শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে বিমানের বিজি ৫৮৪ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি ৮টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই, প্রায় ২৫০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছালে বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিন-সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
পরবর্তীতে বিমানটি সকাল ৯টায় নিরাপদে অবতরণ করে এবং বিমানবন্দরের বেএ ১৪ নম্বরে পার্ক করা হয়। বিমানে ১৫৪ জন যাত্রী এবং সাতজন ক্রু ছিলেন। সবাই নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন।
অবতরণের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা রানওয়ের পুনরায় পরিদর্শন করা হয়, তবে সেখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা পাখির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কারিগরি পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার অপূর্ব বলেন, ‘ফিরে আসা যাত্রীদের নিয়ে নতুন ফ্লাইট দুপুর সোয়া ১টায় ছেড়ে যাবে শাহজালাল বিমানবন্দর। যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত বিমানটি হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১ বছরে কমপক্ষে ২০টি পাখির আঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। পাখির আঘাত বন্ধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ অন্যরা সিভিল এভিয়েশনে চিঠি দিয়েছে। এরপরও বন্ধ হয়নি। ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের মাধ্যমে পাখির আঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিন্তু আমি যতটুকু জানি বিমানবন্দরের ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর নষ্ট। কেন ঠিক করা হচ্ছে না এটা সিভিল এভিয়েশন বলতে পারবে। বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পাখির আঘাত বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই।
Leave a Reply