মায়ের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পর এবার মিললো গর্তে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ

রংপুরের পীরগঞ্জে গত ৭ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর দেলোয়ারা বেগম ঝিনুক (৩৫) এর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পর তার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা সাইমার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের বাড়ির পেছনে বাগান থেকে গর্তে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী।

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এমএফ ফারুক জানান, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আটক আতিকুল এর কাছ থেকে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, এই হত্যাকে এলাকাবাসী মেনে নিতে না পারায় বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত আতিকুলের বাড়িতে আগুন দেয়।

এর আগে গত শুক্রবার বড় বদনাপাড়ায় মরিচ ক্ষেত থেকে মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নিহতের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলী মণ্ডলের ছেলে আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে, গ্রেপ্তার আতিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, দেড়মাস আগে শিশু সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পেছনের গাছের বাগানে গোবরের স্তুপের পাশে ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখে আতিকুল। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার শিশু সায়মার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে মর্গে পাঠানো হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *