Author: admin

  • ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, রহস্য কী

    ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, রহস্য কী

    বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থেকে ৬০ ঘণ্টা ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে ইরান। ইন্টারনেট সংযোগ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস এ তথ্য জানিয়েছে।

    নেটব্লকস মনিটর অনুসারে, ইরান দীর্ঘ গত ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থেকে বিচ্ছিন্ন।

    ইন্টারনেট বন্ধের ফলে জনসাধারণের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ, অবাধ যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা সতর্কতা অনুসরণ করার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে সীমিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মনিটরটি।

    ইরান সরকারের আরোপিত অবরোধের ফলে এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারের মতে, ইসরায়েলি সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    নেটব্লকসের গবেষণা পরিচালক ইসিক মাতের বিবিসিকে বলেন, ‘২০১৯ সালের নভেম্বরের পর ইরানে আমরা এই প্রথম এমন প্রায় পূর্ণ সংযোগ বিচ্ছিন্নতা দেখতে পাচ্ছি। এমনকি ২০২২ সালের মাহসা আমিনির প্রতিবাদের সময়েও এতটা সীমাবদ্ধতা ছিল না।’

    বিবিসি ইরানে মুক্তভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং সাধারণ নাগরিকদের অনলাইনে তথ্য শেয়ার করতে না পারা, পরিস্থিতি বুঝে ওঠা ও যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত।

    তবে ইসিক মাতের আরও বলেছেন, ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ইরান সাধারণত অভ্যন্তরীণ কোনো ইস্যুতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংঘাতের সময় তারা সাধারণত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা করে। এবারকার পরিস্থিতি সেই ধারার বাইরে।

    এদিকে নেটব্লকস সংস্থাটি এক্স মাধ্যমে এক পোস্টে ইরানে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন থেকে ইরানের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পাল্টাপাল্টি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

    সূত্র: আলজাজিরা

  • ‘এক কলেই থামবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ’

    ‘এক কলেই থামবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ’

    ইরানের সঙ্গে কূটনীতি সহজেই আবার শুরু করা যেতে পারে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল সরকারকে তেহরানে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানি শুক্রবার (২০ জুন) সিএনএনকে এই কথা বলেছেন।

    মাজিদ বলেন, ইরান বেসামরিক সংলাপে বিশ্বাস করে, সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হোক তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইরানের এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলিদের শুধু একটি কল দেওয়ার মাধ্যমেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন।

    ইরানে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে আলোচনা নিয়ে তেহরানের অবস্থান পাল্টাবে না বলে জানান মাজিদ। তিনি বলেছেন, ইরান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হবে না। তবে ছাড় দেওয়া সম্ভব বলে জানান মাজিদ।

    ইতোমধ্যে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে কি না, এই বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    এই প্রসঙ্গে মাজিদ বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশ নেয়, তাহলে অনেক অপশন আছে এবং সব বিকল্পই টেবিলে রাখা আছে।

    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জেনেভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ইউরোপীয় দেশগুলো (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) তাকে কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরুর ব্যাপারে।

    আরাগচি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে আমরা কোনও কূটনৈতিক আলোচনা করব না।’

    তিনি দাবি করে বলেন, ‘ইরানের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং আত্মরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ। আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না।’

    এদিকে গতকাল শুক্রবার তেহরানের রাস্তায় সরকারপন্থী বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওপর ক্ষুব্ধ।

    সিএনএনের একটি টিম জানিয়েছে, তারা এই বিক্ষোভ দেখেছেন। বিক্ষোভকারী ইরান, হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের পতাকা নাড়িয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। সেই সঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছেন।

    এক নারী সিএনএনকে বলেন, ‘ট্রাম্প, আপনি আমার নেতাকে হুমকি দিচ্ছেন, আপনি কি জানেন না আমার জাতি বিশ্বাস করে যে মৃত্যু মধুর চেয়েও মিষ্টি?’

  • বাড়ছে করোনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা জানা গেল

    বাড়ছে করোনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা জানা গেল

    দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে, বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

    শুক্রবার (২০ জুন) গণমাধ্যমে তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছি। সে অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিভাবকদেরও অনুরোধ করব, তারা যেন তাদের সন্তানদের সে অনুযায়ী প্রস্তুত করেন।

    আরও পড়ুনঃ ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চলছে
    ড. খান মইনুদ্দিন আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতেতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। আগামী রোববার (২২ জুন) থেকেই বিদ্যালয় খুলছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাগুলো সবাইকে মানতে হবে।

    এদিকে, করোনা রোধে গত ১৫ জুন একটি নির্দেশনা জারি করে মাউশি। এতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং করোনা প্রতিরোধে পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মাউশি জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ নির্দেশনার আলোকে দেশের স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে দেশব্যাপী বিশেষ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আলোচনা সভা, র‍্যালি, দেয়াল পত্রিকা, পোস্টার তৈরি, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। ‘ডেঙ্গু সচেতনতা: ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

    এছাড়া, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় নিচের পাঁচটি নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে —

    ১. সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

    ২. জনবহুল স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করতে হবে।

    ৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং অন্যদের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।

    ৪. চোখ, নাক ও মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

    ৫. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে টিস্যু, রুমাল বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করতে হবে।

  • ৭৬ বছর আগে যে পথে এসেছিল সেই পথেই পালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি ইহুদিরা!

    ৭৬ বছর আগে যে পথে এসেছিল সেই পথেই পালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি ইহুদিরা!

    ইতিহাস নিজেকে নিজেই পুনরাবৃত্তি করে’ কার্ল মার্ক্স এর এই বিখ্যাত উক্তির মতই দশা এখন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েলের ইহুদিদের। ১৯৪৮ সালে ঠিক যেভাবে ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করেছিলো দখলদাররা ঠিক সেই পথেই এবার পালাতে বাধ্য হচ্ছে ওরা। ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে এখন জাহাজে আর নৌকাতে করেই পালানোর পথ বেছে নিয়েছেন দখলদার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশের সাধারণ নাগরিকরা।

    ইতিমধ্যে দেশটির আশদোড ও হাইফা থেকে বিলাসবহুল ক্রুজ শিপে করে চোরের মত লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি ইহুদিরা। তাদের লক্ষ্য সাইপ্রাসে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া। দ্বীপ রাষ্ট্রটির দূরত্ব মাত্র ২৭০ কিমি হওয়ায় এটাকেই নিরাপদ মনে করছেন ইহুদিরা। শুধু বিলাসবহুল জাহাজই নয় বরং ছোট ছোট নৌকা নিয়েও পালিয়ে যাচ্ছেন ইসরায়েলিরা।

    আরও পড়ুনঃ ইরান-ইসরায়েল সংঘাত চতুর্থ দিনে, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি
    ইতিহাস বলে প্রতি ৮০ বছর পরপর ধ্বংস হয়ে যায় ইহুদিদের সম্রাজ্য। এর আগেও চারবার এমন নজির রয়েছে। পঞ্চম দফায় এসে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের পর ইতমধ্যে ৭৬ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছে ইহুদিরা। ত্ইা বেলা ফুরানোর আর বেশি বাকি নেই এমনটিও মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা।

    এদিকে ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রীতিমতো বিধ্বস্ত ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি ইহুদির মৃুত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর আহতের সংখ্য দুই হাজার ছাড়িয়েছে বলেও বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে এখন পর্যন্ত ইরানের হামলায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে আর আহত দশ হাজারের বেশি।

    আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলে আরও ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান
    দখলদার ইসরায়েল এত কিছুর পরও থামছে না কোনভাবেই, ফিলিস্তিনের অসহায় মুসলমানদের ওপর এখনও আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ওরা। গত ২৪ ঘন্টায় ৯২ জন নিরীহ নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কাপুরুষের মত হত্যা করেছে কট্টর ইহুদিবাদী নেতানিয়াহুর সেনারা।

    নির্লজ্জ বেহায়া মানুষরূপী পশু নেতানিয়াহুর শিক্ষা আরও কবে হবে? ইসরায়েলের বাড়াবড়ি তাদের আজ করুণ পরিণতি ডেকে এনেছে। দিন-দুপুরে জাহাজে আর নৌকাতে করেই পালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি ইহুদিরা। ওদেরও সময় ফুরিয়ে এসেছে, ওরাও হারিয়ে যাবে অচিরেই এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।

  • ইরানে হামলার জন্য পাকিস্তানে মার্কিন ঘাঁটি স্থাপন প্রসঙ্গে যা বলছে ইসলামাবাদ

    ইরানে হামলার জন্য পাকিস্তানে মার্কিন ঘাঁটি স্থাপন প্রসঙ্গে যা বলছে ইসলামাবাদ

    ইরানে হামলার জন্য সম্প্রতি পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো খবরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। দেশটির একাধিক সরকারি সূত্র এই খবরকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যায় দিয়েছে।

    ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা বলেন, ‘এই ধরনের গুজব ভারতীয় মিডিয়ার দীর্ঘদিনের অপপ্রচারের অংশ। আগে জাফর এক্সপ্রেস হামলা, পাহেলগাম ইস্যু এবং সীমান্ত সংঘাতগুলো নিয়েও এরকম ভুয়া প্রচার চালানো হয়েছে।’

    এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সদ্য সমাপ্ত হোয়াইট হাউস বৈঠকের বিষয়বস্তু আড়াল করাই মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    আরও পড়ুনঃ ১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
    ট্রাম্প ওই বৈঠকে জানান, তিনি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিস্থিতি এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে মুনিরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্ভাব্য যুদ্ধ ‘বন্ধ করার জন্য’ মুনির ও মোদিকে সমানভাবে প্রশংসা করেন তিনি।

    একইসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আমি যুদ্ধ থামিয়েছি। পাকিস্তানকে ভালোবাসি। মোদিকেও দারুণ মানুষ বলে মনে করি। তাকে গতরাতে ফোন দিয়েছি। আমরা বাণিজ্য চুক্তি করব। তবে যুদ্ধ বন্ধ করেছি—এটাই বড় অর্জন।’

    আরও পড়ুনঃ অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর দিল ভারত
    পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, বৈঠকে ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা আরও জানায়, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এবং মুনির সংঘাত নিরসনের পক্ষে অবস্থান জানান।

    উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায়, পাকিস্তানের দূতাবাসের একটি অংশ সেখানে ইরানের স্বার্থ রক্ষা করে। এই বাস্তবতায় পাকিস্তান বর্তমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ হয়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ চলমান সংঘাতে কার ক্ষেপণাস্ত্র বেশি বিধ্বংসী, কারা সর্বোচ্চটাই ব্যবহার করছে
    সার্বিকভাবে, ইসলামাবাদ বারবার বলেছে—তারা কোনো সামরিক ঘাঁটি দিচ্ছে না এবং এই ধরনের ‘ভারতীয় মিথ্যাচার’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তারা জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ধরনের ভুয়া প্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

  • রাশিয়ার হামলায় মার্কিন নাগরিকসহ নিহত বেড়ে ২৮

    রাশিয়ার হামলায় মার্কিন নাগরিকসহ নিহত বেড়ে ২৮

    রাশিয়ার এ হামলায় ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে। গেল মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে রাশিয়া ওই হামলা চালায়।

    মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেন, কিয়েভে রাশিয়ার হামলার সময় আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকরা যে বাড়িতে ছিলেন, তার বিপরীতে একটি বাড়িতে ৬২ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিক রুশ বিমান হামলায় নিহত হন।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, কিয়েভে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে চার শতাধিক ড্রোন ও অন্তত ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র।

    আরও পড়ুনঃ যে কারণে জামায়াত আমিরকে ফোন করেন প্রধান উপদেষ্টা,
    তবে মস্কো বলছে, হামলার লক্ষ্য ছিল সামরিক কারখানা। স্থল অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রাম দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।

    এদিকে কিয়েভকে জার্মানির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, এতে জার্মানি হবে সরাসরি যুদ্ধপক্ষ।

    অন্যদিকে, ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেনস্কি।

  • মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, নেপথ্যে কী?

    মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, নেপথ্যে কী?

    মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সামরিক সদস্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ জুন) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এক প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেন।

    তিনি জানান, ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স ক্রাইসিস রেসপন্স টিম ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ) সদস্য ও বিমান মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে ‘অপারেশন বিচ ২০২৫’-এর আওতায়। তবে এদের কোনো যুদ্ধ মিশনে নয়, কেবল নাগরিকদের সহায়তা দিতেই পাঠানো হচ্ছে।’

    আরও পড়ুনঃ যে পরামর্শ দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের
    তিনি বলেন, ‘আকাশপথ এখনও বন্ধ। আমরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন খোলা হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তার ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে, তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কোনো সামরিক সহযোগিতার অনুরোধ আসেনি।

    তিনি আরও জানান, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হোক।’

    আরও পড়ুনঃ অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর দিল ভারত
    এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইরানকে অবশ্যই আলোচনায় আসতে হবে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে।’

    এই ঘোষণার আগেই অস্ট্রেলিয়া তেহরানে তাদের দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেখানে অবস্থানরত সব অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে।

    পেনি ওয়াং বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেওয়া হয়নি। এটি ইরানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণেই নেওয়া হয়েছে। আমরা কনস্যুলার কর্মীদের আজারবাইজানে স্থানান্তর করছি, যারা সীমান্ত এলাকায় অস্ট্রেলিয়ানদের সহায়তা করবে।’

    আরও পড়ুনঃ ইরান কীভাবে বিশ্বের সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভাঙতে সক্ষম হচ্ছে
    অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের সকল নাগরিককে দ্রুত ইরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং যারা বের হতে পারছে না, তাদের নিরাপদে আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

    অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত অবশ্য এখনও ওই অঞ্চলে অবস্থান করবেন বলে জানানো হয়েছে।

  • গাজায় ত্রাণের লাইনে গুলি, প্রাণ গেল ২২ ফিলিস্তিনির

    গাজায় ত্রাণের লাইনে গুলি, প্রাণ গেল ২২ ফিলিস্তিনির

    ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় আরও ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-আওয়দা হাসপাতালের একটি সূত্রের বরাতে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা দেইর আল-বালাহর নেটসারিম করিডোর এলাকায় ত্রাণ সহায়তা নিতে যাওয়া সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
    এদিকে ইরানে হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় নেবেন বলে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলের কমান্ড সেন্টার-গোয়েন্দা দপ্তরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত
    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

    লেভিট জানান, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হবে কি না- এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে নিকট ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে আবার নাও হতে পারে। এই ভিত্তিতে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবো, আমি যাবো (যুদ্ধে জড়ানো) কি না।

    আরও পড়ুনঃ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের সোরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত
    এর আগে, মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১৮ জুন) তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোপনে ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন, তবে এখনও চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করেননি। এমনটিই জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা।

    এদিকে ইসরাইল জানিয়েছে, এই সংঘাত শুরুর পর দেশটিতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সর্বশেষ গত ১৫ জুন জানায়, ইরানে নিহতের সংখ্যা ২২৪ জন।

    আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লিকে সংলাপের প্রস্তাব দিলেন শেহবাজ
    তবে ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা ৬৩৯ জন।

    বৃহস্পতিবারও ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাতভর হামলায় আরাকের একটি ‘নিষ্ক্রিয় পারমাণবিক চুল্লি’ ও আবারও নাতানজের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

  • আমরা ইরানকে কখনও ছেড়ে যাব না, ঘোষণা পুতিনের

    আমরা ইরানকে কখনও ছেড়ে যাব না, ঘোষণা পুতিনের

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, আমরা কখনও ইরানকে ছেড়ে যাব না। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    পুতিন বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞরা বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনায় কাজ করছেন, সংখ্যায় প্রায় ২৫০ জন। অন্যান্য ব্যবসায়ী ও প্রকৌশলী মিলিয়ে এই সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমরা কখনও ইরানকে ছেড়ে যাব না।

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে (এসপিআইইএফ) এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানকে রাশিয়ার সমর্থনের বিষয়ে এ মন্তব্য করেন। তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।

    আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলের কমান্ড সেন্টার-গোয়েন্দা দপ্তরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত
    এদিকে ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো। তাই আমরা ইরানকে একটি প্রস্তাব দিয়েছি। যদি ইরান চায়, তাহলে রাশিয়া ইরানের পরমাণু প্রকল্পের কাজ নিজের তত্ত্বাবধানে চালাতে পারে। ইরানের ইউরেনিয়াম যাতে শুধু শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়, সে বিষয়েও রাশিয়া নজর রাখতে চায়। তবে এ সব কিছু হবে যদি ইরান রাজি হয়।

    তিনি আরও জানান, ইরানের বুশেহার শহরে দুটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি হচ্ছে। এ কাজের দায়িত্বে আছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গেওে ফোনে কথা বলেছেন পুতিন। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, বুশেহারের ওই এলাকা তারা আক্রমণ করবে না।

    আরও পড়ুনঃ ইরান-ইসরায়েলে ‘যুদ্ধবিরতি না, আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে’: ট্রাম্প
    রাশিয়া কি ইরানকে অস্ত্র দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, জানুয়ারিতে রাশিয়া ও ইরান একটি চুক্তি করেছে। তবে সেই চুক্তিতে অস্ত্র দেওয়ার কথা নেই। তাছাড়া ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র চায়নি।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের নিরাপত্তা আর ইসরায়েলের উদ্বেগ, দুটি বিষয়ই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরান যাতে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারে আর ইসরায়েল যেন তাতে ভীত না হয়- এ দুই বিষয় একসঙ্গে সমাধান করা সম্ভব।

    আরও পড়ুনঃ ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ‍স্পষ্ট করলো ওমান
    পুতিন ইরানে সরকার পরিবর্তনের বিষয়ে বলেন, ইরানে জটিল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে— আমরা সে বিষয়ে সচেতন। কিন্তু এর মাঝেও জনগণ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ঘিরে একত্রিত হয়েছে। তিনি এও বলেন, আলোচনার পথ খোলা রাখা উচিত এবং দু’পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করেই সমাধান খুঁজতে হবে।

    ইসরায়েল যদি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করে তবে কী হবে— এই প্রশ্নে পুতিন কৌশলী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি শুধু শুনছি, কিন্তু এই বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে চাই না।

  • সুন্দরী বলে অনেক সময় সিএনজিতেই কাজ সারে খদ্দের

    সুন্দরী বলে অনেক সময় সিএনজিতেই কাজ সারে খদ্দের

    রাজধা’নীর অন্যতম ব্যস্ত’তম এলাকার মধ্যে ফা’র্মগেট অন্ন’তম। দিনের বেলায় মানুষের পদ’চারণায় মুখরিত থাকে এ এলাকা তাই দেখে হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যায় না।কিন্তু রাতের নিরবতা যত বাড়ে, ততই এই এলাকায় আনাগোনা বাড়ে দেহ ব্যব’সায়ীদের।খ’দ্দেরের খোঁ’জে বো’রকা পড়ে অ’পেক্ষা করতে দে’খা যায় তাদের রাস্তার ধারে।
    গত শনিবার এবং রবিবার মধ্যরাতে সরেজমিনে ফা’র্মগেটে গিয়ে দেখা যায়, খ’দ্দেরের খোঁ’জে বোরকা পড়ে এখানে-সেখানে অ’পেক্ষা করছেন প’তিতারা।তাদের পাশেই সারি-সারি সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে। খ’দ্দের এসে প্রথমে দামা’দামি করে। এরপর চূ’ড়ান্ত হলে নিয়ে যায় সিএনজি করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ মানুষকেও বির’ক্ত করে। নিবি,লাগবে বলে বিভিন্ন ইশা’রা দেয় তারা।

    এতে অনেক পথচারীও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।সোহেল হাসান নামের একজন পথচারী বলেন, ওরা সুযোগ বুঝে ইশারা দেয়, নানান রকম অ’শ্লীল কথাও বলে।
    সাংবা’দিক পরিচয় গো’পন রেখে কথা হয় নিতু নামের একপতি’তার সঙ্গে। সদ্য এ পথে পা বাড়িয়েছে বলে দাবি তার।

    কি’শো’রগঞ্জ জে’লার ভৈরবেবাড়ি বলে জানান নিতু।তিনি বলেন, আমি যে এ পেশায় আছি তা আমা’র পরিবারের কেউই জানে না। টাকার অভাবেই এ পেশাই আসছি। এত পেশা থাকতে এ পেশায়আসলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তরই দেননি তিনি। নিতু জানায়,আধাঘন্টার জন্য নিয়ে গেলে ৫০০ টাকা আর পুরো রাতের জন্য নিয়ে গেলে ১ হাজার

    টাকা নেই। আমি রাতেই ফা’র্মগেটে আসি। হোটেলে বা খ’দ্দেরের বাসায় যেয়ে কাজকরি। তার দাবি, খ’দ্দের অনেকসময় ৫০০ টাকার কথা বলে নিয়ে যায় কাজ শেষে ২০০ বা৩০০ টাকা দেয়। প্রতিবাদ করলেও লাভ হয়না। আবার

    মাঝেমধ্যে অনেকে আরও কমটাকাও দেয়। নিতুর সাথে কথা বলে সামনে এগুতেই দেখা যায়, আরও চার প’তিতা এক’সঙ্গেই বসে আছেন। বিভিন্ন সিএনজি তাদের সামনেই থামে, মাঝে-মধ্যে সিএনজি চালকদের সাথেও খোশগল্পে মাতে তারা। জানা যায়, ফার্মগেটে সাধারণত প’তিতারা বিকেল থেকে সন্ধ্যা বা রাতেই
    আসে। কেউ কেউ আবার মধ্যরাতেও বের হয়। সকালহলেই ফেরে ঘরে।শাহীন নামের একজন ভ্যনচালক বলেন, আমি এই জায়গাতে ভ্যানচালাই গত চার বছর ধরে। এদেরকে (পতিতা) প্রতি রাতেই দেখি। ভোরে আবার চলে যায়তারা।তিনি বলেন, এদের সিএনজি চালকও ঠিক করা থাকে। খ’দ্দের ঠিক হলেই সিএনজি করেচলে যায়। অনেকসময় সিএনজিতেই তারা এ কাজ করে।

    নাম প্রকাশ্যে অ’নিচ্ছুক আরেক ভ্যা’নচালক বলেন, এদের মধ্যে কিছু প্র’তারকও থাকে। তারা সিএনজিতে নিয়ে খ’দ্দেরকে প্র’তারণা করে, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। মান-সম্মানের ভ’য়ে অনেকেই তা প্রকাশ করে না।এ
    বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও থা’নার ওসি বলেন, আমাদের কাছে এরকম (ছিনতাই) অ’ভিযোগ আসেনি। অ’ভিযোগ পেলে আম’রা ব্যবস্থা নেব। প’তিতাদের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে অনেক অ’ভিযান চালানো হয়েছিল, এরপর আর তাদের দেখা যা’য়নি। মধ্যখানে তারা আ’বার হয়তো এসেছে, আজ রাতেই আ’বার অ’ভিযান চা’লাবো।