ভোলা সদর উপজেলায় সিঁধ কেটে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কামাল মাঝি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ সময় বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ধর্ষণ করা হয় ওই নারীকে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কন্দকপুর গ্রামে ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ।
ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ২ সন্তানের মা।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী পেশায় জেলে। তিনি কিছুদিন আগে সাগরে গেছেন এবং আমার শ্বশুর-শাশুড়ি গত দুদিন আগে ঢাকায় গেছেন। আমি ২ ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকি। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সিঁধ কেটে প্রতিবেশী কামাল মাঝি ঘরে ঢোকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি চোর-চোর বলে চিৎকার দিলে সে ওড়না দিয়ে আমার মুখ চেপে গলায় বটি ধরে। এ সময় তার সঙ্গে অজ্ঞাত আরও একজন ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে কামাল মাঝি আমার গলায় বটি ধরে ভয় দেখায়, আমি ধস্তাধস্তি শুরু করলে আমার ছেলের গলায়ও বটি ধরে। একপর্যায়ে কামাল মাঝি আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ শেষে ধর্ষণ করে। তার হাতে-পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ছাড়া ভিডিওতে আমি তাকে ডেকে ঘরে এনেছি মর্মে জবানবন্দি নেয় এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বললে সে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়াসহ আমার সন্তানদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়।
এ সময় এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাজার দাবি জানিয়েছেন তিনি।