Author: admin

  • মহিলা দলের নেত্রী লেডি ডন লাইজুর ক্ষমতার কাছে অসহায় জনগন

    মহিলা দলের নেত্রী লেডি ডন লাইজুর ক্ষমতার কাছে অসহায় জনগন

    বিডিগ্রামের অঘোষিত লেডি ডন। কেউ কেউ তাকে হাইব্রিড নেত্রী নামেও চেনেন। কাউকে পরোয়া করেন না তিনি। রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি।

    বিএনপির মহিলা দলের নেত্রী লাইজুন্নাহার লুচি সাধারণ সম্পাদক, মহিলা দল,২নং পঞ্চকরণ ইউনিয়নের লেডি ডন! নিজ প্রয়োজনে কেটে ফেলেন রাস্তার সরকারি গাছ। এবার তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পেয়েছন এলাকাবাসী। অনেকে বলেন দলের প্রভাব খাটিয়ে লুচি রাস্তার সরকারি গাছ কেটে ফেলেন। এলাকাবাসী বাধা দিলে তিনি মামলার ভয় দেখান এবং বলেন আমি সরকারি গাছ কেটে ফেলেছি তাতে আপনাদের কি। পারলে আমাকে আটকে দেখান। এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলে

    আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. শাহীন কবির। তিনি বলেন, সরকারি গাছ কর্তনকারীরা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে দেশের প্রচলিত আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।

  • ভিডিও বার্তায় প্রেমিকাকে যা বললেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক

    ভিডিও বার্তায় প্রেমিকাকে যা বললেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক

    ‘লিজা, অনেক প্রত্যাশা ছিল আজকে তোমার সাথে আমার দেখা হবে। অনেক স্বপ্ন ছিল। আমি কথা কখনোই গুছিয়ে বলতে পারি না। কিন্তু অন্তর্যামী জানে, তোমাকে আমি ভালোবেসেছি।

    সেটা ভন্ডামি ছিল? নাকি ছলনা ছিল? না কোনো লোভে গিয়েছি, না তোমার শরীরের লোভে গিয়েছি। আমি জানি না তোমার কত টাকা পয়সা আছে, না তোমার টাকা পয়সার লোভে গিয়েছি; না তোমার স্বামীর টাকা পয়সার লোভে গিয়েছে। একমাত্র আল্লাহই জানেন। যাই হোক কারো জানাই আমার কাছে মুখ্য ছিল না।

    কিন্তু তোমার মতে, আমি স্বার্থবাজ, লোভী, চরম অসৎ, ভণ্ড ও প্রতারক একজন। তুমি সেরকম সার্টিফিকেট আমাকে দিয়েছ।’

    শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন তার প্রেমিকার উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেছেন।

    তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘এগুলোর প্রতিবাদ কী করা যায়? যেখানে বিশ্বাস নেই।

    যেখানে তার প্রেমিক সম্পর্কে প্রেমিকার এই ধরনের ধারণা এই ধরনের মানসিকতা। সেখানে প্রতিবাদ করতে গেলে আরো বেশি হেনস্থার শিকার হব। আমি আরো বেশি অপমানিত হব। আমার তো আসলে কিছুই নেই। না আছে এখন টাকা, না আছে ক্ষমতা, না আছে সে তারণ্য।

    কিছুই নেই। আর তোমার অফুরন্ত যৌবন, তোমার অনেক রূপ। অনেক টাকা পয়সা তোমার যেমন আছে তোমার মা-বাবারও আছে; তোমার স্বামীর আছে; তোমার আত্মীয়-স্বজনের আছে। তোমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী অনেক বন্ধু। যারা তোমার সকল সমস্যা দূর করতে চায়। যারা শারীরিক চাহিদাসহ সকল চাহিদা মেটানোর জন্য প্রস্তুত। চাইলে যেদিকে হাত বাড়াবে তুমি অগণিত পুরুষ পাবে। তুমি চাইলে নেশা করতে পারো, চাইলে সিগারেট খেতে পারো, চাইলে ড্রাগস নিতে পারো। যেগুলো আমরা খুবই অপছন্দের ছিল। আমার বারণ বা নিষেদ সত্ত্বেও তুমি সেগুলো করেছ সেখান থেকে বোঝা যায়। আমার ব্যাপারে কতটা ক্যায়েরিং তুমি? অ্যানিওয়ে এ সব কথা আর বলব না। তুমি যেহেতু আমাকে ছেড়ে দিয়েছ। নতুন পুরুষ পেয়েছ, আমি জানি না সে কতটা কোয়ালিফাইড। হ্যাঁ, পৃথিবীর অধিকাংশ পুরুষ আমার চেয়ে কোয়ালিফাইড। এটা মানি।’

    ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন আরো বলেন, ‘তুমি কিসের টানে আমার কাছে থাকবে? ঠিকই আছে। তুমি আমাকে ছেড়ে দিয়েছ। খুব একটা ভুল করোনি। তুমি একটা কথা মনে রেখো, ওপরওয়ালা সাক্ষী, আমি তোমার সাথে কখনোই প্রতারণা করিনি কখনোই না। সময় চাওয়াটা যদি প্রতারণা হয়। তাহলে এর চাইতে বেশি দুঃখের আর কিছু থাকে না। আমি তোমার কখনোই কোনো ক্ষতি করব না। আমি বরং আমার নিজেকে তিলে তিলে শেষ করব। এখন থেকে সেটা শুরু হবে। আমিও দেখব কতটা অধঃপতন আমার হতে পারে। পৃথিবীর আর কেউ না জানলেও তুমি জেনে রেখো, আমি যা কিছু করছি সব তোমার জন্য। এই মুহূর্তে আমার কাছে হাতের কাছে খুব বেশি কিছু নেই। আমার প্রাথমিক সম্বল হচ্ছে আমার ঘুমের ওষুধ। বাংলাদেশের সব চাইতে পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধ। ছয়টা আছে এই মুহূর্তে। ছয় টা দিয়ে শুরু হবে। আমি আরো অর্ডার করছি চলে আসবে। যে দুর্বিষহ যন্ত্রণার তুমি আমাকে দিচ্ছ তোমার কথা এবং কাজ দ্বারা। সেটা আমি বুঝি এবং আল্লাহ জানেন। আমি তোমাকে কোনো ধরনের দোষ দিচ্ছি না। আমি মেনে নিয়েছি আমার মতো অযোগ্য, ভণ্ড, প্রতারক ও যোগ্যতাহীন একজন মানুষ কোন যোগ্যতায় তোমার কাছে থাকবে?’

    ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘তুমি যে লাথি মেরে বের করে দাওনি সেটাই অনেক কিছু। তুমি জেনে রেখো; আমি তোমাকে যতটা ভালোবেসেছি। আমি জানি না আর কোনো মানুষের পক্ষে আর কোনো পুরুষের পক্ষে এতটা গভীরে গিয়ে ভালোবাসা সম্ভব কি না। আমার বহিঃপ্রকাশ আমি ঘটাতে পারি না। সেটা বিভিন্ন বাস্তবতার কারণে। কিন্তু তোমার কাছে তার কোনো মূল্য নেই। তোমার কাছে সেটা নিছক ভণ্ডামি, নিছক প্রতারণা, নিছক ছলনা। আমার আজকে তোমার সাথে সময় দেওয়ার কথা ছিল আমি সেরকম প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়েছিলাম। এখন খালি বাসা। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কখন ফিরবো আমি বলেছি দেরি হবে। বাসায় এখন কেউ নেই। অনেকটা সময় আমি পাচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে আমার ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু।’

  • আগামী মাস থেকে ৩৩ লাখ শিশু পাবে দুপুরের খাবার

    আগামী মাস থেকে ৩৩ লাখ শিশু পাবে দুপুরের খাবার

    দেশের দরিদ্র এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা আগামী জুলাই মাস থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুপুরের খাবার পাবে। খাবার হিসেবে থাকছে দুধ, ডিম, পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানা মৌসুমি ফল। সরকারের নিজস্ব অর্থে ১৫০ উপজেলায় চালু হচ্ছে একটি প্রকল্প। আর বিশ্বব্যাংকের অর্থে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ১৫টি উপজেলায় শুরু হচ্ছে আরেকটি প্রকল্প।

    ৩৩ লাখের বেশি শিশু দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আসবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির’ জন্য দুই হাজার ১৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার।

    সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়ন হবে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। কার্যক্রমের শৃঙ্খলা রক্ষায় উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয়দের নিয়ে একটি কমিটি কাজ করবে।

    সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বাড়ানো, অপুষ্টির ঘাটতি কমানো এবং সফলভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হতে সহায়তার লক্ষ্যে প্রকল্পটি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের টার্গেট আগামী জুলাই মাস থেকে এটি শুরু করা। সেটা যদি কোনো কারণে সম্ভব না-ও হয়, তাহলে আগস্ট থেকে শুরু করব। এরই মধ্যে সরকারের রাজস্ব ফান্ড ও বিশ্বব্যাংকের ফান্ডে পরিচালিত দুটি প্রকল্পের জন্য পিডি নিয়োগ হয়েছে।

    দুটি প্রকল্পই একসঙ্গে শুরু হবে। শিশুরা সপ্তাহের পাঁচ দিন দুপুরের খাবার পাবে। ’
    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকারের রাজস্ব তহবিলে পরিচালিত কর্মসূচিটি ৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলবে। এসব উপজেলার মধ্যে ৯১ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩৫ উপজেলা অতি উচ্চ এবং উচ্চ দারিদ্র্যপ্রবণ। বাকি ১৪টি অর্থাৎ ৯ শতাংশ উপজেলা নিম্ন দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা।

    গত বছর প্রকাশিত খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতিবেদনের ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিশু এ প্রকল্পের আওতায় আসবে।
    অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থে পরিচালিত প্রকল্পে কক্সবাজারের ৫৬৯ এবং বান্দরবানের ৪৩৬টি মোট এক হাজার ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই লাখ ১১ হাজার শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর বিস্কুট, কলা, বান, ডিম, দুধ পাবে। কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত মায়ানমারের শিশুরাও সুবিধা পাবে।

    সূত্র জানায়, কোন দিন শিশুরা কী খাবার পাবে, তা এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবারে একটি ডিম এবং ১২০ গ্রামের একটি বান থাকবে। এ ছাড়া প্রতি সোমবার ২০০ এমএল ইউএইচটি দুধ ও একটি ১২০ গ্রামের বান পাবে, প্রতি বুধবার ৭৫ গ্রাম বিস্কুট ও ১০০ গ্রাম সাইজের একটি কলা অথবা মৌসুমি ফল পাবে শিশুরা। প্রস্তাবিত সাপ্তাহিক খাদ্য তালিকায় এনার্জি ২৫.৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ৩২.২ শতাংশ, প্রোটিন ১৬.৪ শতাংশ এবং ফ্যাট ২১.৭ শতাংশ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    অধিদপ্তর বলছে, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করা, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার বাড়ানো, পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখাসহ সার্বিকভাবে শিক্ষার মানের উন্নয়ন হবে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

    সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম, বান ও কলা লাগবে। এগুলো কিন্তু আমাদের প্র্যাকটিক্যালি নিড। আর্থিক কারণে অনেকে তার নিড পূরণ করতে পারে না। তাই স্কুল ফিডিং প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, ‘শিশু দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকবে, তারা দুপুরে কিছু খাবে, তার ক্ষুধা দূর হবে। আমাদের অন্য অনেক মাত্রা রয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা হলো আমাদের শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে। এ প্রজেক্টে হেলথের কম্পোনেন্ট রয়েছে। শিশুরা যে অপুষ্টিতে ভোগে, সেটার কিছুটা রেমিডি হলো আমাদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম। ’

    স্কুল মিল কর্মসূচির গুরুত্ব ও ফলাফল বিবেচনায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ২০০১ সালে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হয়। ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। ওই বছর থেকে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং নামে আলাদা একটি কর্মসূচি চালু হয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়। তখন শিশুদের শুধু উচ্চমানসম্পন্ন বিস্কুট দেওয়া হতো।

    সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, রহস্য কী

    ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, রহস্য কী

    নেটব্লকস মনিটর অনুসারে, ইরান দীর্ঘ গত ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থেকে বিচ্ছিন্ন।

    ইন্টারনেট বন্ধের ফলে জনসাধারণের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ, অবাধ যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা সতর্কতা অনুসরণ করার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে সীমিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মনিটরটি।

    ইরান সরকারের আরোপিত অবরোধের ফলে এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারের মতে, ইসরায়েলি সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    নেটব্লকসের গবেষণা পরিচালক ইসিক মাতের বিবিসিকে বলেন, ‘২০১৯ সালের নভেম্বরের পর ইরানে আমরা এই প্রথম এমন প্রায় পূর্ণ সংযোগ বিচ্ছিন্নতা দেখতে পাচ্ছি। এমনকি ২০২২ সালের মাহসা আমিনির প্রতিবাদের সময়েও এতটা সীমাবদ্ধতা ছিল না।’

    বিবিসি ইরানে মুক্তভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং সাধারণ নাগরিকদের অনলাইনে তথ্য শেয়ার করতে না পারা, পরিস্থিতি বুঝে ওঠা ও যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত।

    তবে ইসিক মাতের আরও বলেছেন, ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ইরান সাধারণত অভ্যন্তরীণ কোনো ইস্যুতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংঘাতের সময় তারা সাধারণত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা করে। এবারকার পরিস্থিতি সেই ধারার বাইরে।

    এদিকে নেটব্লকস সংস্থাটি এক্স মাধ্যমে এক পোস্টে ইরানে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন থেকে ইরানের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পাল্টাপাল্টি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

    সূত্র: আলজাজিরা

  • রাতে ভিডিও দিও শর্ট ড্রেসে, ছাত্রী-শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস

    রাতে ভিডিও দিও শর্ট ড্রেসে, ছাত্রী-শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস

    দিনের পর দিন ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব! এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভারতের অশোকনগরের শিক্ষকের ফোনালাপের অডিও রেকর্ডিং ফাঁস হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব সব মহল। যদিও এ বিষয়ে এখনো অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সৌমেন মিত্র। অশোকনগরের একটি বহু পুরনো স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক তিনি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিতেন সৌমেন। তার চরিত্র নিয়ে গুঞ্জন বহুদিনের। এসবের মাঝেই গত বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর একটি কল রেকর্ডিং।

    (কল রেকডিং যাচাই করা হয়নি)। সেখানে লাগাতার ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে শোনা যায় সৌমেনকে। কখনো কেমন পোশাকে ছবি পাঠাতে হবে তা বলেছেন। কল রেকর্ডিংয়ে কখনো বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ভিডিও পছন্দ।

    যখনই বলেছি তখনই তো তোমার বোঝা উচিত যে ভিডিও পাঠাতে হবে। রাতে ভালো ভালো ভিডিও দিও, শর্ট ড্রেসে। পুরো সামুদ্রিক ভিডিও।’

    গণমাধ্যমটি আরো জানায়, এসবেই থামেননি ওই শিক্ষক। ভিডিও কলে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রীর সম্পর্কে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্যও করেন তিনি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে ওই শিক্ষকের অডিও। কমেন্ট বক্সে নিন্দার ঝড় বইছে। শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি অনেকেই দাবি করেছেন, ওই শিক্ষক আগেও এ ধরনের আচরণ করেছেন। প্রতিবাদ করলে নানা রকম হুমকিও দিয়েছেন।

    সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • নারীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল

    নারীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল

    শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এমন ভিডিওকে ‘আপত্তিকর’ দাবি করে তার শাস্তিও দাবি করেছেন অনেকে।

    আজ শুক্রবার সকাল থেকে ভিডিওটি টেলিগ্রাম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করছেন, ওই নারী জেলা প্রশাসকের স্ত্রী হতে পারেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভাইরাল ওই নারী জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের স্ত্রী নন।

    প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে প্রথমে এ বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ওই নারীর একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘শরিয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন।

    একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির ওনাকে (ওই নারীকে) বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।

    এখন বিয়ে না করে হুমকি দিচ্ছেন। ওনার কোলে তোলার গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া আছে।’
    এর পর থেকেই বিষয়টি সামনে আসে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। তবে ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে এবং ভিডিওতে থাকা নারীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মরত একজন নারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে কালার কণ্ঠকে বলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওটি আমরা দেখেছি। স্যারের মিসেসকে চিনি, ভিডিওতে থাকা ওই নারী স্যারের মিসেস নন।’

    এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হবে।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ভাড়া করা একটি গাড়িতে শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষে ডিসি স্যার বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন তিনি শরীয়তপুরে নেই। আর কোন তথ্য আমার জানা নেই।’

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা শুক্রবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভাইরাল ভিডিও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। একজন জেলা প্রশাসকের এমন ছবি-ভিডিও খুবই দুঃখজনক। ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

  • ৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

    ৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

    দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের নামে মামলা করবে বিএনপি।

    আগামীকাল রোববার (২২ জুন) সকালে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির তিন সদস্য উপস্থিত থাকবেন।

    শনিবার (২১ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি। সকাল ১০টা নির্বাচন কমিশন অফিসে কপি জমা দিয়ে তারপর শেরেবাংলা থানা মামলার আবেদন করা হবে।

    এর আগে সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    সূত্র: কালবেলা

  • ছোট কয়েকটি কৌশলে কমিয়ে নিন বিদ্যুৎ বিল

    ছোট কয়েকটি কৌশলে কমিয়ে নিন বিদ্যুৎ বিল

    দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। শীতের সময় বিলের পরিমাণ একটু কম হলেও বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়, তাহলে খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই এই বিল নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।

    বিদ্যুৎ খরচ কমাতে জেনে নিন কয়েকটি কৌশল—

    মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে। বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।

    যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। সেজন্য ঘরে জানালা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানালা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন।

    কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক। পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।

    অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকা সত্ত্বেও কিংবা বন্ধ করলেও বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। তাই ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ডিভাইস যখন অব্যবহৃত থাকে, তখন সেগুলোর প্লাগ খুলে রাখা উচিত।

    ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম। রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার ওপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।

    এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।

  • জানেন রড-সিমেন্টের দাম কমে কত হলো?

    জানেন রড-সিমেন্টের দাম কমে কত হলো?

    অবকাঠামো তথা নির্মাণ খাতের কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে রড–সিমেন্টসহ বিভিন্ন উপকরণের চাহিদা কমে গেছে। ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যের উৎপাদন ও দাম—দুটিই কমেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রডের দাম গত এক বছরে প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। ব্যবসায়ী ও উৎপাদকেরা বলছেন, নির্মাণ খাতের প্রধান উপকরণ রডের দাম গত বছর লাখ টাকা ছাড়িয়েছিল। এই বছরের আগস্টে সরকারের পটপরিবর্তনে পরপর অবকাঠামো খাতে ধীরগতি দেখা দেয়। তাতে কারখানার উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা। রডের মতো চাহিদা কমছে নির্মাণের আরেক বড় উপকরণ সিমেন্টের। তাতে অবশ্য সিমেন্টের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, রড ও সিমেন্ট এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে আর কমার সুযোগ নেই। কারণ, নতুন করে ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং বাড়তি সুদহারের কারণে উৎপাদন খরচ আরেক দফা বাড়বে। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের নির্মাণ খাতে গত কয়েক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মূলত সরকারি প্রকল্পের ওপর ভর করে। নির্মাণসামগ্রীর মোট চাহিদার অন্তত ৬০ শতাংশ বিক্রি হতো সরকারি খাতে। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। চলমান প্রকল্পগুলোতে স্থবিরতা শুরু হয়। এটিই চাহিদা কমার সবচেয়ে বড় কারণ।

    ইস্পাত খাতের শীর্ষ উদ্যোক্তারা অবশ্য বলছেন, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে এখন চাহিদা সামান্য বেড়েছে। মূলত ব্যক্তি খাতের উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর ভর করে এই চাহিদা বেড়েছে। তবে সব মিলিয়ে নির্মাণ খাতের জন্য এই মৌসুম ভালো যাচ্ছে না। জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) সভাপতি ও জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্মাণ উপকরণের চাহিদা সবচেয়ে বেশি কমেছে সরকারি ও আবাসন কোম্পানিগুলোর প্রকল্পে। ব্যক্তি খাতে চাহিদা সেভাবে প্রভাব পড়েনি। তবে বছরের শেষ দিকে এখন চাহিদা সামান্য বাড়লেও তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। রডের বাজারে বিএসআরএম, আবুল খায়ের, জিপিএইচ ও কেএসআরএম—এই চার কোম্পানির অংশীদারি সবচেয়ে বেশি। দেশের বাজারে চারটি কোম্পানির প্রতি টন রড বিক্রি হয় প্রায় ৮০ হাজার ৫০০ থেকে ৮৫ হাজার টাকায়। এক সপ্তাহে টনপ্রতি এক হাজার টাকা বেড়ে এই দরে উন্নীত হয়েছে। এটি অবশ্য গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর বাইরে ঢাকার আনোয়ার ইস্পাত, চট্টগ্রামের মোস্তফা হাকিম গ্রুপের এইচঅ্যান্ডএম স্টিল, গোল্ডেন ইস্পাতসহ বিভিন্ন কোম্পানির রডের দামও গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

    শীর্ষস্থানীয় রড উৎপাদনকারী কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে এখন উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে রড বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে চলেছে। যেমন ডলারের দর ১২২ টাকা থেকে বেড়ে ১২৬–১২৭ টাকায় উন্নীত হয়েছে। আবার সুদের হারও বেড়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় রডের দাম আর কমার সুযোগ নেই। চাহিদা কমায় রডের কাঁচামালের আমদানিতে প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করেছে। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে নির্মাণ মৌসুম শুরু হয়, যা চলে মার্চ–এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়কে বিবেচনায় রেখেই সাধারণত উদ্যোক্তারা কাঁচামাল আমদানি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু এবার নির্মাণ মৌসুম শুরু হওয়ার পর চাহিদা পতনের কারণে এখন আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমদানির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) রডের কাঁচামাল আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশ। এরপর প্রবৃদ্ধি কমে যায়।রডের মতো সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। গত অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি হয় প্রায় ৮১ লাখ টন। চলতি অর্থবছরে একই সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৪ লাখ টন। সে হিসাবে এক বছরে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ৯ শতাংশ। জানতে চাইলে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিরুল হক বলেন, ‘চাহিদা কমায় সিমেন্টের কাঁচামালের আমদানি কমছে। আমাদের ধারণা, সিমেন্টের চাহিদা কমার এই হার ১৫ শতাংশ হবে।’

  • ট্রাম্পের কূটনীতিতে ভারত কি বেকায়দায় ?

    ট্রাম্পের কূটনীতিতে ভারত কি বেকায়দায় ?

    এই প্রথমবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে মধ্যাহ্নভোজসহ তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলেন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়, বরং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তার ভরপুর প্রশংসাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনীতি কি ভারতকে বিপাকে ফেলেছে?

    সেই বৈঠকের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি খণ্ডন করে ট্রাম্প বলেছেন, আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি, মোদি দারুণ একজন মানুষ। গতরাতে আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। আমরা মোদি বা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি। এই মানুষটি (আসিম মুনির) সংঘাত থামানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তানের দিক থেকে খুবই প্রভাবশালী, মোদি এবং অন্যরা যেমন ছিলেন ভারতের দিক থেকে। দুই দেশই পরমাণু-শক্তিধর দেশ। আমিই তাদের থামিয়েছি। এর জন্য আমি কোনো গল্প বানাইনি।

    এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিস্রি দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পকে ফোনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, পাকিস্তানের তরফে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তারপর আলোচনা ও সংঘর্ষবিরতি হয়। ভারত পাকিস্তান ও কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা মানেনি, মানবেও না।

    প্রথমে ভারতের ওপর শুল্ক বসানো এবং শুল্ক কমানো নিয়ে ভারতের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করা, তারপর বারবার এই দাবি করা হয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তিনিই থামিয়েছেন এবং শেষে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ করে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। তারপর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, বন্ধু ট্রাম্পকে নিয়েও কি মনোভাব বদল করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি? ট্রাম্পের কূটনীতি কি ভারতকে বিপাকে ফেলেছে? ট্রাম্পের কূটনীতির মোকাবিলায় ভারতকেও কি কৌশল বদল করতে হবে?

    ট্রাম্প জানেন পাকিস্তানে সেনাপ্রধানই আসল

    ভারতের অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলে’কে বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানোটা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কাছে সবচেয়ে অপমানজনক। ট্রাম্প চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, ভারতের বস যেমন প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের বস তেমনি সেনাপ্রধান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেখানে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। সে জন্য ট্রাম্প মুনিরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ভারতে এত সোরগোলের কোনো প্রয়োজন নেই।

    সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল কতটা প্রভাব ফেলবে পাকিস্তানে?

    তিনি মনে করেন, ট্রাম্প-মুনির আলোচনায় ভারত নয়, গুরুত্ব পেয়েছে ইরান’ উৎপল ভট্টাচার্য বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরে পাঁচ হাজার সেনা ও ৬০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। তারা নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তারা দেখাচ্ছে, তাদের পিছনে সমর্থন আছে। পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশও তাদের সমর্থন করছে। আর এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অপরিসীম গুরুত্ব আছে।

    স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ ব্রক্ষ্ণ চেলানি ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেছেন, ট্রাম্পের বার্তা হলো তিনি নিজের মতো চলবেন। ভারতকে এখন তাদের কৌশল নিয়ে ভাবতে হবে। ট্রাম্প যা করছেন পাকিস্তান নিয়ে, সেটা জো বাইডেনও করেছেন। আইএমএফ থেকে পাকিস্তানকে ঋণ পাইয়ে দিয়েছেন, এফ ১৬ যুদ্ধবিমান দিয়েছেন। বাইডেন যেখানে ছেড়েছিলেন, সেখান থেকে ট্রাম্প ধরেছেন।

    উৎপল ভট্টাচার্য বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা বরাবর পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। এখন ট্রাম্পের মতো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টও তাদের সঙ্গে আছেন।

    ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে। রাশিয়া হলো ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু। ফলে ভারত নিজেদের স্বার্থ দেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ দেখবে। তবে ভারতকেও সেইমতো প্রস্তুত থাকতে হবে এবং বাস্তবতার কথা মাথায় রাখতে হবে।

    কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি জে টেলিস এনডিটিভিকে বলেছেন, আমার মতে মুনিরকে ডাকা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নিজের প্রশাসনে এনিয়ে মতৈক্য ছিল বলে মনে হয় না ট্রাম্প নিজেকে পিসমেকার বলে মনে করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ফিল্ড মার্শাল মুনিরের সঙ্গে লাঞ্চ সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে হবে।’

    অ্যাশলি মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথাতেও যুক্তি আছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই ব্যাক চ্যানেল ডিপ্লোমেসি করেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা ছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আমি মনে করি, ট্রাম্প অতিশয়োক্তি করেছেন। ট্রাম্পকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কিন্তু তিনি যা বলছেন, সেটাকেই হুবহু মানার দরকার নেই।

    ভারত কেন উদ্বিগ্ন হবে?

    উৎপল ভট্টাচার্যর মতে, ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রশ্ন হলো, ইরান নিয়ে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে কতটা সাহায্য করতে পারে? পাকিস্তানও তো একটা মুসলিম দেশ। তারা ইরান সীমান্ত সিল করে দিয়েছে, তার বেশি কিছু করতে পারে বলে মনে হয় না। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক কারণে বরাবরই ভালো সম্পর্ক ছিল, এখনো থাকবে। তাতে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না।

    তবে উৎপল ভট্টাচার্য় মনে করেন, ট্রাম্প বারবার বলছেন, তিনিই ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত মিটিয়েছেন। আর ভারতের তরফে অনেক দেরিতে তার জবাব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিস্রি। আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করব। কিন্তু গোটা বিশ্বের কাছে তো ট্রাম্পের বার্তাটাই অনেক আগে পৌঁছে গেছে। এটা ভেবে দেখা দরকার।

    তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে