সিরাজগঞ্জে সাত মাস পর কলেজছাত্রের মরদেহ পেলো পরিবার

সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আসিফ হোসাইনের মরদেহ সাত মাস মর্গে থাকার পর আদালতের নির্দেশে পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে মরদেহটি পরিবারে হস্তান্তর করে পুলিশ।

আসিফ (১৯) সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার একডালা পুনর্বাসন মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাকিম হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আসিফের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বাবা মরদেহ পেতে আদালতে আবেদন করেছিলেন। গত রোববার (২ মার্চ) শুনানি শেষে বিচারক পরিবারে মরদেহ হস্তান্তরের আদেশ দেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে নজরুল জানান, ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। নজরুলের ধারণা, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী আন্দোলন দমানোর জন্য জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দিয়ে ছেলেকে হত্যা করে মরদেহ নিজ বাড়ির শৌচাগারে লুকিয়ে রাখেন।

ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলায় দু’দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: উপদেষ্টাট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলায় দু’দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: উপদেষ্টা
আসিফের মামা শাহীন শেখ জানান, চার আগস্ট অন্য ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন আসিফ। যাওয়ার সময় মাকে বলে যান, তিনি আন্দোলনের মিছিলে যাচ্ছেন। শহরের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় তিনি মিছিলে অংশ নেন এবং অন্য ছাত্ররাও তাকে সেখানে দেখেছিলেন। কিন্তু দুপুরের পর থেকে তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে থানায় ডায়েরি করা হয়। পরে পাঁচ আগস্ট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেনরীর বাড়ির ভেতর থেকে দুই মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর মধ্যে একটি মরদেহ আসিফের বলে পরিবার থেকে দাবি করা হয়।