মুখে কালশিটে দাগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক, ঘুষি মারল কে!

প্রযুক্তি দুনিয়ার আলোচিত ব্যক্তি ইলন মাস্কের মুখে কালশিটে দাগ দেখে সবাই অবাক। কিন্তু এই কালশিটের পেছনে কোনো বড় দুর্ঘটনা নয়, বরং ‘মজার ছলে’ তার ছোট ছেলের ঘুষি দায়ী— এমনটাই জানালেন ইলন মাস্ক নিজেই। পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ‘এক্স’ সত্যিই ঘুষি মারে, আর সেটাই চোখে দাগের কারণ।

তবে মাস্কের এই উপস্থিতি চাপা পড়ে যায় আরেকটি বিতর্কে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় মাস্ক নাকি অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক গ্রহণ করেছিলেন। এ নিয়ে এখনো মাস্ক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। তবু সংবাদ সম্মেলনের মূল আলোচ্য ছিল মাস্কের মুখের দাগ। আর তিনি সেটা ঘুরিয়ে দেন শিশুপুত্রের এক ঘুষির রসিক গল্পে।

এই মন্তব্যগুলো এসেছে একটি সংবাদ সম্মেলনে, যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন মাস্কও। কারণ, এটি ছিল মাস্কের তথাকথিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-তে শেষ দিন। সরকারি খরচ কমানোর জন্য তিনি এই দপ্তরের প্রধান ছিলেন, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তবুও তিনি জানিয়েছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও উপদেষ্টার ভূমিকায় তিনি থাকবেন।

৫৩ বছর বয়সী এই টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান বলেন, ‘আমি শুধু ছোট ‘লিটল এক্স’-এর সঙ্গে মজা করছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলো, আমাকে ঘুষি মারো। আর ও সত্যিই মারল।’

তিনি আরো বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো, মাত্র পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলের ঘুষিও যে সত্যিই লাগতে পারে…!’ — এই কথা বলেই থেমে যান মাস্ক। তিনি বলেন, ‘তখন তেমন কিছু অনুভব করিনি, কিন্তু পরে বুঝলাম, জায়গাটা জখম হয়ে গেছে।

ডান চোখের নিচে কালশিটে, তবু ট্রাম্পের চোখে পড়েনি

মাস্কের ডান চোখের নিচে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কোনো দাগ খেয়াল করিনি।’ তবে যোগ করেন, ‘তোমরা যদি এক্স-কে ( ছেলে) চেনো, তাহলে বুঝতে পারো ও এটা করতে পারে!’

মাস্কের ছেলে এক্সকে মাঝে মাঝেই হোয়াইট হাউসে দেখা যেত, যখন তার বাবা ডিওজিই-এর প্রধান ছিলেন এবং সরকারি খরচে বড় ধরনের কাটছাঁট চালাচ্ছিলেন। এমনকি ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে মাস্কের প্রথম উপস্থিতির সময় তাকে কাঁধে বসিয়ে এনেছিলেন এবং প্রেসিডেন্টের ডেস্কের পাশে নাক খোঁটানোর দৃশ্যও ভাইরাল হয়।

রসিকতা ম্যাখোঁকে নিয়েও

সংবাদ সম্মেলনে যখন সাংবাদিকরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর স্ত্রীর একটি ভিডিও সম্পর্কে জানতে চান— যেখানে ম্যাখোঁর স্ত্রী ম্যাখোঁর মুখে ধাক্কা দেন— তখন মাস্ক মজার ছলে বলেন, ‘আমার মুখেও একটু দাগ আছে!’ ডিওজিই লেখা বেসবল ক্যাপ ও ‘দ্য ডিওজিই ফাদার’ লেখা টি-শার্ট পরিহিত মাস্ক বারবার মজার ছলে বলেন, ‘আমি তখন ফ্রান্সের কোথাও ছিলাম না।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *