কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দাবি করেছেন, আগে থেকেই সেখানে সব আয়োজন করা ছিলো। তিনি এবং তার স্বামী কিছু সময়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন মাত্র।
বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে জাফরিন বলেন, আগে থেকেই ওটা অ্যারেঞ্জ করা ছিল। সেখানে ইনভাইটেশন পেয়ে আমি ও আমার হাজবেন্ড কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এএসপির পরিচয়ে অন্য কেউ জায়গাটা ভাড়া করেছিল। সেটা আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। দয়া করে আমাকে রিমান্ডের মতো ডিসিশন দেবেন না। কিছু জানার থাকলে এমনিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমি উত্তর দেব। আমি নিজে এটা করিনি। তাই অনুরোধ আমাকে রিমান্ড দেবেন না।
পরে শুনানি শেষে ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাফরিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন প্রশিক্ষণ চালানোর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেজর সাদিককে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সেনা কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে, সুমাইয়া জাফরিনও স্বামীর সঙ্গে ওই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ।