কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) নামের জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব গোঁয়াখালী সিরাদিয়া সড়কের ভোলাইয়াঘোনার মোনাফের ফার্ম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জামায়াত নেতা হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের টেকপাড়া এলাকার বখতেয়ার উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং স্থানীয় মইয়্যাদিয়া জামে মসজিদের ইমাম বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে পেকুয়া বাজারে যাওয়ার পথে মোনাফের ফার্ম নামক স্থানে পৌঁছলে একই সড়কে বাইম্যাখালী সংযোগ সড়ক থেকে আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী হাফেজ জাহাঙ্গীর আলমের মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। এ সময় হাফেজ জাহাঙ্গীর আলমের নাক এবং কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পূর্ব গোঁয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিহতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে নিহত জামায়াত নেতা হাফেজ জাহাঙ্গীর আলমকে সমাহিত করা হয়। তিনি ৪ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক বলে জানা যায়।
এদিকে জামায়াত নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির ও চকরিয়া পেকুয়ার জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, সাবেক আমির মাস্টার আবুল কালাম ও পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি দিদারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাই। নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া থানায় এসে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আবেদন করেন। নিহতের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।