৭৬ বছর আগে যে পথে এসেছিল সেই পথেই পালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি ইহুদিরা!

ইতিহাস নিজেকে নিজেই পুনরাবৃত্তি করে’ কার্ল মার্ক্স এর এই বিখ্যাত উক্তির মতই দশা এখন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েলের ইহুদিদের। ১৯৪৮ সালে ঠিক যেভাবে ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করেছিলো দখলদাররা ঠিক সেই পথেই এবার পালাতে বাধ্য হচ্ছে ওরা। ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে এখন জাহাজে আর নৌকাতে করেই পালানোর পথ বেছে নিয়েছেন দখলদার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশের সাধারণ নাগরিকরা।

ইতিমধ্যে দেশটির আশদোড ও হাইফা থেকে বিলাসবহুল ক্রুজ শিপে করে চোরের মত লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি ইহুদিরা। তাদের লক্ষ্য সাইপ্রাসে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া। দ্বীপ রাষ্ট্রটির দূরত্ব মাত্র ২৭০ কিমি হওয়ায় এটাকেই নিরাপদ মনে করছেন ইহুদিরা। শুধু বিলাসবহুল জাহাজই নয় বরং ছোট ছোট নৌকা নিয়েও পালিয়ে যাচ্ছেন ইসরায়েলিরা।

আরও পড়ুনঃ ইরান-ইসরায়েল সংঘাত চতুর্থ দিনে, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি
ইতিহাস বলে প্রতি ৮০ বছর পরপর ধ্বংস হয়ে যায় ইহুদিদের সম্রাজ্য। এর আগেও চারবার এমন নজির রয়েছে। পঞ্চম দফায় এসে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের পর ইতমধ্যে ৭৬ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছে ইহুদিরা। ত্ইা বেলা ফুরানোর আর বেশি বাকি নেই এমনটিও মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রীতিমতো বিধ্বস্ত ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি ইহুদির মৃুত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর আহতের সংখ্য দুই হাজার ছাড়িয়েছে বলেও বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে এখন পর্যন্ত ইরানের হামলায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে আর আহত দশ হাজারের বেশি।

আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলে আরও ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান
দখলদার ইসরায়েল এত কিছুর পরও থামছে না কোনভাবেই, ফিলিস্তিনের অসহায় মুসলমানদের ওপর এখনও আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ওরা। গত ২৪ ঘন্টায় ৯২ জন নিরীহ নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কাপুরুষের মত হত্যা করেছে কট্টর ইহুদিবাদী নেতানিয়াহুর সেনারা।

নির্লজ্জ বেহায়া মানুষরূপী পশু নেতানিয়াহুর শিক্ষা আরও কবে হবে? ইসরায়েলের বাড়াবড়ি তাদের আজ করুণ পরিণতি ডেকে এনেছে। দিন-দুপুরে জাহাজে আর নৌকাতে করেই পালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি ইহুদিরা। ওদেরও সময় ফুরিয়ে এসেছে, ওরাও হারিয়ে যাবে অচিরেই এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *