Author: admin

  • কোন ভি’টামিনের অভাবে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে, জেনে নিন

    কোন ভি’টামিনের অভাবে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে, জেনে নিন

    তীব্র গরম অথবা বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। সাধারণত ঘামের মাধ্যমে শরীরে জমা টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। কিন্তু ঘাম বের হওয়ারও একটা মাত্রা থাকতে হয়। অকারণে অস্বাভাবিক হারে ঘাম হলে তা জটিল কোনো রোগের উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া হয়।

    শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘামঝরার পেছনে ভিটামিন ডি–এর ঘাটতি একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, বিশেষ করে মাথায় ঘাম বেশি হলে। তবে ভিটামিন ডি ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ হিসেবে নবজাতকদের ক্ষেত্রে মাথায় অতিরিক্ত ঘামকে ধরা হয়।

    এছাড়া, ভিটামিন বি–এর অভাব (বিশেষ করে বি১ বা থায়ামিন) থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, কারণ এটি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে। আবার
    ভয়, উদ্বেগ বা আতঙ্ক থেকেও অনেক সময়ে ঘাম হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলেই এই উপসর্গটি প্রকট হয়ে ওঠে।

    অতিরিক্ত ঘাম ছাড়া এই ভিটামনের অভাবে আর কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?

    হাড়ের ক্ষয়

    হাড় মজবুত ও শক্তিশালী রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যার জোগান দেয় ভিটামিন ডি। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ভিতর থেকে ক্ষয়ে যেতে থাকে।

    অত্যধিক ক্লান্তি

    শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে ঘটলে সব সময়ে একটা ক্লান্তি ঘিরে থাকে। অতি অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।

    ওজন বৃদ্ধি

    হু হু করে ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ কিন্তু হতে পারে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। শরীরে পরিমাণ মতো ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটলে বাড়তে পারে ওজন।

    চুল পড়া

    মূলত পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেই চুল পড়ে। কিন্তু চুল পড়ার আরও একটি কারণ হলো ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। ভিটামিন ডি চুল ভালো রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে। ফলে শরীরে ভিটামিন ডি যদি কোনো কারণে কমে যায়, তার একটি লক্ষণ হতে পারে চুল ঝরা।

    ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া

    ভিটামিন ডি শরীরের যেকোনো ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনো ক্ষতস্থান না শুকোয়, তা হলে ধরে নেওয়া যেতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

    তবে ভিটামিনের ঘাটতি ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে নানা কারণে—যেমন হরমোনজনিত সমস্যা, ইনফেকশন, মানসিক চাপ বা হাইপারহাইড্রোসিস।

  • উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ শিগগিরই শুরু, জানা গেল কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী কত টাকা পাবে!

    উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ শিগগিরই শুরু, জানা গেল কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী কত টাকা পাবে!

    সরকারি উপবৃত্তির অর্থ খুব শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ শুরু হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো – কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী উপবৃত্তি বাবদ কত টাকা করে পাবে।

    স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি):
    ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি:
    মাসিক উপবৃত্তির হার ২০০ টাকা।
    👉 ছয় মাসে ১২০০ টাকা,
    👉 বারো মাসে ২৪০০ টাকা।

    অষ্টম শ্রেণি:
    মাসিক ২৫০ টাকা।
    👉 বারো মাসে মোট ৩০০০ টাকা।

    নবম ও দশম শ্রেণি:
    মাসিক ৩০০ টাকা।
    👉 বারো মাসে ৩৬০০ টাকা।
    এছাড়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ, পরীক্ষার ফি ও বই ক্রয়ের খরচ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ পায়। যারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তারাও ফরম পূরণের টাকা ফেরত পেয়ে থাকে।

    কলেজ/আলিম পর্যায় (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি):
    একাদশ শ্রেণি (বিজ্ঞান বিভাগ):
    মাসিক উপবৃত্তি ৪০০ টাকা।
    👉 বারো মাসে মোট ৪৮০০ টাকা,
    👉 বই ক্রয় বাবদ অতিরিক্ত ১৫০০ টাকা।
    ➤ সর্বমোট: ৬৩০০ টাকা।

    একাদশ শ্রেণি (মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ):
    উপবৃত্তির হার একই – ৪০০ টাকা করে।
    👉 বারো মাসে মোট ৪৮০০ টাকা,
    👉 বই ক্রয়ের জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সহায়তা পাওয়া যায়।
    ➤ সর্বমোট: প্রায় ৫৮০০ টাকা।

    দ্বাদশ শ্রেণি শিক্ষার্থীরাও একাদশ শ্রেণির অনুরূপ সুবিধা পায়। তবে মাঝে মাঝে এই টাকা দুটি কিস্তিতে – যেমন ২৪০০ টাকা ও ৩৯০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
    উপবৃত্তি বছরে দুইবার কিস্তিতে প্রদান করা হয়ে থাকে, ছয় মাস পর পর।

    যেসব শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করে, তারা মৃত্যু, পড়ালেখা বন্ধ করা (Break of Study) অথবা নির্ধারিত নিয়ম ভঙ্গ না করলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তি পেয়ে থাকে।

    এই অর্থ বিতরণ সংক্রান্ত আপডেট ICT কর্নার, শিক্ষা বিষয়ক ফেসবুক গ্রুপ ও সরকারি মাধ্যম থেকে পাওয়া যাচ্ছে।

    শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—এ বিষয়ে সচেতন থাকতে ও সময়মতো তথ্য যাচাই করে উপবৃত্তির অর্থ সংগ্রহ করতে।

  • খালেদা জিয়া ও ফখরুলের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

    খালেদা জিয়া ও ফখরুলের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

    ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে দেশের রাজনীতি অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছিল। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে তা অনেকটা কেটে গেছে। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা আসে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে নির্বাচন হতে পারে।

    এরপরই রাজনীতি নির্বাচনমুখী হয়ে উঠে। আর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে ভোটের রাজনীতি। দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো।

    ২০১৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কুমিল্লা-২ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ আসনে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ আসনে ড. আব্দুল মঈন খান, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভোলা-৩ আসনে মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ দলের হেভিওয়েটরা প্রার্থী হয়েছিলেন। আর খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসনসহ তিন থেকে ৫ টি আসনে বরাবরই প্রার্থী হয়ে থাকেন। জামায়াত ওইসব আসনগুলোতেও দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

    ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। বছরের পর বছর ধরে জোটসঙ্গী হিসেবে তারা একসঙ্গে হেঁটেছে। আসছে নির্বাচনকে সামনে রেখে দুদলের ভোটের কৌশল কী হবে সেটি এখনও ঠিক হয়নি।

    বিএনপির নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার চেষ্টায় থাকা জামায়াত ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে আগস্টের পর থেকেই। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় ধরেই সব আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা।

    এরই অংশ হিসাবে অন্তত ২৯৬ আসনে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করেছে দলটি। ধাপে ধাপে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    ২০১৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কুমিল্লা-২ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ আসনে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ আসনে ড. আব্দুল মঈন খান, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভোলা-৩ আসনে মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ দলের হেভিওয়েটরা প্রার্থী হয়েছিলেন। আর খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসনসহ তিন থেকে ৫ টি আসনে বরাবরই প্রার্থী হয়ে থাকেন। জামায়াত ওইসব আসনগুলোতেও দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

    জানা গেছে, জামায়াত ফেনী-১ আসনে এসএম কামাল উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা-৩ আসনে অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম, নরসিংদী-২ আসনে আমজাদ হোসাইন, কুমিল্লা-২ আসনে নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে ঢাকা- ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণার নাম বাদ রেখেছে।

    আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। নিজ নিজ এলাকায় নানা কৌশলে গণসংযোগ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতারা। বিভিন্ন ইস্যুতে করছেন সভা-সমাবেশও। ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে কী কী উদ্যোগ নেবে সেটিও জানান দিচ্ছেন নেতারা। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে দল ও দলটির নেতাকর্মীদের ওপর নানা দমন-পীড়নের বিষয়টিও জনগণের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামি দলগুলো নিয়ে জোট গঠনেরও প্রস্তুতি আছে জামায়াতের। সেক্ষেত্রে জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিও হতে পারে। দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

    এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকায় ২৯৬ জনের নাম যুগান্তরের হাতে এসেছে। ৪টি নির্বাচনি আসনে এখনো সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা করা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-২, মানিকগঞ্জ-২, ঢাকা-৯ ও কুমিল্লা-৭। তালিকায় এও দেখা গেছে, এক মাসে আগের তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নামের পরিবর্তন এসেছে। দলটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সামনে আরও পরিবর্তন আসতে পারে।

    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে বলেন, আসন সংখ্যাটি আমরা এখনো অফিশিয়ালি ঠিক করিনি। এটা (সম্ভাব্য আসন সংখ্যা) প্রাথমিক ঘোষণা। নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা বিষয়ে সমঝোতার বিষয় আছে। তাই এখনই এটা আমরা বলতে চাচ্ছি না। বিভিন্ন জায়গায় যারা আছেন, তারা কাজ করছেন। আমাদের যে কোনো সিদ্ধান্ত, যে কোনো সময় আমাদের প্রার্থীরা মানবেন, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনি প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত নির্বাচনমুখী দল হিসাবে আমরা সব সময় প্রস্তুত। জাতীয় নির্বাচনসহ যে কোনো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আছে।

    সূত্র জানায়, জামায়াত এককভাবেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সে হিসাবে ৩০০ আসনেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। প্রাথমিকভাবে ২৯৬ জনের একটা তালিকা প্রস্তুত করেছে। কোনো কোনো আসনে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও রয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য তারা মাঠ প্রস্তুত করছেন। কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে। ’২৪-র গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেন। নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা উঠলে প্রস্তুতি শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ঈদুল আজহায় প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জানান, এপ্রিলের প্রথমার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে ঈদকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্নভাবে নির্বাচনি গণসংযোগ চালিয়েছেন। ঈদ শেষেও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এলাকায় নানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ততা পার করছেন।

    জামায়াতের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা অভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীর যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, সেটি পুরোপুরি চূড়ান্ত নয়। এই সময়ে মাঠের পরিস্থিতি ও অন্য দলের অবস্থান বুঝে আগস্ট-অক্টোবরের দিকে প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

    এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকায় ২৯৬ জনের নাম যুগান্তরের হাতে এসেছে। ৪টি নির্বাচনি আসনে এখনো সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা করা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-২, মানিকগঞ্জ-২, ঢাকা-৯ ও কুমিল্লা-৭। তালিকায় এও দেখা গেছে, এক মাসে আগের তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নামের পরিবর্তন এসেছে। দলটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সামনে আরও পরিবর্তন আসতে পারে।

    ২৯৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় যারা রয়েছেন, তারা হলেন-পঞ্চগড়-১ আসনে অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, পঞ্চগড়-২ আসনে মুহাম্মদ সফিউল্লাহ সুফি, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দেলাওয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মিজানুর রহমান। দিনাজপুর-১ আসনে মো. মতিউর রহমান, দিনাজপুর-২ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, দিনাজপুর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, দিনাজপুর-৪ আসনে মো. আফতাব উদ্দীন মোল্লা, দিনাজপুর-৫ আসনে মাওলানা আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর-৬ আসনে মো. আনোয়ারুল ইসলাম। নীলফামারী-১ আসনে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নীলফামারী-২ আসনে ড. খায়রুল আনাম, নীলফামারী-৩ আসনে ওবায়দুল্লাহ খান সালাফী, নীলফামারী-৪ আসনে হাফেজ আবদুল মোন্তাকিম। লালমনিরহাট-১ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, লালমনিরহাট-২ আসনে অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, লালমনিরহাট-৩ আসনে প্রভাষক হারুন অর রশিদ। রংপুর-১ আসনে অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, রংপুর-২ আসনে এটিএম আজহারুল ইসলাম, রংপুর-৩ আসনে অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল, রংপুর-৪ আসনে এটিএম আজম খান, রংপুর-৫ আসনে মো. গোলাম রব্বানী, রংপুর-৬ আসনে অধ্যাপক মাওলানা মো. নুরুল আমিন। কুড়িগ্রাম-১ আসনে অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-২ অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৩ ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী, কুড়িগ্রাম-৪ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।

    গাইবান্ধা-১ আসনে মো. মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুল করিম সরকার, গাইবান্ধা-৩ আসনে মাওলানা নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ আসনে ডা. আব্দুর রহিম সরকার, গাইবান্ধা-৫ আসনে আব্দুল ওয়ারেছ।

    জয়পুরহাট-১ আসনে ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, জয়পুরহাট-২ আসনে এসএম রাশেদুল আলম সবুজ। বগুড়া-১ আসনে অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, বগুড়া-২ আসনে মো. শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ আসনে নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ আসনে মো. দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ আসনে আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া-৭ আসনে গোলাম রব্বানী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ড. মো. কেরামত আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ড. মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নুরুল ইসলাম বুলবুল।

    নওগাঁ-১ আসনে অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক, নওগাঁ-২ আসনে এনামুল হক, নওগাঁ-৩ মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, নওগাঁ-৪ খন্দকার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব, নওগাঁ-৫ আ স ম সায়েম, নওগাঁ-৬ মোহাম্মদ খবিরুল ইসলাম। রাজশাহী-১ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ আসনে ডা. আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ আসনে নুরুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৬ অধ্যাপক মুহাম্মদ নাজমুল হক।

    নাটোর-১ আসনে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নাটোর-২ আসনে অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, নাটোর-৩ আসনে প্রফেসর সাইদুর রহমান, নাটোর-৪ আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিম। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা শাহীনুর আলম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে অধ্যক্ষ আলী আলম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

    পাবনা-১ আসনে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমিন, পাবনা-২ আসনে অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন, পাবনা-৩ আসনে মাওলানা আলী আজগর, পাবনা-৪ আসনে অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, পাবনা-৫ আসনে অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসেন। মেহেরপুর-১ আসনে মাওলানা তাজউদ্দিন খান, মেহেরপুর-২ আসনে মো. নাজমুল হুদা। কুষ্টিয়া-১ উপাধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া-২ আসনে মো. আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মুফতি আমির হামযা, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আফজাল হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মাসুদ পারভেজ রাসেল, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন। ঝিনাইদহ-১ আসনে এএসএম মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনে অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকর, ঝিনাইদহ-৩ আসনে অধ্যাপক মতিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ আসনে মাওলানা আবু তালেব। যশোর-১ আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ আসনে ডা. মুসলেহ উদ্দিন ফরিদ, যশোর-৩ আসনে আব্দুল কাদের, যশোর-৪ আসনে অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর-৫ আসনে গাজী এনামুল হক, যশোর-৬ আসনে অধ্যাপক মোক্তার আলী, মাগুরা-১ আসনে আব্দুল মতিন, মাগুরা-২ এএমবি বাকের। নড়াইল-১ আসনে মাওলানা ওবায়দুল্লাাহ কায়সার, নড়াইল-২ আসনে আতাউর রহমান বাচ্চু। বাগেরহাট-১ অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান, বাগেরহাট-২ শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ, বাগেরহাট-৩ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ সেখ, বাগেরহাট-৪ অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম।

    খুলনা-১ আসনে মাওলানা শেখ আবু ইউসুফ, খুলনা-২ অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা-৩ অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা-৪ অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল), খুলনা-৬ মো. আবুল কালাম আজাদ। সাতক্ষীরা-১ অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম।

    বরগুনা-১ মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন, বরগুনা-২ ডা. সুলতান আহম্মেদ, পটুয়াখালী-১ অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম।

    ভোলা-১ অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, ভোলা-২ মাওলানা ফজলুল করিম, ভোলা-৩ নিজামুল হক নাইম, ভোলা-৪ মাওলানা মোস্তফা কামাল।

    বরিশাল-১ মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২ মাস্টার আব্দুল মান্নান, বরিশাল-৩ জহিরউদ্দিন মুহাম্মাদ বাবর, বরিশাল-৪ মাওলানা আবদুল জব্বার, বরিশাল-৫ অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, বরিশাল-৬ মাওলানা মাহমুদুন্নবী, ঝালকাঠি-১ অধ্যাপক ডা. মাও. হেমায়েত উদ্দিন, ঝালকাঠি-২ শেখ নেয়ামুল করিম, পিরোজপুর-১ মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ শামীম সাঈদী, পিরোজপুর-৩ শরীফ আব্দুল জলিল। টাঙ্গাইল-১ মোন্তাজ আলী, টাঙ্গাইল-২ হুমায়ূন কবীর, টাঙ্গাইল-৩ হুসনে মোবারক বাবুল, টাঙ্গাইল-৪ প্রফেসর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৫ আহসান হাবীব মাসুদ, টাঙ্গাইল-৬ ডা. আব্দুল হামিদ, টাঙ্গাইল-৭ অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার, টাঙ্গাইল-৮ অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান। জামালপুর-১ নাজমুল হক সাঈদী, জামালপুর-২ ড. ছামিউল হক ফারুকী, জামালপুর-৩ মাওলানা মজিবুর রহমান আজাদী, জামালপুর-৪ অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, জামালপুর-৫ মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। শেরপুর-১ হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়, শেরপুর-৩ আসনে নুরুজ্জামান বাদল, ময়মনসিংহ-১ মাহফুজুর রহমান মুক্তা, ময়মনসিংহ-২ মাহবুব মণ্ডল, ময়মনসিংহ-৩ মাওলানা বদরুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ-৫ মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ কামরুল হাসান মিলন, ময়মনসিংহ-৭ আসাদুজ্জামান সোহেল, ময়মনসিংহ-৮ অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল হক, ময়মনসিংহ-৯ অ্যাডভোকেট আনোয়রুল ইসলাম চাঁন, ময়মনসিংহ-১০ ইসমাইল হোসেন সোহেল, ময়মনসিংহ-১১ সাইফ উল্লাহ পাঠান। নেত্রকোনা-১ অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম, নেত্রকোনা-২ অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক, নেত্রকোনা-৩ দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল, নেত্রকোনা-৪ অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, নেত্রকোনা-৫ অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা। কিশোরগঞ্জ-১ মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ শফিকুল ইসলাম মোড়ল, কিশোরগঞ্জ-৩ কর্নেল (অব.) জিহাদ খান, কিশোরগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ অধ্যাপক রমজান আলী, কিশোরগঞ্জ-৬ কবির হোসেন। মানিকগঞ্জ-১ ডা. আবু বকর সিদ্দিক, মানিকগঞ্জ-৩ অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন। মুন্সীগঞ্জ-১ একেএম ফখরুদ্দীন রাজী, মুন্সীগঞ্জ-২ অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম, মুন্সীগঞ্জ-৩ ডা. মুহাম্মদ সুজন শরীফ।

    ঢাকা-১ ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, ঢাকা-২ ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক হাসান, ঢাকা-৩ অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ঢাকা-৫ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ঢাকা-৬ ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৭ হাজি হাফেজ মো. এনায়েতুল্লাহ, ঢাকা-৮ ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১০ অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১১ অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা-১৩ ডা. মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন, ঢাকা-১৪ ব্যারিস্টার আরমান, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান (কেন্দ্রীয় আমির), ঢাকা-১৬ আব্দুল বাতেন, ঢাকা-১৭ ডা. এসএম খালিদুজ্জামান, ঢাকা-১৮ অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ঢাকা-১৯ আফজাল হোসাইন, ঢাকা-২০ মাওলানা আব্দুর রউফ।

    গাজীপুর-১ শাহ আলম বখশী, গাজীপুর-২ হোসেন আলী, গাজীপুর-৩ ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর-৪ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, গাজীপুর-৫ খায়রুল হাসান, নরসিংদী-১ ইব্রাহিম ভূঁইয়া, নরসিংদী-২ আমজাদ হোসাইন, নরসিংদী-৩ মোস্তাফিজুর রহমান, নরসিংদী-৪ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, নরসিংদী-৫ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম। নারায়ণগঞ্জ-১ আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-২ অধ্যাপক ইলিয়াস আলী মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-৩ অধ্যক্ষ ইকবাল হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ-৪ মাওলানা আব্দুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ-৫ মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ। রাজবাড়ী-১ অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, রাজবাড়ী-২ হারুন অর রশীদ, ফরিদপুর-১ ড. ইলিয়াছ মোল্লা, ফরিদপুর-২ মাওলানা সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর-৩ অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, ফরিদপুর-৪ মাওলানা সরোয়ার হোসেন, গোপালগঞ্জ-১ মাওলানা আব্দুল হামিদ, গোপালগঞ্জ-২ অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন, গোপালগঞ্জ-৩ অধ্যাপক রেজাউল করিম। মাদারীপুর-১ মাওলানা সারোয়ার হোসেন, মাদারীপুর-২ আব্দুস সোবাহান খান, মাদারীপুর-৩ মো. অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, শরীয়তপুর-১ ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ, শরীয়তপুর-২ অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল, শরীয়তপুর-৩ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম।

    সুনামগঞ্জ-১ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ অ্যাডভোকেট শিশির মনির, সুনামগঞ্জ-৩ অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান, সুনামগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট শামসউদ্দীন, সুনামগঞ্জ-৫ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী।

    সিলেট-১ মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট-২ অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সিলেট-৩ মাওলানা লোকমান আহমদ, সিলেট-৪ জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান, সিলেট-৬ মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

    মৌলভীবাজার-১ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, মৌলভীবাজার-৩ আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার-৪ অ্যাডভোকেট আবদুর রব। হবিগঞ্জ-১ মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান আজমী, হবিগঞ্জ-৩ কাজী মহসিন আহমেদ, হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মোখলেসুর রহমান।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মাওলানা মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ জুনায়েদ হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আতাউর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ দেওয়ান নকিবুল হুদা।

    কুমিল্লা-১ মনিরুজ্জামান বাহালুল, কুমিল্লা-২ নাজিম উদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ হাকিম সোহেল, কুমিল্লা-৪ সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা-৫ ড. মোবারক হোসাইন, কুমিল্লা-৬ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা-৮ অধ্যক্ষ শফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা-৯ সৈয়দ একেএম সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা-১০ মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

    চাঁদপুর-১ মাওলানা আবু নসর আশরাফী, চাঁদপুর-২ ডা. আবদুল মবিন, চাঁদপুর-৩ অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর-৪ মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজি, চাঁদপুর-৫ অধ্যাপক আবুল হোসাইন, ফেনী-১ এসএম কামাল উদ্দিন, ফেনী-২ অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ফেনী-৩ ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, নোয়াখালী-১ মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, নোয়াখালী-২ মাওলানা সাইয়েদ আহমেদ, নোয়াখালী-৩ বোরহান উদ্দিন, নোয়াখালী-৪ ইসহাক খন্দকার, নোয়াখালী-৫ বেলায়েত হোসাইন, নোয়াখালী-৬ অ্যাডভোকেট শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। লক্ষ্মীপুর-১ নাজমুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর-২ এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর-৪ আশরাফুর রহমান হাফিজউল্লা। চট্টগ্রাম-১ অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ আনোয়ার সিদ্দিকী চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ শাহজাহান মঞ্জু, চট্টগ্রাম-৭ অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ ডা. আবু নাসের, চট্টগ্রাম-৯ ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ মুহাম্মদ শফি, চট্টগ্রাম-১২ ইঞ্জি. লোকমান, চট্টগ্রাম-১৩ অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম-১৪ ডা. শাহাদাত হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। কক্সবাজার-১ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার-২ মাওলানা এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কক্সবাজার-৩ শহিদুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার-৪ নুর আহম্মেদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়ি- অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি- অ্যাডভোকেট মোক্তার আহমেদ, বান্দরবান- অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
    সূত্র: যুগান্তর

  • বিকাশ থেকে যেভাবে পাবেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ

    বিকাশ থেকে যেভাবে পাবেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ

    বিকাশ ব্যবহারকারীদের জন্য এসেছে বড় সুখবর। এখন থেকে এই মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল ঋণ নেওয়া যাবে, যা আগে ছিল ৩০ হাজার টাকা। বুধবার (১৮ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিকাশ।

    কে পাবেন এই ঋণ?
    গ্রাহকের লেনদেন ইতিহাস ও ক্রেডিট স্কোর বা ঋণমান যাচাইয়ের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ঋণসীমা নির্ধারণ করবে সিটি ব্যাংক। অর্থাৎ, যাঁরা নিয়মিত বিকাশ ব্যবহার করেন এবং আর্থিক আচরণ ইতিবাচক, তাঁরা সহজেই এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।

    কিভাবে পাবেন ঋণ?
    ঋণ নিতে হলে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ‘লোন’ আইকনে ট্যাপ করে কাঙ্ক্ষিত টাকার পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে। এরপর শর্তাবলি পড়ে সম্মতি দিয়ে বিকাশ পিন দিয়ে প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকাউন্টে জমা হবে টাকা। কোনো কাগজপত্র বা ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

    ঋণ পরিশোধের নিয়ম
    এই ডিজিটাল ঋণ পরিশোধ করতে হবে মাসিক কিস্তিতে, যার সর্বোচ্চ সময়সীমা ছয় মাস। নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকাশ হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে। চাইলে গ্রাহক সময় শেষ হওয়ার আগেই আংশিক বা পুরো ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। আগাম পরিশোধে কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেই, বরং শুধু ব্যবহৃত সময়ের জন্যই সুদ দিতে হবে।

    ডিজিটাল ঋণের সাফল্য
    ২০২১ সালে সিটি ব্যাংক ও বিকাশের যৌথ উদ্যোগে চালু হওয়া এই ডিজিটাল ন্যানো ঋণসেবা ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ গ্রাহক ৫৫ লাখ বারের বেশি ঋণ নিয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা।

    যারা এখনো পাননি, কী করবেন?
    যারা এখনো এই সেবার আওতায় আসেননি, তাঁরা নিয়মিত বিকাশে অ্যাড মানি, সেভিংস, বিল পেমেন্ট ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে ঋণ গ্রহণযোগ্য হতে পারেন।

    বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশের ফিনটেক খাতের বিকাশ ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের সরকারি ছুটি আসছে

    ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের সরকারি ছুটি আসছে

    আগামী ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা আসছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বৈঠক শেষে সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী সাংবাদিকদের জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা করা হবে। এটা এই বছর থেকে প্রতিবছর পালিত হবে।

    ফারুকী আরও জানান, আজকের বৈঠক জুলাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কি কি কাজ করতে পারি তার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। ৫ আগস্টকে টার্গেট করে ১ জুলাই থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। মূল ইভেন্ট শুরু হবে জুলাইয়ে ১৪ তারিখ থেকে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত । তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই যেভাবে সারা বাংলাদেশ এক হয়েছিল, তার অনুভূতিটাকে আবার ফিরিয়ে আনা। সেটা আমাদের মধ্যে আছে, তারপর পুনরুজ্জীবিত করা।

    জুলাইয়ে কি কি কর্মসূচি থাকবে তা আগামী সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ফারুকী।

  • ১৭ বার ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর-শ্যালক, নেপথ্যে যা জানা গেল

    ১৭ বার ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর-শ্যালক, নেপথ্যে যা জানা গেল

    পারিবারিক কলহের জেরে মো. হানিফ ও নুরজাহান আক্তার আঁখি দম্পতি আলাদা থাকতেন। কিন্তু তাদের একমাত্র সন্তানকে দেখতে বারবার শ্বশুরবাড়ি যেতেন হানিফ। তা মেনে নিতে পারেননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর জেরে তাকে খুন করা হয়। গত ১৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাঝের ঘোনা গলাচিপা কাঁচা রাস্তার মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে।

    বুধবার (১৮ জুন) বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের সামনে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় হানিফের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- হানিফের শ্বশুর খোরশেদ মোল্লা, শ্যালক আরিফ মোল্লা, তার বন্ধু দেলোয়ার হোসেন বাবু, হানিফের স্ত্রী নুরজাহার আক্তার আঁখি ও শাশুড়ি রহিমা বেগম।

    পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে হানিফ ও আঁখির বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে বাবার বাড়িতে চলে যান আঁখি। হানিফ বিভিন্ন সময় মেয়েকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে যেতেন। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নিতে পারতেন না। এর জেরে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদও হয়। তবুও হানিফ মেয়েকে দেখতে যাওয়া বন্ধ করেননি।

    হানিফের বাবা জামাল মিয়ার অভিযোগ, গত ১৫ জুন রাত তিনটার দিকে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান শ্বশুর খোরশেদ। সেখানে গেলে শ্বশুরসহ অন্য আসামিরা মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে। প্রাণ বাঁচাতে হানিফ পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।

    তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই কাজী আবিদ হোসেন জানান, ঘটনার দিন হানিফ নিজ থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ি টিলা এলাকায়। ভোর রাতে সেখানে গিয়ে ডাকাডাকি করায় শ্বশুর ছুরি নিয়ে বের হন। এ সময় তিনি মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন। একপর্যায়ে রেগে গিয়ে শ্বশুরকে ধাক্কা দেন হানিফ। এ সময় ছুরি বের করে হানিফকে ছুরিকাঘাত করেন খোরশেদ। হানিফ দৌড়ে পালানোর সময় তাকে ধাওয়া করে খোরশেদ, আরিফ ও বাবু ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে। বাসা থেকে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খোরশেদ, আরিফ ও বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে ১৭টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।

  • ইরানের পক্ষে সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো পারমাণবিক শক্তিধর দেশ

    ইরানের পক্ষে সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো পারমাণবিক শক্তিধর দেশ

    ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে কোনো পক্ষ নেবে না পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। দেশটির এই সংঘাতে জড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

    খাজা আসিফ বলেন, গত ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরুর পর ইসলামাবাদ ও তেহরানের মধ্যে নতুন কোনো সামরিক সহযোগিতা হয়নি। এ ছাড়া ইরান-ইসরায়েল চলমান সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তাদের কোনো আলাপ হয়নি।

    আসিফ জানান, ‘পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়মিতই চলে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়ে। তবে ইসরায়েলের হামলার পর নতুন করে কোনো যৌথ সামরিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়নি।’

    প্রতিবেশী ইরান যখন ইসরায়েলকে পাল্টা হামলায় জবাব দিচ্ছে, তখন এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন পুরো অঞ্চল। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সরাসরি সংঘাতে রূপ নিলে এই যুদ্ধ শুধু ইরান-ইসরায়েল সীমিত থাকবে না, বরং ছড়িয়ে পড়বে গোটা অঞ্চলে।

    খাজা আসিফ বলেন, সংঘাত শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আলোচনা না হলেও ‘আমরা সব সময়ই ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’ তার কথায়, ‘শান্তির পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। কীভাবে এই সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায় তা নিয়ে চীন, মুসলিম বিশ্ব এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি।’

    ইসরায়েলের হামলার পর পাকিস্তান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খাজা আসিফ সরাসরি কিছু বলেননি। তবে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কঠোরভাবে সুরক্ষিত। ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।’

  • ১৮ জেলায় ঝড় হতে পারে

    ১৮ জেলায় ঝড় হতে পারে

    ঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, বুধবার রাতে পাঁচদিন সারাদেশে টানা বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

  • সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

    সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

    সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতারা। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

    এদিকে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

    বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সমবেত হন তারা। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন৷

    আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির কো–চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির ও মো. নুরুল ইসলাম, কো–মহাসচিব নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।

    প্রসঙ্গত, ঈদের ছুটির পর সোমবার ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে—এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

    এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়।

    ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসাবে অবহিত করছেন।

  • শত্রুদের জন্য চীনের ভয়ংকর ‘পাখি ড্রোন’

    শত্রুদের জন্য চীনের ভয়ংকর ‘পাখি ড্রোন’

    অবাক মনে দেখছেন আকাশে উড়ছে এক ঝাঁক পাখি। হয়তো কাক বা মাছরাঙা। তবে ভালোভাবে দেখলেই বুঝবেন যে, এগুলো পাখির ঝাঁক না। এগুলো আসলে যন্ত্র। ডানা খুব নিখুঁতভাবে ঝাপটাচ্ছে তারা, চলাফেরায় অস্বাভাবিক রকমের শৃঙ্খলা, নেই কোনো কিচিরমিচির শব্দ।

    হুবহু পাখির মতো এগুলো আসলে ড্রোন। নীরবে করবে নজরদারি, আঘাত হানবে নিঃশব্দে। তবু টের পাবে না কেউ। ৯০ গ্রামের ম্যাগপাই ড্রোন থেকে শুরু করে বিশাল ঈগল আকৃতির সশস্ত্র ড্রোন- চীনে সবই তৈরি হয়েছে গোপনে যুদ্ধ চালানোর জন্য।

    প্রকৃতির অনুকরণে আধুনিক ড্রোন

    নজরদারির জন্য আগে যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হতো, তা শব্দ করে উড়ত। তবে এখনকার পাখি-আকৃতির এ নতুন ড্রোনগুলো যেন একেবারে প্রকৃতিরই অংশ। এগুলো ডানা মেলে উড়ে, ঘুরে বেড়ায় আবার বিশ্রাম নিতেও বসে কোথাও। সবই জীবন্ত পাখির মতো।

    এ ড্রোনগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে বিভিন্ন পাখির আকৃতিতে। যেমন- ম্যাগপাই, গাংচিল, বাজপাখি ইত্যাদি। শহরে ছোট পাখির মতো আর প্রাকৃতিক এলাকায় বড় পাখির মতো ব্যবহার করা হয় এসব ড্রোনকে।

    ডানাগুলো পাখির পাখার মতো ঝাপটালেও এতে তেমন শব্দ হয় না। রাডারও বুঝতে পারে না এটা ড্রোন। এগুলোর শরীর হালকা রাবারের মতো পদার্থে দিয়ে তৈরি, তাই নমনীয় হলেও মজবুত। ছোট ম্যাগপাই ড্রোনগুলোতে আছে ক্যামেরা। ঈগল-আকৃতির ড্রোন দুই মিটার পর্যন্ত ডানা মেলে উড়তে পারে এবং বোমাও বহন করতে পারে।

    যুদ্ধক্ষেত্রে পাখি ড্রোনের বিস্তার

    এ প্রযুক্তি আবিষ্কারের প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলো শুধু নজরদারির কাজে ব্যবহার হতো। তবে এখন এগুলো শত্রুদের আক্রমণের কাজেও ব্যবহার করা হয়। ছোট ম্যাগপাই ড্রোনগুলো শহরের ভেতরে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে বেড়ায়। একাধিক ড্রোন একসঙ্গে কাজ করায় শত্রুদের নজরদারিতেও পড়ে না।

    অন্যদিকে বড় ঈগল-আকৃতির ড্রোনগুলো ৪০ মিনিট পর্যন্ত টানা উড়তে পারে, যেতে পারে ৮ কিলোমিটার দূর। এগুলোতে ছোট মিসাইলও বসানো যায়। এ ছাড়া আছে হামিংবার্ড নামের ড্রোন, যার ওজন ১০ কেজি এবং এটি ৭ কেজি ওজনের বিস্ফোরক নিয়ে আক্রমণ করতে পারে সহজেই। যে কোনো সৈনিক এ ড্রোন নিজে বহন করতে পারে এবং নিজেই ব্যবহার করতে পারে।

    ড্রোনের ফলে পাল্টাচ্ছে যুদ্ধের ধরন

    এখন আর শুধু যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার নয়, ছোট-বড় পাখির মতো ড্রোন দিয়েও নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হচ্ছে আকাশের। একসঙ্গে অনেক ড্রোন ছেড়ে একযোগে নজরদারি, লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিতকরণ এবং আক্রমণ চালানোও সম্ভব হচ্ছে।

    এ পদ্ধতিতে শত্রু বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণ করে ফেলা যায় সহজেই। ম্যাগপাই ড্রোনগুলো একত্রে উড়ে শহরের অলিগলি পর্যবেক্ষণ করে বেড়ায়। এমনকি শত্রুর রাডারকেও করে বিভ্রান্ত। বড় ড্রোনগুলোও একইভাবে ব্যবহার করা যায় প্রয়োজনমতো। ফলে ছোট এ সেনাদলগুলো নিজেরাই আকাশে আক্রমণ চালাতে পারে উচ্চ কমান্ডের সাহায্য ছাড়াই, নিজে নিজেই।

    এ প্রযুক্তি বিশেষ করে কাজে লাগে সেসব এলাকায়, যেখানে জিপিএস সিগন্যাল বন্ধ থাকে বা যুদ্ধবিমান পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়। এগুলো আধা-স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, তাই সিগন্যাল না থাকলেও চলতে পারে।

    প্রতিরোধ আর নৈতিকতার প্রশ্ন

    চীন শুধু ড্রোন বানাচ্ছে না; বরং এগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাও তৈরি করছে। কে-২৫ নামের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা ছোট ড্রোন চিনে ফেলতে পারে এবং ২০০ মিটার দূর থেকে তা লক্ষ্য করে গুলি করতে পারে। এতে ৯০ শতাংশ সফলতার হারও দেখা গেছে।

    তবে ড্রোনগুলো দেখতে পাখির মতো হওয়ায়, এগুলোকে শনাক্ত করা কঠিন। রাডার, ক্যামেরা, এমনকি তাপমাত্রা শনাক্ত করতে পারা যন্ত্রও এগুলো নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারে। এতে নিরাপত্তা ও নৈতিকতার প্রশ্ন আসে সহজেই। সাধারণ মানুষ জানে না বা বুঝতেও পারেন না, তারা কখন-কোথা থেকে নজরদারিতে আছে। একটি পাখি যে আসলে ড্রোন হতে পারে- এই ভাবনাই সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে যথেষ্ট।

    আন্তর্জাতিক আইন এখনো এমন প্রযুক্তির জন্য তৈরি নয়। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে এগুলো ছড়িয়ে পড়লে বিপদ আরও বাড়তে পারে। এক সময় হয়তো অন্য দেশ বা সন্ত্রাসীরা এমন ড্রোন বানিয়ে ভুল কাজেও ব্যবহার করতে পারে। এ প্রযুক্তিগুলোকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনা গেলে এ ধরনের বিপদ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    এমন বাস্তবতায় মানুষের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে যেসব দেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বেশি, সেখানে এ প্রযুক্তি দিয়ে মানুষকে আরও বেশি আতঙ্কিত করা সম্ভব।

    এটা শুধু প্রযুক্তির প্রশ্ন না, এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। ড্রোন যদি প্রকৃতির সঙ্গে মিলে যায়, তবে যুদ্ধও আর যুদ্ধের মতো দেখা যায় না। আর তাই এটি নিয়ে সবার আলোচনা ও চিন্তা করা জরুরি।

    পাখির মতো দেখতে ড্রোন শুধু প্রযুক্তির উন্নয়ন না, বরং এটা একটি নতুন যুগের সূচনা। যেখানে যুদ্ধ আর খোলা আকাশে নয়, আকাশে থাকা নিরীহ পাখি থেকেও আসতে পারে বিপদ।