Author: admin

  • পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে ইসরায়েল-ভারতের গোপন পরিকল্পনা,জানা গেল চাঞ্চল্ল্যকর তথ্য

    পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে ইসরায়েল-ভারতের গোপন পরিকল্পনা,জানা গেল চাঞ্চল্ল্যকর তথ্য

    পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের ইতিহাস শুধুই বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির কাহিনি নয়,এ এক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, আত্মত্যাগ ও জাতীয় সংকল্পের মিশ্রণ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ঘিরে নানা অজা তথ্য ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত।

    ঘটনার সূচনা ১৯৭৪ সালে, ভারত যখন “স্মাইলিং বুদ্ধা” নামে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায়। প্রতিবেশী দেশের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানকে ভাবিয়ে তোলে। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো স্পষ্ট ঘোষণা দেন, “দরকার হলে পাকিস্তানিরা ঘাস খাবে, তবুও পরমাণু বোমা বানাবে।” এখান থেকেই শুরু হয় ইসলামী পরমাণু অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে ‘ইসলামিক বোমা’ কর্মসূচি।

    পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আব্দুল কাদির খান ছিলেন এই কর্মসূচির মূল কারিগর। তিনি ১৯৭০ এর দশকে নেদারল্যান্ডসে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় সেখান থেকে গোপনে প্রযুক্তিগত নকশা সংগ্রহ করে দেশে ফেরেন। এরপর তিনি গোপনে শুরু করেন পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্প।

    পাকিস্তানের গোপন পারমাণবিক কর্মসূচির কথা ফাঁস হয় ১৯৭৯ সালে একটি ম্যাগাজিনে। এরপর ইসরাইল ব্যাপক উদ্বেগ জানায় এবং ডাচ সরকার আব্দুল কাদির খানের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। ডাচ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়।

    ১৯৮০ এর দশকে ইসরাইল ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের পরিকল্পনা করে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথমে সম্মতি দিলেও পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন। এছাড়া আব্দুল কাদির খানের ওপর হত্যা চেষ্টাসহ নানা হুমকি দেওয়া হয়, তবে সবকিছু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

    স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে আমেরিকা ও চীন গোপনে পাকিস্তানের এই কর্মসূচিতে সহায়তা করে। দীর্ঘ গোপন পরিশ্রম ও বৈশ্বিক বাধা পেরিয়ে অবশেষে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সফলভাবে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এর মাধ্যমে পাকিস্তান হয়ে ওঠে বিশ্বের সপ্তম ও মুসলিম বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।

    এই ইতিহাস প্রমাণ করে যে, সংকল্প, নেতৃত্ব ও বৈজ্ঞানিক মেধা মিললে আন্তর্জাতিক বাধাও জয় করা সম্ভব। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন তাই শুধুই একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি জাতীয় আত্মপরিচয় ও স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

  • ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিলেন যে বাঙালি পাইলট

    ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিলেন যে বাঙালি পাইলট

    ১৯৬৭ সালের ৫ জুন, ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধবিমান জর্দানের মাফরাক বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। এর আগে ইসরায়েল মিশরীয় বিমান বাহিনীকে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিল।

    এবার লক্ষ্য ছিল জর্দান।
    তবে ইসরায়েলি বাহিনী সফল হওয়ার আগেই তারা দুটি যুদ্ধবিমান হারায়।

    এর মধ্যে একটি ভূপাতিত করেন বাঙালি পাইলট সাইফুল আজম। সে সময় তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন এবং জর্দান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
    ঘটনার দিন সাইফুল আজম জর্দানের হান্টার যুদ্ধবিমান চালিয়ে ইসরায়েলি মিস্টেয়ার যুদ্ধবিমান ধাওয়া করেন। গুলি করে একটি বিমান ভূপাতিত করেন।

    এরপর আরেকটি ইসরায়েলি বিমান ধাওয়া করে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত করেন। জ্বালানি ও গোলাবারুদের স্বল্পতায় তিনি ফিরে আসেন মাফরাক ঘাঁটিতে।
    পরে ইরাকের আমন্ত্রণে তিনি সঙ্গীদের নিয়ে ইরাকের হাবানিয়া বিমানঘাঁটিতে যান। ৭ জুন ইরাকের এইচ-থ্রি বিমানঘাঁটির উপর ইসরায়েলি হামলার সময় সাইফুল আজমের নেতৃত্বে ইরাকি হান্টার বিমানগুলো প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সাইফুল আজম এ যুদ্ধে দুটি ইসরায়েলি মিরাজ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেন। তার সহযোদ্ধারা আরও দুটি ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করেন।

    এই সাহসিকতার জন্য জর্দান সরকার তাকে ‘উইসাম আল-ইসতিকলাল’, ইরাক ‘নুত আল-সুজাত’ এবং পাকিস্তান ‘সিতারা-ই-বাসালাত’ পদকে ভূষিত করে। এর আগে ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে ভারতীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করায় তিনি ‘সিতারা-ই-জুরাত’ পদক পেয়েছিলেন।

    ১৯৭২ সালে সাইফুল বাংলাদেশে এসে বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। ২০০১ সালে ‘লিভিং ঈগল’ হিসেবে তার নাম ইন্টারন্যাশনাল হল অব ফেমের অন্তর্ভুক্ত হয়।

    পাকিস্তান বিমান বাহিনী ম্যাগাজিনের ‘সেকেন্ড টু নান’-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এয়ার কমোডর মোহাম্মদ আলী লিখেছেন, ‘সাইফুল আজম চারটি দেশের (পাকিস্তান, জর্দান, ইরাক ও বাংলাদেশ) বিমান বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দুই দেশের (ভারত ও ইসরায়েল) বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছেন। ’

    অবসরের পর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পাবনা থেকে অংশ নিয়ে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার শহীদুল ইনাম খান তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, সাইফুল আজমের সাহসিকতা ইসরাইলেও প্রশংসিত হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে তার মৃত্যুর পর বিষয়, প্রধান সংবাদপত্রগুলো সাইফুল আজমের বিষয়ে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল।

    শহীদুল ইনাম খান লিখেছিলেন, ‘১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে যখন একটা ইসরায়েলি বিমানকে নিশানা করেছিলেন সাইফুল, তখন সরাসরি আক্রমণ করার বদলে পাশ থেকে নিশানা করেন এবং বিমানের লেজে গুলি করেন। ইসরায়েলি পাইলট প্রাণে বেঁচে যান। প্যারাসুটের সাহায্যে অবতরণ করেন তিনি। ’

    খান লিখেছেন, ‘পাইলট পরে জানান, তিনি যখন নিচে নামছিলেন, তখন সাইফুল রোল অ্যান্ড লুপ দিয়ে তার দিকে হাত নাড়েন এবং এরপর তিনি আরেকটি ইসরায়েলি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য ধেয়ে যান। সাইফুল না চাইলে ওই পাইলট বাঁচতেন না। ’

    জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ছয় দিনের যুদ্ধ শেষ হয়, কিন্তু ততদিনে ইসরাইল গোলান মালভূমি, গাজা, সিনাই উপদ্বীপ ও পশ্চিম তীর (পূর্ব জেরুজালেমসহ) দখল করে নেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র পুরোপুরি বদলে দেয়। তবে এই লড়াই সাইফুল আজমের কীর্তির জন্য আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

  • ফেসবুকে সব ভিডিওই হবে রিলস, আয় শুধুই রিলস থেকে

    ফেসবুকে সব ভিডিওই হবে রিলস, আয় শুধুই রিলস থেকে

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে যারা আয় করতেন, তাদের জন্য বড় ধাক্কা হতে যাচ্ছে মেটার নতুন সিদ্ধান্ত। এবার থেকে ফেসবুকে আর আলাদাভাবে ভিডিও পোস্ট করা যাবে না- সব ভিডিও-ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিলস’ হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে ফেসবুকের ভিডিও প্ল্যাটফর্মে আয়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মেটা

    সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে যে ভিডিওই আপলোড করবেন না কেন- তা ছোট হোক অথবা দীর্ঘই হোক, সেই সব ভিডিওই নিজে থেকে রিল হিসেবেই পোস্ট হবে। আগে ভিডিও ও রিলস ছিল আলাদা দুটি ফিচার। এবার থেকে ভিডিও ও রিলসের ব্যবধান মুছে যাচ্ছে।

    এতদিন ফেসবুকে ভিডিও এবং রিলের জন্য আলাদা আলাদা টুল ছিল। এখন একটি সিঙ্গেল সিম্পল ইন্টারফেসে সব কিছুকে নিয়ে আসতে চলেছে মেটা। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা সহজেই ভিডিও ক্রিয়েট, এডিট এবং শেয়ার করতে সক্ষম হবেন।

    এই নতুন আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক ক্রিয়েটিভ টুলও পাওয়া যাবে। যা ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। ভিডিওর কোনো ধরা বাধা সময়ও থাকবে না। যত বড় ইচ্ছা তত বড় ভিডিও আপলোড করতে পারবেন রিলসে।

    এক সময় রিলসের ক্ষেত্রে টাইম লিমিট ছিল ৬০ সেকেন্ড অথবা ৯০ সেকেন্ড। কিন্তু এখন এমন কোনো কিছুই আর থাকবে না। ব্যবহারকারী চাইলে ৩০ সেকেন্ডের শর্ট ক্লিপ অথবা একটি ১০ মিনিটের টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তবে সেই সবকিছুই রিলস হিসেবে আপলোড হবে।

  • ভাইরাল সেই ছবিগুলো কি অভিনেত্রী নিহার? যা জানা গেল

    ভাইরাল সেই ছবিগুলো কি অভিনেত্রী নিহার? যা জানা গেল

    জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা। অভিনয় ক্যারিয়ার বেশিদিনের নয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে যা অভিনেত্রীর বলে দাবি করা হচ্ছে।

    এতে করে অভিনেত্রীর ভক্ত অনুরাগীরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারে অনুসন্ধানে জানা গেল, প্রচারিত ছবিগুলো অভিনেত্রী নিহার নয়।

    রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক অভিনেত্রীর ছবি সংগ্রহ করে তাতে প্রযুক্তির সাহায্যে নাজনীন নাহার নিহার মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করে আলোচিত ছবিগুলো প্রচার করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘অঞ্জলি তাতরারি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২১ মে প্রকাশিত কিছু ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

  • অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!

    অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!

    গত বছরের ৫ আগস্ট একটি বড় রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে এবং তিনি ভারতে আশ্রয় নিলে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়ে।

    অবশ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ধীরে ধীরে দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা উন্নতির পথে যেতে শুরু করে। তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, বিশেষ করে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়ে গেছে।

    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সীমিত পরিসরে আবেদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়। ১৬ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শুধু জরুরি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসা দেওয়া হবে।

    পরবর্তীতে ভারতীয় হাই কমিশন জানায়, টুরিস্ট ভিসা বাদে অন্যান্য বিভাগে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে।

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে বলা হচ্ছে, আগামী মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবার চালু হতে যাচ্ছে। যদিও এই দাবির সঙ্গে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

    বিষয়টি যাচাই করতে চ্যানেল ২৪ অনলাইন ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কমিশনের ভিসা বিভাগ জানায়, টুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি। তবে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে সীমিতভাবে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।

    তারা আরও জানান, যেসব বাংলাদেশি ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে যেতে চান, তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে যাচাই-বাছাইয়ের পর ডাবল এন্ট্রি ভিসার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে।

    Share

  • ভারতের ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার, বড় নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ

    ভারতের ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার, বড় নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ

    ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর হয়ে কাজ করা ছয় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। সম্প্রতি অপারেশন ইয়ালঘর নামে একটি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে গুপ্তচর এজেন্টদের নেটওয়ার্কও উন্মোচন করা হয়।

    তদন্তে জানা গেছে, ‘র’-এর এজেন্টদের বড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। ছয়জন গ্রেপ্তার হওয়ায় নেটওয়ার্কটির পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়।

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওটিভি নিউজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জানায়, পাঞ্জাবের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) সম্প্রতি অভিযান সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে। প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সমন্বিতভাবে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

    লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জাবের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল (এআইজি) অপারেশনস শেহজাদা সুলতান বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসলাম এবং আকবর আলী নামে দুই সন্ত্রাসীকে বাহাওয়ালনগরে গ্রেপ্তার করে। তারা সরাসরি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) থেকে বিস্ফোরক সংগ্রহ করছিল। সিটিডির এসএসপি অপারেশনস ওয়াকার আজিম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

    পুলিশ আরও জানায়, সন্ত্রাসীরা ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। র-এর মেজর রবীন্দ্র রাঠোর এবং ইন্সপেক্টর সিং তাদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। সিটিডির এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে ভারতের ধ্বংসাত্মক কৌশল এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় নয়াদিল্লির জড়িত থাকার বিষয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে।

    গত ২০ বছর ধরে ভারত রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসবাদে জড়িত বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ডিজি আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী অভিযোগ করেন। গত মাসে বেলুচিস্তানের খুজদারে স্কুল বাসে বোমা হামলার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন শিশু নিহত হয়েছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতের মদদে হচ্ছে।

    সংবাদ সম্মেলনে সিটিডি কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা বাহাওয়ালপুরের একটি মসজিদ এবং রেলস্টেশনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে বিস্ফোরক, ডেটোনেটর, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), সেফটি ফিউজ এবং গোপনীয় মানচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হামলার নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

    এ ছাড়া, আরও তিন র এজেন্ট আজম ওরফে জাজি, মঞ্জুর ওরফে ক্বারী (উভয়ই বাহাওয়ালনগরের বাসিন্দা) এবং পাকপত্তনের বাসিন্দা আমজাদকে টোবা টেক সিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    এদিকে দুবাই থেকে এই কার্যকলাপের অর্থায়নে জড়িত বলে অভিযুক্ত জুলফিকারকে বাহাওয়ালপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    সিটিডি পাঞ্জাব সন্দেহভাজনদের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে অডিও কথোপকথনও উদ্ধার করেছে। এই রেকর্ডিংগুলোতে লক্ষ্যবস্তু হত্যা এবং সংবেদনশীল স্থানে হামলার বিষয়ে আলোচনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এআইজি সুলতান জোর দিয়ে বলেন, ভারত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।

  • ভিসাপ্রত্যাশীদের জরুরি নির্দেশনা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

    ভিসাপ্রত্যাশীদের জরুরি নির্দেশনা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

    যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির (এফ,এম, জে ভিসা) আবেদনকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা এফ, এম বা জে শ্রেণির নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদন করছেন, তাদের সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে- নিজেদের সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা সেটিং পাবলিক করে দিতে।

    এটি আবেদনকারীর পরিচয় ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভেটিং (যাচাই) প্রক্রিয়া সহজতর করতে সহায়তা করবে।
    এফ ভিসা

    এফ-১ ভিসা : এই ভিসাটি মূলত একাডেমিক অধ্যয়নের জন্য, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য।

    এফ-২ ভিসা: এফ-১ ভিসাধারীর স্বামী বা স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানেরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।

    এম-১ ভিসা : এই ভিসাটি অ-একাডেমিক বা বৃত্তিমূলক অধ্যয়নের জন্য, যেমন ভোকেশনাল বা টেকনিক্যাল স্কুল বা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য।

    এম-২ ভিসা: এম-১ ভিসাধারীর স্বামী বা স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানেরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।

  • ‘কোর্ট নাকি তার বউকে আরেকজনের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে’

    ‘কোর্ট নাকি তার বউকে আরেকজনের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে’

    ইডেন কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুবের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

    এই মামলার বাদীকে কারাগারে বসেই বিয়ে করার পাঁচ দিনের মাথায় জামিন পেলেন নোবেল। নোবেলের জামিনের পর গণমাধ্যমে তাদের আইনজীবীরা জানান, শিগগিরই তাদের সংসারে নতুন মেহমান আসতে যাচ্ছে।

    এদিকে, এর আগে নোবেল বিয়ে করেছিলেন সালসাবিল মাহমুদকে। অর্থাৎ নোবেলের প্রথম স্ত্রী তিনি। নোবেলকে নিয়ে এমন আলোচনার আবহে বুধবার সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন তিনি; সেখানে নোবেলকে ইঙ্গিত করে কথা বলা হয়েছে বলে অনুমান নেটিজেনদের।

    সেই পোস্টে সালসাবিল লেখেন, ‘এক ব্যাক্তি প্রবাসে গিয়েছিল বউকে বাংলাদেশে রেখে। কোর্ট নাকি নির্দেশ দিয়ে তার বউকে আরেকজনের জামাই এর সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে — খুবই হাস্যকর! গোপালগঞ্জের মানুষ বলে কথা!’

    উল্লেখ্য, নোবেলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। সে দিক থেকেই অনুমান, নোবেলকে নিয়েই পোস্টটি লিখেছেন সালসাবিল।

    এদিকে সদ্য এক গণমাধ্যমে সালসাবিল বলেছেন, তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। নোবেলের সঙ্গে এখনোও তার বিচ্ছেদ হয়নি।

  • হঠাৎ সবাই পানিতে হলুদ মেশাচ্ছে কেন, ব্যাপারটা আসলে কী?

    হঠাৎ সবাই পানিতে হলুদ মেশাচ্ছে কেন, ব্যাপারটা আসলে কী?

    ‘টিংকারবেল টারমারিক ট্রেন্ড’ বলতে যা বোঝানো হচ্ছে, সেটা মূলত একটা ভিজ্যুয়াল এফেক্ট ভিত্তিক টিকটক/রিল ট্রেন্ড। যেখানে: অন্ধকার ঘরে ফ্ল্যাশলাইট অন করে স্বচ্ছ গ্লাসে পানি নিয়ে গুঁড়া হলুদ ধীরে ধীরে মেশানো হয়। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজে শাহরুখ খানের গান ‘ম্যায় আগার কাহু’ সেই সাথে হলুদ ধীরে পানিতে ছড়িয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ে।

    ভাইরাল হওয়ার কারণ?
    দেখতে মনোমুগ্ধকর
    সহজে বানানো যায়
    আবেগী গান যুক্ত হওয়ায় নাটকীয়তা বাড়ে
    সবাই নিজের মতো ভিন্নভাবে করে মজা পাচ্ছে
    নির্দোষ, হাস্যকর কিংবা সৃজনশীল কন্টেন্ট তৈরি করা যায়

    মূল ভিডিও: ১৪ জুন মালয়েশীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর পুষ্পা গোমেন টিকটকে একটা ভিডিও ছাড়েন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় অন্ধকার ঘরে পুষ্পা গোমেন গ্লাসের পানিতে গুঁড়া হলুদ ঢালছেন। গ্লাসের নিচে জ্বলছে ফ্ল্যাশলাইট। পুষ্পার আশপাশে আরও কয়েকজন মালয়েশীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। পানিতে গুঁড়া হলুদ পড়তেই ছড়িয়ে পড়ছে হলুদ আভা, সঙ্গে সঙ্গে বাজতে লাগল ‘ম্যায় আগার কাহু’র সুর। আর তাতে বিস্মিত পুষ্পার সঙ্গীরা। ব্যস, সেই থেকে ভিডিওটি ভাইরাল। টিকটকে পুষ্পা গোমেনের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ভিডিওটির ভিউ সাড়ে তিন কোটি (২২ জুন রাত ১১টা পর্যন্ত)!

    বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া:
    টিকটকার, ইউটিউবাররা ব্যাপকভাবে অনুসরণ করছেন
    ‘আর্টফুল শতাব্দী’-র মতো টিকটকাররা টিউটরিয়াল দিচ্ছেন
    কিছু ট্রল ও হাস্যকর ভিডিও ছড়িয়েছে

    ভিডিও বানানোর প্রক্রিয়া: বাংলাদেশি টিকটকার ‘আর্টফুল শতাব্দী’ একটি ভিডিও টিউটরিয়াল বানিয়েছেন। তার এই টিউটরিয়ালটির ভিউও কম নয়—ছয় লাখের বেশি! টিউটরিয়ালে শতাব্দী দেখিয়েছেন, কীভাবে অন্ধকার ঘরে একটা স্বচ্ছ গ্লাস, পানি, মুঠোফোনের ফ্ল্যাশলাইট, গুঁড়া হলুদ এবং অবশ্যই ‘ম্যায় আগার কাহু’র সুর যোগ করে বানাতে হয় ট্রেন্ডিং ভিডিওটি।

    এটা নিছক ভিজ্যুয়াল প্লেজার ও বিনোদনমূলক ট্রেন্ড কোনো বিশেষ বার্তা বা গভীর অর্থ নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব কতটা বিস্তৃত, তার সুন্দর উদাহরণ এটি। টিকটকে তো বটেই, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও হাজারো মানুষ এ ধরনের ভিডিও আপলোড করছেন। ইউটিউবে ভ্লগাররা বানাচ্ছেন ট্রেন্ডটির প্রতিক্রিয়া, টিউটরিয়ালসহ নানান ধরনের ভিডিও। মালয়েশিয়া থেকে শুরু হয়ে ভিডিও ট্রেন্ডটি ভাইরাল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও।

  • চার ছাত্রীকে আটকে রেখে ধ’র্ষ’ণ শিক্ষকের, যেভাবে ধরা পড়লেন

    চার ছাত্রীকে আটকে রেখে ধ’র্ষ’ণ শিক্ষকের, যেভাবে ধরা পড়লেন

    নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নবম ও দশম শ্রেণির চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন সাবেক শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে তিন ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মৃত আবু তালেব শিকদারের ছেলে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর চলতি জুন মাসের ৬, ১১ ও ২৩ তারিখে স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির চার ছাত্রীকে একে একে কৌশলে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। সর্বশেষ ২৩ জুন একজন ছাত্রীকে একই কৌশলে নিয়ে গেলে, সে ২৪ জুন কৌশলে পালিয়ে এসে পরিবারকে বিস্তারিত জানায়। ঢাকায় এখনও তার তিন বান্ধবীকে সেখানে আটক রাখা হয়েছে বলে সে পুলিশকে তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত মিজানকে গ্রেপ্তার করে।

    পুলিশ আরও জানায়, মিজান ঢাকায় বসবাস করলেও ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে আর্ট ও কম্পিউটার ক্লাস নিতেন। প্রতি শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে যেতেন এবং সেখানে ধর্ষণ করতেন।

    নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ হাসিনুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, মিজান একজন বিকৃত রুচির ব্যক্তি। অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের তিনি টার্গেট করতেন। ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজন নবম ও দুজন দশম শ্রেণিতে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ আইনে মামলা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠালে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। উদ্ধার করা তিন শিক্ষার্থী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।