প্রকাশ্যে ইরানের পাশে পরমাণু শক্তিধর ৪ দেশ

এবার ইরান আর একা নেই ইরান। পাশে দাড়িয়েছে ৪ পরমাণু শক্তিধর দেশ। শক্ত বার্তা দিয়েছে মুসলিম বিশ্বও। সৌদি আরব, তুরস্ক থেকে শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে নেতানিয়াহু বিরোধী অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকলেও চাপে পড়েছেনবেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ শুরু করেই যেন হাওয়া হয়ে গেছেন। তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

এদিকে যুদ্ধের সমীকরণ পাল্টে দিতে এবার মাঠে নেমেছে চারটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। তারা সরাসরি ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তেহরানে হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মুসলিম দেশগুলোর বাইরেও ইরানের মিত্র রাষ্ট্রগুলো এই হামলার বিরোধিতা করেছে।

সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে হঠাৎ অস্বস্তিতে ফেলেছিল পাকিস্তান। দেশটির সঙ্গে ইরানের সীমান্ত রয়েছে, এবং দুই দেশের মধ্যে রয়েছে গভীর বন্ধুত্ব, বিশেষ করে নেতানিয়াহুর দেশ ইস্যুতে। এবার বড় সংকটে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি, এই হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এটি জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও ইরানের সম্পর্ক বরাবরই ইতিবাচক। কিম জং উন ও তেহরানের মধ্যে গোপন সমঝোতা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কমন বন্ধু রাশিয়ার কারণে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াও ইরানের পাশে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চীনের অবস্থান। চীন এখন কেবল অর্থনীতিতে নয়, সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাবেও বড় খেলোয়াড়। জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি বলেছেন, তেল আবিব ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এবং তারা আরও একটি রেড লাইন অতিক্রম করেছে।”

এদিকে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, ইরানের মিত্র রাশিয়াকে বিরক্ত করলে তার মূল্য দিতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও নেতানিয়াহুকে। এমনই হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মুখে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *