Author: admin

  • বিতর্কিত সেই ইমামকে গু’লি করে হ’ত্যা

    বিতর্কিত সেই ইমামকে গু’লি করে হ’ত্যা

    বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম হিসেবে পরিচিত মুহসিন হেনড্রিকসকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ।

    গতকাল শনিবার পূর্ব কেপটাউনের কেবেরহা শহরের বেথেলসডর্প এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তিনি সমকামী ও অন্য প্রান্তিক মুসলিমদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত একটি মসজিদ পরিচালনা করতেন।

    স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হেনড্রিকস নিজের গাড়িতে কোথাও যাচ্ছিলেন।

    এ সময় অন্য একটি গাড়ি এসে পথ আটকে দেয়। এরপর মুখ ঢাকা দুজন বন্দুকধারী গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুলির পর হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গাড়ির চালক খেয়াল করেন, পেছনের আসনে বসে থাকা মুহসিন হেনড্রিকস নিহত হয়েছেন।

    এই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এটি টার্গেট কিলিং। তবে হত্যার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি তথ্য দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে ইস্টার্ন কেপ পুলিশ।

    জানা যায়, ১৯৯৬ সালে প্রকাশ্যে সমকামী হিসেবে পরিচিত হওয়ার পর থেকে হেনড্রিকস এলজিবিটিকিউ-মুসলিমদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছিলেন।

    এর ঠিক দুই বছর পর ১৯৯৮ সালে তিনি নিজ শহরে সমকামী মুসলিমদের জন্য বৈঠকের আয়োজন শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে তাদের ধর্মীয় নেতা বা ‘ইমাম’ হিসেবে স্বীকৃতি পান।

    ২০২২ সালে গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার গ্যারেজ খুলে সেখানে কার্পেট বিছিয়ে সবাইকে চা পান করতে ও কথা বলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।’

    মুহসিন হেনড্রিকসক একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একসময় আরবি ভাষার শিক্ষক এবং একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। ২৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম তার মায়ের কাছে নিজের সমকামী পরিচয় প্রকাশ করেন।

    তিনি এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাদের একটি সন্তানও ছিল। বিয়ের আট বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ করে তিনি সবার কাছে নিজের সমকামী পরিচয় প্রকাশ করেন।

  • ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে প্রেম, অপহরণ ও ধর্ষণ; অতঃপর…

    ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে প্রেম, অপহরণ ও ধর্ষণ; অতঃপর…

    বরগুনার আমতলীতে এক হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে নিজের নাম ও ধর্ম গোপন করে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং পরে শাখা সিঁদুর পড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

    আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভূক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিন জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

    ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লাইলাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার আসামিরা হলেন, আমতলী উপজেলার কড়ইতলা হাড়িপাড়া গ্রামের উত্তম পাইকের ছেলে দিপু পাইক, তার বন্ধু গৌতম পাইক ও বিমল হাওলাদার।

    মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. রঞ্জুয়ারা শিপু।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, আমতলীর মুসলিম পরিবারের এক তরুণীর সাথে দিপু পাইকের মুঠোফোনে পরিচয় হয়। ওই সময় দিপু পাইক নিজেকে মুসলিম পরিবারের অনিক নামে পরিচয় দেন। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে অনিক ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

    তরুণী পারিবারিকভাবে বিয়েতে রাজি আছে বলে প্রেমিক অনিককে জানান। কিন্তু অনিক তরুণীর প্রস্তাব নাকচ করে নিজেরাই বিয়ে করবেন বলে জানান। ভূক্তভোগী ওই তরুণী প্রেমিক অনিকের প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়।

    এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে ওই তরুণী নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় গেলে অনিকসহ আরো দুই যুবক একটি (মাহেন্দ্রা) গাড়িতে জোরপূর্বক তাকে তুলে অপহরণ করে প্রথমে বরিশাল নিয়ে যায়।

    সেখান থেকে ঢাকার হেমায়েতপুর নিয়ে যায়।
    সেখানে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসামি দিপু পাইক তার দুই বন্ধুর সহায়তায় একাধিকবার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে খুনের ভয় দেখিয়ে মাথায় সিঁদুর ও হাতে শাখা পড়িয়ে দেয়। এমনকি দিপু ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

    ভূক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, আমি সুযোগ পেয়ে আমার চাচাতো বোনকে সকল ঘটনা জানালে পরে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে জানতে আসামি দিপুর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের আদেশ হাতে পাইনি। আদেশ হাতে পেলে আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করব।

  • নি’ষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেলাল গ্রে’প্তার

    নি’ষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেলাল গ্রে’প্তার

    নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাটমোহর পৌর সদরের ছোট শালিকা মহল্লার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত হেলাল উদ্দিন ছোট শালিকা মহল্লার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

    চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার বলেন, হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। সেই মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাবনা ডিবি পুলিশের সহায়তায় চাটমোহর থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।

    তিনি আরো জানান, থানা হেফাজতে হেলাল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

    তার বিরুদ্ধে আরো কিছু অভিযোগের তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

  • নারীরাই ধরিয়ে দিলেন নেত্রীকে, অতঃপর…

    নারীরাই ধরিয়ে দিলেন নেত্রীকে, অতঃপর…

    চট্টগ্রামে কানিজ ফাতেমা লিমা নামে এক নেত্রীকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন একদল নারী। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় জিপিওর সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    কানিজ ফাতেমা লিমা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ-ম‌হিলা বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

    থানা সূত্র জানায়, আপাতত তিনি থানা হেফাজতে রয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম কালবেলাকে জানান, কানিজ ফাতেমা লিমা নামে একজনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেত্রী থানায় এনেছেন। তিনি ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল ক‌মি‌টি চট্টগ্রাম জেলা কা‌মি‌টির সহ-ম‌হিলা বিষয়ক সম্পাদক বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে তিনি আমাদের থানা হেফাজতে রয়েছেন।

  • আটক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়াতে গেলেন জবির ২ ছাত্রদল নেতা

    আটক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়াতে গেলেন জবির ২ ছাত্রদল নেতা

    ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডা দিতে এসে রাজা হাওলাদার নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার বিরুদ্ধে। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই নেতাসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

    রাজা হাওলাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীর ঘনিষ্ঠ কর্মী বলে জানা যায়। এদিকে ছাত্রদলের দুই নেতা হলেন, তৌহিদ চৌধুরী ও বাবলি আক্তার। তারা দুজনই ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের ভেতরে রাজা হাওলাদার তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয়ার সময় জবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারীরা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এমন সময় ছাত্রদল নেতা তৌহিদ ও বাবলি এসে রাজা হাওলাদারকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে জবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারীদের সাথে তৌহিদ ও বাবলির কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সুজন মোল্লার অনুসারীরা তৌহিদকে ফ্যাসিবাদের দোসরকে সাফাই গাওয়ার অভিযোগ করে কথা কাটাকাটি করে। পরবর্তীতে রাজা হালদারের নামে বড় কোন অভিযোগ না পাওয়া গেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

    এ ছাড়াও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক তৌহিদ চৌধুরীর বাড়ি ও ছাত্রলীগ কর্মীর বাড়ি একই জেলা ভোলাতে। এদিকে ছাত্রদল নেতার দাবি, পার্কের ভেতরে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে খোঁজ নিতে যান তারা। তবে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়াতে যাননি বলে জানান তিনি।

    এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বাবলি আক্তার বলেন, ‘আমি এবং তৌহিদসহ আমরা দুইজন জানতে গিয়েছিলাম কেন তাকে আটক করা হয়েছে। আমি খবর পেয়েছিলাম ভিক্টোরিয়া পার্কে মারামারি হচ্ছে। পরে আমি সেখানে যাই।’

    এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার নামে একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। আজকে ক্যাম্পাসে আমাদের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছিল। সেখান থাকা অবস্থায় জানতে পারি ভিক্টোরিয়া পার্কে মারামারি হচ্ছে। পরে জানতে পারি তারা সুজন মোল্লার ছেলে। আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি পারি রাজ নামে ছেলেটিকে ধরা হয়েছে। আমি যখন নিশ্চিত হই সে ছাত্রলীগ করতো তখন সাথে সাথে আমি সরে আসি। একদল আমাকে এবং আমার সঙ্গীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’

    জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের পাশে পাটুয়াটুলিতে থাকলেও ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তৌহিদ এবং অন্যরা ভেবেছিলো সেখানে ছাত্রদলের কোন ঝামেলা হচ্ছে। পরে যখন তারা জানতে পারে ছাত্রলীগ কর্মী সেখানে আছে, তারা সাথে সাথে সেখান থেকে চলে আসে।’

  • জামাতের নিবন্ধন ফিরে পেতে দেরি হচ্ছে কেন নেপত্য কি.?

    জামাতের নিবন্ধন ফিরে পেতে দেরি হচ্ছে কেন নেপত্য কি.?

    পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। যার ফলে ২০১৮ সালে তারা নির্বাচন করেছে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে। ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। দলীয়ভাবে জাতীয় নির্বাচন করতে হলে তাদের নিবন্ধন ফেরত পেতে হবে, প্রতীক ফেরত পেতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখনও কেন জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফেরত পায়নি, এতে অনেকে অবাক হয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী।

    কয়েকটি সূত্র জানায়, আইনগত কিছু জটিলতা ও কৌশলের কারণে এখনও জামায়াত তার নিবন্ধন ফেরত পায়নি। জাতীয় নির্বাচন নাকি স্থানীয় নির্বাচন কোনটি আগে হবে, তার ওপর নির্ভর করছে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার লড়াই। জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার কথা বলেছে। কেননা এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক থাকবে না। নিবন্ধনেরও প্রয়োজন হবে না। তবে বিএনপি চায় আগে জাতীয় নির্বাচন হোক। এখন অন্তর্বর্তী সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।

    জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, জামায়াত নেতারা আশা করছেন, আইনের লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা, শিগগিরই নিবন্ধন পেয়ে যাবেন। একইসঙ্গে তারা নিবন্ধন ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। নিবন্ধনের ব্যাপারটি যেহেতু আইনগত বিষয়, সেহেতেু জামায়াত আদালতেও লড়াই চালিয়ে যাবে।

    সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে দেশের সব কটি কার্যালয় কার্যত সিলগালা করে রাখা হয়েছিল। জামায়াত একমাত্র দল, যে দলের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দুঃখের বিষয়, ফ্যাসিবাদ আপাতত বিদায় নিয়েছে, কিন্তু আমরা নিবন্ধনটা এখনো ফিরে পাইনি। নিবন্ধনের জন্য এখনো আদালতে লড়াই করতে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার বিষয়। অন্যায়ের কাছে, ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত না করার কারণে কেড়ে নেওয়া নিবন্ধনটা ফ্যাসিবাদের পরিবর্তনের সঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।’

    জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ অগাস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ এক রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ অগাস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

    হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে এ দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।

    ঐতিহাসিক ৫ অগস্ট গণবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার আগে ১ অগস্ট জামায়াত ও তাদের ছাত্র শাখা ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাস যোগের কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করেছিল তৎকালীন সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাময়াতের আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। এবার নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকারও ফিরে পাবে ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারে থাকা দলটি।

    জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়ে আমরা আইনি পথেই এগোব। আশা করি, আদালতে আমরা সুবিচার পাব।’

  • ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হলে নির্বাচন কেন নয় : মনি

    ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হলে নির্বাচন কেন নয় : মনি

    নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি বলেছেন, ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হলে ৯ মাসে কেন নির্বাচন দেওয়া যাবে না। সরকারের ভেতরে থেকে নির্বাচন করবে কেন?

    রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন তিনি।

    নুরুল ইসলাম মনি আরো বলেন, ‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিকেদের চতুর্থ স্তম্ভ না বলে বর্তমান সংসদবিহীন অবস্থায় একে প্রথম স্তম্ভ বলা উচিত। সাংবাদিকরা নানা অনিয়ম তুলে ধরে আমাদের ক্ষতবিক্ষত সমাজকে রক্ষা করছেন।

    তি আমিন সোহেলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি পাথরঘাটা উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জামাল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক, পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজমুল হক সেলিম প্রমুখ।

  • দোকান দখল নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সং’ঘর্ষ, আ’হত ৫

    দোকান দখল নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সং’ঘর্ষ, আ’হত ৫

    রাজবাড়ীর পাংশায় দোকান ঘর দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ও বিকেলে উপজেলার বাবুপাড়া ও কলিমহর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বেচপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ দুপক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

    আহতরা হলেন- কলিমহর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহান উদ্দিন, একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শহিদুল খানের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, রাখি বেগম, পলি খাতুন ও শামিম। আহতরা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    সরেজমিনে জানা যায়, কলিমহর ও বাবুপাড়া ইউনিয়নের সীমান্তে বেচপাড়া বাজারে আনোয়ার মোল্লার কাছ থেকে ২ সার্টারের একটি দোকান ঘর কেনেন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহান উদ্দিনের ছেলে মিলন মোল্লা। দোকান ঘরটি দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনার দিন সকালে দোকান ঘরটি নিজেদের দাবি করে তালা ভাঙতে যান শহিদুল খান গং। জাহান উদ্দিন গং বাধা দিতে গেলে শহিদুল খান গং কর্তৃক হামলার শিকার হন।

    এ সময় জাহান উদ্দিন ও শামিম আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে বেচপাড়া বাজারে অবস্থিত শহিদুলের মুদিখানার দোকান, তার ভাই শাহিদুল খানের ব্রয়লারের দোকান, আশিকের কসমেটিকসের দোকান ও ওহিদুলের মনোহারীর দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

    এ ব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শহিদুল খান বলেন, আমাদের জমির দোকানটি দখলে নিতে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তার মেয়ে জামাই শহিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, লাঠিসোঁটাসহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের চার ভাইয়ের দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। দোকানের মালামালসহ নগদ আড়াই লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

    অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, আনোয়ার মোল্লার কাছ থেকে আমার শ্যালক মিলন মোল্লা বাজারের একটি দোকান ঘর কেনেন। দোকান ঘরটি নিয়ে এর আগে ঝামেলা হওয়ায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু শহিদুল খান ও তার ভাইয়েরা ঘরটির তালা ভেঙে তাদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমার শ্বশুর তাদের বাধা দেন। তারা আমার শ্বশুরের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমার ছোট ভাই শামীমকেও তারা মারধর করে। তবে দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

    পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। মীমাংসা না হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ‘সুগার ড্যাডি’র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যেসব দেশে

    ‘সুগার ড্যাডি’র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যেসব দেশে

    যত দিন যাচ্ছে বদলে বদলে যাচ্ছে মানুষের সম্পর্কের সংজ্ঞাও। যত না আবেগের তার থেকেও বেশি সম্পর্ক হয়ে উঠছে বস্তু নির্ভর। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সম্পর্ক বিষয়টিই হয়ে যেন হয়ে উঠেছে দেওয়া নেওয়ার প্রতীক! যে কারণে হালের সবচেয়ে পরিচিত শব্দ ‘সুগার ড্যাডি’। শব্দটি অনেকেই শুনেছেন।

    এ প্রজন্মের তরুণীদের সঙ্গে শব্দটি বেশ জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে বলা চলে।
    আরো পড়ুন
    ‘মব’ নয়, নাট্যকর্মীদের একাংশের কারণেই স্থগিত উৎসব : ফারুকী
    ‘মব’ নয়, নাট্যকর্মীদের একাংশের কারণেই স্থগিত উৎসব : ফারুকী

    সুগার ড্যাডি কাকে বলে? আসলে এক বিশেষ ধরনের সম্পর্কের বর্ণনা দিতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সম্পর্কে একজন বয়স্ক এবং ধনী পুরুষ একজন কম বয়সী সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। পাশাপাশি ওই ধনী ব্যক্তি তার তরুণী সঙ্গীকে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধাও দেন।

    চলতি ভাষায় এই ধরনের সম্পর্কে লিপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে ‘সুগার ড্যাডি’ বলা হয়। যদিও বিষয়টির কোনো ব্যাকরণগত বা আইনি ভিত্তি এখনও পর্যন্ত নেই। কেউ কেউ বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে দেখেন, আবার কেউ এটাকে নৈতিকতার দিক থেকে ভুল মনে করেন। তাই এই ধরনের সম্পর্কের বৈধতা এবং নৈতিকতা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে।
    আরো পড়ুন
    ভালোবাসা দিবসে প্রয়াত সুশান্তের বাড়ির সামনে রুশ অনুরাগীরা
    ভালোবাসা দিবসে প্রয়াত সুশান্তের বাড়ির সামনে রুশ অনুরাগীরা

    এবার সুগার ড্যাডি নিয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলো ‘এসইএশিয়া ডট স্ট্যাটস’ নামের একটি সমীক্ষক সংস্থা। কোন দেশে কতো সংখ্যক সুগার ড্যাডি রয়েছে, তা নিয়েই এই পরিসংখ্যান। প্রকাশিত ওই পরিসংখ্যান বলছে, এই তালিকায় ভারত রয়েছে একেবারে শীর্ষে। এখানে সুগার ড্যাডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় তিন লক্ষ আটত্রিশ হাজারেরও বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন ভারতে।

    তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এখানে ষাট হাজারেরও বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া এবং জাপান। এই দুটি দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা প্রায় বত্রিশ হাজার পাঁচশো। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। এখানে প্রায় সাতাশ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এখানে বারো হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন।

    আরো পড়ুন
    বিয়ে করলেন ইয়াসমিন লাবন্য, বর কে?
    বিয়ে করলেন ইয়াসমিন লাবন্য, বর কে?

    তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সপ্তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা যথাক্রমে এখানে আট হাজার এবং পাঁচ হাজারের মতো। অষ্টম স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া। এখানে সাড়ে তিন হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছে।

    তবে এই সমীক্ষা কবে, কোথায় কিসের ভিত্তিতে হয়েছে তা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি সংস্থাটি। কাজেই প্রশ্ন রয়েছে এই সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।