আটক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়াতে গেলেন জবির ২ ছাত্রদল নেতা

ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডা দিতে এসে রাজা হাওলাদার নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার বিরুদ্ধে। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই নেতাসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

রাজা হাওলাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীর ঘনিষ্ঠ কর্মী বলে জানা যায়। এদিকে ছাত্রদলের দুই নেতা হলেন, তৌহিদ চৌধুরী ও বাবলি আক্তার। তারা দুজনই ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের ভেতরে রাজা হাওলাদার তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয়ার সময় জবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারীরা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এমন সময় ছাত্রদল নেতা তৌহিদ ও বাবলি এসে রাজা হাওলাদারকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে জবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারীদের সাথে তৌহিদ ও বাবলির কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সুজন মোল্লার অনুসারীরা তৌহিদকে ফ্যাসিবাদের দোসরকে সাফাই গাওয়ার অভিযোগ করে কথা কাটাকাটি করে। পরবর্তীতে রাজা হালদারের নামে বড় কোন অভিযোগ না পাওয়া গেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ছাড়াও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক তৌহিদ চৌধুরীর বাড়ি ও ছাত্রলীগ কর্মীর বাড়ি একই জেলা ভোলাতে। এদিকে ছাত্রদল নেতার দাবি, পার্কের ভেতরে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে খোঁজ নিতে যান তারা। তবে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়াতে যাননি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বাবলি আক্তার বলেন, ‘আমি এবং তৌহিদসহ আমরা দুইজন জানতে গিয়েছিলাম কেন তাকে আটক করা হয়েছে। আমি খবর পেয়েছিলাম ভিক্টোরিয়া পার্কে মারামারি হচ্ছে। পরে আমি সেখানে যাই।’

এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার নামে একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। আজকে ক্যাম্পাসে আমাদের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছিল। সেখান থাকা অবস্থায় জানতে পারি ভিক্টোরিয়া পার্কে মারামারি হচ্ছে। পরে জানতে পারি তারা সুজন মোল্লার ছেলে। আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি পারি রাজ নামে ছেলেটিকে ধরা হয়েছে। আমি যখন নিশ্চিত হই সে ছাত্রলীগ করতো তখন সাথে সাথে আমি সরে আসি। একদল আমাকে এবং আমার সঙ্গীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’

জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের পাশে পাটুয়াটুলিতে থাকলেও ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তৌহিদ এবং অন্যরা ভেবেছিলো সেখানে ছাত্রদলের কোন ঝামেলা হচ্ছে। পরে যখন তারা জানতে পারে ছাত্রলীগ কর্মী সেখানে আছে, তারা সাথে সাথে সেখান থেকে চলে আসে।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *