ইলন মাস্কের সাড়া

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনা নিয়ে এক ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে। সে মিটিংয়ের পর প্রধান উপদেষ্টা এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে সুখবরটি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এ টুইটে ইলন মাস্ক নিজেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘মিস্টার ইলন মাস্কের সঙ্গে দারুণ এক বৈঠক হলো। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। তার সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার আশা করছি।’

    এই টুইটের জবাবে স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক মাত্র ৫৮ মিনিটের মাথায় উত্তর দেন, “এটার জন্য মুখিয়ে আছি!” (Looking forward to it!)।

    এদিকে টুইটার এক্সচেঞ্জের পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। প্রযুক্তিপ্রেমীরা মনে করছেন, দেশে উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। বিশেষ করে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ সহজলভ্য করতে স্টারলিংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে স্টারলিংকের আগমনের ফলে দেশের টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা প্রকৃত বাস্তবায়ন কবে নাগাদ হতে পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

    সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও এই টুইট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এরআগে বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের তথ্য জানান।

    ভিডিওতে করা ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার ইস্যু বিষয়ক প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশের পক্ষে এসডিজির প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং স্পেসএক্সের পক্ষে গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার লরেন ড্রেয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড গ্রিফিথস।

    তাদের কথোপকথনের সময় স্টারলিংকের স্যাটেলাইট যোগাযোগের নতুন ধরণ ও এর প্রভাবের ওপর জোর দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্ক।

    বিশেষ করে বাংলাদেশের উদ্যোগী যুবক, নারী ও প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য কীভাবে এই পরিষেবা ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়।
    কীভাবে উচ্চগতির ও কম খরচে ইন্টারনেট সংযোগ বাংলাদেশে ডিজিটাল বিভাজন ঘটাতে পারে, তা নিয়ে দুজনে আলাপ করেন। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক বিবেচনা করে এবং প্রত্যন্ত এলাকায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে।

    এ সময় ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোতে স্টারলিংকের সংযোগ একীভূত করা লক্ষাধিক মানুষের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশকে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করবে।

    ইলন মাস্কের সঙ্গে আরও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।

    এ সময় গ্রামীণ ব্যাংক ও এর ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করেন ইলন মাস্ক। এই কার্যক্রম দরিদ্রতা দূর করতে বেশ প্রভাব ফেলেছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি। মাস্ক বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ ভিলেজ ফোনের ব্যাপারে এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে তিনি অবগত।

    বাংলাদেশে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও আর্থিক প্রগতিতে স্টারলিংক পথ তৈরি করে দেবে বলেও মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক।

  • পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ

    পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ

    অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর আধিপত্যবাদী শক্তির দখলদারিত্ব কায়েমের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশই ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে আমরা জাতির সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি। তাদের হারানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভিতকে আঘাত করা হয়েছে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের কবর রচনা করে নৈরাজ্যবাদের জন্ম দিয়েছিল পতিত আওয়ামী সরকার। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিডিআরের পোশাক পরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

    অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না, ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দেশকে চোরাবালির সন্ধিক্ষণে দাঁড় করানো হয়েছিল। একটি রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে খুন-গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়ে সেই রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।’

    সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দুই মাসের মাথায় ঢাকার পিলখানায় দেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা ইতিহাসের এক কালো দাগ। দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাত হানার লক্ষ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার সুযোগ থাকলেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার লোক দেখানো চেষ্টা করা হয়েছে।