ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম বলেছেন, স্বাধীনতার আইডিওলোজিকে যারা ধারণ করে না; তাদের নির্বাচন করার অনুমতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।
রোববার বিজয় একাত্তর হলের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম।
আবিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতিকে আমরা নিরুৎসাহিত করেছি; কিন্তু আপনারা বার বার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রদলের ওপর আঘাত করেছেন। আমাদের পোস্টার থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সকলভাবে আমাদেরকে ব্যাশিং করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতাদের ছবি, পোস্টার আপনারা পায়ের নিচে ফেলে পিষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তারপরও আমরা অনেক ধৈর্য ধরে প্রকৃতির হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে আপনারা যে অভিযোগ আনছেন সেটা কোনো অভিযোগের মধ্যেই পড়ে না। একমাত্র সংগঠন আমরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সকলকে মর্যাদা দিয়ে এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যেই জেনারেশনটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্ত রাজনীতি করে গিয়েছে। শুধুমাত্র একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য নিজেরা গুপ্ত থেকেছে এবং অন্যান্য সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। পরবর্তীতে যখন তারা প্রকাশ্যে এসেছে তখন দেখা গেল তাদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রধান প্রধান সবাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা এই জেনারেশন কল্পনাও করি নাই- তাদের যে পূর্বসূরী মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে যে ধারণা ওউন করে তারাও সেই ধারণা ওউন করে। আমরা ভেবেছিলাম তারা আমরা একই জেনারেশন।
কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে রাজাকার শব্দটাকে জেনারেলাইজেশন, মুক্তিযুদ্ধ ভুলক্রমে হয়েছে এই ধরনের তথ্য ম্যাগাজিনে প্রকাশ করা, জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করা, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন আছে কিন্তু টিএসসিতে দাঁড়িয়ে যারা স্বীকৃত রাজাকার তাদের ছবি টানিয়েছে। নারীদের ছবি জুম করে নারী-বিদ্বেষী আচরণ। আপনারা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও নারীদের বিষয়ে কুৎসা রচনা করেছেন।
নাম গোপন করে মেয়েদের নখের বড় বড় ছবি হল গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগের আতিকাকে যেভাবে বের করা হয়েছে; ছাত্রদলের মেয়েদেরও নাকি একইভাবে হেনস্তা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ করছি এই উগ্র আচরণকারীদের আপনারা কন্ট্রোলে এনে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করেন।
আপনারা যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমাদের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ আনেন তাহলে বলা যায় যে, আপনাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়ে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আরও বক্তব্য দেন জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমসহ অন্যরা।