‘আমার সঙ্গে তর্ক নয়’, ভারতকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ভারত যে হারে শুল্ক বসায়, পাল্টা সেই হারে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে এ বিষয়ে আলোচনাও হয় দু’জনের মধ্যে। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি একেবারেই পিছু হটেননি (শুল্ক ইস্যুতে)।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। আমি তাকে জানিয়ে দিই, আমরাও পাল্টা শুল্ক বসাব। আপনারা যে হারে শুল্ক নেবেন, আমরাও একই হারে নেব। উনি (মোদি) না, না বলতে শুরু করেন। জানান, বিষয়টা ভালো লাগছে না। কিন্তু আমি জানিয়ে দিয়েছি, আপনারা যা করছেন আমিও তা-ই করছি। সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম।’

ট্রাম্প জানান, পৃথিবীর মধ্যে ভারতই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শুল্ক আদায় করে। বিশেষ করে গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নেয়া হয়।

এদিকে ট্রাম্প যখন এই মন্তব্য করেন, তার পাশে ছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্কও। ভারতের বাজারে টেসলার গাড়ি চালু করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চলছে তার। চড়া শুল্ক নিয়ে তিনিও একমত পোষণ করেন। মাস্ক বলেন, ‘হ্যাঁ ১০০ শতাংশ, গাড়ি আমদানিতে ১০০ শতাংশ।’

এভাবে চললে ভারতের বাজারে ব্যবসা করা সম্ভব নয়, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যায় করছে বলেও জানান ট্রাম্প।

চড়া শুল্ক নিয়ে মোদির সঙ্গে কী কথা হয়, তা-ও তুলে ধরেন ট্রাম্প। বলেন,
আমার সঙ্গে তর্ক নয়। আমি যদি ২৫ শতাংশ বলি, তাদের খারাপ লাগে। তাই কোনো সংখ্যা বলি না আর। ওদিক থেকে যা নেয়া হবে, আমরাও সমান হারে শুল্ক নেব বলেছি। এর ফলে ওদেরই থামতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রথমবার যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন, সেই সময়ও ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্পের। চড়া শুল্কের পাল্টা শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সেই নিয়ে সম্প্রতি মোদির সঙ্গে বৈঠকও হয় তার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। উল্টো ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি, এবিপি

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *