ভিপি নুর ভাই শীঘ্রই প্রমাণ করবেন তিনি নির্দোষ ব্যক্তি

নিউ ইয়র্ক থেকে অনলাইন এক্টিভিটিস প্রিসিলা তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন যা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

নুরুল হক নূর ভাইকে নিয়ে অনেকের প্রশ্ন—নূর ভাই কি তবে বিক্রি হয়ে গেলেন? কেন তিনি আর রাশেদ তৌহিদ আফ্রিদিকে নিয়ে পোস্ট দিলেন?

আসলে ব্যাপারটা সহজ। নূর আর রাশেদ জাতীয় নেতা। আর আফ্রিদি এখন এক জাতীয় সমস্যা। জাতীয় সমস্যায় জাতীয় নেতারা কথা বলবেন, এটাই স্বাভাবিক।

এর মাঝেই রাহী নামে এক ছোট ভাইয়ের দেওয়া ইন্টারভিউ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সত্যি বলতে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। গরিবের কথা সাধারণত বিশ্বাস পায় না। নূর ভাই শিগগিরই সবকিছু ম্যানেজ করে প্রমাণ করবেন, এই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।

এর আগেও বহুবার নূর ভাইকে বিভিন্ন এজেন্ট বলে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। কেউ পারেনি। এবারও পারবেন না। তিনি প্রমাণ করে দেবেন—তিনি কোনো হোটেলে যাননি, কোনো ব্যাগ নেননি, আর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। রাহীর কথাগুলো মিথ্যা।

তবে এখানে একটা বিষয় খুব জরুরি—রাহী নামের ছেলেটার নিরাপত্তা। ও এখন একরকম “রাজসাক্ষী”। সত্য-মিথ্যার ফয়সালা অনেকটা তার কথার ওপর নির্ভর করছে। তাকে টার্গেট করা হতে পারে। তাকে নিয়ে খেলাও হতে পারে। যদি তাকে সরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে একটা নেতার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যাবে।

যদিও শেষ পর্যন্ত রাহী হারবে আর নূর ভাই জিতে যাবেন। কারণ, নূর ধরা পড়লে একটা পুরো দল ধ্বংস হবে, আর সেটা অনেকেই চাইবে না। তাই হয়তো রাহীকে নানা অজুহাতে জেল খাটানো হবে, বা অন্য কোনোভাবে হেনস্তা করা হবে। আর তখন নূর ভাই মুচকি হাসবেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে।

অন্যদিকে আফ্রিদি নূর ভাইয়ের সামনে মাইক হাতে চিৎকার করবে—“হাই গাইস, দিস ইজ আওয়ার প্রাইম মিনিস্টার, মাই আঙ্কেল, মাই নুরু চাচ্চু, মাই পাপার ভাই।” আফ্রিদি বা আফ্রিদির বাবাও জেলে বেশিদিন থাকবেন না। টাকা যাদের আছে, তারা কখনো জেলে আটকে থাকে না।
আমরা শুধু দর্শক। সার্কাস দেখছি।

তবে একটা কথা মানতেই হবে—নূর ভাই দেশের সবচেয়ে সৎ মানুষের একজন।