প্রথম আলো-ডেইলি স্টার শিবিরের বিরুদ্ধে রগ কাটার অপতথ্য ছড়ায় : শিবির সেক্রেটারি

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। তিনি বলেছেন, পত্রিকা দুটি পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ায়।

বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে রগ কাটার অভিযোগটি এক ধরনের প্রপাগান্ডা-অপপ্রচার। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির আদর্শিক আন্দোলন করে। আদর্শিক সংগঠনকে অন্যভাবে দমন করা কঠিন। আবার ইসলামী ছাত্রশিবিরকে চারিত্রিকভাবেও কেউ অপবাদ দিতে পারে না। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, স্ট্যান্ড দখল বা যেকোনো অপকর্মের সঙ্গে তারা ছাত্রশিবিরকে যুক্ত করতে পারে না।

ফলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধিতার জন্য আওয়ামী আমলে ছাত্রলীগ সুকৌশলে এই প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। তাদের দোসর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ধারাবাহিকভাবে এসব প্রপাগান্ডা প্রচারে সহযোগিতা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘২০১৩ সালে তাদের পত্রিকায় এটা ছাপানো হয়েছে। কিন্তু কে রগ কেটেছে তার নাম, তাকে গ্রেপ্তার করা, আইনের আওতায় আনা—এ ধরনের কোনো তথ্য সেই রিপোর্টে ছিল না।

এমন একটি ঘটনাও ঘটেনি যে শিবিরের কোনো নেতাকর্মী রগ কাটার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন বা তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। শুধু সন্দেহ করা হচ্ছে; অনুমান করা হচ্ছে।’

শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘অনলাইনে সার্চ করলে ২০১৩ সালে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এ জাতীয় কিছু নিউজের লিংক পাওয়া যায়। আমরা তখন বলেছি, শিবিরের কেউ রগ কেটে থাকলে তার নামে মামলা হয়নি কেন? কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ওই সময় তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল।

মূলত কয়েকটি মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে এই রিউমরগুলো প্রচার করেছে।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে এজাতীয় কোনো অপরাধকর্মের সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদর্শিক সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির অপরাধকর্ম থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে। আশা করি, গণমাধ্যমগুলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে এবং এজাতীয় প্রপাগান্ডা থেকে বিরত থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা বুঝতে পেরেছে এগুলো শিবিরের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা। ফলে এই শব্দগুলো এখন আর কেউ প্রয়োগ করছে না ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *